নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং - ০১

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং
Common Names : Dragonfly, Broad scarlet, Common scarlet-darter, Scarlet darter, Scarlet dragonfly
Binomial name : Crocothemis erythraea



গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং একটি দিবাচর পতঙ্গ বিশেষ। ডাইনোসরের যুগ থেকে সময়ের সাথে সাথে বিবর্তণের মধ্যে দিয়ে পরেইবর্তীত হতে হতে আজ পর্যন্ত টিকে আছে এই ফড়িং। গঙ্গাফড়িং হলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিখুঁত শিকারী! বাঘ, সিংহের চেয়েও এটি বেশি নিখুঁত শিকারি। ডাঙায় সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণী সিংহের শিকারকে কাবু করার ক্ষমতা ৩০%, সমুদ্রের সাদা হাঙর মাত্র ৫০% শিকারকে কাবু করতে পারে। অন্যদিকে গঙ্গাফড়িং এর শিকারকে কাবু করার ক্ষমতা ৯৭%।



এরা বেশ বড় আকারের বিভিন্ন রং এর সুন্দর পতঙ্গ। এরা লাল, হলুদ, সবুজ, নীল, কালো ইত্যাদি নানান রং এর হয়। এদের দেহ লম্বা, সরু। দেহের দুই দিকে দুইটি করে মোট চারটি বহুশিরাযুক্ত, শক্তিশালী, বড়, পাতলা ও স্বচ্ছ ডানা বা পাখা থাকে।



এদের মাথা বেশ বড় হয় এবং তা তারা ইচ্ছে মতো নানান দিকে ঘুরাতে পারে। মাথার বেশির ভাগ জায়গা জুড়ে থাকা বিশাল দুটি যৌগিক পুঞ্জাক্ষি মাধ্যমে একটি ফড়িং একই সময়ে সামনে এবং পিছনে দেখতে পারে। তারা ২ মিটার দূরের স্থির বস্তু এবং প্রায় ১০ মিটার দূরের চলমান বস্তু দেখতে পারে। একজন মানুষ সাধারণ দৃষ্টিতে ৬০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড দেখতে পারে, আর একটি ফড়িং দেখতে পারে ৩০০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড। এই গঙ্গাফড়িং তাদের এই বিচিত্র চোখ দিয়ে এমন এক বিচিত্র দুনিয়া দেখতে পায় যা আমরা কখনোই দেখতে পাবো না। কারণ একটি ফড়িং অতিবেগুনি রশ্মি পর্যন্ত দেখতে পারে।



গঙ্গাফড়িংদের ৬টি পা থাকলেও তারা হাঁটতে পারে না। তাদের পা গুলি কাঁটাযুক্ত, ডালপালায় বসার উপযোগী। এই কাঁটাযুক্ত পা গুলি দিয়ে শিকার ধরে রেখে অনায়াসে উড়ে যেতে পারে। গঙ্গাফড়িংদের মুখে আছে দাঁতসহ মজবুত চোয়াল। এরা মশা এবং অন্যান্য ছোট-ছোট পোকামাকড় যেমন: মাছি, মৌমাছি, পিঁপড়া, প্রজাপতি ইত্যাদি শিকার করে খায়।



এদের সাধারণত পুকুর, হ্রদ, ঝর্ণা এবং জলাভূমির আশেপাশে পাওয়া যায়, কারণ এদের লার্ভা বা নিম্ফ জলে বাস করে। গঙ্গাফড়িং এর যৌনমিলনের কয়েকটি বিচিত্র প্রক্রিয়া রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে স্ত্রী ও পুরুষ ফড়িং একসঙ্গে ওড়ে এবং উড়ন্ত অবস্থাতেই মিলন সম্পন্ন করে। স্ত্রী ফড়িং ডিম জলে বা জলজ আগাছার উপর লাগিয়ে দেয়। একটি স্ত্রী ফড়িং ৮০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। ৩ সপ্তাহের মধ্যে ডিম বাচ্চা বের হয়। এদের নিম্ফ বলে। এই নিম্ফ পানিতে ১-৫ বছর কাটায়। এরা জলজ ক্ষুদে প্রাণী মেফ্লাই ও মশার লার্ভা খেয়ে বড় হতে থাকে। বড় হতে হতে এরা প্রায় ১২ বার খোলস পালটায়। আর পূর্নাঙ্গ গঙ্গাফড়িং অবস্থায় তার জীবন কাল হয়ে থাকে ৬ মাসের মতো।



বাংলাদেশের Aeshnidae, Gomphidae Cordulogastridae ও Libellulidae গোত্রের প্রায় ৩০টি প্রজাতির গঙ্গাফড়িং এর দেখা মেলে।


বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে ছবিগুলি তুলেছি আমি।
সূত্র : উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া


=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং - ০১
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং - ০২
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং - ০৩
গঙ্গাফড়িং বা ফড়িং - ০৪
=================================================================

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অতি বেগুনি রশ্মি সনাক্ত করতে এই ফড়িং ব্যবহার করা যেতে পারে। ওদের চোখের অঙ্গ মানুষের চোখে প্রতিস্থাপিত করে গবেষণা করা উচিত।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কেউ কেউ হয়তো করছে, আমরা কতো কিছুইতো জানি না।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১০

