নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ধারনা এমন কোনো বিষয় নেই যেটা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা লেখেন নি।
কত-সহস্র কবিতা উনি লিখেছেন!!
কয়েক দিন ধরে চাঁদ নিয়ে ঘাটাঘাটি করার সময় হঠাৎ মাথায় এলো বরিবাবুর কি কি ছড়া-কবিতা-গানে চাঁদের উপস্থিতি আছে তা খুঁজে দেখি।
আমি কবিতা ফ্রেন্ডলি লোক নই, তাই মানুষের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো ফলাফল দেখে আমার মাথায় চাঁদ ভেঙ্গে পড়েছে।
সেই ভাঙ্গা চাঁদের ১০টি টুকরো আপনাদের জন্য আজকে রইলো এখানে।
৭১।
সোনার খেলা খেলি আমরা ভোরে,
রুপোর খেলা খেলি চাঁদকে-ধরে।'
৭২।
তার চেয়ে মা আমি হব মেঘ;
তুমি যেন হবে আমার চাঁদ--
দু হাত দিয়ে ফেলব তোমায় ঢেকে,
আকাশ হবে এই আমাদের ছাদ।
৭৩।
তুমি কথা কোয়ো না, তুমি চেয়ে চলে যাও।
এই চাঁদের আলোতে তুমি হেসে গলে যাও।
আমি ঘুমের ঘোরে চাঁদের পানে চেয়ে থাকি মধুর প্রাণে,
তোমার আঁখির মতন দুটি তারা ঢালুক কিরণধারা ॥
৭৪।
আকাশেতে উঠিয়াছে আধখানি চাঁদ,
তাকায় চাঁদের পানে গৃহের আঁধার।
প্রাঙ্গণে করিয়া মেলা উর্ধ্বমুখ হয়ে
চন্দ্রালোকে শৃগালেরা করিছে চীৎকার।
৭৫।
হোথায় কি প্রতি দিন সন্ধ্যা হয়ে এলে
তরুণীরা সন্ধ্যাদীপ জ্বালাইয়া দিত?
মায়ের কোলেতে শুয়ে চাঁদেরে দেখিয়া
শিশুটি তুলিয়া হাত ধরিতে চাহিত?
৭৬।
চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো।
ও রজনীগন্ধা, তোমার গন্ধসুধা ঢালো ॥
৭৭।
সমুখে ছাদ ছাড়িয়ে উঠেছে বাদামগাছের মাথা,
উপরে উঠল কৃষ্ণচতুর্থীর চাঁদ।
৭৮।
শুনেছি একদিন চাঁদের দেহ ঘিরে
ছিল হাওয়ার আবর্ত ।
তখন ছিল তার রঙের শিল্প,
ছিল সুরের মন্ত্র,
ছিল সে নিত্য নবীন ।
৭৯।
সেই বাণীহারা চাঁদ তুমি আজ আমার কাছে ।
দুঃখ এই যে, এতে দুঃখ নেই তোমার মনে ।
একদিন নিজেকে নূতন নূতন করে সৃষ্টি করেছিলে মায়াবিনী,
আমারই ভালোলাগার রঙে রঙিয়ে ।
৮০।
সূর্য ওঠে প্রাতঃকালে পূর্ব গগনের ভালে,
সন্ধ্যাবেলা ধীরে ধীরে উঠে আসে চাঁদ।
আগামী পর্বে আরো ১০টি চন্দ্র পংক্তি থাকবে।
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০১
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০২
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৩
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৪
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৫
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৬
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ০৭
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
না, আমি কোনো বই অনুসরণ করছি না। আর কাজটা খুব একটা কষ্টসাধ্যও নয়।
প্রযুক্তি আমারদের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: রবি বাবুর চন্দ্র। আর জোছনা হলো হুমায়ূন আহমেদের। হুমায়ূনা হমেদের জোছনা কি ক্যামেরায় ধরতে পারবেন?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: না, হুমায়ূনা হমেদের জোছনা ক্যামেরায় ধরার মতো অভিজ্ঞ ক্যামেরায় আমি নই। তবে সুযোগ হলেচেষ্টা করবো নিশ্চয়ই।
কিছুদিন আগে চাঁদের বলয়ের এটি ছবি তুলেছি। ততোটা ভালো হয়নি, তবুও আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা দারুণ।আপনি কি কোনো নির্দিষ্ট বই অনুসরণ করছেন এসব পংক্তি তুলে আনতে? যেমন গীতবিতান বা সঞ্চয়িতা বা রবীন্দ্র রচনাবলি? এটা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ।