নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুঁত ফল
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : তিত ফল
Common Name : Mulberry, Red Mulberry, Common Mulberry, Silkworm Mulberry
Scientific Name : Morus rubra এবং Morus nigra
তুঁত বেরি জাতীয় ফল। তুঁত ফলকে ইংরেজিতে Mulberry বলে। ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও সুস্বাদু টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত। তুঁত ফল রসাল আর সুস্বাদু হলেও এটি বাংলাদেশে ফলের জন্য কখনো চাষ কারা হয়নি। বরং এই তুঁত গাছ চাষ করা হয় এর পাতার জন্য। কারণ তুঁত গাছের পাতাই রেশম গুটি পোকার প্রিয় খাবার। আমি যদিও বলছি ফলটি দেখতে সুন্দর, তবে কারো কারো কাছে এটি দেখতে বিছা-ছেঙ্গার মত মনে হয়।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেকগুলো ফল মিলে একটি তুঁত ফল তৈরি করে। বাংলাদেশের তুঁত গাছে সাধারণত সারা বছরই অল্প-বিস্তর ফল হয়। তবে বেশী ফল আসে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। ফলগুলি মার্চ-এপ্রিল মাসে পাকে। কাঁচা ফলের রং হয় সবুজ। ধীরে ধীরে ফলটি পাকতে শুরু করলে সেটি লাল রং ধারন করতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ পেকে গেলে কালচে হয়ে যায়। কালচে হয়ে যাওয়া ফলগুলিই খেতে সবচেয়ে রসাল আর সুস্বাদু হয়। পাকা তুঁত ফলের রস থেকে জ্যাম, জেলি ও জুস তৈরি করা যায়।
তুঁত গাছ পত্রঝরা ছোট ঝোপালো আকারের বৃক্ষ। পাতা ঝরে যাওয়ার পরে বসন্তের শুরুতে আবার গাছে নতুন পাতা আসে। পাতা খসখসে, পাতার প্রান্তভাগ করাতের মত খাঁজ কাটা এবং অগ্রভাগ সূঁচাল।
সাধারণত শাখা কলমে চারা করা যায়। তাছাড়া শীতকালে গাছ ছাঁটাই করে ডাল মাটিতে পুঁতে রাখলেই চারা হয়ে যায়। এর ডাল খুবই নরম। এক সময় গ্রামে প্রচুর তুঁত গাছ দেখা যেতো, এখন সংখ্যায় খুব কমে গেছে।
আগেই বছেছি তুঁত গাছের পাতা রেশম পোকার মথের প্রিয় খাবার। এই মথের লালা থেকে রেশমের গুটি তৈরি হয়। সেই গুটি থেকে বিশেষ প্রক্রিয়া শেষে রেশমি সুতা তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি তুঁত চাষ করা হয় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তাছাড়া নাটোর, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, সিলেটে ইত্যাদি এলাকাও তুঁত গাছের চাষ হয়। তবে তা ফলের জন্য নয় বরং রেশম পোকার খাদ্যের জন্যই তুঁত গাছ চাষ হয়। একটি গাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত পাতা সংগ্রহ করা যায়। গাছের উচ্চতা ৬ ফুট হলেই কেটে দিতে হয়, এতে করে গাছে অধিক পাতা পাওয়া যায়। তুঁত গাছ আমাদের রেশম শিল্পের জন্য অপরিহার্য।
শালিক, টিয়া, বুলবুলি, টুনটুনিদের কাছে এই তুঁত ফল খুবই প্রিয়।
ছবি তোলার স্থান : বাড্ডা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ১১/১২/২০২০ ইং
ছবিগুলি মুঠোফোনের ক্যামেরায় তোলা
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
ফল ফলাদি - ০১
ফল ফলাদি - ০২
ফল ফলাদি - ০৩
ফল ফলাদি - ০৪
ফল ফলাদি - ০৫
ফল ফলাদি - ০৬ : তুঁত ফল
ফল ফলাদি - ০৭
ফল ফলাদি - ০৮
=================================================================
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আগে প্রতিটি গ্রামেই এর প্রাচুর্য ছিলো, এখন কমে গেছে। তবে শহরের ছাদ বাগানে বেশ ভালো ভাবেই আছে।
আপনি কোন অঞ্চলের লোক?
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৬
শায়মা বলেছেন: জীবনেও দেখিনি।
নাম শুনেছিলাম শুধু।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আজ ছবি দেখে নিলেন
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি জুন মাসে প্রচুর খেয়ে থাকি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গতবছর আমার বোনের ছাদে প্রচুর হয়েছিলো। আমার জন্য একবাটি পাঠিয়েছিলো। সাথে এক বোতল জুসও। আমি ছাড়া বাসার আর কেউ খায় না। সবটাই আমি সাবার করেছি।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৪৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাংলাদেশে থাকতে খাইনি কখনও; নাম শুনেছি। কিন্তু বিদেশে আসবার পর প্রচুর খেয়েছি। একদম গাছ থেকে পেড়েও খেয়েছি।
একবার পেয়েছিলাম জম্মের টক; পরে কাসুন্দি, ঝাল-মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খেয়েছিলাম। সেই টেষ্ট!
