নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প (দ্বিতীয় অংশ)

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৮



আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প প্রথম অংশের পর থেকে --

ফরেস্টের কলেজ থেকে ডিগ্রী পাওয়ার দিন সেখানে একজন আর্মি অফিসার আসে এবং ফরেস্টকে আর্মিতে জয়েন করার অফার দেয়। কোনো কিছু না ভেবেই সাদাসিদে ফরেস্ট তাতে রাজি হয়ে যায়।





আর্মিতে ভর্তী হওয়ার পরে তাদের নেয়ার জন্য একটি বাস আসে। ফরেস্ট বাসে উঠার পর ওকে কেউ বসতে দিতে চায় না। তখন নিগ্রো একটি ছেলে ফরেস্টকে তার পাশে বসতে বলে। ছেলেটির নাম বেশ বড় কিন্তু ছোট করে তাকে সবাই বুবা বলে ডাকে। বুবার সাথে ফরেস্টের খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বুবাও খুব বোকাসোকা ছিলো। বুবার ইচ্ছে ছিলো সে একজন চিংড়ি ব্যবসায়ী হবে। তার সমস্ত আলাপ ছিলো চিংড়ি নিয়ে।



আর্মি ট্রেনিং চলার সময় ফরেস্ট তার মা আর জেনিকে খুব মিস কোরতো। একদিন হঠাত করে ফরেস্ট একটি প্লেবয় ম্যাগাজিনে জেনির নুড ছবি দেখতে পায়। জানতে পারে জেনি একটি নুড বারের স্টেজে গান গায়। এরপর যেদিন ফরেস্ট ট্রেনিং থেকে ছুটি পায় সেদিনই সে জেনির সাথে দেখা করতে যায়। বারে গিয়ে দেখতে পায় ওখানে জেনি নুড হয়ে গান করছে আর কিছু লোক নিচে থেকে জেনিকে বিরক্ত করছে। এই দেখে ফরেস্ট লোকগুলিকে সরিয়ে দিয়ে জেনিকে কোলে তুলে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। এই কারণে জেনির চাকরিটি চলে যায়। জেনি ফরেস্টে উপরে রেগে গিয়ে একটি গাড়ি থামিয়ে সেটিতে লিফ্ট নিয়ে চলে যাচ্ছিলো। তখন ফরেস্ট জেনিকে জানায় কিছুদিন পর ফরেস্টের ভিয়েতনামে পোস্টিং হবে যুদ্ধ করার জন্য। তখন জেনি ফরেস্টকে বলে যখনই কোনো বিপদ হবে তখন হীরো না হয়ে দৌড়ে পালিয়ে নিজের জীবন বাঁচাবে, এই বলে জেনি গাড়িতে করে চলে যায়।



ফরেস্ট আর বুবা ভিয়েতনামে পৌছে যায়। সেখানে তাদের লিডার লেফটেন্যান্ট ড্যান টেইলর এর সাথে পরিচয় হয়। তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্য হচ্ছে তাঁর বংশের কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে আমেরিকার যুদ্ধ শহীদ হয়েছে।

