নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।
রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।
ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।।”
অর্থাৎ, ""দ" অক্ষরটি দৈত্য বিনাশ করে, উ-কার বিঘ্ন নাশ করে, রেফ রোগ নাশ করে, "গ" অক্ষরটি পাপ নাশ করে এবং অ-কার শত্রু নাশ করে। এর অর্থ, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।"
"যিনি দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন" ও "যে দেবী দুর্গম নামক অসুরকে বধ করেছিলেন" তিনিই দুর্গা দেবী। হিন্দুধর্মে হিমালয়দুহিতা দেবী দুর্গা শিবের স্ত্রী পার্বতীর উগ্র রূপ, কার্তিক ও গণেশের জননী, এবং কালীর অন্যরূপ। হিন্দুরা তাকে মহাশক্তির একটি উগ্র রূপ মনে করেন। তার অন্যান্য নামসমূহ হল চণ্ডিকা, যোগমায়া, অম্বিকা, বৈষ্ণবী, মহিষাসুরসংহারিণী নারায়ণী, মহামায়া, কাত্যায়নী ইত্যাদি। তিনি জয়দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, বনদুর্গা, চণ্ডী, নারায়ণী, শিবানী, কালী, গৌরী, উমা প্রভৃতি নামে ও রূপে পূজিতা হন।
হিন্দু মতে দূর্গা কখনো নিমুণ্ডমালিনি চামুন্ডা, তিনিই আবার তমোময়ী নিয়তি। শত্রুদহনকালে তিনি অগ্নিবর্ণা, অগ্নিলোচনা। তিনিই জগদীশ্বরী, আপন মহিমায় এই পৃথিবীতে পরিব্যাপ্ত হয়ে আছেন প্রতিটি জীবের শরীরে। তিনি ঘটন -অঘটন পটিয়সী, দূর্গা দুর্গতিনাশিনী। তিনিই জগৎকে চালান ও প্রতিপালন করেন জগদ্ধাত্রী রূপে, আবার প্রলয়কালে তিনিই হয়ে উঠেন প্রলয়ংকারী দেবী কালিকা। দেবী দুর্গা শাক্ত ধর্মে সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবী, বৈষ্ণব ধর্মে তাকে ভগবান বিষ্ণুর অনন্ত মায়া হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয় এবং শৈবধর্মে দুর্গা শিবের অর্ধাঙ্গিনী ।
দেবী দুর্গার অনেকগুলি হাত। তার অষ্টাদশভুজা, ষোড়শভুজা, দশভুজা, অষ্টভুজা ও চতুর্ভূজা মূর্তি দেখা যায়। তবে দশভুজা রূপটিই বেশি জনপ্রিয়। তার বাহন সিংহ (কোনো কোনো মতে বাঘ)। মহিষাসুরমর্দিনী-মূর্তিতে তাকে মহিষাসুর নামে এক অসুরকে বধরতা অবস্থায় দেখা যায়।
পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড সহ ভারতের বিভিন্ন অংশে এবং বাংলাদেশে দুর্গাপূজা বহুলভাবে উদযাপন করা হয়। উত্তর ভারতে এটি নবরাত্রি হিসাবে পালন করা হয়।
সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন তথা ষষ্ঠীর থেকে আরম্ভ করে দশমী পর্যন্ত হয়ে থাকে এই দুর্গোৎসব। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে দুর্গা ষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। এই পক্ষটিকে দেবীপক্ষ এবং মহালয়া বলে। পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন এই দেবীপক্ষ বা মহালয়ার সূচনা হয়। পরের পূর্ণিমার দিনটিকে লক্ষ্মী পূজার দিন হিসাবে গণ্য করা হয়।
সূত্র : উকিপিডিয়া
ছবি তোলার স্থান : নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ০৫/১১/২০১১ ইং
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
পুজা কি শেষ হলো?
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সম্ভবত আজ বা কাল
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০২
এইচ তালুকদার বলেছেন: ছবিগুলো চমতকার।বর্ননাও অসাধারন হয়েছে
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছবি আমার তোলা হলেও বর্ননা উইকি থেকে কপরি করা। নিজের মতো করে ছেটে ছোটো করে সাজিয়ে নিয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।
প্রতিটা ছবি খুব সুন্দর।