নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : জয়জয়ন্তী
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪
প্রকাশক : মাওলা ব্রাদার্স
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০২ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
রাত্রির বিয়ে হয় মামুনের সাথে। মামুন ভিষন ধনী, ব্যবসা করে, দিনে দিনে আরো ধনী হচ্ছে। নানান কাজে তাকে বার বার বিদেশে যেতে হয়। সাথে থাকে তার সয়স্কা কদাকার টাইপিস্ট মহিলা। টাইপিস্ট মহিলাকে নিয়ে রাত্রি মামুনের সাথে কথা বলতেই মামুন স্বীকার করে তাদের অবৈধ সম্পর্কের কথা। মামুনের সহজ যুক্তি দেহের প্রয়োজন মিটানোর জন্যই তাকে সাথে করে টাইপিস্টকে নিতে হয়। মামুন রাত্রিকে বলে সে এভাবেই চলবে, রাত্রির পছন্দ না হলে রাত্রি চলে যেতে পারে।
রাত্রি তার বাচ্চা ছেলেকে সাথে নিতে পারে না। ছেলেকে বাবার কাছে রেখেই রাত্রি চলে আসে নিজের বাবার বাড়িতে। বাবার বাড়িতে আছে বাবা আর রাত্রির এক বছরের ছোট ভাই বাবলু। তাদের মা মারা গেছে অনেক আগে। বাসার ঘরের পাশেই মায়ের কবর। বাবা রিটায়ার্ড করেছেন, বাড়িতেই থাকেন সবসময়। বাবলু তিন বার আই.এ. ফেল করে এখন আড্ডাবাজি করে বেড়ায়। বাবলু সহজ সরল বোকা টাইপের ভালো মানুষ। বদ বন্ধুদের পাল্লায় পরে কিছুটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বাবলুদের বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকেন নাজমুল ভাই আর তার স্ত্রী পান্না ভাবী। তাদের বিয়ের পরপরই পান্নার জরায়ুর টিউমারের কারণে গর্ভধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। পান্না তাই ধীরে ধীরে মানসিক রোগী হয়ে যায়। সে নামুলকে সন্দেহ করতে থাকে। সে ভাবে তার স্বামী বাসার কাজের মেয়ে রানীর সাথে দৈহিক সম্পর্কে রাখে। একসময় রানীর প্রেগনেন্সি টেস্টও করায়। একেক সময় পান্না মনে করে নাজমুলের জন্যই রাত্রি তার সংসার ছেড়ে চলে এসেছে।
বাবলুর এলোমেলো স্বভাব ঠিক করার জন্য রাত্রিরা ঠিক করে বাবলুর বিয়ে দিবে। এদিকে বাবলুর মাথায় চেপেছে ততাদের বিশাল জায়গায় বড় একটা বাড়ী বানাবে। পাড়ার সদ্য পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আলাপ করে বাবলু। ইঞ্জিনিয়ার নিজের প্রথম কাজ বলে বাবলুর কাছে কোন টাকা নিবে না আবার ব্যাংক লোনেরও ব্যবস্থা করে দেয়ে। অন্যদিকে পান্না ভাবী বাবলুর জন্য বীনু নামের একটি মেয়েকে পছন্দ করে দেয়। বীনুকে দেখে রাত্রির খুব পছন্দ হয়, তার বাবাও পছন্দ করে। বীনু খুবই দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। তাঁরা সাত বোন, বীনুই সবার বড়। বাবলুর সাথে বীনুর বিয়ের আগেই রাত্রিদের বাড়িতে বীনু যখন আসে তখন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে তার পরিচয় হয়।
বাড়ির ডিজাইন যখন তৈরি হয় তখন বাবলুর বাবার চোখের ছানি অপারেশন হয়। কিন্তু অপারেশন শেষে তিনি চোখে আর কিছুই দেখতে পান না। বাবলু ঠিক করে সে পুরনো বাড়ি ভাংবে না, কারণ তার বাবা পুরনো বাড়ির সব চেনে। নতুন বাড়ি হলে তিনি কিছুই চিনতে পারবেন না।
অন্যদিকে তখন ইঞ্জিনিয়ার চলে যাবে কানাডা। সে তার বাবা মাকে পাঠায় বীনুদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে। বীনুর বাবা মা রাজি হয়ে যায়। তখন বীনু দৌড়ে আসে রাত্রির কাছে। সে কি করবে এখন? কাকে বিয়ে করবে? ঠিক তখনই রাত্রি খবর পায় তার ছোট্ট ছেলেটির হার্টের অসুখ। খুবই সিরিয়াস অবস্থা, হাসপাতালে আছে। রাত্রি বাবলুকে নিয়ে ছুটে যায় হাসপাতালে।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই প্রথম মন্তব্যের জন্য।
এখন আমি পড়ি সব পিডিএফ বই। অনেক বছর আগে সিম্ফনির ৮ ইঞ্চি ট্যাব যেদিন বের হয় ঠিক তার এক সপ্তাহর মধ্যেই সেটা দিয়ে শুরু হয় পিডিওফ পড়া। বছরের পর বছর সেটি চলেছে। কিছুদিন আগে সেটি নষ্ট হলে এখন কিনেছি এ্যামাজনের একটি বুক রিডার।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
আজব লিংকন বলেছেন: দেয়ালের সারসংক্ষেপ লিখেছেন?
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সম্ভবতো লিখেছি, পুরনো ট্যাবে রয়ে গেছে হয়তো।
বইটি এতোটাই সংক্ষেপ করে ফেলেছে যে পড়ে তৃপ্তি পাইনি।
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো কথা, "দেয়াল"এর সারসংক্ষেপটা একটু বিস্তারিত করে দেয়া যাবে?
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: না এখন দেয়া যাবে না, সময় লাগবে।
ঐ বইটা নিজেই সারসংক্ষেপ।
খুব দ্রুত শেষ করা হয়ে তাড়াহুড়া করে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: বইটা বহু বছর আগে পড়েছিলাম। কাহিনী পুরো ভুলে গিয়েছি। আপনার রিভিউ পড়ে কিছুটা মনে পড়েছে। বই টা আবার পড়তে হবে। কিন্তু সংগ্রহে নেই।