নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : ছায়াবীথি
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪
প্রকাশক : পার্ল পাবলিকেশন্স
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১২৮ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
জামান আর নায়লার দুবছরের ছেলে বাবুকে নিয়ে ছোট্ট সংসার। জামান একটা কোম্পানিতে ছোট্ট একটি চাকরি করে। সামান্য বেতনে কষ্টে কোন রকমে সংসার চলে যায়। সব মিলিয়ে খুব ভালো না থাকলেও সুখী সংসার বলা চলে। জামান খুবই নিরিহটাইপ ভালো মানুষ, নায়লা তাকে খুবই ভালোবাসে।
জানানের স্কুলজীবনের বন্ধু আলম অনেক দিন পরে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে জামানকে খুঁজে বের করে। সে দেশে এসেছে বিয়ে করতে। বিদেশে থেকে সে অনেক টাকা কামিয়েছে, এবার বিয়ে করে বৌ নিয়ে আবার বিদেশে চলে যাবে। জামানের সাথে আলম বেড়াতে আসে নায়লার সংসারে। আলম তার চমৎকার সহজ ও আন্তরিক ব্যবহারে মুগ্ধ করে নায়লাকে। নায়লাকে বলে সে যেন আলমের জন্য একটা বিয়ের কনে খুঁজে দেয়। ধীরে ধীরে নায়লা আর আলমের মাঝে চমৎকা একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন আলম নায়লাকে জানায় স্কুলে পড়ার সময় সে একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে। প্রচন্ড ভালোবাসতো সেই মেয়েকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই মেয়েকে আলম পায়নি। নায়লা দেখতে অনেকটা সেই মেয়েটির মত।
নায়লা তার স্কুলজীবনের বান্ধুবী অরুনার সাথে আলমের বিয়ের একটা চেষ্টা চালায়া। দুজনকে তার বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়। যদিও নায়লাই অরুণাকে আলমের সাথে মেশার সুযোগ করে দেয়, কিন্তু আলম যখন অরুণার সাথে ঘনিষ্ট হতে থাকে তখন নায়লা কেমন অস্থির বোধ করতে থাকে। নায়লা বুঝতে পারে সে আলমের প্রতি দূর্বল হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ করেই জামানের চাকরি চলে যায়, কিন্তু জামান নায়লাকে কিছু জানায় না। অন্যদিকে নায়লার পরিবর্তনটাও জামানের চোখে পরে। তবুও জামান কিছুই বলে না। নায়লা আর ছেলেকে নায়লার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে জামান চলে যায় গ্রামে। সেখানে সে চাকরি পায় স্কুলে শিক্ষকতার। জামান নায়লাকে চিঠিতে লিখে জানায় পুরনো চাকরি চলে যাওয়া ও নতুন চাকরি পাওয়ার কথা। জামান নায়লাকে জানায় - নায়লা চাইলে জামানের কাছে আসতে পারে। আর আসতে না চাইলে জামান কিছু মনে করবে না। নায়লা চাইলে আলমের সাথে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারে।
এবার নায়লা কি করবে?
ফিরে যাবে সেই গ্রামে তার ভালোবাসার স্বামীর কাছে?
নাকি চলে যাবে নতুন এক স্বচ্ছল জীবনের ডাকে আলমের কাছে?
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: বেচারা জামান। তবে ভালোবাসা না থাকলে যেমন সম্পর্ক টেনে নেওয়া ঠিক না তেমনই সম্পর্কের জোরে ভালোবাসাকেও টেনে নেওয়া কঠিন।
১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো বলেছেন, খুবই ভালো বলেছেন।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জামান চরিত্রে মহানুভবতা আছে। ছায়াবীথির কাহিনি সংক্ষেপ অত্যন্ত প্রঞ্জল ভাষায় তুলে এনেছেন । ভালবাসার টানপোড়ন নিয়ে চমৎকার ক্লাইমেক্স ছায়াবীথি । হুমায়ুন স্যার বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী কথা শিল্পী । স্যারের বই মানে এক বসায় পড়ে শেষ করা। নো খাওয়া দাওয়া টয়লেট বিরতি। স্যারের শক্তিশালী কলম এভাবে ই পাঠকে মনোযোগ আকর্ষণ করত ।
সুন্দর।+
১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:০০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অনেকেই আপনার এই কথা গুলি মানতে চান না। বিশেষ করে অন্য লেখকেরা। তবে আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
উনি পাঠক তৈরি করেছে, যেটা একজন লেখকের সবচেয়ে বড় অর্জন।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য।
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৫
কুশন বলেছেন: রিভিউ পড়লাম। বইটা পড়া হয়নি।
১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সময় সুযোগ হলে পড়ে ফেলবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আগের গুলোর মতোই চমৎকার!!