নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূজার ছবি – ০২ : দূর্গা দেবী

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৯


“দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।
রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।
ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।।”


অর্থাৎ, ""দ" অক্ষরটি দৈত্য বিনাশ করে, উ-কার বিঘ্ন নাশ করে, রেফ রোগ নাশ করে, "গ" অক্ষরটি পাপ নাশ করে এবং অ-কার শত্রু নাশ করে। এর অর্থ, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।"



"যিনি দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন""যে দেবী দুর্গম নামক অসুরকে বধ করেছিলেন" তিনিই দুর্গা দেবী। হিন্দুধর্মে হিমালয়দুহিতা দেবী দুর্গা শিবের স্ত্রী পার্বতীর উগ্র রূপ, কার্তিক ও গণেশের জননী, এবং কালীর অন্যরূপ। হিন্দুরা তাকে মহাশক্তির একটি উগ্র রূপ মনে করেন। তার অন্যান্য নামসমূহ হল চণ্ডিকা, যোগমায়া, অম্বিকা, বৈষ্ণবী, মহিষাসুরসংহারিণী নারায়ণী, মহামায়া, কাত্যায়নী ইত্যাদি। তিনি জয়দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, বনদুর্গা, চণ্ডী, নারায়ণী, শিবানী, কালী, গৌরী, উমা প্রভৃতি নামে ও রূপে পূজিতা হন।



হিন্দু মতে দূর্গা কখনো নিমুণ্ডমালিনি চামুন্ডা, তিনিই আবার তমোময়ী নিয়তি। শত্রুদহনকালে তিনি অগ্নিবর্ণা, অগ্নিলোচনা। তিনিই জগদীশ্বরী, আপন মহিমায় এই পৃথিবীতে পরিব্যাপ্ত হয়ে আছেন প্রতিটি জীবের শরীরে। তিনি ঘটন -অঘটন পটিয়সী, দূর্গা দুর্গতিনাশিনী। তিনিই জগৎকে চালান ও প্রতিপালন করেন জগদ্ধাত্রী রূপে, আবার প্রলয়কালে তিনিই হয়ে উঠেন প্রলয়ংকারী দেবী কালিকা। দেবী দুর্গা শাক্ত ধর্মে সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবী, বৈষ্ণব ধর্মে তাকে ভগবান বিষ্ণুর অনন্ত মায়া হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয় এবং শৈবধর্মে দুর্গা শিবের অর্ধাঙ্গিনী ।



দেবী দুর্গার অনেকগুলি হাত। তার অষ্টাদশভুজা, ষোড়শভুজা, দশভুজা, অষ্টভুজা ও চতুর্ভূজা মূর্তি দেখা যায়। তবে দশভুজা রূপটিই বেশি জনপ্রিয়। তার বাহন সিংহ (কোনো কোনো মতে বাঘ)। মহিষাসুরমর্দিনী-মূর্তিতে তাকে মহিষাসুর নামে এক অসুরকে বধরতা অবস্থায় দেখা যায়।



পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড সহ ভারতের বিভিন্ন অংশে এবং বাংলাদেশে দুর্গাপূজা বহুলভাবে উদযাপন করা হয়। উত্তর ভারতে এটি নবরাত্রি হিসাবে পালন করা হয়।

সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন তথা ষষ্ঠীর থেকে আরম্ভ করে দশমী পর্যন্ত হয়ে থাকে এই দুর্গোৎসব। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে দুর্গা ষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। এই পক্ষটিকে দেবীপক্ষ এবং মহালয়া বলে। পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন এই দেবীপক্ষ বা মহালয়ার সূচনা হয়। পরের পূর্ণিমার দিনটিকে লক্ষ্মী পূজার দিন হিসাবে গণ্য করা হয়।



সূত্র : উকিপিডিয়া
ছবি তোলার স্থান : নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ০৫/১১/২০১১ ইং

=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
পূজার ছবি – ০১ : দূর্গা দেবী

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: দূর্গার চেহারা সুন্দর হয়নি। যারা গড়েছেন সুন্দর গড়তে পারেন নি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এক দিনে ২০/২৫ টা মন্ডপে ঘুরে ঘুরে ছবিগুলি তুলেছি। প্রতিটি প্রতিমা আলাদা আলাদা মন্ডপের।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

শুভ বিজয়া ।

প্রতিটি দিন হোক আজকের মতো আনন্দময়।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:১২

অগ্নিবেশ বলেছেন: মুর্তিপুজা দেইখ্যা আমার ধর্মানুভুতি দাড়াইয়া গ্যাছে, কাফেররা যে বাতাস থেকে শ্বাস গ্রহণ করে সেই বাতাস বয়কট করলাম।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হা হা হা

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ বিজয়া

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্য।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫২

মা.হাসান বলেছেন: ছবি গুলো হয় খুব কাছে থেকে তোলা, অথবা ক্যামেরার জুম খুব ভালো। খুব ঝকঝকে এসেছে।

পূজোর সময়টা মন্ডপ লোকে লোকারন্য থাকে। আপনার একটা বাদে বাকি ছবিতে লোকজন নেই। ২০১১তে তো করোনা ছিলো না। দিনের বিশেষ কোনো সময়ে তোলা কি?

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একদিনে এগুলি বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তোলা ছবি। ঐ সময়টাতে লোক কিছুটা কম ছিলো। সন্ধ্যার পরে থেকে গান আর নাচানাচি চলে, তখন মেলা লোক থাকে।
প্রায় সবকটি মন্ডপই বেশ বড় বড়, এবং কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা নাই বললেই চলে। এগুলি সব দূর থেকে জুম করে তোলা ছবি। পরে কেটে নিয়েছি আর সামনে আনার জন্য।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

পঞ্চগড়ের বাসিন্দা বলেছেন: সৌন্দর্য মণ্ডিত দেবী দুর্গার পেছনের রূপটা বড়ই ভয়ংকর, নিদারুন কষ্টেরও বটে । ছবি দিলে ব্যান খাওয়ার সম্ভাবনা আছে শুধু এটুকু বলি একজায়গায় গোটা কয়েক বাশ যদি ঢুকিয়ে কাউকে দাড় করিয়ে রাখা হয় তাহলে কেমন লাগবে বলুন ?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঐ অভিজ্ঞতা আমার হয় নাই, যাদের হইছে তারা বলতে পারবে ভালো। দূর্গা সেই ক্ষমতা নাই।

৭| ২০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

সিগনেচার নসিব বলেছেন: দেখে গেলাম।

২০ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.