নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৬

বইয়ের নাম : আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : আদি ভৌতিক উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০০৩
প্রকাশক : অন্য প্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৫



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট

কাহিনী সংক্ষেপ :
ফখরুদ্দিন পাগলাটে মানুষ। তাদের বংশের মধ্যে পাগলের ইতিহাস আছে। তার দাদি পাগল হয়ে গিয়ে ছিল, তার বাবাও এক সময় পাগল হয়ে যায়। তাই তার স্ত্রী রূপার ধারনা সেও পাগল হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য তার মধ্যে পাগলামির অনেক লক্ষণ আছে। যেমন সে বাঁদরের সাথে কথা বলে, রাত দুপুরে একা ছাদে শুয়ে থাকে, উলটা পালটা এক্সপেরিমেন্ট করে। তার ধারনা তাদের বাড়িতে ভূত আছে, তিনি একদিন হঠাৎ করেই একটি মেয়ের কথা শুনতে পান। একা থাকেন বলেই এটা হচ্ছে মনে করে তিনি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তার মামা রূপার বড়বোনের সাথে বিয়ে ঠিক করলেন এবং মেয়ে দেখতে যাওয়ার দিনই এক প্রকার জোর করে বিয়ে করিয়ে ফেললেন। পরদিনই সেই বিয়ে ভেঙ্গে গেলো। কিছুদিন পরে আবার সমস্ত অনুষ্ঠানাদি করেই রূপার সাথে তার বিয়ে হল। যে সমস্যার কারণে বিয়ে সেই সমস্যার কিন্তু সমাধান হয় না। বিয়ের পরেও সে ভূত মেয়েটির কথা শুনতে পায়, মেয়েটি তার মান বলে কাসা।

এদিকে রূপার বাবা হঠাৎ করেই মারা য্ন। মৃত্যুর সময় রূপাসহ তারা তিন বোনই বাবার কাছে ছিল। মৃত্যুর ঠিক আগে আগে তিনি বাথরুমে যাওয়ার জন্য তার চটি জোড়া চাইলেন, কিন্তু তার মেয়েরা কোথাও সেই চটি খুঁজে পেলো না। চটি চটি করেই তিনি মারা গেলেন, আর তার তিন মেয়ে শুনতে পেলো কেযেন চটি পায়ে বাথরুমের হেঁটে যাচ্ছে। এই চটি পরা ভূতের ভয়ে তারা তিন বোন তাদের বাড়ি ছেড়ে রূপার স্বামী ফখরুদ্দিনের বাড়িতে আসতে বাধ্য হল।

ফখরুদ্দিন ভূতের ভয়ে অস্থির রূপার বড় বোনকে চোখে আলো ফেলে ভয় দেখাতে গিয়ে দেখা গেলো সে ভয় পেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে বড়বোন মারা যাওয়ার জন্য ছোট দুই বোন রূপা তার তার ছোট বোন ছোটন দুজনেরই মন খারাপ।। তারা সব সময়ই কান্নাকাটি করে। ফখরুদ্দিন নানা এলোমেলো কথা বলে এবং সে ছোটনকে ভালোবাসে ইত্যাদি কথা বলে ছোটনকে বিভ্রান্ত করে ফেলে। বিভ্রান্ত ছোটনকে সে ধীরে ধীরে কৌশলে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই ছোটন বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে।

ফখরুদ্দিনের মানুষিক রোগ আরো বাড়তে থাকে। এখন সে কাসাকে দেখতে পারে, পাশাপাশি শুয়ে থাকতে পারে। কখনো সে কাসাকে দেখে রূপার মত, আবার কখনো দেখে ছোটনের মত। অন্যদিকে রূপাও শোকে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। তাকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়ে দেয়। দুই বছর ধরে রূপা সেখানেই আছে। ফখরুদ্দিন প্রতি মাসে একবার রূপাকে দেখতে যায়। এখন ফখরুদ্দিন সারাদিন পাখি দেখে বেড়ায়, কারণ সে বাংলাদেশের পাখি নিয়ে একটা বই লিখবে। তার রাত কাটে কাসার সাথে কথা বলে। ভালই আছে সে।
----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঘটনাটা ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি, বিশেষ করে ১ম ও ৩য় প্যারাটা আবার একটু চেক করে দেখুন। লাস্টের প্যারাও এলোমেলো মনে হচ্ছে। মানসিক রোগ বেড়েছে ফখরুদ্দিনের, কিন্তু নার্সিং হোমে ভর্তি হলো রূপা!

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ১ম প্যারা :
ফখরুদ্দিন মানসিক রোগী। তার ধারনা হয় বিয়ে করলে সে ভালো হয়ে যাবে। তাই রূপাকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পরে তার রোগ না কমে আরো বাড়তে থাকে।

৩য় প্যারা :
ফখরুদ্দিন রূপার বড় বোনকে ভয় দেখা গিয়ে দেখে সে মরে গেছে। বড় বোন মারা যাওয়াতে ছোট দুই বোন কান্নাকাটি করে। ফখরুদ্দিন উলটাপালটা কথা বলে তার ছোট শালিকে আত্মহত্যায় প্ররচিত করে।

শেষ প্যারা :
ফখরুদ্দিনের রোগ আরো বাড়ে। অন্যদিকে রূপা তার বাবা-বোনদের মৃত্যুতে শোকে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। ফলে রূপাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়।

মূল কথা : ফখরুদ্দিনের মানসিক রোগী প্যারানরমাল বিষয়ক বলে সেটা কেউ ধরতে পারেনা।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এভাবে সুন্দর একটা গল্পের দফারফা না করে বইটি পড়তে বলা ভালো। রুপার বড়বোনের মৃত্যু যেভাবে লিখেছেন আসলে কি তেমন? রুপার নার্সিং হোমে ভর্তি হওয়ার প্রেক্ষাপট এবং অর্থটা একদম মাইর খেয়ে গেছে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কাহিনী সংক্ষেপ লেখার আগেই স্পয়লার সতর্কীকরণ দেয়া আছে।
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ফেই বইটা আমাকে ভূগিয়েছে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পড়ার সময় আমার ভয় লেগেছে।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগে পড়া হয়নি । এখন জানলাম।

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুযোগ হলে পড়ে নিয়েন, অন্য রকম ভয় জাগানো উপন্যাস।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: স্পয়লার এলার্ট মানে গল্পটা স্পয়ল করা হয়েছে এমন কিছু না! বরং গল্পের গোমর ফাঁস করে দেওয়াটা হচ্ছে স্পয়লার এলার্ট।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিতো গল্পের কোনো কিছুই পরিবর্তণ করি নাই!! শুধু সংক্ষেপ করেছি। আপনি বইটি আরেকবার পড়েন। যদি আমার ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমি শুধরে নিবো।
স্পয়লার কি জিনিস তা আমি জানি, জনি বলেই লিখেছি।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:০৫

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুন্দর একটা বই মনে হচ্ছে

ভালোলাগা রেখে গেলাম

০৬ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী, পড়ে দেখতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.