নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : ইমা
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : সাইন্স ফিকশন উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮
প্রকাশক : সময় প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৭
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
একজন টানেল কর্মীর ঘুম ভাঙ্গল মহাকাশযানে। সে কিছুতেই বুঝতে পারল না কেন তাকে এই মহাকাশযানে নেয়া হচ্ছে, সে সামান্য একজন টানেল কর্মী। মহাকাশযানের প্রধান কম্পিউটার সিডিসি তাকে একটি ঘরে আঁটকে রেখেছিলো। সিডিসির সাথে আলাপ করে সে জানতে পারে এই মহাকাশযানটি যাচ্ছে ৪ আলোকবর্ষ দূরের রারা গ্রহের অতি বুদ্ধীমান প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ করতে। একসময় তাকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হলে তার মহাকাশযানের পদার্থ বিজ্ঞানীর সাথে আলাপ হয়। তার সাথে কথা বলার সময় জানতে পারে সে স্বেচ্ছায় ভলান্টিয়ার হিসেবে যাচ্ছে। তাকে সেই বুদ্ধিমান প্রাণীগুলিকে মানব জাতীর স্যাম্পল হিসেবে দেয়া হচ্ছে। অথচ সত্যিকার অর্থে সে স্বেচ্ছায় যাচ্ছে না।
তখন সিডিসি জানালো লোকটি মিথ্যে কথা বলছে। তার নাম ইয়ায়ূ, সে স্বেচ্ছায় এসেছে, তার সেই আবেদন পত্র দেখানো হলে। সেখানে ইয়ায়ূর হাতের ছাপ আছে পরিচয় আছে। এইসব শুনে বিজ্ঞানীর সন্দেহ হল সিডিসি মিথ্যে কথা বলছে। তিনি একটি মিটিং ডাকলেন সেখানে সিদ্ধান্ত হল সিডিসি মিথ্যে বলছে তাই তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বন্ধকরে দেয়া হবে। এরপর সিডিসি ইয়ায়ূকে জানায় সে আসলেই ইয়ায়ূ। সিডিসি নিজে তার স্মৃতি মুছে দিয়ে টানেল কর্মীর স্মৃতি বসিয়ে দিয়েছে। সিডিসি ভেবে ছিল এই ঝামেলার কারণে সিডিসি মিথ্যে বলছে বুঝে এই মিশন বাদ দেয়া হবে। সিডিসি এই মিশন বাদ দিতে চাচ্ছে কারণ তার ধারনা বুদ্ধিমান প্রাণীরা চাচ্ছে ইয়ায়ূর ডিএনএ দিয়ে মডিফাই করে নতুন এক প্রজাতির মানুষ তৈরি করতে। সেই মানুষদের বাস করার জন্য তারা নিশ্চয়ই পৃথিবীতে তাদের পাঠাবে। এর জন্য পৃথিবীর বর্তমান মানব জাতীকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে।
ইয়ায়ূ সিডিসির কথা বুঝতে পেরে মানব জাতীর সেই বিপদ এড়ানোর জন্য নিজে এমন এক বিষের ইনজেকশন নেয় যাতে বিশ মিনিটের মধ্যে তার শরীরের সমস্ত অণু মারা যাবে। ফলে বুদ্ধিমান প্রাণীরা আর তার ডিএনএ সংগ্রহ করতে পারবে না। কিন্তু ততোক্ষণে বিজ্ঞানীরাও বুঝতে পারে বুদ্ধিমান প্রাণীদের চালাকি আর তাই তারা এই মিশনটি বাদ দিয়ে পৃথিবীতে ফিরতে শুরু করে। তবে ততোক্ষণে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে ইয়ায়ূর ২০ মিনিটের।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হয়তো আমার উপস্থাপন ভালো হয়নি।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি সত্যিই হুমায়ুন প্রেমিক ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: না স্যার, আমি তা নই।
অন্য অনেকের মতো উনার অনেক বই পড়েছি এটা সত্যি।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১
রাজীব নুর বলেছেন: বইটা আমি পড়েছি।
আপনি ভালো লিখেছেন।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সাইন্স ফিকশন আমার পছন্দের বিষয়, তবে এর কাহিনী সংক্ষেপ লিখতে গেলে মেলা সমস্যা হয়।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: ছোটবেলায় হুমায়ুন আহমেদের পরিবারে একটা হরিণ ছিলো, যার নাম ছিলো ইমা বা ইরিনা, সে হরিণের স্মৃতিতেই হুমায়ুনের একটা বইয়ের নামকরণ করা হয়েছিলো ইমা বা ইরিনা।
সায়েন্স ফিকশনগুলোর মধ্যে কেনো জানি 'অনন্ত নক্ষত্রবীথি' এবং 'ইরিনা' বেশি মনে গেঁথে থাকে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হরিণের কথাটা মনে পড়ছে না, তবে একটা ঘোড়া ছিলো মনে আছে।
প্রায় সমস্ত সাইন্স ফিকশনই পড়া আছে উনার। আগামী কাহিনী সংক্ষেপ হবে ইরিনার।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
হুমায়ুন আহমেদ এট জনপ্রিয়; লেখার প্লট তো ভালো মনে হচ্ছে না।