নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : এবং হিমু
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : হিমু বিষয়ক উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫
প্রকাশক : সময় প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮০ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে রাত একটার সময় হিমু হন হন করে তার বড় ফুপুর বাড়ির দিকে হাঁটছে। পথে চারজনের একটা টহল পলিশের সাথে দেখা হলো, অকারণেই একটা চড় খেলো হিমু। তারপর পুলিশদের পিছুপিছু কিছুর দূর হাঁটলো আরেকটা চড় দেয়ার আবদার নিয়ে, পুলিশদের ভরকে দিয়ে সে হাজির হলো বড়ফুপার বাড়িতে। হিমুকে দেখে যেখানে বাড়িতে ঢুকতে দেয়ার কথা না, সেখানে খুশি হয়ে ভিতরে ঢুকালেন ফুপা, কারণ দুদিন আগে বাদলের গলায় কাঁটা ফুটেছে। গলার এতটাই ভেতরে যে ডাক্তারের চিমটা সেখানে পৌছায় না। হিমু বাদলকে নিয়ে গরম ভাত খেতে বসলো। আর ভাত খেতে খেতে বাদল বুঝতে পারলো কাঁটা চলে গেছে।
হিমুর মেস মেট বদরুল, একটা ইনসুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতো। কদিন আগা টাকা পয়সা নিয়ে সমস্যার কারণে তার চাকরি চলে গেছে। মেসেও টাকা পয়সা বাকি পরেছে। পরদিন রাত বারটার সময় হিমু বদরুল সাহেবকে নিয়ে রাস্তায় বের হলো। পথে কিছুদূর যেতেই দেখা হলো গত রাতের পুলিশ দলের সাথে। গত রাতে যে পুলিশ হিমুকে চড় দিয়েছে তার হাত ফুলে গেছে। তাদের ধারণা হয়েছে হিমুকে চড় দেয়ার কারণেই তা হয়েছে, ফলে তারা হিমুর কাছে ক্ষমা চাইলো। এই সুযোগে হিমু পুলিশদের বললো ক্ষুধার্ত বদরুলের খাবার ব্যবস্থা করতে। পুলিশের হাতে বদরুলকে তুলে দিয়ে হিমু আপন রাস্তায় হাঁটা ধরলো।
দুপুরের কড়া রোদে হাটতে হাটতে রেশমা খালার সাথে দেখা হলো। তিনি হিমুকে তার বাড়িতে গিয়ে থাকতে অনুরোধ করলেন, তার বিনিময়ে ৫০০ টাকা হাতখরচ ও দিলেন হিমুকে। হিমু রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বদরুল সাহেবের স্কুল লাইফের বন্ধু রশিদের সাথে দেখা হলো। আগে বদরুল লোক জনের কাছে কাছে ধার চেয়া বরাতো, এখন ছেলের অসুখের কাগজ হাতে নিয়ে সাহায্য চেয়ে বেরাচ্ছে। হিমু তাকে বুদ্ধি দিলো একটা গামছা পরে লুঙ্গি ভিক্ষা করতে, সেই লুঙ্গি বিক্রয় করে ভালো ইনকাম হবে। কয়েকদিন পরে হিমু দেখতে পায় রশিদ হিমুর বুদ্ধি কাজে লাগাচ্ছে।
হিমু বাড়িতে ফিরে দেখে তার ঘরে ইরা বসে আছে। ইরা হচ্ছে বাদলের চাচাত বোন। বাদলের গলার কাঁটা মুক্তির দিন হিমুর সাথে তার পরিচয় হয়। সেদিন ফেরার সময় বাদলদের বাড়ির বুয়া হিমুকে বলে অনেকদিন আগে তার মেয়ে হারিয়ে গেছে তাকে খুঁজে দিতে। সেদিনই কাকতালীয় ভাবে সেই মেয়েকে তার মা ফিরে পায়। কাঁটা মুক্তি, মেয়ে ফিরে আসা এগুলি যে কাকতালীয় ব্যাপার সেটা বাদলকে বুঝিয়ে বলার জন্য ইরা হিমুকে বাদলদের বাড়িতে যেতে বলে। কিন্তু হিমু ইরার কাছ থেকে পালালো। যাতে ইরা আর তাকে খুঁজে না পায় তাই সে রেশমা খালার গুলশানের বাড়িতে চলে গেলো থাকতে।
সেখানে গিয়ে জানতে পারলো রেশমা খালা তার বিশাল বাড়িতে সারা রাত ঘুমাতে পারে না। তিনি তার মৃত স্বামীকে দেখেন নেংটা হয়ে একেক সময় একেক যায়গায় বসে থাকতে। এই সমস্যার সমাধান করতেই রেশমা খালা হিমুকে এখানে আসতে বলেছেন। হিমু সেখানে বেশ কয়েকদিন থাকলো, একদিন পথে ইরার সাথে দেখা হয়ে গেলো। ইরা বারবার বললো বাদলের হিমুকে খুব দরকার, হিমু যেন বাদলদের বাসায় দেখা করতে যায়। এদিকে হিমু মেসে গিয়ে জানতে পারে বদরুলের চাকরি এখনো হয়নি, তার স্কুল লাইফের এক বন্ধু একটি চাকরি দিবে বলেছে আগামীকাল। অন্যদিকে তার বাড়ি থেকে খবর এসেছে তার স্ত্রী খুব অসুস্থ।
