নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি তোলার স্থান : গুলমার্গ, কাশ্মীর, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/০৫/২০১৫ইং
বছর পনের আগেও ঝর্ণা বললতেই দেশের মানুষ চিনতো মাধবকুণ্ড ঝর্ণা, হিমছড়ির ঝর্ণা, বান্দরবানের শৈলপ্রপাত এই হাতে গোনা কয়েকটিই। কিন্তু এখন জানা যায় আমাদের দেশে প্রচুর ঝর্ণা আছে। আমি নিজে অল্প কয়েকটি ঝর্ণা দেখার সুযোগ পেয়েছি। ব্যাকপেইন আর বিশাল ভূড়ি নিয়ে ২০১৬ সালে সাহস করে গিয়েছিলাম মিরসরাই ঝর্ণা অভিযানে। ২ দিনে গোটা আট-নয় টা ঝর্ণা দেখেছিলাম।
২০১৫ সালে কাশ্মীম ভ্রমণের সময় সেখানেও কয়েকটি ঝর্ণা বা বলা ভালো পাহাড়ি ছড়া দেখার সুযোগ হয়েছে। সেই সব ঝর্ণার ৫টি ছবি রইলো।
বান্দরবানের থানচির ডিম পাথর এলাকায় এই ছোট্ট ছড়াটি
ছবি তোলার স্থান : থানচি, বান্দরবান, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০২/২০২০ইং
পেহেলগামের ঝিলাম নদীতে একটি ঝর্ণা পাহাড় থেকে গড়িয়ে এসে মিলেছে এই রূপ নিয়ে
ছবি তোলার স্থান :পেহেলগাম, কাশ্মীর, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ২৬/০৫/২০১৫ইং
ঝর্ণা! ঝর্ণা! সুন্দরী ঝর্ণা!
তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন-বর্ণা!
অঞ্চল সিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণে,
গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে,
তনু ভরি' যৌবন, তাপসী অপর্ণা!
ঝর্ণা!
পাষাণের স্নেহধারা! তুষারের বিন্দু!
ডাকে তোরে চিত-লোল উতরোল সিন্ধু|
মেঘ হানে জুঁইফুলী বৃষ্টি ও-অঙ্গে,
চুমা-চুমকীর হারে চাঁদ ঘেরে রঙ্গে,
ধূলা-ভরা দ্যায় ধরা তোর লাগি ধর্ণা!
ঝর্ণা!
এস তৃষার দেশে এস কলহাস্যে -
গিরি-দরী-বিহীরিনী হরিনীর লাস্যে,
ধূসরের ঊষরের কর তুমি অন্ত,
শ্যামলিয়া ও পরশে কর গো শ্রীমন্ত;
ভরা ঘট এস নিয়ে ভরসায় ভর্ণা;
ঝর্ণা!
শৈলের পৈঠৈয় এস তনুগত্রী!
পাহাড়ে বুক-চেরা এস প্রেমদাত্রী!
পান্নার অঞ্জলি দিতে দিতে আয় গো,
হরিচরণ-চ্যুতা গঙ্গার প্রায় গো,
স্বর্গের সুধা আনো মর্ত্যে সুপর্ণা!
ঝর্ণা!
মঞ্জুল ও-হাসির বেলোয়ারি আওয়াজে
ওলো চঞ্চলা ! তোর পথ হল ছাওয়া যে!
মোতিয়া মোতির কুঁড়ি মূরছে ও-অলকে;
মেখলায়, মরি মরি, রামধনু ঝলকে
তুমি স্বপ্নের সখী বিদ্যুত্পর্ণা
ঝর্ণা!
----- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত -----
গুলমার্গের শৈলপ্রপাত
ছবি তোলার স্থান : গুলমার্গ, কাশ্মীর, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/০৫/২০১৫ইং
হাজাছড়া ঝর্ণা
হাজাছড়া ঝর্ণা রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক পাহাড়ি ঝর্ণা। এতো চমৎকার একটা ঝর্ণাতে যেতে তুলনামূলক পাহাড়ি পথে হাঁটার কষ্ট নাই বললেই চলে। মূল রাস্তা হতে ১৫ মিনিট ঝিরিপথ ধরে হেঁটেই পৌঁছানো যায় ঝর্ণার পাদদেশে।
হাজাছড়া নামক এলাকা হতে ঝর্ণার উৎপত্তি বিধায় এর নাম হাজাছড়া ঝর্ণা। এটি শুকনাছড়া ঝর্ণা বা দশ নাম্বার ঝর্ণা নামেও পরিচিত। ঝর্ণাটির স্থানীয় পাহাড়িদের দেয়া নাম হল চিত জুরানি থাংঝাং ঝর্ণা ; যার অর্থ মন প্রশান্তি ঝর্ণা।
বর্ষার সময় ঝর্ণার ঝিরিপথে পানি তুলনামূলক বেড়ে যায় এবং পথটি কর্দমাক্ত থাকে। শীতকালে এর পানির প্রবাহ কমে যায়।
ছবি তোলার স্থান : বাঘাইহাট, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°16'10.5"N 92°07'51.2"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৩/১০/২০১৬ইং
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
ঝর্ণাধারা - ০১
০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যে ভালো লাগার কথা জানানোর জন্য।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩০
জুন বলেছেন: ঝর্নার ফটুক দেখে মুগ্ধ হোলাম জলদস্যু। শোনেন আপনার বিশাল ভুড়িই কিন্ত ব্যাকপেনের প্রধান কারন
সুতরাং ওজন কমান
+
০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমার ব্যাকপেইনের প্রধান কারণ হচ্ছে দুইটা লাম্বার ডিস্কের ফাটল।
সেইসাথে ভুড়িটা বোঝার উপর বিশাল শাকের আটি হয়ে গেছে।
ওজন মোটামুটি ৬ কেজী কমিয়ে ছিলাম, আবার বেড়েছি, কমাতে হবে।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অপূর্ব !
০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০
কামাল১৮ বলেছেন: ঝর্ণা কবিতাটি ষাটের দশকের প্রথম দিকে পাঠ্য বইতে পড়ে ছিলাম এখনো প্রথম কয়েক লাইন মনে আছে।কবিতাটি মনে পড়াতে স্কুল জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো।
ঝর্না তেমন করে খুব একটা দেখা হয় নাই,একই ঝর্না নায়াগ্র পরিবারে সবাই মিলে গরমে মাঝে মাঝে সময় কাটাতে দেখতে যাই।
ঝর্নার ছবিগুলো সুন্দর বিশেষ করে ঝিলাম নদীতে গড়িয়ে পড়েছে যে ঝর্নাটি তার দৃশ্য অপুর্ব।সার্থক জন্ম তাহার যে দেখেছে এই মনোহর দৃশ্য বাস্তবে।রাঙ্গামাটির ঝর্ণাটিও সুন্দর।
০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি বেশ কিছু ঝর্ণার দেখা পেয়েছি, সাধ মেটেনি। আর কিছু আছে যেগুলিতে পৌছানোর সাধ্য আমার নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭
জটিল ভাই বলেছেন:
শেষের ছবি আর কবিতা ভাল্লাগচ্ছে.....