নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাকে – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

বইয়ের নাম : তোমাকে
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : অক্টোবর ১৯৯৪
প্রকাশক : অনন্যা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪ টি



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :
নীলু বিলু জমজ বোন। তারা দেখতে প্রায় একই রকম, সামান্য যা পার্থক্য আছে সেটা সকলে ধরতে পারে না। ওরা যত বড় হচ্ছে ততো চেহারার মিল বাড়ছে। ওদের চেয়ে ৫ বছরের ছোট হচ্ছে সেতারা। নীলু বিলুর বাবার একটা প্রেস আছে। প্রেসের ম্যানেজার প্রনববাবু খুবই মিশুক ও গুণি মানুষ। সবাই তাকে পছন্দ করতো। শুধু নীলু তাকে অপছন্দ করতো। নীলুর কথা মাঝে মাঝে ফলে যায়। যেমন নীলু স্বপ্ন দেখলো সেতারা খাট থেকে পরে পা ভেঙ্গেছে, এরপরেই সেতারা সিড়ি থেকে পরে পা ভাঙ্গে।

নীলুদের বয়স যখন ১২ বছর তখন ওদের মা ওদের ছেড়ে প্রনববাবুর সাথে চলে যান। ওরা সকলে চেষ্টা করে মাকে ভুলে যেতে। ওদের বাবা ধীরে ধীরে একটা একটা করে ওদের মার চিহ্ন সরিয়ে ফেলে। ওদের তিন জনের জন্য গানের টিচার রেখে দেয়। প্রথম সকলেই গানশিখা শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত শুধু সেতারা গান শিখা চালিয়ে যায়।

নীলুদের বাড়ির পরিবেশ ধীরে ধীরে পালটে যেতে থাকে। বাবা অনেক রাত করে ফিরতে শুরু করেন। নীলু পড়া লেখায় খারাপ করতে শুরু করে, বাবা আবার বিয়ে করার কথা ভাবছেন, নীলু আলাদা ঘরনিয়ে চলে যায়, নীলুর সাথে সেতারাও সেখানে থাকে। নীলুর সাথে বিলুর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে নীলু বাইরের লোকদের সাথে খুব মিশতে শুরু করে। রকিব নামের এক ইউনিভাসিটির টিচারের সাথে নীলুর খুব ভাব হয়। বিলু লক্ষ্য করে সবাই তাকে কোন কারণ ছাড়াই অপছন্দ করছে। সেতারা ঢাকায় গিয়ে গান গেয়ে দুটি স্বর্ণ পদক পায়। নীলু আজে বাজে ছেলেতের সাথেও মিশতে শুরু করে।

নীলুর বাবা ইদানিং প্রায় দিনই মদ খেয়ে মাতাল হয় অনেক রাতে বাড়ি ফিরেন। প্রেসটা বেচে দিচ্ছেন। এরমধ্যে তাকে বিয়ের জন্য বললে তিনি সাফ মানা করে দেন। কিছুদিন পরে তিনি ঠিক করেন সবাইকে নিয়ে পাহাড়ে বেরাতে যাবেন। দিন তারিখ সব ঠিক হলো, টিকেট কাটা হলো, ডাকবাংলো বুকিং হলো, কিন্তু যাবার আগের দিন অনেক রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ী ফিরলেন না। রাতে মদ খেয়ে ঝামেলা করার কারণে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পরদিন দুপুরের পরে ফিরলেন জামিন নিয়ে। এই ঘটনার পরে তিন বোন তাঁদের বাবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। বাবার সাথে তৈরি হয় আরো দূরত্ব।

নীলুর বড় মামা চিঠি লিখে জানায় যে তাদের মা এখন তার বাড়িতেই আছেন। প্রণববাবুর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তাদের একটি ছেলে হয়েছে, নাম কাজল।

রকিব ভাইয়ের সা্থে কয়েকবারই বিলুর দেখা হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই তিনি তাকে নীলু মনে করে কথা বলেছেন। নীলুর জন্য তাঁর আলাদা একটা আকর্ষণ আছে বুঝা যায়। এরমধ্যে তিনি আবার ঢাকায় ফিরে গেছেন। এসএসসি পরীক্ষা সামনে এসে গেছে। নীলু হঠাৎ করে খুব পড়া শুরু করলো। পরীক্ষা শেষে দেখা গেলো নীলু সেকেন্ড ডিভিশনে পাশ করেছে আর বিলু স্টেন্ড করেছে। পত্রিকায় তাঁর ছবি ছাপা হয়। রকিব ভাই অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লেখে। বিলু তখন বুঝতে পারে নীলু আসলে রকিবকে খুব ভালোবাসে।

বিলু চলে যায় ঢাকায় কলেজে, নীলু ভর্তী হয় গ্রামেই। রকিবের সাথে চিঠিতে যোগাযোগ হতে থাকে নীলুর, তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হয়। সেতারার গানের নাম ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। কিন্তু ওদের বাবা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বোনদের মধ্যে যে দূরুত্ব ছিলো সত্যিকারের দূরে যাবার পরে তারা আবার কাছাকাছি হয়ে যায় চিঠির মাধ্যমে।

বাবার অসুস্থতা অনেক বেড়ে গেলে নীলু সংসারের হাল ধরে। বিলু ছুটি নিয়ে আসে বাবাকে দেখতে। বিকেলে তিন বোন নদীর পারে বেরিয়ে বাসায় ফিরে দেখে তাদের মা বসে আছেন। কিন্তু এই মা যেনো অনেক দূরের মানুষ। রাতে ওদের বাবা মারা যান।

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৫

নাহল তরকারি বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ এর উপন্যাস বলে কথা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের লেখায় একটি আলাদা আকর্ষণ থাকে।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: বইটা পড়েছি। "গতানুগতিক হুমায়ুন আহমেদ"!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১১

কামাল১৮ বলেছেন: পড়লাম এবং ভালো লাগলো।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ে মন্তব্যে ভালো লাগে জানানোর জন্য।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি মৌলিক প্লট দেখছি না।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই প্লটটি কোন কাহিনী থেকে চুরি করা?

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: বহু বছর আগে বইটি পড়েছি। আপনার রিভিউ পড়েও কিছুই মনে করতে পারলাম না। যদি গত দশ বছরে অন্তত একবার এই বইটি পড়তাম। তাহলে মনে থাকতো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিও বেশ ভালো ভাবেই ভুলে যাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.