নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : আমরা কেউ বাসায় নেই
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : সমকালীন উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০১২
প্রকাশক : মাওলা ব্রাদার্স
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৬
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
মনজু পরপর দুবার বি.এ. ফেল করেছে।
মনজুর বড় ভাই টগর ব্রিলিয়েন্ট ছাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ঘরে বসে আছে। টগরের চিন্তা হচ্ছে পৃথিবীতে অনেকদিন কোন নতুন ধর্ম তৈরী হয়নি, তাই সে একটা নতুন ধর্ম তৈরি করবে।
মনজুর বাবা ইংরেজী সাহিত্যের টিচার, স্বাস্থ সচেতন নিপাট ভালো মানুষ।
মনজুর মা বোকাসোকা ভালো মানুষ। তার বিশেষ গুণ হচ্ছে তিনি যেটাই স্বপ্নে দেখেন সেটাই ফলে যায়।
ওদের বাড়ির কাজের বুয়া রহিমার মা। প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। তার বয়স যখন ১৫ তখন তাকে কুমারী বলে কেউ কাজে নিতো না, তাই সে নিজের নাম রাখে রহিমার মা, আসলে সে অবিবাহিত, তার কোন মেয়ে নেই।
মনজুর বাবা আর তার বন্ধু ফজলু সাহেব মিলে ৬ কাঠা যায়গা কিনেন ঝিকাতলায়। যায়গা রেজেস্ট্রি হওয়ার ৫/৬ দিন পরেই ফজলু মারা যায়। তখন মনজুর বাবা বন্ধুর স্ত্রীকে জানায় যায়গা কিনার জন্য ফজলু টাকা নিয়ে বের হয় ঠিকই কিন্তু কোনভাবে টাকাটা সে হারিয়ে ফেলে তাই যায়গায়টা তিনি একাই কিনেছেন। টাকার শোকেই ফজলু মারা যায়।
মজনুর মায়ের ধারনা ওদের বাড়িতে ভূত আছে, গেস্টরুমে একটা বৃদ্ধ ভূত থাকে, সে খারম পায়ে হেঁটে বেরায়। ফজলু চাচার ছোট মেয়ে যখন এবাড়িতে আসে তখনই সে কঞ্চি হাতে কিছু অদৃশ্য বেড়ালকে তাড়া করে বেরায়।
মনজুর বাবা একটা সেকেন্ডহ্যান্ড প্রাইভেট কার কিনলো, তার ড্রাইভার পাক্কা হুজুর। গাড়ি দেখে টগর বললো এর ইঞ্জিনের অবস্থা খুব খারাপ। প্রথমবার গাড়ি নিয়ে বেরোতেই গাড়ির ইঞ্জিন বসে গেলো। ইঞ্জিনের মেরামতে অনেকটাকা খরচ হবে বলে তা আর ঠিক করা হয় না।
এদিকে টগর তার নতুন রগট ধম নিয়ে বেশ আছে। সে খবর পেয়েছে তারার বাবার বন্ধুর মেয়ে পদ্মকে জোড় করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে তাই সেই তার একটা চেলা বাহিনীর সাথে মনজুকে পাঠায়। পদ্মকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসতে। কিছু গুন্ডাটাইপ লোকের সাথে মজনু যায় উদ্ধার পর্বে। সেখানে গিয়ে সামান্য ঝামেলা হয়, ঝামেলা কমানোর জন্য টগরের লোকজন প্রচার করে পদ্মের সাথে আগেই মনজুর বিয়ে হয়ে গেছে, তাই স্বামী থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে হতে পারে না। এভাবে পদ্মকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় টগরদের বাড়িতে। পরে পদ্মের মাও টগরদের বাড়িতে উঠে আসে। এই দেখে টগরের বাবা খুব রেগে যায়, তিনি টগরকে বাড়ি থেকে দুদিনের মধ্যে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু টগর বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে অমাবস্যার রাত। অমাবস্যার রাতে সে বেরিয়ে পরবে নতুন ধর্ম প্রচার করার জন্য।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে টগর পদ্মের মাকে তাদের বাড়ির নকল কাগজ আর নামজারি তৈরি করে দিয়ে যায়। সেই নকল কাগজের কারণে ঝামেলা তৈরি হতে পারে বলে টগরের বাবা পদ্মদের বের করে দেয়ার জন্য কোন আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেনা। অন্যদিকে পদ্মের মা তালাবন্ধ একটি রুমের তালা ভেঙ্গে সেটিরও দখল নিয়ে নেন। বারান্দায় আলাদা করে নিজেদের জন্য একটা রান্নাঘরও তৈরা করে নেন। এমনকি টগরদের সেই নষ্ট গাড়িটিকে সারাতে নিয়ে যান।
এদিকে টগর তিন দিন পরেই ফিরে এলো, কারণ যেদিন সে বাড়ি ছেড়েছে তার আগের দিন ছিলো অমাবস্যা। এরমধ্যে নকল কাগজের বলে পদ্মের মা টগরদের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ পাঠালো। অন্যদিকে জানাগেলো বেশ কয়েক বছর আগেই পদ্মের বিয়ে হয়ে গেছে ট্রাক ডাইভার সালামতে সাথে। সালামতই তার পড়ার খরচ দিয়েছে, তার হাত খরচ দিয়েছে, এখন এসেছে নিয়ে যেতে।
হঠাৎ করেই টগরের মার ক্যান্সার ধরা পরে। চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাওয়ার টাকা জোগাড় করতে গাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে দেখা যায় গাড়িটিও পদ্মের মা তার নামে ভুয়া কাগজ করে নিয়ে নিয়েছে। শেষে টগরের বাবা গ্রামের পৈত্রিক বাড়ি বিক্রি করতে যান। বিক্রির পরের রাতেই সেই টাকা তার গলায় ছুড়ি ধরে ডাকাতরা নিয়ে যায়। খালি হাতে তিনি ফিরে আসেন।
এদিকে টগরদের কাজের মেয়ে রহিমার মা প্রেগনেন্ট হয়ে পরে আর ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। টগর তার লোকদের দিয়ে ড্রাইভারকে ধরিয়ে এনে রহিমার মা সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়।
মনজুর চাকরি হয় বনলতা রিসাস সেন্টারে, সেখানে পরিচয় হয় বনলতা নামের এক মেয়ের সাথে। মেয়েটি প্রায়ই আসে মনজুদের বাড়িতে।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভ্রমণ ছাড়া আরো কোন ঈদসংখ্যাই পড়ি না। তাই আমি পড়েছি বইতেই।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৫
শোভন শামস বলেছেন: সুন্দর প্রচেষ্টা, অল্প পরিসরে বই এর আনন্দ পাওয়া যায়। বই পড়ে সংক্ষেপে তা ডাইরিতে লিখে রাখলে পরে ভাল লাগে। ভ্রমন আমারও প্রিয় বিষয়।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার স্মরণশক্তি কম। তাই উপন্যাস পড়ার পরে তার সারসংক্ষেপ লিখে রাখি। যাতে পরে সেইটুকু পড়েই পূর্ণ উপন্যাসটা মনে করতে পারি।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯
দারাশিকো বলেছেন: আপনার এই বই সংক্ষেপ পোস্টগুলো খুব কাজের। আমার চোখে পড়লেই পড়ে দেখি।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালই লাগলো লেখাটা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো এক ঈদ সংখ্যাতে বইটা প্রথম পড়েছিলাম।