নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : কিছুক্ষণ
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০০৭
প্রকাশক : আফসার বাদ্রার্স
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮৮ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
মা বাবা হারা এতিম মেয়ে চিত্রা ঢাকায় পড়াশুনা করে ইউনিভাসিটিতে। হঠাৎ করেই তার মামা অসুস্থ বলে তাকে একা একা ট্রেনে করে যেতে হচ্ছে চট্টগ্রাম। তার বান্ধুবী লিলির এক খমতাধর আত্মীয় চিত্রার টিকেট করে দিয়েছেন। কথা ছিল টু সিটারে সে একা যাবে আর কোন যাত্রী থাকবে না। কিন্তু চিত্রা দেখলো তার সাথে একজন বুড় যাচ্ছেন। চিত্রার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। সে গিয়ে বসে থাকলো বুফে কামরায়। চিত্রা ট্রেন এটেনডেন্টের কাছে অন্যকোন ছিট খালি আছে কিনা জানতে চেয়ে ছিল। চিত্রার কথা শুনে এক ডাক্তার এসে বললো চিত্রা চাইলে তার মায়ের সাথে থাকতে পারে।
এদিকে ডাক্তার বুড়র সাথে আলাপ করে জানতে পারে বুড়ো আসলে খুবই বিখ্যাত একজন গণিতবিদ। রামানুজের পাশাপাশি তার নাম নেয়া হয়। বুড়োর সাথে ডাক্তারের চমৎকার একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেলো। অন্যদিকে চিত্রা ডাক্তারর মার সাথে আলাপ করে বুঝতে পারলো মহিলার কথাবার্তা কিছুটা এলোমলো। তাদের বগিতেই একজন মহিলা তার ছেলের লাস নিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি খুব রাগারাগী করছেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পরেই ডাক্তারের মা চিত্রাকে বৌমা বলতে শুরু করে দেয়।
ট্রনে একজন মাওলানা উঠেছেন তার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে। ট্রেন চলতে চলতে যখন গজারি বনের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে তখন অসময়েই হঠাৎ তার লেবার পেইন শুরু হয়। এদিকে মাওলানা গো ধরে বসে থাকে মহিলা ডাক্তার না হলে সে স্ত্রীর কাছে যেতে দিবে না। চিত্রা তখন গণিতবিদের সাথে বসে আলাপ করছিলো তখন এই সংবাদ শুনে দুজনেই দৌড়ে সেখানে যায়। গনিতবিদ মাওলানাকে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বাধ্য হয়ে চিত্রা একাই ভিরতে যায়। কিছুক্ষণ পরে যখন বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় তখন চিত্রা দৌড়ে বেরিয়ে ডাক্তারকে টেনে ভিতরে নিয়ে যায়। একটি ছেলের জন্ম হয়। কিন্তু প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে মায়ের। বাচাতে হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু ট্রেন তখন মাঝ পথে থেমে আছে।
ট্রেনের পিছনে সেলুন কারে চলেছেন একজন মন্ত্রী। সাথে তার স্ত্রী, শালী, ভায়রা আর ব্যান্ডের দল বিডিওম্যান ইত্যাদি। মন্ত্রীরা যাচ্ছেন ময়মনসিংহ। ট্রেনের এক বেয়ারা মন্ত্রীর স্ত্রীর গায়ে সামান্য চা ফেলে দিলে মন্ত্রীর স্ত্রী তাকে কান ধরে উঠবস করায়, আর ভিডিও ম্যান সেটা রেকড করে রাখে। ঠিক তখনই মন্ত্রী খবর পন তার মন্ত্রীত্ব চলে গেছে। সাথে সাথে পরিস্থিতি উলটে হয়ে যায়। ট্রেনের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মন্ত্রীর কামরার বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। বিষয় কি দেখার জন্য ভিডিও ম্যান জেনারেটার রুমে গেলে সেখানে তাকে মার ধর করে জামা কাপর খুলে রেখে দেয়। মন্ত্রী নানান যায়গায় ফোন দিয়েও কোন কিছু করতে পারে না। তারা বুঝতে পারেন বেয়ারাকে কান ধরে উঠবস করানোর জন্য তাদের উপর প্রতিশোধ নেয়া হচ্ছে।
