নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নজরুলের চন্দ্রপ্রীতি - ০৭

১৩ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৪



চাঁদের কতগুলি ডাকনাম আছে জানেন?

অম্ভোজ, অর্ণবোদ্ভব, ইন্দু, উড়ুপ, ঋক্ষেশ, এণকতিলক, ওষধিনাথ, ওষধিপতি, কলাধর, কলানাথ, কলানিধি, কলাভৃৎ, কান্তিভৃৎ, কুমুদনাথ, কুমুদপতু, কুমুদবান্ধব, কৌমুদীপতি, ক্ষীরাদ্ধিজ, ক্ষীরোদনন্দন, চন্দ্র, চন্দ্রক, চন্দ্রমা, চন্দ্রিমা, চাঁদ, ছায়াঙ্ক, তারাধিপ, তারাধিপতি, তারানাথ, তারাপতি, তারাপীড়, তুহিনাংশু, দ্বিজপতি, দ্বিজরাজ, দ্বিজেন্দ্র, নক্ষত্রপতি, নক্ষত্রাধিপতি, নক্ষত্রেশ, নিশাকর, নিশানাথ, নিশাপতি, নিশামণি, নিশারত্ন, নিশিকান্ত, নিশিনাথ, নিশিপতি, পক্ষচর, পক্ষজ, পক্ষধর, বিধু, মৃগাঙ্ক, যামিনীকান্ত, যামিনীনাথ, যামিনীপ্রকাশ, রজনীকর, রজনীকান্ত, রজনীপতি, রজনীরাজ, রজনীশ, রজনীসখা, রাকাপতি, রাকেশ, রাত্রিকর, রাত্রিমণি, রেবতীরমণ, শশধর, শশবিন্দু, শশভৃৎ, শশলক্ষণ, শশলাঞ্ছন, শশাঙ্ক, শশী, শিতরশ্মি, শীতকিরণ, শীতময়ূখ, শীতাংশু, শ্বেতধাম, সিতকর, সিতরশ্মি, সিতরুচি, সিতাংশু, সুধধার, সুধাংশু, সুধাকর, সুধাধামা, সুধানিধি, সুধাবর্ষী, সুধাময়, সোম, হরিণাঙ্ক, হিমকর, হিমকিরণ, হিমধামা, হিমাংশু ইত্যাদি।

চাঁদ নিয়ে ঘাটাঘাটি করার সময় হঠাৎ মাথায় এলো রবিবাবুর কোন কোন ছড়া-কবিতা-গানে চাঁদের উপস্থিতি আছে তা খুঁজে দেখি। প্রথম ৮টি পর্বে সেগুলি দেখিয়েছি। এরপর চাঁদের সমার্থক শব্দ চন্দ্র নিয়ে কবিতাংশ ৯ থেকে ১৫ তম পর্ব পর্যন্ত দিয়েছি। তারপর চাঁদের সমার্থক শব্দ শশীকে উপস্থাপন করেছি ১৬ ও ১৭তম পর্বে। ১৮তম পর্বে ছিলো ইন্দু নামের কবিতাংশ গুলি। আর সব শেষে ১৯ মত পর্বে ছিল চাঁদের আরেক নাম বিধু সংক্রান্ত কবিতাংশ। সব মিলিয়ে ১৯ পর্বে ১৮১টি চন্দ্র পংক্তি দিয়েছে।

এবার কাজী নজরুল ইসলাম তার কোন কোন ছড়া-কবিতা-গানে চাঁদেকে তুলে এনেছেন তার খোঁজ করলাম। এবার দেখুন কি কি পেলাম।



৬১।
গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে
তোমার বনে ফুল ফুটেছে যায় ক'য়ে তাই ডেকে।।
তোমার ভ্রমর দূতের কাছে
যে বারতা লুকিয়ে আছে —
দখিন হাওয়ায় তারি আভাস শুনি থেকে থেকে।।
দল মেলেছে তোমার মনের মুকুল এতদিনে —
সেই কথাটি পাখিরা গায় বিজন বিপিনে।
তোমার ঘাটের ঢেউগুলি হায়
আমার ঘাটে দোল দিয়ে যায় —
লতায় পাতায় জোছনা দিয়ে সেই কথা চাঁদ লেখে।।



৬২।
মাধবী চাঁদ ওঠে কৈলাস-চূড়ে,
খেলা ভুলিয়া যায়, অনিমেষ চোখে চায়
পাষাণ প্রতিমা প্রায় সেই সুদূরে।



৬৩।
নিত্য শুদ্ধ কল্যাণ রূপে আছ তুমি মোর সাথে।
সান্দ্র নিবিড় সন্ধ্যায় যেই পথ ভুলি’, ধর হাতে।।
প্রদোষে স্বরগ-পাশে
তোমার করুণা ভাসে,
স্নিগ্ধ শান্ত চাঁদ হ’য়ে, প্রভু, আঁধারে পথ দেখাতে।।


