নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : গৌরীপুর জংশন
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ১৯৯০
প্রকাশক : কাকলী প্রকাশনী
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৬ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
জয়নাল এখন রাতে স্টেশনেই ঘুমায়। একসময় সে এই স্টিশনেই কুলি ছিল। তিন মনের একটা বস্তা তার পিঠে উপরে পরার পরে তার একটা পা শুকিয়ে গেছে। তাই এখন সে অচল হয়ে পরেছে। বজলু নামের ৮-৯ বছরের টোকাই ছেলেটা জয়নালের পিছনে ঘুর ঘুর করে। বজলুর চাচা তাকে এই স্টেশনে ফেলে রেখে গেছে।
স্টেশনের মালবাবুর মুখ খুব খারাপ, গালি না দিয়ে কথাই বলেন না। কিন্তু মনটা খুব ভালো। কোমরে চালের বস্তা পরে যখন জয়নাল বিছানায় তখন এই মালবাবুর ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ কিনে দিয়ে জয়নালকে বাঁচিয়েছেন।
ইয়াদ আলী ঠগবাজ লোক। ট্রেনে ট্রেনে বড় ধরনের ঠগবাজি করাই তার কাজ। একবার ট্রেনের বরযাত্রীদের সাথে থাকা অলংকার কৌশলে হাতিয়ে নেয় ইয়াদ আলীর দল। পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় সব কুলিদের। ধরা পরে কুলিদের সরদার মোবারক। তিন দিন পরে সবাই ছাড়া পায়, কিন্তু মোবারক ছাড়াপায় সাত দিন পরে। পুলিশ তাকে প্রচন্ড মার দেয়। পুলিশের সেই মার খেয়ে সে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। মোবারককে খুন করে স্টেশনর নতুন সরদার হয় মোবারকেরই সাগরেদ হাশেম।
লাইন-ম্যানে রমজান, লোকে তাকে ডাকে পাগলা রমজান বলে। কিছুটা উলটাপালটা চিন্তা করে, বিশিষ্ট উলটা চিন্তাবিদ। জয়নাল তাকে একটা চিন্তার কথা বলেছে - “সমস্ত প্রাণীর লেজ আছে, কিন্তু মানুষের লেজ নাই কেন?” এটা নিয়েই সে চিন্তা করতে থাকে।
অনুফা জয়নালের প্রাক্তন স্ত্রী। জয়নাল অসুস্থ হওয়ার পরে যখন তার সমস্ত ইনকাম বন্ধ হয়ে যায় তখন বাধ্য হয়েই অনুফা একজন রিক্সাওলাকে বিয়ে করে। তারপর সে আবার বিয়ে করে একজন কাঠমিস্ত্রিকে। কিন্তু সেখানেও সে থাকতে পারল না। সবশেষে এখন বাজারু হয়েছে। তবুও জয়নাল মাঝে মাঝে অনুফার সাথে দেখা করতে যায়। একবার গিয়ে দেখে অনুফা চলে গেছে ঢাকায়। অনুফার ঘরে ছোটফুলি নামের আরেকটি মেয়ে এসেছে।
জয়নালকে ট্রেনের একজন মহিলা পানি আনার জন্য দুটি সুন্দর ফ্লাক্স দেয়, জয়নাল সেগুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। জয়নাল সেগুলি বিক্রয় করে অনেকগুলি টাকা পায় হাতে। টাকা হাতে আসতেই জয়নাল নানান ভাবে সেই টাকা খরচ করতে শুরু করে। যতক্ষণ হাতে টাকা থাকতে ততক্ষণই সে রাজা, মনটা থাকে উদার।
হঠাৎ করেই ট্রেনের ওয়াগন থেকে কারা যেন ১০ বস্তা চিনি লুট করে নিয়ে গেছে। পুলিশ এসে মালবাবু সহ আরও ৫ জন কুলিকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ হাশেমকেও খুঁজছে। লাইন-ম্যান রমজানের ধারনা লুট করেছে হাশেম, লুটের সাথে সাথে আরেকটা খুনও করেছে।
