নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : আসমানীরা তিন বোন
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : জুন ২০০২
প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৬
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
জমীর আলী আগে মাটিকাটার কাজ করতো, সে অলস প্রকৃতির মানুষ তাই মাটিকাটার কাজ ছেড়ে এখন ভিক্ষা করে। তার তিন মেয়ে আসমানী, জামদানী আর পয়সা। জমীর আলীর অলসতার কারণে সংসারে অভাব অনটন লেগেই আছে। তার স্ত্রী আছিয়া ভিক্ষা করা মোটেও পছন্দ করে না। তার ছোট মেয়ে পয়সা যেদিন জন্মালো তারপরেই আছিয়া রাগ করে বাড়ী ছেড়ে চলে গেল, তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলো না।
জমীর আলী সুসাং দূর্গাপুরে আছিয়ার বোনের বাড়িতে তাকে খুঁজতে যায়, কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারে আছিয়া আরো দুটি মেয়ের সাথে বডার পার হয়ে ভারতে চলে গেছে। জমীর আলীও রাতের অন্ধকারে বডার পার হয় স্ত্রীকে খোঁজার জন্য। বডার পার হতেই সে ধরা পরে, দুই বছরের জেল হয়ে যায়। জেলে থাকার সময় মিথ্যে গুজব রটানো চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগ করে তার শাস্তি আর সাত বছর বাড়িয়ে দেয়া হয়।
পনেরো বছর পরে আসমানীরা তিন বোন এখন কাজ করে স্বাধীন বাংলা সারকাসে। সারকাসের মালিক হারুন সরকার খুবই ভালো লোক, কিন্তু অল্পতেই দুঃচিন্তা করেন। তার ম্যানেজার তৈয়ব আলী, সব দিকে তার তিক্ষণ নজর। দু’জনেই আসমানীদের খুব ভালোবাসে। ওরা তিন বোন সারকাসের সেরা আকর্ষণ। দড়ির উপরে হেঁটে খেলা দেখায় ওরা, খুবই বিপদজনক খেলা।
একদিন বসির মোল্লা নামের একজন ধনী মাছ ব্যবসায়ী লম্পট টাইপের মাঝ বয়েসী লোক এলো সারকাস দেখতে। অল্পবয়সী মেয়েদের প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ আছে। তিন বোনের খেলা দেখে সে সাথে সাথেই পয়সাকে পছন্দ করে ফেলে, তাই সে পয়সাকে একটা সোনার মেডেল দিবে বলে ঘোষণা করে। সারকাস খেলা শেষ হলে পরে বসির মোল্লা ম্যানেজার তৈয়কে তার লঞ্চে ডেকে নিয়ে সারকাস কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেয়। সারকাসের মালিকানার সাথে সাথে মেয়ে তিনটির মালিকানাও তিনি পেয়ে যাবেন এই তার মতলব।
এদিকে সারকাসের মালিক অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে অসুস্থ হয়ে পরেন, তাকে হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। একদিন পরেই তিনি জোড় করে হাসপাতাল থেকে চলে আসেন। রাতেই তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তিন বোনের নামে সারকাসের মালিকানা লেখে দিয়ে যান। এই মেয়ে তিনটিকে তিনি একে বারে ছোট থেকে লালন পালন করে বড় করেছেন, খেলা শিখিয়েছেন। সমস্ত আপদ বিপদ থেকে আগলে রেখেছেন। তার মৃত্যুর পরে যেনো সারকাস আর তিন বোনের কোন সমস্যা না হয় তাই তিনি এই কাজ করে গেছেন। সমস্ত কাগজ দিয়ে গেছে বিশ্বস্ত ম্যানেজার তৈয়বের কাছে।
এদিকে বিকেলে সারকাসের মালিক মারা গেলেও রাতের শোয়ের সমস্ত টিকেট যেহেতু বিক্রি হয়ে গেছে তাই শো চালিয়ে যেতেই হবে। পিতার মত এক জনকে হারিয়ে তিন বোনের মানুষীক অবস্থা খুব খারাপ, তবুও কাঁদতে কাঁদতে তারা উঠে আসে দড়ির উপরে খেলা দেখাতে। যখন তারা খেলা দেখাচ্ছে তখন নিচে দর্শকের সারিতে তাদের বাবা জমীর আলী বসে আছেন চোখ বন্ধ করে, আর আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন যাতে তার তিন মেয়ের কোন সমস্যা না হয়।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মনে থাকেনা বলেই আমি লিখে রাখি।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: বইট পড়েছিলাম।
তবে ভুলতে বসে ছিলাম। আপনার রিভিউ পড়ে আবার সব মনে পড়েছে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভুলে যাই বলেই লিখে রেখেছি।
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা করুণ লাগলো খুব। অনেক গুছিয়ে লিখেছেন।
পয়সার জন্মের পর আছিয়া বাসা ছাড়লো কীভাবে অসুস্থ শরীরে, এটা একটা প্রশ্ন ছিল।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
গল্পে অনেক কিছুই সম্ভব হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৪
সোহানী বলেছেন: বইটি পড়েছিলাম মনে হয়।