শোভন শামস বলেছেন: তথ্য বহুল লিখা, ভাল লেগেছে

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছোট কালে ফড়িং ধরতে অনেক দৌড়া দৌড়ি করেছি আহ এইসব মধুর স্মৃতি।
:D

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হে, আমিও প্রচুর ধরেছি। একটি প্রিয় খেলা ছিলো ফড়িং ধরা।
কতো কৌশল ছিলো এগুলিকে ধরার।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২৪

ওমেরা বলেছেন: ফড়িং এর ছবি গুলো অনেক সুন্দর ।
ফড়িঁং এর জীবন সম্পর্কে জানা হল।
কষ্ট লাগলো মাত্র ছয়মাস ওদের জীবনকাল।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যেরজন্য।
কিছু প্রজাতি সম্ভবতো বছর খানেক বাঁচে।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২২

সামিয়া বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট, ছবিগুলো দুর্দান্ত । ছবি আর তথ্য তো একদম এক্সিবিশন করার মতন।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যে প্রশংসা প্রকাশে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ছেলে বেলায় লাল পড়িং ও গঙ্গা ফরিং অনেক ধরেছি। সুন্দর ছবি +++++

৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিও ধরেছি।
খালি হাতে।
বিশেষ কায়দায় মাকড়সার জাল ব্যবহার করে।
কাফিলা নামক গাছের আঠা ব্যবহার করে।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: একটা আফসোস আমার জীবনে ভালো ফড়িং এর ছবি তুলতে পারি নি।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ৩, ৪ ও ৫ নাম্বার ছবি মোবাইলে ম্যাক্রো লেন্স লাগিয়ে তুলেছি।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০০

মা.হাসান বলেছেন: লাল ফড়িং দেখেছি, ধূসরটাই বেশি দেখেছি, নীলচে সবুজ বা হলুদ খুব কম দেখেছি। ঢাকায় কালে ভদ্রে দেখি। বড় হবার পর এত কম সময় বাঁচে!

অসাধরণ ছবি, খুব তথ্য বহুল পোস্ট।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এগুলি ছাড়াও আনান আকারের, নানান রং এর ফড়িং আছে। সেগুলির ছুবি খুব একটা তুলতে পারি নাই। ঢাকাতে একেবারেই চোখে পড়েনা এখন।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: চমৎকার ছবি সবগুলো। এরা যদি ৩০০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ডে দেখে তার মানে কী এরা সবকিছু স্লো মোশনে দেখতে পায়?

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মনে হয় স্লো মোশনে না, বরং নিখুত ভাবে দেখতে পায়।
এই বিষয়ে যারা ভালো জানে তারা বলতে পারবে।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমাদের চাইতেও আরো বেশি ডিটেইল তাদের চোখে ধরা পড়তে বাধ্য, যেহেতু ৫ গুণ বেশি ফ্রেমরেটে দেখতে সক্ষম। আমি মাছির ব্যাপারে শুনেছিলাম তারা স্লো মোশনে দেখতে পায়।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মনে পরছে আমিও মনে হয় মাছির বিষয়ে এমন কিছু পড়েছিলাম। ওরা সম্ভবতো এই জিনিস অসংখ্য ভাগে দেখে।

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:১৭

শায়মা বলেছেন: লাল ফড়িংটা যে কি সুন্দর!!!!!!!!!!

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার কাছে সব ফড়িংই সুন্দর লাগে। কতো খেলেছি ছোটো বেলায় এদের ধরে ধরে।

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
স্বরণ করিয়ে দিলেন বাল্যকাল! কত যে দৌড়েছি এদের পিছু পিছু...

মনোমুগ্ধকর ব্লগটি উপহার দেওয়ায় অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমিও কতো খেলেছি ছোটো বেলায় এদের ধরে ধরে।

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: মনোমুগ্ধকর তথ্য বহুল লেখা, খুব ভাল লেগেছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ৩, ৪ ও ৫ নাম্বার ছবি মোবাইলে ম্যাক্রো লেন্স লাগিয়ে তুলেছি।
ম্যাক্রো দিয়ে তুলেছেন সেটা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু মোবাইলে ম্যাক্রো ফিট করেছেন সেটা বুঝি নি।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ৩ ও ৫ নাম্বার ছবি তুলেছি ১৫০ টাকার একটা ল্যান্স লাগিয়ে। আর ৪ নাম্বার তুলেছি সম্ভবতো ৮৫০ টাকার ল্যান্সে। আরেকটা ল্যান্স খুব পছন্দ হয়েছিলো। দাম ৫০০০+ বলে কিনতে পারি নাই।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৯

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমিও হেলিকপ্টার বানিয়ে বোতলে ভরে। এমনই শয়তান হেলিকপ্টার ছিলো বোতলের বাইরে ছাড়লেই হাওয়া হয়ে যেত।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এখন মনে পড়ে খেলার ছলে এদের উপরে বেশ অত্যাচার করা হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.