হিমু তার রেশমা খালাকে বললো রাতে সে তার খালুকে দেখেছে। খালু তাকে জানিয়েছে রেশমা খালা ইচ্ছা করে ভুল ঔষধ খায়িয়ে তাকে হত্যা করেছে। তাই খালু রাতের বেলা তাকে ভয় দেখাচ্ছে। যদি তিনি সমস্ত সম্পত্তি দান করে দেন তাহলে আর ভয় দেখাবে না। একথা শুনে খালা রেগে গিয়ে হিমুকে বাড়ী থেকে বের করে দেন। হিমু তখন চলে যায় বাদলদের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দেখে গত দশদিন ধরে বাদল নেংটা হয়ে তার ঘরে বসে ধ্যান করছে। হিমুই কোন এক সময় বলেছিলো ধ্যান করতে হয় সব কিছু ত্যাগ করে তাই বাদল বস কিছু ত্যাগ করে ধ্যান করছে। হিমু বাদলকে বুঝালো ধ্যান হচ্ছে সিড়ির মত, এক এক ধাপ করে উঠতে হয়। প্রথম বারেই জামা খুললে চলবে না। এই বলে হুমু বাদলকে ইউনিভাসিটি পাঠিয়ে দিলো জামাকাপড় পরিয়ে।
তারপর হিমু ফোন করলো রূপাকে, বললো বদরুলের জন্য আজই একটা চাকরি জোগার করে দিতে। হিমুর ধারণা বদরুলে বন্ধু চাকরি দিবেন না, তবুও হিমু আর বদরুল গেলো সেই বন্ধুর অফিসে। চাকরি পাবেনা বুঝতে পেরে হতাশ হয়ে বদরুল হিমুকে নিয়ে বেরিয়ে এলো রাস্তায়। হিমু বদরুলকে মেসে পৌছে দিয়ে গেলো রূপার বাড়িতে, সেখানে রাতের নয়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলো রুপার জন্য। কিন্তু রূপা সেইযে দুপুরে বেরিয়েছে আর ফেরেনি। রাতের নয়টার পরে মেসে গিয়ে হিমু জানতে পারলো বদরুল হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে হিমু জানতে পারলো বদরুলের জ্ঞান ফেরেনি, ফেরার চান্স ফিপটি-ফিপটি। অন্যদিকে রূপা বদরুলের এপয়েন্টমেন্ট লেটার নিয়ে গিয়েছিলো বাদলদের বাড়িতে। সেখানে হিমুকে না পেয়ে ইরার কাছে দিয়ে গেছে ইরা সেটা নিয়ে গেছে হিমুর মেসে, সেখান থেকে খবর পেয়ে ইরা এসেছে হাসপাতালে। হিমু ইরার কাছ থেকে সেটা নিয়ে ডাক্তারের হাতে দিয়ে বললো জ্ঞান ফিরলে সেটা বদরুলকে দিতা। আর যদি জ্ঞান না ফেরে তাহলে ছিড়ে ফেলেদিতে। তখন রাত বারটা বাজে হিমু নেমে আসে রজপথে তার সাথে ইরাও।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ: আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যাক, হুমায়ূন সাহেব অন্ততো একটি কাহিনীতে আপনাকে সামান্য নতুন প্লটের সন্ধান দিতে পেরেছেন।
২| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমি মনে করি, হিমুর যত গুলো বই আছে, তাঁর মধ্যে 'এবং হিমু' টাই বেস্ট।
২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার কাছে প্রায় সব গুলই ভালো লেগেছে।
৩| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: আবদুল্লা আবু সায়ীদ ও হুমায়ূন আহমেদ এই দুই জনের অবদান পাঠক সৃষ্টিতে সবথেকে বেশি।এই দুই জনের পাঠক মোটা দাগে দুই রকম।একদল আবেগী,আরেক দল চিন্তাশীল।আবেগে তারা হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে ঘুরে বেড়াতো।
২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মনে পরে গেলো আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে স্কুলে স্কুলে বই পড়ার একটা প্রতিযোগীতা হতো।
আপনার সাথে আমি একমত।
তবে আরো দুটি সিরিজ পাঠক সৃষ্টি করেছে, রানা এবং তিন গোয়েন্দা।
৪| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার কাছে প্রায় সব গুলই ভালো লেগেছে।
ভেরি গুড।
২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া
৫| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: ঐ গুলো কোন সাহিত্যর আলোচনায় মধ্যে পড়ে না।কোন মননশীল লেখাও না।
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার মতামতের সাথে আমি কিছুটা সহমত, আবার কিছুটা দ্বীতম পৌষণ করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটার প্লটটা কিছুটা নতুন।