নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : তোমাদের জন্য ভালোবাসা
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০০৯
প্রকাশক : অন্বেষা প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭০ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
একটি শ্বেত বামন তারাকে লক্ষ্য করার সময় হঠাৎ করেই আবিষ্কার হয় এন্ড্রমিডা নিহারীকার এক পাশের একটি ছোট্ট নীল গ্রহ শ্বেত বামন তারা থেকে শক্তি চুষে নিচ্ছে। গ্রহটির নাম দেয়া হয় টাইফা। এর এক বছরের মধ্যে টাইফার সাথে অমিওক্রম রশ্মির মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। অতিউন্নতো কোন প্রাণী সেখানে আছে। তাঁরা গণিত, পদার্থবিদ্যা জানে, তবে সেগুলি পৃথিবীর হিসাবে মেলে না। তাদের হিসাবে সময় হচ্ছে শূন্য আর মহাবিশ্বও কিছু নেই সবই শূন্য।
এরমধ্যে হঠাৎ করেই একদিন টাইফা গ্রহ শূন্যে মিলিয়ে যায়। সুপারকম্পিউটার সিডিসি হিসেব করে দেখে টাইফার পরে আরো কয়েকটি গ্রহ ও তারা মিলিয়ে গেছে চক্রাকারে। হিসেব অনুযায়ী এক বছর তিন মাসের মধ্যে পৃথিবীও ভেনিস হয়ে যাবে।
আর যখন কোন উপায় নেই সেই সময় বিজ্ঞান কাউন্সিলের এক প্রতিভাবান তরুন বিজ্ঞানী কাউন্সিলের প্রধান মাথুরাকে একটি সম্ভাবনার পথ দেখায়। কিছুদিন আগে বিশাল এক মহাকাশযান তৈরি হয়েছিলো সুবিশাল দূরুত্বের এক নক্ষত্রে যাবার জন্য। কয়েক প্রজন্ম লেগে যাবে সেখানে যেতে। কিন্তু মূল উদ্যক্তা মারা যাবার কারণে সব তৈরি থাকার পরেও প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। তরুণ বিজ্ঞানীর ইচ্ছে হচ্ছে মহাকাশযানে সামান্য পরিবর্তন করে সেখানে মানব শিশুদের শিক্ষার সুব্যবস্থা তৈরি করে মহাকাশযানে করে মানব শিশুদের পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে। তারা মহাকাশযানে করে মহাশূণ্যে ঘুরে বেরাবে যতদিন না বাসযোগ্য কোনো গ্রহ খুঁজে পায়। তাদের সমস্ত কিছু ঠিক ভাবে পরিচালনা করবে সিডিসি কম্পিউটার।
এদিকে মহাজ্ঞানী ও প্রতিভাশালী বিজ্ঞানী ফিহার দেখা হয় লী নামের একটি মেয়ের সাথে। তার কাছে ৫ হাজার বছরের পুরনো একটি বইয়ের মাইক্রফ্লিম আছে। সেখানে বিজ্ঞান কাউন্সিল আর ফিহার কথা লেখা আছে। ফিহা লীকে বিজ্ঞান কাউন্সিলের প্রধান মাথুরার কাছে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে একটি নির্জন যায়গায় চলে যায় চুপচাপ কিছু হিসাব করবেন বলে। লী তার অদ্ভূত বইটি দেয় মাথুরাকে।
বইটি পড়ে মাথুরা দেখেন ৫ হাজার বছর আগে একজন লোককে হঠাৎ করেই তাকে ত্রিমাত্রিক পৃথিবী থেকে চতুর্মাত্রিক জগতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সময়ের কোন বাধা নেই, চোখের নিমিশে যে কোন সময়ের অতীত বর্তমান ভবিষতের যাওয়া যায়। তাঁর পক্ষে চতুমাত্রিক জগতের কোন কিছুই দেখা বা বুঝা সম্ভব নয়। তাই তার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঘর তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আছে তার স্ত্রী আনার অবিকল একজন কপি। চতুমাত্রিক প্রাণীরা আনাকে তৈরি করেছে তার শিক্ষক হিসেবে।
এরপরেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় টাইফা গ্রহে। তিন হাজার বছর আগে টাইফা গ্রহে মানুষ আসে। তারা এখানে বিজ্ঞানে অভূত উন্নতি করেছে। চতুমাত্রিক প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। মায়ের গর্ভের শিশুকে গামা রশ্মির প্রভাবে ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে মস্তিষ্কের বিশেষ বিশেষ অংশ উজ্জবিত করে মহা জ্ঞানি গণিতবিদ, পদার্থবিদ ইত্যাদি বিজ্ঞানী তৈরি করা হয়। তারা থাকে বিকলাঙ্গ। এই সব দেখে তিনি অস্থির হয়ে যান।
প্রধান গণিতবিদ তাকে ডেকে বলেন ৫ হাজার বছর ভবিষতের বর্তমান পৃথিবীতে বিজ্ঞান কাউন্সিলের গণিতবিদ ফিহা ত্রিমাত্রিক সময় সমিকরণের একটি সমাধান করেছেন। চতুরমাক্রিক প্রাণিদের তাই ফিহাকে দরকার। তাকে গিয়ে ফিহাকে নিয়ে আসতে হবে বা হত্যা করতে হবে। তেজেস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষার জন্য মানুষ যে শক্তিবলয় পৃথিবীর চারপাশে তৈরি করেছে সেটা ভেত করা চতুরমাক্রিক প্রাণীর পক্ষে অসম্ভব বলেই তাকে এখানে আনা হয়েছে ফিহার কাছে পাঠানোর জন্য। কিন্তু এক ডাক্তার তাকে জানায় ফিহা সময় সমিকরণের একটি সমাধান করেছেন। আরেকটি সমাধান করলেই চতুমাত্রিক জগতের রহস্য সমাধান হয়ে যাবে। তাই চতুমাত্রিক প্রাণীরা ফিহাকে হত্যা করে গোটা ত্রিমাত্রিক জগত বিলিন করে দিতে চাইছে। তিনি যদি ফিহাকে হত্যা না করেন তাহলে তাকে তার সময়ে ফিরিয়ে দেয়া হবে না।
এদিকে ৫ হাজার বছর পরের পৃথিবীতে তখন দেখা দিয়েছে সেই আসল সমস্যা টাইফা গ্রহ চতুরমাত্রিক জগতে ঢুকে গেছে এবং একটি নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে চতুরমাক্রিক জগত। ফিহা চলে গেছেন নির্জন বাসে, মাথুরা পড়ছেন প্রাচীন বইটি। তিনি বুঝে গেছেন ত্রিমাত্রিক সময় সমিকরণের দ্বিতীয় সমাধান যেটি অবাস্তব বলে ফিহা বাদ দিয়ে দিয়েছেন সেটা দিয়েই তৈরি করা যায় চতুরমাক্রিক জগত। প্রাচীন লোকটি যখন ফিহাকে হত্যা করে তার আগেই ফিহা তার দ্বিতীয় সমাধানটি মাথুরাকে দিয়ে দেন। সেই সমাধান ব্যবহার করে চতুরমাক্রিক জগতের এগিয়ে আসার পথে ছোট্ট একটি চতুরমাক্রিক জগত তৈরি করে পৃথিবীর সেই মহা বিপর্যয় আটকে দেয়া হয়।
পর্যবেক্ষণঃ যেহেতু ৩ হাজার বছর আগে পৃথিবী থেকেই টাইফা গ্রহে প্রথম মানুষ গিয়ে বসতি তৈরি করেছিল সেহেতু ৫ হাজার বছর পরের পৃথিবীর মানুষের সেটা জানা থাকার কথা ছিলো। কিন্তু তারা তা জানতো না। বিষয়টি পরস্পর বিরধী।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কথাতো সত্য।
হয়তো আমিও ভুল করেছি।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভুলটি আমারই ছিলো। ঠিক করে দিলাম।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
হুমায়ুন আহমেদ সাহেব এই পাগলামী এলাকায়ও লিখেছেন?
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কল্পবিজ্ঞানকে আপনি পাগলামী এলাকা বলছেন?
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
হুমায়ুন আহমেদ সাহেব এই পাগলামী এলাকায়ও (ফ্যানটাসী ) লিখেছেন?
