নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং
Common Names : Dragonfly, Broad scarlet, Common scarlet-darter, Scarlet darter, Scarlet dragonfly
Binomial name : Crocothemis erythraea
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং একটি দিবাচর পতঙ্গ বিশেষ। ডাইনোসরের যুগ থেকে সময়ের সাথে সাথে বিবর্তণের মধ্যে দিয়ে পরেইবর্তীত হতে হতে আজ পর্যন্ত টিকে আছে এই ফড়িং। গঙ্গাফড়িং হলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিখুঁত শিকারী! বাঘ, সিংহের চেয়েও এটি বেশি নিখুঁত শিকারি। ডাঙায় সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণী সিংহের শিকারকে কাবু করার ক্ষমতা ৩০%, সমুদ্রের সাদা হাঙর মাত্র ৫০% শিকারকে কাবু করতে পারে। অন্যদিকে গঙ্গাফড়িং এর শিকারকে কাবু করার ক্ষমতা ৯৭%।
এরা বেশ বড় আকারের বিভিন্ন রং এর সুন্দর পতঙ্গ। এরা লাল, হলুদ, সবুজ, নীল, কালো ইত্যাদি নানান রং এর হয়। এদের দেহ লম্বা, সরু। দেহের দুই দিকে দুইটি করে মোট চারটি বহুশিরাযুক্ত, শক্তিশালী, বড়, পাতলা ও স্বচ্ছ ডানা বা পাখা থাকে।
এদের মাথা বেশ বড় হয় এবং তা তারা ইচ্ছে মতো নানান দিকে ঘুরাতে পারে। মাথার বেশির ভাগ জায়গা জুড়ে থাকা বিশাল দুটি যৌগিক পুঞ্জাক্ষি মাধ্যমে একটি ফড়িং একই সময়ে সামনে এবং পিছনে দেখতে পারে। তারা ২ মিটার দূরের স্থির বস্তু এবং প্রায় ১০ মিটার দূরের চলমান বস্তু দেখতে পারে। একজন মানুষ সাধারণ দৃষ্টিতে ৬০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড দেখতে পারে, আর একটি ফড়িং দেখতে পারে ৩০০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড। এই গঙ্গাফড়িং তাদের এই বিচিত্র চোখ দিয়ে এমন এক বিচিত্র দুনিয়া দেখতে পায় যা আমরা কখনোই দেখতে পাবো না। কারণ একটি ফড়িং অতিবেগুনি রশ্মি পর্যন্ত দেখতে পারে।
গঙ্গাফড়িংদের ৬টি পা থাকলেও তারা হাঁটতে পারে না। তাদের পা গুলি কাঁটাযুক্ত, ডালপালায় বসার উপযোগী। এই কাঁটাযুক্ত পা গুলি দিয়ে শিকার ধরে রেখে অনায়াসে উড়ে যেতে পারে। গঙ্গাফড়িংদের মুখে আছে দাঁতসহ মজবুত চোয়াল। এরা মশা এবং অন্যান্য ছোট-ছোট পোকামাকড় যেমন: মাছি, মৌমাছি, পিঁপড়া, প্রজাপতি ইত্যাদি শিকার করে খায়।
এদের সাধারণত পুকুর, হ্রদ, ঝর্ণা এবং জলাভূমির আশেপাশে পাওয়া যায়, কারণ এদের লার্ভা বা নিম্ফ জলে বাস করে। গঙ্গাফড়িং এর যৌনমিলনের কয়েকটি বিচিত্র প্রক্রিয়া রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে স্ত্রী ও পুরুষ ফড়িং একসঙ্গে ওড়ে এবং উড়ন্ত অবস্থাতেই মিলন সম্পন্ন করে। স্ত্রী ফড়িং ডিম জলে বা জলজ আগাছার উপর লাগিয়ে দেয়। একটি স্ত্রী ফড়িং ৮০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। ৩ সপ্তাহের মধ্যে ডিম বাচ্চা বের হয়। এদের নিম্ফ বলে। এই নিম্ফ পানিতে ১-৫ বছর কাটায়। এরা জলজ ক্ষুদে প্রাণী মেফ্লাই ও মশার লার্ভা খেয়ে বড় হতে থাকে। বড় হতে হতে এরা প্রায় ১২ বার খোলস পালটায়। আর পূর্নাঙ্গ গঙ্গাফড়িং অবস্থায় তার জীবন কাল হয়ে থাকে ৬ মাসের মতো।
বাংলাদেশের Aeshnidae, Gomphidae Cordulogastridae ও Libellulidae গোত্রের প্রায় ৩০টি প্রজাতির গঙ্গাফড়িং এর দেখা মেলে।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে ছবিগুলি তুলেছি আমি।
সূত্র : উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং - ০১
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং - ০২
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং - ০৩
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং - ০৪
=================================================================
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মেলা দামি জিনিস, আমার কেনার সাধ্যের বাইরে।
আমি তাই মোবাইলের ম্যাক্রো লেন্স ব্যবহার করি।
২| ১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর হয়েছে
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া
৩| ১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এই ছবিগুলো তুলতে আপনি কোন ক্যামেরা এবং লেন্স ব্যবহার করছেন?
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ১ম ও ৫ম ছবি দুটি তুলেছি NIKON D80 ক্যামেরার সাথে 18-300mm লেন্স ব্যবহার করে।
বাকি গুলি তুলেছি Xiaomi Redmi Note 5 মোবাইলের ক্যামেরার সাথে একটি কমদামি (৮৫০ সম্ভবতো) ম্যাক্রো লেন্স ব্যবহার করে।
৪| ১৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: গঙ্গা ফড়িং আমার খুবই প্রিয়। ওদের ওড়াওড়ি, দুষ্টমি সব সময় আমাকে মুগ্ধ করে। পোস্টে ভালো লাগা জানবেন।
১৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছোট বেলার খেলার উপকরণ। এই এক প্রাণীর উপরে এতো অত্যাচার করেছি ছোটো বেলায়, তা আর বলার নয়।
৫| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৩৪
জটিল ভাই বলেছেন: অসম্ভব জটিল পোস্ট
১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৬| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩২
ঢুকিচেপা বলেছেন: ছোটবেলায় ফড়িং ধরতাম। লাল ফড়িং ছিল বেশী দামী।
১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঢুকিচেপা বলেছেন: ছোটবেলায় ফড়িং ধরতাম। লাল ফড়িং ছিল বেশী দামী।
না!! নীল রং এর বিশাল আকারের একটি ফডিং ছিলো, আমরা বলতাম রাজা ফড়িং। সেইটাই বশী দামি ছিলো।
৭| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৪
ঢুকিচেপা বলেছেন: নীলটা কখনো দেখিনি, এখানে ছিল কালো, হলুদ এবং লাল।
১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পুরো পুরি নিল না, নীল-হলুদ ডোরা কাটা। আকারে অন্যদের চেয়ে বেশ বড়। এবং সংখ্যা খুব কম।
১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এইযে ছবি পেলাম উইকিতে।
১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এইযে ছবি পেলাম উইকিতে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ম্যাক্রো লেন্স খুবই দরকারি এবং অসাধারণ জিনিস।