নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : আশাবরী
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : সামাজিক উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : নভেম্বর ১৯৯১
প্রকাশক : সময় প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০২
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
রেনু ইন্টারে পড়ে, ওরা তিন ভাই বোন, সবার বড় ভাই রঞ্জু। সব কিছুতেই তার রসিকতা, তাই তার বাবা রঞ্জুকে ডাকে ফানী ম্যান বলে। সবার সাথেই তার খুব ভালো খাতির। ওদের বাবা হাতে পয়সা কড়ির টান থাকলেই ডুবদেন কয়েক মাসের জন্য। তখন সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়, বাড়ি ভাড়া বাকি পরতে থাকে, তবুও বাড়ীওয়ালার সাথে রঞ্জুর খুব ভালো সম্পর্ক। ওদের বাড়ির সামনেই থাকে দুলুরা বিশাল দোতালা বাড়িতে। দুলুর বাবা বিরাট ব্যারিস্টার, তার সাথে রঞ্জুর খুব খাতির, প্রতি বৃহস্পতিবার রঞ্জুর ডাক পরে ব্যারিস্টার সাহেবের সাথে দাবা খেলতে। দুলুও রঞ্জুর প্রতি খুবই আকৃষ্ট কিন্তু তা প্রকাশ করে না।
রেনুর মেজোবোন মীরা, সে প্রচন্ড সুন্দরী একজন মেয়ে। ইন্টারে পড়ার সময় চলচিত্রে অভিনয়ের অফার আসে, কিন্তু মীরা রাজি হয়নি। প্রতিদিন তার নামে প্রচুর চিঠি আসে, সবই প্রেমপত্র। কিন্তু তার কোনটাই খুলেও দেখেনা মীরা।
রঞ্জু নাম সর্বস্ব একটা পত্রিকাতে কিছু লেখালেখির কাজ করে। সেই পত্রিকাতে কভার স্টোরি করার জন্য রঞ্জুকে বলা হলো ঢাকা শহরের ভ্রাম্যমাণ পাগলদের উপরে একটা লেখা লিখতে। রঞ্জুকে এই কাজে সাহায্য করবে আভা। আভাদের সংসারের অবস্থা রঞ্জুদের চেয়েও খারাপ। তারা দু’জন যখন অনেক দিন ঘুরে ঘুরে পাগলদের সাথে কথা বলে মোটামুটি গবেষণা করে একটা লেখা দাঁড়া করালো ঠিক তখনই পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেলো।
এদিকে রঞ্জুর বাবা আবরো ডুব দিয়েছেন। দিন কাটতে থাকে, মাস চলে যায় কিন্তু তিনি আর ফেরেন না। রঞ্জু নানা যায়গায় খোঁজ করে, কিন্তু কোন হদিস পায় না। এক লোক সরঘাটে নাকি দেখেছে তাকে বরিশালের লঞ্চে উঠতে, তাই রঞ্জু বরিশাল গিয়ে খুঁজে আসে, খুঁজতে যায় বগুরাতেও, কিন্তু কোন লাভ হয় না। একদিন এক লোক এসে খবর দেয় তার বাবা আছেন নারায়ণগঞ্জে, সেখানে নাকি তিনি চার বছর আগে এক হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তিন হাজার টাকা দিলে লোকটি তার ঠিকানা দিবে। রঞ্জুরা সে কথা বিশ্বাস করে না।
আভার সাথে চমৎকার একটা সম্পর্ক তৈরি হতে হতে হয়ে ওঠে না রঞ্জুর। রঞ্জু আভাকেও হারিয়ে ফেলে। আসলে আভা আর কোন রকমেই সংসার চালাতে না পেরে শেষে শরীরবৃত্তিতে নামে, তাই সে রঞ্জুর কাছ থাকে দূরে সরে যায়। রঞ্জু পাগলদের সাথে মিশতে মিশতে তার মাঝেও কিছুটা পাগলামি ভাব এসে যায়। হঠাৎ করেই সে একদিন ভিষন জ্বরে পড়ে। হাসপাতালে অনেকদিন চিকিৎসা চলে, তখন দুলু তার আরো কাছে যায়, সেবা করে, কিন্তু কোন লাভ হয় না। সকলের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মারা যায় রঞ্জু।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো লাগা জানানোর জন্য।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭
দারাশিকো বলেছেন: শিরোনাম আর বইয়ের নামের মধ্যে পার্থক্য কেন?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভুল হয়েছিলো।
ঠিক করে নিয়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার বই। কমপক্ষে দশ বার পড়েছি।
আপনি রিভিউ সুন্দর লিখেছেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি অতো পড়িনি, তবে মনে হয় ২বার পড়েছি কনফার্ম, তিনবারও হতে পারে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০২
জাহিদ হাসান বলেছেন: উপন্যাসের শেষটা পড়ে আমার চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছিলো।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উপন্যাস পড়ে চোখে পানি আসে না আমার, তবে বেশ খারাপ লাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আপনার কাহিনি সংক্ষেপ আমার ভাল লাগে।