এভাবেই সমস্ত গল্পটা আবর্তিত হয় একটি ট্রেন স্টেশানকে কেন্দ্র করে।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি অনেক বছর আগে পড়েছিলাম এটি। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পরে আবার পড়া হয়।
২| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার কাহিনী সংক্ষেপ পড়ে
দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই। প্রথম +
০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিও দুধের স্মৃতি মনে রাখার জন্য এই ঘোল তৈরি করে রেখছিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য ও + এর জন্য্
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুলেখক হুমায়ুন আহমেদ এর উপন্যাস গৌরীপুর জংশন এর
কাহিনী সংক্ষেপ সুন্দর করে তুলে ধরেছেন । বড় করে লেখা
সহজ , লেখার সার সংক্ষেপ তৈরী একটি কঠিন কাজ।
উপন্যাসটির 'গৌরীপুর জংসন নামকরনটি নাকি হুমায়ুন
আহমেদের এলাকাবাসী আরেক গুণী মানুষ কবি নির্মলেন্দু গুণের
দেয়া ,যদি আমার ভুল না হয়ে থাকে ।
হুমায়ুন আহমেদ মনে হয় ট্রেনে গৌরীপুর জংসন হয়েই
যেতেন তাঁর গ্রামের বাড়ীতে । ময়মনসিংহ হতে ছেড়ে
আসা ট্রেনের গতিপথ ছিল গৌরীপুর-নেত্রকোণা-মোহনগঞ্জ,
শ্যামগঞ্জ-জারিয়া ঝাঞ্চাইল। গৌরীপুর জংসন হতে আরেকটি
রেল লাইন ছিল গৌরীপুর-ভৈরববাজার বজার পর্যন্ত। ময়মনসিংহ
হতে ছেড়ে আসা ভেরবগামী ট্রেনটি গোরীপুর পৌঁছলে ইঞ্জিনের
মাথা পরিবর্তন করে পিছনে নিয়ে এসে ভৈরবের দিকে যেতো।
এতে বেশ লম্বা সময় লেগে যেতো। একারণে দীর্ঘ সময় ট্রেনটি
স্টেষনে অবস্থান করত । তাই স্টেশনটিও ছিল কর্ম চঞ্চল ।
নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ এলাকার হাউরের ধান এ্ই গৌরীপুর
জংসনের সেবা নিয়েই দেশের উত্তর, দক্ষীন, পুর্ব, পশ্চিম সবদিকে
যেতো। ময়মনসিংহের হাউর অঞ্চলে ধান হতো প্রচুর। হাউর জঙ্গল
মোশের সিং, এই তিনে ময়মনসিং এই অভিধার পিছনে গৌরীপুরের
অবদান কম নয় । তাই কর্মব্যস্ত এই জংসন স্টেষনটি কুলীদের
জন্য ছিল একটি কর্মব্যস্ত এলাকা। সেখানকার কুলী জবীনাচারের
চিত্র সুন্দরকরে ফুটিয়ে তুলেছেন আমাদের কৃতিমান সাহিত্যিক
হুমায়ুন আহমেদ । প্রয়াত এই গুণী লেখকের প্রতি রইল
শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
আপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা ।
০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই স্যার।
অনেক কিছু জানা হলো আপনার মন্তব্য থেকে।
গৌরিপুর আমি কখনো যা্ইনি। ইশ্বরগঞ্জ গিয়েছিলাম কয়েকবার। ইচ্ছে থাকলেও সময় আর সুযোগ হয়নি গৌরিপুর যাওয়ার। গৌরিপুরে যাবার ইচ্ছের জন্ম হয়েছে এই উপন্যাসের কল্যানেই।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: কাহিনী ভুলে গিয়েছিলাম । সংক্ষেপ পড়ে আবারও মনে পড়লো । তার লেখা সবই আমার পছন্দ ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ রাত ১:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিও মোটামুটি অনেকটাই ভুলে গিয়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার অনেক পছন্দের বইগুলোর একটা...