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাংলাদেষের গুলি ফলের জন্য চাষ না হলেও পৃথিবীর অনেক দেশেই এটি ফলের জন্য চায় হয়। এর মোটামুটি কয়েকটি ধরন আছে।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তুত ফল খেয়েছি। ছোট ছোট গাছে প্রচুর ফল ধরে। ছবিতে তুত বড় দেখাচ্ছে তবে ছোট দেখেছি। মক্কায় এই ফলের জুসও দেখেছি
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছবি কাছ থেকে তোলার কারণে হয়তো বড় দেখাচ্ছে। তবে প্রথম ছবিতে আকার সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে পরিষ্কার।
বাংলাদেশেও দেখেছি বোতলজাত এই জুস, তবে বাইরে থেকে এসেছে।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের এলাকায় প্রচুর জংঙ্গল ছিল।কতো রকমের জংলী ফল যে খেয়েছি তার হিসাব নাই।হয়তো এই ফলটিও খেয়েছি কিন্তু আপনি যে এলাকার নাম বললেন তার মাঝে আমাদের এলাকা পড়ে না।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি যে সমস্ত এলাকার নাম বলেছি সেগুলিতে চাষ করা হয় পাতার জন্য। তাছাড়া প্রায় সারা দেশেই গ্রামগুলিতে এমনিতেই এক সময় প্রচুর ছিলো বুনো ফল গাছ হিসেবে। আপনার এলাকাতেও নিশ্চই ছিলো।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি এই ফল কখনো খায়নি। জংলি ফল এটা?
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কিছু এলাকায় চাষ করা হয় পাতার জন্য।
তাছাড়া সারা দেশেই পাওয়া যেতো এক সময় প্রচুর, বুনোই বলা চলে। কারণ যত্ন করে কেউ লাগাতো না।
তবে বর্তমানে শহরের ছাদ বাগাসে এর অবস্থান।
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: রাজশাহী হর্টিকালচার সেন্টারে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন তুতফল দেখেছি এবং চেখে দেখেছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: টেস্ট কেমন লেগেছিলো?
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পাকা তুত ফল বিশেষ করে কালো / নীল রঙের যেটি সেটি দেখতে দারুন। খাওয়া হয়নি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নীল রং এর তো নেই!!!
সুযোগ হলে খেয়ে দেখবেন, খারাপ লাগবে না। তবে কালোটা খেতে হবে, অন্যগুলি টক লাগবে।
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪১
ওমেরা বলেছেন: আমি বাংলাদেশে এই ফলটা দেখিনি এখানে এসে দেখেছি খেয়েছি ও অনেক । আমাদের এখানে এটার নাম Björnbär ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দেশের বাহিরে এর অন্তত ২-৩ টি প্রজাতি পাওয়া যায়, সেগুলি ফলের জন্যই চাষ হয়।
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২৩
হাসান রাজু বলেছেন: ছেলেবেলায় খেয়েছিলাম। অনেকদিন পরে সুনামগঞ্জ জাদুকাঠা নদীর পারে এক মাজারের পাশে গাছ থেকে আধা পাকা (টক) তুত ফল খেয়েছি। সালটা ২০০৬ হতে পারে। তারপর থেকে মনে মনে খুঁজেছি এই গাছ। ২০১৫ সালের দিকে এটা আবার পেলাম এক বন্ধুর ছাদ বাগানে। সে বলল ডাল কেটে পুতে দিলেই হয়। এখন আমার বাসার চারিপাশে অন্তত ৫/৬ টা গাছ। পাকা কালো তুত ফলের স্বাদ আর ফ্লেভার অতুলনীয়।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ডাল পুতলেই হয়। একটু ভিজা মাটি হলেতো কথাই নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আজকাল কিন্তু খুব জনপ্রিয় এই Mulberry অনলাইনে সবাই দেখি এই গাছ কিনে। আমার ভালোই লাগে। তবে এইর ই নাম যে তুতফল তা জানতাম না। আমার রংপুরের জীবনে আমি অনেক অনেক সুন্দর রাস্তা দেখছি তুত গাছের। তখন ফোলের সিজন ছিল না।
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ছাদ বাগানিদের জন্য এটি একটি চমৎকার গাছ। অল্প যত্নেই প্রচুর ফল আসে। তবে সমস্যা হচ্ছে, এই ফল আবার পাখিদের খুপ পছন্দ। পাখিরা খবর পেলে সাবার করে দেয়।
১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মেলবেরি আর তুঁতে গাছ একই- এই বিষয়টা তো একেবারে অকল্পনীয়!!!!!!
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি যতদূর জানি তুঁত ফলকেই মেলবেরি বলে।
১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান, তুত ফলের ছবি দেখে বৈচি ফল তথা রাজলক্ষ্মী - শ্রীকান্ত তথা বইচি ফলের মালা যা শ্রীকান্তের গলায় দিয়ে রাজলক্ষ্মী বলেছে আজ থেকে তুমি আমার বর আর শ্রীকান্ত মনের আনন্দে বইচি ফল খাওয়া শুরু করল মালা ছিড়ে ছিড়ে( শরত চন্দ্রের রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত) উপন্যাস দ্রস্টব্য।৷ তেমনি আমারও মন চাচ্ছে খেয়ে ফেলতে তবে আমি আসলেই জানিনা বইচি ফলের মত তুত ফল খাওয়া যায় কিনা?
১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তুঁত ফল যে খাওয়া যায় তার গেরান্টি আমি দিচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২২
কুশন বলেছেন: এই ফল আমি চিনি না।
আমাদের অঞ্চলে এই ফল কখনও দেখি নি।