ভিয়েতনামে ফরেস্টদের কোনো কাজ ছিলো না। শুধু ট্রহল দিয়ে ফরেস্টের দিন ভালোই কাটছিলো। সুযোগ পেলেই ফরেস্ট জেনিকে চিঠি লিখত। একদিন রাতে বুবা ফরেস্টকে প্রস্তাব দেয় যুদ্ধ শেষে তারা দুজনে একটি চিংড়ি ধরার বোট কিনবে এবং দুজনে এক সাথে পাটনার হয়ে ব্যাবসা করবে। ফরেস্ট তাতে রাজি হয়। তখন হঠাৎ ওখানে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং ওদের উপর হামলা শুরু হয়ে যায়। অবস্থা খারাপ দেখে লেফটেন্যান্ট ড্যান সবাইকে পিছু হটতে বলে। ফরেস্ট ওখান থেকে পালাতে শুরু করে, দৌড়াতে দৌড়াতে একটা নিরাপদ যায়গায় পৌছে ফরেস্ট লখ্য করে সে ছাড়া আর কেউ এখানে পৌছতে পারে নি। তখনই তাঁর বুবার কথা মনে পরে। ফরেস্ট বুবাকে আনার জন্য আবার যুদ্ধের দিকে যায়। যেতে যেতে একজন সৈনিককে আহতো অবস্থা দেখে। সৈনিকটি তার কাছে সাহায্য চায়। ফরেস্ট সৈনিকটিকে কাধে তুলে নিয়ে নিরাপ যায়গায় পৌছে দিয়ে আবার বুবাকে খুঁজতে ফিরে যায়। এবারও সে আরো একজন সৈনিককে আহত দেখতে পায় এবং তাকেও নিরাপদ যায়গায় পৌছে দিয়ে বুবার খোঁজে বের হয়। এইভাবে বেশ কয়েকজন সৈনিককে ফরেস্ট নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে। তারমধ্যে একবর ফরেস্ট দেখা পায় লেফটেন্যান্ট ড্যান আহত হয়ে পরে আছে। তাঁর দুই পায়েই গুলি লেগেছে। ফরেস্ট তাঁকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে চাইলে তিনি ফরেস্টকে মানা করেন। তিনি তার পূর্বপুরুষদের মতই শহীদ হতে চান। কিন্তু ফরেস্ট তাঁর কোনো কথা শোনে না, তাঁকে জোড় করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে।



একসময় ফরেস্ট তার বন্ধু বুবাকেও খুঁজে পায় কিন্তু বুবার খুব বিশ্রীরকম ভাবে গুলি খেয়ে আহত হয়েছিলো। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার পরে বুবা মারা যায়। সবাইকে উদ্ধার করার সময় ফরেষ্টের পাছায় একটি গুলি লাগে। তাই আহত সৈনিকদের সাথে ফরেস্টকেও হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়।



হাসপাতালে একজন ফরেস্টকে পিংপং (টেবিল টেনিস) খেলা শিখিয়ে দেয়। লেখাটা ফরেস্টের এতোই পছন্দ হয় যে সে সরাদিন সারাক্ষণ শুধু টেবিল টেনিসই খেলতে থাকে। তার সাথে খেলার কেউ না থাকলে সে একা একাই খেলতে থাকে। দেখতে দেখতে ফরেস্ট একজন অসাধারন পিংপং খেলোয়ার হয়ে যায়।




যুদ্ধ শেষে এতগুলি সৈনিকের জীবন বাঁচানোর জন্য ফরেস্টকে মেডেল অব অনার দেওয়া হয়। মেডেল পাওয়ার সেই ফাংশন শেষে বাইরে এসে হঠাত করেই ফরেস্ট জেনির দেখা পেয়ে যায়। তারা সারারাত গল্প করে। ফরেস্ট ভিয়েতনামের গল্প শোনায় আর জেনি শোনায় কিভাবে ভবঘুরের মতো সে অনেক দেশে ঘুরেছে, কিভাবে নতুন বন্ধু পাতিয়েছে, কিভাবে ড্রাগের সাথে জড়িয়ে পরেছে। রাত শেষে জেনি বিদায় নিয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে চলে যাবার সময় ফরেস্ট তার মেডেল অব অনারটি জেনিকে দিয়ে দেয়।





ফরেস্ট এত ভালো পিংপং খেলা শিখে গিয়েছিল যে ওকে ভিয়েতনামে না পাঠিয়ে স্পেশাল টিমে নিয়ে নেয়া হয়। কিছু বছর পর ফরেস্ট অল অ্যামেরিকান পিংপং টিমে যোগ দিয়ে দেশের হয়ে চীনে খেলতে যায় এবং খেলোয়ার হিসেবে একজন ন্যাশনাল স্পোর্টস সেলিব্রেটি হয়ে যায়।



