নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদ দর্শন : ০৪ : চুনাখোলা মসজিদ

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৩



চুনাখোলা মসজিদ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত একটি পুরাকীর্তি। মসজিদটি বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের চুনাখোলা গ্রামে অবস্থিত। বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় এক মাইল উত্তর-পশ্চিমে চুনাখোলা মসজিদের অবস্থান। এটি বর্গাকৃতির একগম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ। চুনাখোলা মসজিদ বাংলাদেশের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের মধ্যে অন্যতম। পোড়া মাটির অলংকরণে মধ্যযুগীয় স্থাপত্য শৈলিতে নির্মিত মসজিদটি ১৫ শতকে হযরত খান জাহান আলী (রহঃ) এর আমলের বলে অনুমান করা যায়।












মসজিদের প্রতিটি দেয়ালের দৈর্ঘ্য ১২.৫০ মিটার। এর দেয়াল গুলি ২.১৪ মিটার পুরু। মসজিদটির পূর্বদিকে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে মোট পাঁচটি ধনুকাকৃতির খিলান প্রবেশদ্বার রয়েছে। পূর্বদেয়ালের মাঝের দরজাটি বাকি দুটির চেয়ে বড়। এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দরজা গুলিও পূর্ব দেয়ালের মাঝের দরজার সমান। মসজিদের পশ্চিম দেয়ালের ভিতরের অংশে তিনটি মিহরাব রয়েছে। মাঝখানের মেহরাবটি অন্য দুটির চেয়ে অপেক্ষাকৃত বড়, এবং দেয়ালের বহির্ভাগে আয়তাকারে বর্ধিত। বর্ধিত অংশটি ছাদ পর্যন্ত উঁচু। সম্পূর্ণ ছাদ জুড়ে অর্ধগোলাকৃতির বিশাল একটি গম্বুজ রয়েছে এই মসজিদে। মসজিদের বাইরের চার কোণে রয়েছে চারটি মিনার। মিনার গুলি গোলাকার এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে ঢালাই করা ব্যান্ড দ্বারা বিভক্ত। মিনার গুলির উচ্চতা মসজিদের ছাদ পর্যন্ত। মসজিদের পোড়ামাটির অলঙ্করণ গুলি জালির কাজ, ফুল ও লতাপাতার ডিজাইন, যুক্ত বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি।

















পুরনো এই মসজিদটির ইটের দেয়ালসমূহ এক সময় প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। ১৯৮০ সালে ইউনেস্কোর সহায়তায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক মসজিদটির ব্যাপক মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। চুনাখোলা মসজিদটি বর্তমানে ধান ক্ষেতের মাঝে অবস্থিত। মসজিদ পর্যন্ত যাওর কোনো রাস্তা নেই। ধান ক্ষেতের মাঝ দিয়ে পায়ে চলা পথ ধরে যেতে হয় মসজিদে। চুনাখোলা মসজিদে এখনো নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়।




জনশ্রুতি আছে, হযরত খানজাহান আলী (রহঃ) এর বসতভিটার পশ্চিমে যে প্রহরা চৌকি ছিল সেখানে এ মসজিদটি নির্মান করা হয়েছিল। মনে করা হয় চুনাখোলা মসজিদ যেখানে অবস্থিত সেই এলাকায় হযরত খানজাহান আলী (রহঃ) তার বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় চুন উৎপাদন কেন্দ্র বা চুনখোলা স্থাপন করেছিলেন। তাই সেই এলাকার নাম হয়ে যায় চুনাখোলা, আর মসজিদটি পরিচিতি পায় চুনাখোলা মসজিদ নামে। বলা হয় হযরত খান জাহান আলী (রহঃ) এর কোন এক কর্মচারী এই মসজিদটি নির্মান করেছিলেন।