৬৪।
আজি ঘুম নহে, নিশি জাগরণ।
চাঁদেরে ঘিরি’ নাচে ধীরি ধীরি তারা অগণন।।
প্রখর-দাহন দিবস-আলো,
নলিনী-দলে ঘুম তখনি ভালো।
চাঁদ চন্দন চোখে বুলালো
খোলো গো নিঁদ-মহল-আবরণ।।



৬৫।
এলো এলো শবেরাত তোরা জ্বাল্ রে বাতি।
হোক রওশন মুসলিম-জাহানের অন্ধকার রাতি।।
আজ ফিরদৌসের হুর-পরীরা আলোতে রাঙে
চাঁদ সেতারার প্রদীপ ভাসায় আস্‌মানি গাঙে,
ফেরেশ্‌তা সব হয়েছে আজ মোদের সাথি।।



৬৬।
এসেছি তব দ্বারে ভক্তি-শূন্য প্রাণে।
করুণাময় প্রভু! কর হে পূর্ণ দানে।।
শক্‌তি বিহীন করে ধরেছি নিশান তব
বহিতে পারি যেন দিও সে-গৌরব,
দিবাকর কর সম ছড়ায়ে অভিনব
অস্তে যাই যেন জীবন-বিহানে।।
সাঁঝের আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ সম
রাঙায়ো আঁধার হৃদি-প্রেমের জোছনা বানে।।



৬৭।
এসো বসন্তের রাজা হে আমার
এসো এ যৌবন-বাসর-সভাতে।।
ফুলের দরবারে পাখির জলসাতে
বুকের অঞ্চল-সিংহাসনে মম
বসো আমার চাঁদ চাঁদনি রাতে।।


৬৮।
ওর বাঁকা ভঙ্গিমা দেখে
তৃতীয়ার চাঁদ ডেকে,
হতে চাহে ওর হাঁসুলি-হার।



৬৯।
লুকায়ে রাখিব ফণিনী যেমন মানিক লুকায়ে রাখে,
ঘিরিয়া থাকিব দামিনী যেমন শ্যাম মেঘ ঘিরে থাকে।
মেঘ হয়ে আমি হে চাঁদ তোমায়
আবরি’ রাখিব আঁখির পাতায়,
নিশীথে জাগিয়া কাঁদিব দু’জন প্রিয় হে, চির জনম।।

৭০।

বঁধু আমি ছিনু বুঝি বৃন্দাবনের রাধিকার আঁখি-জলে।
বাদল সাঁঝের যুঁই ফুল হয়ে আসিয়াছি ধরাতলে।।
তাই যেমনি মিলন সাধ ওঠে জেগে
তুমি লুকাও হে চাঁদ বিরহের মেঘে,
আমি পূবালী পবনে ঝরে যাই বনে দলগুলি যেই খোলে।।





আগামী পর্বে আরো ১০টি চন্দ্র পংক্তি থাকবে।


=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
নজরুলের চন্দ্রপ্রীতি - ০১, নজরুলের চন্দ্রপ্রীতি - ০২, নজরুলের চন্দ্রপ্রীতি - ০৩, নজরুলের চন্দ্রপ্রীতি - ০৪,
নজরুলের চন্দ্রপ্রীতি - ০৫ , নজরুলের চন্দ্রপ্রীতি – ০৬,


রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০১, রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০২, রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৩, রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৪, রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৫, রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৬, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ০৭, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ০৮, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ০৯, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১০, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১১, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১২, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৩, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৪, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৫, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৬, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৭, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৮, রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৯

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: চাঁদের প্রতি আমারো টান আছে, টান টা মনে হয় চাঁদের বেশি কারন প্রতি পূর্নিমায় অমাবস্যায় বাতের ব্যাথা টন টন করে।

১৩ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চাঁদের এই নানামুখী টান আমিও অনুভব করি স্যারজ্বী!!!

২| ১৩ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। এবং প্রিয়তে

১৩ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে প্রিয়ে নেয়ার জন্য।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:০৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেকগুলো নামের সাথে পরিচিত থাকলেও বেশীরভাগ নামই অজানা ছিলো। এখন জানা হলো। সময় নিয়ে লিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৩ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
প্রযুক্তি আমাদের অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছে। এখন আর সময় নিয়ে সব কিছু লিখতে হয় না। কেউনা কেউ আগেই তা লিখে রেখেছে নেট দুনিয়ায়। সেখান থেকে খুঁজে নিতে হয় শুধু।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

হাবিব বলেছেন: নতুন করে অনেক কিছু জানলাম

১৩ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৫| ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:২০

জটিল ভাই বলেছেন:
চাঁদেরে কে চায়? জোছনা সবাই চাহে...... :)

১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একবার শুনেছিলাম চাঁদে জমি বেয়চা-বিক্রি হচ্ছে। আমারও কেনার ইচ্ছা ছিলো। নাতী-নাতনীদের দেখাতাম ঐ.....দেখ... চাঁদে তোদের জন্য জমি কিনেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.