একদিন হঠাত করে পঙ্গু লেফটেন্যান্ট ড্যানের সাথে দেখা হয়ে যায় ফরেস্টের। ফরেস্টের কারণেই তিনি যুদ্ধে শহীদ হতে পারেন নি বলে ফরেস্টের উপরে তার খুব রাগ ছিলো। পঙ্গু জীবনের উপরে বিতৃষ্য লেফটেন্যান্ট ড্যান মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পরে। ঠিক তখন ফরেস্ট জানায় আর্মি থেকে ছুটি পেলেই সে বুবাকে দেয়া প্রমিস পালন করার জন্য একটি চিংড়ি ধরার বোট কিনে চিংড়ির ব্যাবসা শুরু করবে। তখন লেফটেন্যান্ট ড্যান ফরেস্টের কথা বিশ্বাস করেন না। তাই তিনি বলেন ফরেস্ট যদি বোট কিনে চিংড়ি ধরা শুরু করে তাহলে তিনিও ফরেস্টের সাথে যোগ দিবেন।



কিছুদিন পরে ফরেস্টকে আর্মি থেকে ডিসচার্জ করা হয়। ছুটি পেয়ে ফরেস্ট সোজা বাড়িতে তার মার কাছে চলে যায়। কিছুদিন পরই ফরেস্ট বুবার মায়ের সাথে গিয়ে দেখা করে এবং বুবার ইচ্ছের কথা জানায়। ফরেস্ট তার সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে একটি চিংড়ি ধরার বোট কেনে। সে সারাদিন একা একা চিংড়ি ধরতে চেষ্টা করে কিন্তু ওর জালে সারা দিনে ৫-৭ টার বেশি চিংড়ি ধরা পরতো না।


একদিন একটি লোক ফরেস্টকে বলেন তুমি তোমার বোটের নাম রাখনি বলেই হয়তো তুমি চিংড়ি পাচ্ছো না। তাই ফরেস্ট এবার নিজের বোটের নাম রাখে "জেনি"। কিন্তু ফরেস্টের অতিপ্রিয় এই জেনি তখন প্রচন্ড ভাবে ড্রাগের নেশায় আশক্ত, নানান অপকর্মের সাথে নিজে জড়িয়ে জীবনটাকে প্রায় শেষ করে ফেলেছে। বেশ কয়েকবার জেনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সে আত্মহত্যা করতে পারে না।




একদিন ফরেস্ট যখন বোট নিয়ে চিংড়ি ধরতে বের হচ্ছে তখন দেখে লেফটেন্যান্ট ড্যান তার কথা মতো ফরেস্টের সাথে যোগ দিতে এসেছে। এরপর ওরা দুজনে সারাদিন সমুদ্রে চিংড়ি ধরার চেষ্টা করে, কিন্তু তেমন কিছুই ধরতে পারে না। একদিন ওরা যখন সমুদ্রের মধ্যে ছিল তখন প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় চলে আসে। ঝড়ের সময় সমস্ত জেলে নৌকাগুলি ঘাটে এসে আশ্রয় নিয়েছিলো। কিন্তু ঝড়ের কারণে ঘাটে থাকা সবগুলি নৌকা নষ্ট হয়ে যায়। শুধুমাত্র ফরেস্টের বোটটি সাগরে থাকার কারণে সেটির কোনো ক্ষতি হয় না এবং এরপর থেকে তাঁরা প্রচুর পরিমানে চিংড়ি ধরতে পারে, কারণ চিংড়ি ধরার মতো আর কোনো বোট তখন সাগরে ছিলো না। ওরা প্রতিদিন প্রচুর চিংড়ি ধরতে থাকে এবং এভাবে ওদের কাছে এত টাকা এসে যায় যে ওরা অনেকগুলো বোর্ড কিনে নেয় আর আস্তে আস্তে এই টাকা দিয়ে ওরা একটা কোম্পানি খুলে ফেলে।