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ফ্যন্টাসি আর সাইন্সফিকশনের মধ্য পার্থক্য আছে।
হুমায়ূন আহমেদ ফ্যন্টাসিও লিখেছেন।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার খুবই প্রিয় উপন্যাসের মাঝে একটি হচ্ছে “তোমাদের জন্য ভালোবাসা” এই উপন্যাসে যে পরিমান আবেগ ও ভালোবাসা দেয়া হয়েছে তাতে করে এই উপন্যাসের নাম তোমাদের জন্য ভালোবাসা সার্থক।
মহান বিজ্ঞানী ফিহার জন্য ভালোবাসা থাকবে অনন্তকাল।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ফিহা বারবার ফিরে আছে, ফিরে আসে সিডিসিও।
সাইফাই আমার খুব পছন্দের বিষয়।
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ এক জায়গায় বলেছিলেন যে তার গল্পগুলি ২৫ বছর বয়সী পাঠক ও পাঠিকার উপযোগী। নির্দিষ্ট করে কোথায়, কখন বলেছিলেন এটা এখন মনে করতে পারছি না।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার মনে হয় আমার বয়স যখন ৫০ পার হবে এবং তাখনও যদি আল্লাহর রহমতে বেঁচেবর্তে থাকি তাহলে তখনও আমার কাছে হুমায়ূন রচনা উপাদেয় লাগবে।
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মহান বিজ্ঞানী ফিহা আমার খুবই পছন্দের একজন চরিত্র। হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে ফিহাকে আমরা আরো অনেক গল্পে পেতাম। হুমায়ূন আহমেদ বাংলা উপন্যাসকে যেমন উচ্চতর গতি দিয়েছেন ঠিক তেমনই তিনি হারিয়ে গিয়ে আমাদের ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে গিয়েছেন। যেই ক্ষতির কোনো ক্ষতিপূরণ নেই। আরেকটি হুমায়ূন আহমেদ কখনো বাংলার মাটিতে আর কোনোদিন হয়তো জন্ম নেবেন না।
মহান বিজ্ঞানী ফিহার জন্য আমার প্রিয় ফুলের ভালোবাসা থাকবে অনন্তকাল। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার প্রিয় চরিত্র ফিহা ও প্রিয় উপন্যাস “তোমাদের জন্য ভালোবাসা” বইটি নিয়ে লিখেছেন।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি সত্য বলেছে।
হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে আমরা আরো আনেক চমৎকার চমৎকার লেখা পেতাম। যা আর কারো পক্ষে কখনোই লেখ সম্ভব না। আপসুস লাগে নবীজী লেখাটির জন্য। এটি শেষ করতে পারলে খুব ভালো একটি বিষয় হতো।
যাইহক, ফিহা কিন্তু জাফর ইকবাল সাহেবেরও একজন চরিত্র। সব চরিত্রেই ফিহা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ।
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
হুমায়ূন আহমেদ স্যার ইরান ও রাশিয়া থেকে ইসলামিক ইতিহাস ভিত্তিক বই সহ দিল্লি থেকে ইসলামিক ইতিহাস ও মুঘল সম্রাজ্য নিয়ে পড়ালেখা শুরু করেছিলেন যা তিনি অনুবাদ সহ তাঁর মতো করে সাজিয়ে লিখতেন যা বাংলার জন্য বাংলাভাষার মানুষের জন্য হতো বিশাল বড় সম্পদ। ততোদিনে সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি মরণব্যাধিতে আক্রান্ত। জীবন যেখানে থেমে যায় সেখানে আর কলমের হাত চলে না। আফসোস।
হুমায়ূন আহমেদ একজন কলমযোদ্ধা ছিলেন। এতোবড় কলমযোদ্ধা বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব সম্ভব আর নেই।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যদিও অনেকেই তাকে সত্যিকার মর্যাদা দিতে রাজি নন। তবে সত্যি বলতে লেখকের আসল পাওয়া হচ্ছে পাঠক প্রিয়তা, যেটা হুমায়ূন আহমেদ ভরপুর পেয়েছেন। তাছাড়াও উনি যে মাধ্যমেই হাত দিয়েছেন সেখান থেকেই সোনা তুলে এনেছে।
আমি কারো সাথে তুলনা করতে চাই না। তবুও তার মতো আরো একজন ছিলেন।
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৫
কালো যাদুকর বলেছেন: এখন ভাবি এইআজগুবি কাহিনীও কত ভাল লাগত পড়তে ৷ হুমায়ুন স্যার ছিলেন ঔস্তাদ লেখক ৷
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এখনো ভালো লাগে আমার পড়তে।
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম বার বইটা পরে কিচ্ছু বুঝতে পারি নি।
এরপর তিন বছর পর আবার পড়েছি। তখন খুব একটা বুঝি নি। তারপর কিছু রিভিউ পড়লাম। পড়ার পর কিছুটা বুঝতে পেরেছি। বইটা বুঝতে না পারার কারন হচ্ছে আমার মাথায় বুদ্ধি কম।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সেকি কথা!!
একটাই কঠিন!!!
আমি এখনই আবার পড়া শুরু করছি। দেখি নতুন কিছু পাই কিনা।
২১ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বইটি আবার পড়ে শেষ করলাম।
১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: "তোমাদের জন্য ভালোবাসা” আমার অন্যতম প্রিয় উপন্যাস।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাহ!!