আমি মূলত গিয়েছিলাম পরিবার নিয়ে সুন্দরবন সফরে। সুন্দরবনে ৩ দিনের সফর শেষে সফরসঙ্গীদের সাথে ঢাকায় না ফিরে
পরিবার নিয়ে থেকে গিয়েছিলাম খুলনায়। পরদিন সকালে বাগেরহাট পৌছে একটি ইজিবাইক রিজার্ভ করে বাগেরহাটের নানান যায়গায় ঘুরে বেরিয়েছিলাম। প্রথমেই গিয়েছিলাম ষাট গম্বুজ মসজিদটি দেখতে। সেখান থেকে চলে যাই পাশেই বিবি বেগনী মসজিদটি দেখতে। বিবি বেগনী মসজিদ দেখে চলে যাই পাশেই এই চুনাখোলা মসজিদটি দেখতে। মসজিদে কোনো লোক না থাকায় আমি মসজিদটির ভিতরে ঢুকতে পারি নি।










ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১১/২০১৪ইং
অবস্থান : বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 22°40'43.0"N 89°43'55.6"E

তথ্য সূত্র : অন্তর্জাল



=================================================================
মসজিদ দর্শন : ০১ : মহজমপুর শাহী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০২ : ষাট গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৩ : বিবি বেগনী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৪ : চুনাখোলা মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৫ : নয় গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৬ : জিন্দা পীর মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৭ : সিঙ্গাইর মসজিদ
=================================================================

আরো দেখুন -
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ১ম পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ২য় পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ৩য় পর্ব


বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০১
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০২
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৩
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৪
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৫
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৬


বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০১
বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০২


আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০১
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০২
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০৩


=================================================================

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পুরনো মসজিদ গুলো দেখতে প্রায় একই রকম।ইমাম সাহেব যেখানে দাড়ায় তার সামনে একটা ছোট্ট ঘর মতো থাকে ওটা কি জন্য সে সম্পর্কে কিছু জানেন?

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তেমন কিছু জানি না।
ঐটিকে মিহরাব বা মেহরাব বলা হয়।
মেহরাবে ইমাম দাঁড়িয়ে নামাজ পরিচালনা করেন। ওখানে দাঁড়িয়ে ইমাম খুদবা দেন।
তাছাড়া আদিতে মসজিদ গুলি বিচারকদের দরবার হিসেবে ব্যবহারে উদাহরনও পাওয়া যায়। মেহরাবে কাজী সাহেব বসতেন দরবারের সময়।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঐ এলাকায় সেই সময় এত মসজিদ কেন করা হয়েছিলো?

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সম্ভবতো ইসলামের প্রসার আর প্রতিপত্তি প্রদর্শণের জন্য।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: বাগের হাঁট আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি।

সুন্দরেবনের কোথায় গেলেন? কটকা? দুর্বলার চর? হিরনপয়েন্ট? সুন্দরবন বেশ কয়েকবার গিয়েছি।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাগেরহাটে আমি গেছি ৩ বার, তেমন ভাবে কিছু দেখা হয়েউঠেনি। প্রতিবারই গিয়েছি অল্প সময়ের জন্য।

সুন্দরবনে গিয়েছি ৩ বার, দুর্বলার চর-হিরনপয়েন্ট যাওয়ার সুযোগ হয়নি।
আমি গিয়েছিলাম -
প্রথমবার শুধু করমজল।
দ্বিতীয় বার গিয়েছিলাম - হারবাড়িয়া < কটকা < জামতলা সৈকত < কচিখালি < করমজল।
তৃতীয় বার গিয়েছিলাম - কলাগাছিয়া < বোদাগী < পুস্পকাঠি < মান্দারবাড়িয়া < পুটনির দ্বীপ।
আগামী ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে যাওয়ার ইচ্ছে আছে -
হিরণ পয়েন্ট < দুবলার চর < বংগবন্ধু আইল্যান্ড < দোবাকি < কলাগাছিয়া।

দেখাযাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ! আরও একটা মসজিদ পরিচিতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, সুন্দরবনে তোলা ছবি দিয়ে একটা পোষ্ট দেন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অল্প কয়েকটা ছবি ছিলো -

সুন্দরী সুন্দরবন – ০১
সুন্দরী সুন্দরবন – ০২
সুন্দরী সুন্দরবন – ০৩

আগামীতে আরো আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.