নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : কৃষ্ণপক্ষ
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : প্রেমের উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২
প্রকাশক : সুবর্ণ প্রকাশনা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮৪ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে অরু। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে, অরুরও বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আবরার নামের এক ডাক্তার ছেলের সাথে। আবরার খুবই ভালো ছেলে। সমস্যা হচ্ছে অরু মুহিব নামের একটি বেকার ছেলেকে ভালোবাসে। মুহিবের বাবা-মা নেই, থাকে বড় বোনের বাড়িতে। বড় বোন তাকে অসম্ভব ভালোবাসলেও মুহিবের দুলাভাই মুহিবকে দুই চোখে দেখতে পারে না।
অরু আর মুহিব কাউকে কিছু না জানিয়ে একদিন কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলে। তাদের বাসরের ব্যবস্থা হয় মুহিবের বন্ধুর বাড়িতে। বিয়ের দিনই মুহিবের দুলাভাই তাকে অফিসে দেখা করতে বলেন। বিয়ে করে নতুন বৌকে বন্ধুর বাড়িতে রেখে মুহিব চলে যায় দুলাভায়ের অফিসে। সারাদিন বসিয়ে রেখে দুলাভাই জানান মুহিবের জন্য চট্টগ্রামে একটি চাকরির ব্যবস্থা করেছেন, মুহিবকে আগামী কাল সকালেই অফিসের একটি গাড়িতে করে চট্টগ্রাম যেতে হবে।
অরুর কাছে ফিরে এসে মুহিব শুধু জানায় আগামী কালই তাকে চট্টগ্রাম যেতে হবে। আজ সারারাত তারা গল্প করে কাটিয়ে দিবে। কিন্তু বাস্তবে অরু বাসর ঘরে ঢুকে দেখে মুহিব নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে গেছে। অরু আর মুহিবকে জাগায় না ঘুম থেকে।
পরদিন সকালে মুহিব তাড়াহুড়া করে চলে যায় দুলাভায়ের অফিসের গাড়িতে করে চট্টগ্রামের পথে। পথে মুহিবের গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়। গাড়ির কোনো যাত্রীর তেমন কিছু হয়না, শুধু মুহিবের মাথার পিছন দিকে থেতলে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। অজ্ঞান মুহিবকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। ডাক্তার জানায় মুহিব কোমায় চলে গেছে, বাঁচার সম্ভাবনা কম।
মুহিবের অবস্থা যখন খুবই খারাপ হয়ে যায় তখন মুহিবের বোন অরুকে ফোনে বিষয়টি যানায়। অরু ছুটে যায় মুহিবের কাছে। কিন্তু অরু মৃত্যুর হাত থেকে মুহিবকে ফিরিয়ে আনতে পারে না।
২৫ বছর পরে অরু আর আবরারের বড় মেয়ের বিয়ের দিন বড়ের হলুদ পাঞ্জাবী পরে আসতে দেখে অরু অসুস্থ হয়ে পরে, কারণ মুহিতের সাথে বিয়ের দিন মুহিতও একটি হলুদ পাঞ্জাবী পরে এসেছিল।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ: আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এর একটা সিনেমা হয়েছিলো। নায়িকার অভিনয় একেবারেই যাচ্ছেতাই ছিলো।
২| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: মুহিব তার ভাগনীকে ডাকত সম্ভবত "প্রিয়দর্শীনি" বলে। বইটার শেষে এসে সেই বয়সে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: হুমায়ুন সাহিত্য যখন সবে পড়া শুরু করেছি সেই সময়ের শুরুতে এই কৃষ্ণপক্ষ বইটা পড়েছিলাম । বইটা পড়ে মনের ভেতরে যে কী এক তীব্র হাহাকার সৃষ্টি হয়েছিলো ! এই যে প্রিয় মানুষটাকে এতো কাছে পেয়েও পাওয়া হল না !