নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : জলপদ্ম
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : নভেম্বর ১৯৯২
প্রকাশক : সময় প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০১ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
ইলা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। দেখতে রূপসী বলে বিয়ে হয়েছে মোটামুটি ভালো একটি ছেলের সাথে। ছেলেটির নাম জামান। জামান খুবই কৃপন প্রকৃতির লোক। টাকা-পয়সা খরচ করে না বলে বেশ কিছু টাকা তার জমা আছে বুঝাযায়। টাকা পয়সা বা অন্য কোন ব্যাপারেই সে তার স্ত্রীর সাথে আলাপ করে না। চমৎকার একটা ফ্লাট ভাড়া করে থাকে তাঁরা।
ইলার বড় ভাই বাবু। বাবু তার বন্ধ নাসিমকে সাথে নিয়ে ছোট্ট একটা সাপলাইয়ের ব্যবসা করে কোন রকমে সংসার চালায়। কলেজ পড়ুয়া ছোট বোন রুবা আর মাকে নিয়ে ছোট সংসার চালাতেই তার কষ্ট হয়। বাবুদের বাড়িতে নাসিমের অবাদ যাতায়াত, কিন্তু বাবুর মা নাসিমকে ঠিক পছন্দ করেন না। এদিকে বাবু, ইলা আর তার ছোট বোন নাসিমকে খুবই পছন্দ করে। ইলার বিয়ের আগে ইলা নাসিমকে ভালোবেসে ফেলে। ইলার মা যখন ইলার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা শুরু করেন তখন ইলা এক রাতে তার মাকে বলে সে নাসিমকে বিয়ে করতে চায়।
ইলার মা নাসিমকে ডেকে বলে নাসিম যেন ইলাকে বুঝিয়ে বলে যে নাসিম ইলাকে ছোট বোনের মত দেখে। ইলার ভালোবাসার কথা না জেনেই নাসিম ইলাকে তার মার শেখানো বুলি শুনিয়ে দেয়। কিছু দিন পরেই ইলার বিয়ে হয়ে যায় জামানের সাথে।
এদিকে রগচটা কৃপন জামানের সাথে সময় কাটতে থাকে ইলার। যে বাড়িতে জামান ভাড়া থাকে তার পাশের বাড়ীতে একদিন ডাকাতি হয়। কিন্তু ইলা জানে ডাকাতি হয়নি। কারণ সে দেখেছে তিনটি ছেলে সেই বাড়িতে খালি হাতে ডুকেছে আর খালি হাতেই বেড়িছে। তিনটি ছেলের একজন ইলাদের বাড়ীওয়ালার ছেলে। সব দেখলেও ইলা কাউকে কিছু বলতে পারে না ভয়ে।
এরমধ্যে জামান একদিন ভুলে তার মানিব্যাগ ফেলে যায় বাড়ীতে। ইলা দেখে সেখানে আনেক টাকা, প্রায় ৫০ হাজারের উপরে। ইলা সেই টাকা জামানকে ফেরত না দিয়ে নিজে লুকিয়ে রেখে আস্তে আস্তে খরচ করতে থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্তু জামান তা বুঝে ফেলে।
বাবু আর নাসিমের একটা অফিসের সাথে চুক্তি হয়। বড়লটে তারা মাল সাপলাই দেয়। কিন্তু বিল আদায় করতে পারে না। যিনি বিল আটকেছেন তার মেয়ের বাড়ীতে ৫০ হাজার টাকার উপহার পাঠালেই বিল পাওয়া যাবে। নাসিম মেয়ের বাসায় গিয়ে তার বাবার এই কান্ডের কথা বুঝিয়ে বলে। মেয়ে নাসিমকে কথা দেয় সে তার বাবাকে বলে তাদের বিল ছাড়িয়ে দিবে। কিন্তু কিছুদিন পরে বিল না পাওয়াতে নাসিম আবার মেয়ের বাড়ীতে যায়। তার আগেই মেয়ে তার বাবার সাথে আলাপ করেছে। বাবা বুঝিয়েছে তিনি অনেক কষ্টে নাসিমদের কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। নাসিমরা বিলে গরমিল করেছে, খারাপ মাল দিয়েছে। উনি কোন ঘুস চাননি।
কিছুদিন পরে নাসিম আবার মেয়ের বাড়িতে গেলে এবার মেয়ে নাসিমকে দেখে রেগে যায়। মেয়ের শ্বশুরও তার সাথে যোগ দেয়। উপায় না দেখে নাসিম তাদের ভয় দেখায়। বলে তার সাথে দলবল আছে বাইরে দাঁড়ান। দুই দিনের মধ্যে বিলের টাকা পরিশোধ না করলে খারাপ হবে। এরপর নাসিম সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। অফিসে যেতেই পুলিস নাসিমকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেদম পিটনি দেয়।
নাসিমের কথা শুনে ইলা টাকাগুলি তার পরিচিত একজনের কাছে দিয়ে নাসিমকে ছুটানোর ব্যবস্থা করতে বলে। ইলা নাসিমকে দেখতে থানায় যায়। সেখানে গিয়েই সে নাসিমকে জানায় যে ইলা তিন মাসের অন্তঃসত্তা। নাসিমের সাথে দেখা করে বাসায় ফিরে ইলা জামানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। জামন জেনে গেছে তার ৫০ হাজার টাকা ইলার কাছে, কিন্তু জামান জানে না ইলা অন্তঃসত্তা। ইলা বিছনায় নীল চাদর বিছিয়ে লাল শাড়ী পরে জলপদ্ম সেজে বসে আছে জামানের জন্য।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
০৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের লেখার নিজস্ব একটা ধরন আছে সহজ-সরল এবং হাস্যরসাত্মক এগুলি তার লেখা পন্দ হওয়ার কারণ।
চাঁদগাজী বলেছেন: উনি ব্লগে থাকলে কি আমার উপর রেগে যেতেন?
শুনতে যদিও খারাপ শোনাবে, আপনার মতো মানুষকে উনার গোনায় ধরার কোনো কারণ নেই।
যদিও আমার ধারনা আপনার সমস্ত কথা উনি মাথা পেতে মেনে নিতেন।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৩২
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অসাধারন একজন লেখক উনি।
বিনম্র শ্রদ্ধা হুমায়ূন আহমেদের জন্য।
০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তার লেখায় জাদু ছিলো।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১৯
রোবোট বলেছেন: ইলার স্বামীর নাম জামান, না জহির? শুরুতে জহির বলা আছে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সরি, ইলার স্বামীর নাম জামান হবে।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: জলপদ্ম ভালো বই। বইটা যতবার পড়ি। ততবার বুকের মধ্যে হাহাকার করে উঠে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মনে হয় ঘটনাগুলি নিজের আশপাশেই ঘটছে!!
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ পাঠকদের যাদু করে ধরে রাখতে পারতেন।
বই পড়া শুরু করলে ছাড়া যেতোনা
০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এটা খুবই বড় একটা গুণ। উপাঠক শুধু ধরে রাখেন নাই, বরং পাঠক তৈরিও করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
কি কি কারণে আপনার কাছে হুমায়ুন আহমেদ্বের লেখা ভালো লাগে? উনি ব্লগে থাকলে কি আমার উপর রেগে যেতেন?