আমি এখন আবার পড়া শুরু করবো ঠিক করেছি।
শেষ করতে খুব বেশী সময় লাগবে না।
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কথাতো সত্য। হয়তো আমিও ভুল করেছি।
-আপনি বিটপি'র মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে ভুল উত্তর দিয়েছেন; হুমায়ুন আহমেদ জ্ঞানী মানুষ, আন্দ্রোমেডা নিয়ে উনি সঠিক বলেছেন: আন্দ্রোমেডা নামে তারকা আছে, কনষ্টেলেশন আছে, গ্যালাক্সি আছে। সীতাকুন্ড নামে উপজেলা আছে, একটি বাজার আছে, একটি গ্রামও আছে।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হঠাত হুমায়ূন সাহেব সম্পর্কে আপনার ধারনার পরিবর্তণের কারণ কি?
আপনির যুক্তি খুবই শক্ত ও যুক্তিযুক্ত। তবে সমস্যা হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ এই উপন্যাসে এন্ড্রোমিডা বলতে নিহারীকা এন্ড্রোমিডাকেই বুঝিয়েছেন।
ভুলটা আমারই ছিলো। গ্রহটি এন্ড্রোমিডার একপাশে ছিলো।
১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়েছি অনেক আগে আজ আবার নতুন করে মনে করে দিলেন । আগে যা বুঝিনি আপনার লেখা বুঝতে সাহায্য করলো
২১ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখাটি আপনাকে বুঝতে সাহয্য করেঝে জেনে ভালো লাগলো।
১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৫৮
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সায়েন্স ফিকশনে যেহেতু বিজ্ঞান আছে, তাই এতে কিছু নিয়মকানুন আছে যা মানা প্রয়োজন, বিশেষ করে গ্রন্থটি শিশুকিশোরদএর জন্য হলে। এন্ড্রোমিডার পাশে গ্রহ বলা অবশ্যই সেই কানুনের ব্যত্যয়। এন্ড্রোমিডা বলে কোনো গ্রহ নাই, তবে এন্ড্রোমিডার উজ্জ্বলতম তারাকে আলফা এন্ড্রোমিডা বলা হয়, যদি এটি তারাটির প্রাতিষ্ঠানিক নাম নয়। সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো স্থানে কোনো গোত্রের (বিশেষ করে, প্রাণীগোত্র, যেমন সিংহ) সবচেয়ে সবল, শক্তিশালী সদস্যকে সাধারণভাবে আলফা বলা হয়ে থাকে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভুলটি আমার ছিলো। এন্ডোমিডা নিহারীকার একটি গ্রহের কথা বলা হয়েছে।
১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি তার কয়েকটা বই পড়েছি।এই বইটি পড়া হয় নাই।পাঠককে আকর্ষন করে কিন্তু চিন্তা করতে শিখায় না।গভীর কোন মনস্তত্ত্ব নেই।জনপ্রিয় লেখক কিন্তু বড় মাপের লেখক না।তার কোন বই কি ইংরাজিতে অনুবাদ হয়েছে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক মাপার বিষয়টা আমার মধ্যে নেই, আমি শুধু পড়তে ভালোবাসি। কোনো কিছু পড়ে গভীর কোনো জ্ঞানলাভ বা চিন্তায় পরে যাওয়ার বিষয়টি আমার নেই। আমি শুধু আনন্দের জন পড়ি। আমার জন্য এমন হালকা লেখাই ভালো। হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখল না, আসলে কেউ ই আমার প্রিয় লেখক না।
১৯৭১ বইটি ইংরেজী অনুবাদ হয়েছে। আর কোনোটি হয়েছে কিনা জানা নাই।
১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি রিভিউ খুব সুন্দর হয়েছে। দশে দশ দিলাম।
২১ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১০
কুশন বলেছেন: এই বইটা স্কুলে farewell এর দিনে স্কুল থেকে দিয়েছিলো।
পড়েছি। তবে আমার প্রিয় বই- ''শূন্য'', ''ওমেগা পয়েন্ট'', ''নি'' এবং ''অনন্ত নক্ষত্র বীথি''।
২১ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শূন্য ও নি আমার পছন্দের কাহিনী। ওমেগা পয়েন্ট চমৎকার কাহিনী। সম্ভবতো হুমায়ূন আহমেদের লেখা সবচেয়ে জটিল বিয়ষের উপরে লেখা সাইন্সফিকশন বই এটি।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২২
বিটপি বলেছেন: এন্ড্রোমিডার কাছে একটি নীল গ্রহ মানে কি? এন্ড্রোমিডা একটি গ্যালাক্সি, কোন নক্ষত্র বা গ্রহ নয়, তার কাছে একটি নীল গ্রহ কিভাবে থাকে? হয় তার ভেতরে কোন তারামন্ডলীর অধীনে থাকবে, নয়তো মিল্কিওয়ে বা ট্রায়াঙ্গুলামের মধ্যে থাকবে।