অবস্থা বেগতিক দেখে ব্যান্ড দল সিদ্ধান্তনেয় তারা তাদের মালামাল নিয়ে ট্রেনের চেন টেনে নেমে যাবে। মন্ত্রীর শালি আর তার স্বামীও নেমে যাবে ঠিক করে। ট্রেনের চেন টানার পর সকলে গজারি বনে টপাটপ নেমে যায়। মন্ত্রীর স্ত্রীও স্বামীকে নামার জন্য টানতে থাকে। একপর্যায়ে নিজে লাফিয়ে নামতে গিয়ে তার পা মচকে যায়। যখন ট্রেন চলতে শুরু করে তখন দেখা যায় সেলুন কারে শুধু মন্ত্রী একাই বসে আছে। কিছুক্ষণ পরে মন্ত্রীর কাছে ফোন আসে। তার মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার খবরটা সত্যি নয়। তিনি মন্ত্রী আছেন এখনো। রেল মন্ত্রী ট্রেনে ফোন করে ট্রেন থামিয়ে রেখেছে, ঢাকা থেকে একবগির একটা ইঞ্জিন এসে বন থেকে মন্ত্রীর লোকদের তুলে নিয়ে ট্রেনে পৌছে দিলে পরে ট্রেন ছাড়বে।
অন্যদিকে তখন রক্তক্ষরণে বাচ্চার মা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গণিতবিদ এসে মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান যাতে তিনি একটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেদেন। মন্ত্রী পরবেন না বলে নিষেধ করে দেন। সেই সময় ছেলের লাস নিয়ে যাওয়া সেই মা ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার আনান। রগীকে নিয়ে ডাক্তারের মা উড়ে যান ঢাকায়। ছেলেকে দেখে রাখার ভার দিয়ে যান চিত্রার হাতে। চিত্রা বুঝতে পারে সে ডাক্তারের প্রেমে পড়ে গেছে।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ: আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমিও কতগুলি ভুলে গেছি। আবার পড়তে হবে কয়েকটি বুঝতে পারছি আমি।
২| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: কিছুক্ষণ আমার অনেক পছন্দের একটা বই । প্রথম যেদিন পড়েছিলাম এতো হেসেছিলাম পড়তে পড়তে । বিশেষ করে গনিতের ভদ্রলোক যখন গালি দেয় সেটা শুনে.....
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষণিয় মনে হয়েছে মন্ত্রী মন্ত্রীত্ব যাওয়া আসার বিষয়টা।
৩| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আগের মতো এই কাহিনীও প্রিয় তালিকায় রাখলাম।
আপনাকে ধন্যবাদ দুধের স্বাধ ঘোলে মিটাবার ব্যবস্থা
করার জন্য।
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য ও পোস্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য।
সাথেই থাকুন আরো আসবে।
৪| ০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, এটা উনার পর্যবেক্ষণ থেকে।
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখকরা কল্পনায় অনেক কিছু তৈরি করতে পারেন।
৫| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: কোথায় আপনি? মন্তব্যের উত্তর নেই কেন?
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নানান ঝামেলায় সময় বয়ে গেছে।
৬| ০৮ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি হুমায়ুনের পাঁড়ভক্ত বলতে যা বোঝায়, তাই। তবু আমার অবস্থাও রাজীব নুরের মন্তব্যের মতই..... রাজীব নুরের সুন্দর মন্তব্যের সাথে প্রচণ্ডভাবে সহমত।
০৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আইও মনে রাখতে পারি না বলেই এই কাহিনী সংক্ষেপগুলি লিখে রেছে ছিলাম। ভেবে ছিলাম এটা পড়েই সবটা মনে পরে যাবে। এখন দেখছি সব সময় সবটা মনে পড়ছে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: বইটা পড়েছি। অথচ বইয়ের নাম দেখে কাহিনী কিছুতেই মনে করতে পারলাম না।
শেষে আপনার রিভিউ পড়লাম। তারপর কিছুটা মনে পড়লো।
যেসব বই গুলোর নাম ভুলতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু আপনি ভুলতে দিচ্ছেন না। যথাসময়ে বই। বইয়ের নাম এবং কাহিনী মনে করিয়ে দিচ্ছেন। অনেক ধন্যবাদ।