নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : তারা তিন জন
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০০৬
প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭২ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
মানুষের বসবাস অনুপযোগী অন্ধকার একটি গ্রহ। যে গ্রহের বাসিন্দা শুধুমাত্র ৩ টি কিম্ভূতকিমাকার প্রাণী অয়ু, নীম আর লী। তাদের ১১ টি করে পা আর ৩৬ টি করে চোখ। ওদের তিন জনের মিলিতো শক্তি অতুলনিও। সবকিছুই ওরা কন্ট্রল করতে পারে।
একদিন একটি মহাকাশযানে করে মানুষ আসে সেই গ্রহে। মহাকাশযানের প্রধান কম্পিউটার সিডিসি জানায় গ্রহে কোন প্রাণী বা উদ্ভিত বা জল নেই, তবে কিছু রেডিয়েন আছে। একটি স্কাউট শিপে করে জনি কুলম্যান ও একটি রোবট গ্রহটিতে নামে। গ্রহটিতে জনি নামার আগেই তাঁর সাথে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে যোগাযোগ করে অয়ু। ওরা তিনজন জনিদের সাথে নভোযানে আসে।
এরপর জীববিজ্ঞানী জন ফেডার গ্রহটিতে গিয়ে বুঝতে পারেন সেখানে নিওলিথী সভ্যতা ছিল। ওদের তৈরি ৬টি প্রকান্ড সুর সৃষ্টিকারী ঘর এখানে আছে। এর আগেও মানুষ ১২টির মত নিওলিথী সভ্যতার দেখা পেয়েছিলো। সেই গ্রহগুলিও প্রাণ ধারনের অনুপযোগী হওয়া স্বত্তেও তাদের দুটিতে বিচিত্র অতিবুদ্ধিমান কয়েকটি প্রাণীর দেখা মিলে ছিল। যে দুটি অভিযানে সেই প্রাণীদের নভোযানে তোলা হয়েছিল সেই দুটি অভিযানই ধ্বংস হয়ে যায়।
নভোযানের ক্যাপ্টেন কিম দুয়েন বুঝতে পারেন তিনি এই তিনটি প্রাণীর জন্য বিপদে পরতে পারেন, যদিও এখন পর্যন্ত প্রাণীগুলি কোন বিপদের কারণ ঘটায়নি। তবে সেগুলিকে কোন ভাবেই আটকে রাখা যাচ্ছে না। এমনকি তিনি এটমিক ব্লাস্টার দিয়েও সেগুলিকে মারতে পারেন নি। দেখা গেছে প্রাণীগুলি খুবই অল্প সময়ের জন্য সমস্ত ইলেট্রিক সিগনালের কন্ট্রল নিয়ে নিতে পারে।
এই প্রাণীগুলি আসলে অতিবুদ্ধিমান প্রাণী। তারা শুধু জ্ঞন অর্জন করতে চায়, কারো কোন ক্ষতি করতে চায় না। তাঁরা বুঝতে পারে মানুষরা তাদের ভয় পাচ্ছে। তাই তাঁরা মানুষদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের মনোভাব জানায়। কিন্তু ক্যাপ্টেন কিছুতেই এই অসাধারন বুদ্ধিমান প্রাণীগুলিকে তার শিপে রাখকে চান না। একটা সময় তিনি বুঝতে পারেন প্রাণী তিনটিকে আলাদা রাখলে ওদের ক্ষমতা অনেক কমে যায়। এবার তিনি প্রাণী তিনটিকে আলাদা আলাদা ভাবে লেজার রশ্মির অতি উত্তাপে হত্যা করেন।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: স্যারজী একে ফ্যান্টাসী বলে নাকি?
আমি জানতাম একে সাইন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলে।
সাইন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী আমার কাছে সর্বদাই প্রিয় বিষয় পড়ার জন্য। আপনার কাছে বাঁচ্চাদের রূপকথা।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: বইটা আমি দুইবার পড়েছি। কিন্তু কিচ্ছু বুঝি নাই। কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ে পরিস্কার বুঝতে পেরেছি। কিন্তু ''শূন্য'' 'ওমেগা পয়েন্ট'' ''নি'' ''অনন্ত নক্ষত্র বীথি'' ইত্যাদি বই গুলো বুঝতে বেগ পেতে হয় নই।
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমার বুঝতে তেমন সমস্যা হয়নি। যদিও বইটির কাহিনী একটু ছাড়া ছাড়া মনে হয়েছিলো আমার কাছে।
নি তো সহজ জিনিস।
শূন্যটা অন্যরকম।
ওমেগা পয়েন্টের বিষয়টা বেশ জটিল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনি ফ্যান্টাসীও লিখেছেন?
পড়ে আপনার কি রকম লাগলো, বাচ্চাদের জন্য?