আগামী পর্বে সমাপ্ত

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: একটা ভালো মুভির ভালো রিভিউ লিখেছেন।

ধন্যবাদ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
শেষ অংশো এখনো বাকি আছে।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

বিটপি বলেছেন: আমি এই মুভিটা দেখেছি, কিন্তু মানুষ যেরকম উচ্ছসিত প্রশংসা করে, আমি তেমন কোন উপাদান এই মুভিতে খুঁজে পাইনি। কিছু কিছু দৃশ্য বরং অনেক বোরিং মনে হয়েছে। আমাকে কি দয়া করে বলবেন, মুভির ভালো লাগার কোন ব্যাপারটি আমি মিস করেছি?

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি ভালো লাগার কোনো বিষয় মিস করেন নি।
একেক জনের ভালো লাগা একেক রকম হয়। আপনার ভালো লাগার সাথে এই সিনেমার বিষয় গুলি ক্লিক করেনি বলে আপনি ভালো লাগার তেমন কিছু পান নি।
সাইফাই সিনেমা আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয়। রোমান্টিক সিনেমা দেখাই হয় না। ভালো লাগাটা পার্সন টু পার্সন এবং টাইম টু টাইম ভ্যারি করে।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত সময় পান কই ভাই, মুভিও দেখেন বইও পড়েন। ছবিও তুলেন উফ অসাধারণ

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি কর্ম মুক্ত মানুষ, অলস সময়ের কোনো অভাব নেই।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ততকালীন সময়ের আমেরিকান জীবনের ছায়া

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হয়তো, আমার খুব একটা জানা নেই।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪০

কালো যাদুকর বলেছেন: একটি ভাল ছবি ৷ হিপিদের প্রভাব আর এইডস্ মহামারী তখন সবে দেখা গিয়েছিল ৷ এই যুগের মানুষদের সাথে সাথে মাঝে মাঝে দেখা হয় ৷ এরা বেশ সুখী মনে হয়।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ফরেস্ট একজন দুঃখী মানুষ। শেষে এসে জিনিকে পায়। অথচ জিনি মরে যায়। জিনি মারা যাওয়ার আগে এক সন্তান রেখে যায়।

জিনি যখন এলোমেলো জীবন বেছে নিয়েছিলো, ভালোবাসার অধিকার নিয়ে ফরেস্ট কেন জিনিকে ফেরায় নি?

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি একাধিকবার এই সিনেমা দেখে তাহলে কিছুই বুঝেন নি!!!

সারা সিনেমাতে দেখেছেন ফরেস্ট কখনো কাউকে কোনো কিছুতে মানা করেনি। কেউ তাকে কোনো কিছু করতে বললে সে সেটাই করেছে। তার মানষিক ধীরতা, ব্যাক্তিত্ব বলে কিছু ছিলো না। ভালোবাসার অধিকার নিয়ে জেনির সামনে দাড়ানোর মতো ধীরতা যদি ফরেস্টের থাকতে তাহলে এই সিনেমা আর অসাধারণ সিনেমা হয়ে উঠতো না।

৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ফরেস্ট কিন্তু সব কিছুতেই সাফল্য পেয়েছে। তবু সে দুঃখী মানুষ।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ফরেস্ট ফলাফলের আশা না করেই কাজ করেছে, তাই সাফল্য নিয়েও তার কোনো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন ছিলো না।
কিন্তু সে যেটা চেয়েছে সেটা পেয়েছে অনেক অনেক বছর পরে, অল্প সময়ের জন্য। অবশ্যই সে দুঃখী মানুষ।

৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০১

জ্যাকেল বলেছেন: মরার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারব না ফরেস্ট কিভাবে নাম হয়। সবচে ফানি লাগিছে প্রেসিডেন্ট কে দেখানো তার পাছায় গুলির দাগের দৃশ্যটা।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দৃশ্যটার কথা আমারও মনে আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.