নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : আনন্দ বেদনার কাব্য
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : ছোটগল্প সংকলন
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০০৮
প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
আনন্দ বেদনার কাব্য একটি ছোট গল্পের ছোটগল্প সংকলন, মোট ৯টি ছোট গল্প স্থান পেয়েছে এখানে।
১ম গল্প : আনন্দ বেদনার কাব্য
“রিক্তশ্রী পৃথিবী” নামক একটি কাব্য গ্রন্থ পড়ার সময় লেখকের অনুভুতি প্রকাশ পেয়েছে গল্পে। ১১৩টি কাব্য ছিলো সেই গ্রন্থে। বইটির প্রচ্ছদ একেছে গ্রন্থাকারের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে। বইটি লেখার পাঁচ বছর পরে যখন বইটি ছাপা হয় তখন লেখকের সেই প্রচ্ছদ শিল্পী মেয়ে আর বেঁচে নেই।
২য় গল্প : এইসব দিন রাত্রি
একজন হতদরিদ্র স্কুল মাস্টা হঠাৎ করেই দুই টাকার লটারিতে দুই লাখ টাকা পেয়ে যান। একসময় তিনি তার মেয়ের চাওয়া এক হাজার টাকা দিতে পারেননি, এখন ছেলে তিনশ টাকা চাইছে, তিনি দিতে পারছেন না, কিন্তু পকেটা আছে দুই লাখ টাকার লটারির টিকেট।
৩য়গল্প : ঊনিশ শ একাত্তর
গ্রামে হঠাৎ করেই এসে পরে একদল পাকিস্তানি মিলিটারি, সবাই ভয়ে পালিয়ে যায় বনে। একটি পাগল কিন্তু পালায় না। পাগলকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে তারা সেখানে বিশ্রাম নিতে বসে। গ্রামের মুরব্বীদের অনুরোধে ভীতু এক প্রাইমারি মাস্টার দেখা করতা আসে মিলিটারির সাথে। তাকে চরম অপমান করা হয়। শেষে ভীতু সেই মাস্টার মিলিটারি অফিসারের মুখে থুতু ছিটিয়ে দিয়ে মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকেন।
৪থ গল্প : জল ছবি
জলিল সাহেব প্রতিদিনই ঠিক সময়ে অফিসে আসেন, কখনো দেরি হয় না। আজ অফিসে আসার সময় হঠাৎ জুতাটা ছিড়ে গেলো। সেটা ঠিক করতে দেরি হয়ে গেলো অফিসে আসতে। অফিসে এসে শুনলেন তাকে বড় সাহেব খুঁজেছেন। জলিল সাহেবের ইমিডিয়েট বস তাকে কোন কারণে অপছন্দ করেন, অকারণে তার খুঁত ধরেন। সারা দিন তিনি ভয়ে ভয়ে কাটালেন দুপুরের দিকে আবার তার ডাক পরলো বড় সাহেবের ঘরে। ভয়ে ভয়ে দেখা করতে গেলেন তিনি। তখন শুনলেন হেড অফিস তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে অফিসার পদে প্রোমশন দিয়েছে। খবরটা শুনে তিনি বিষয়টা ঠিক ধাতস্থ করতে পারলেন না।
৫ম গল্প : খেলা
নলিনী বাবু একটি স্কুলে ইংরেজী পড়ান তার বন্ধু জালাল সাহেবের পাল্লায় পরে দাবা খেলা শিখে ফেলেন। শিখেই তিনি তার বন্ধুকে খেলায় হারিয়ে দেন, একের পর এক কয়েকটি গেম খালা হলেও তিনি প্রতিটা খেলাতে জিতে যান। এরপর ১৫ বছর কেটে যায়, তিনি পনের বছরে কোন দাবা খেলায় হারেন নাই। সারা শহরে তার নাম ছড়িয়ে পরে। এমনকি শালির বাড়িতে বেড়াতে এসে বাংলাদেশের দাবা চ্যাম্পিয়ান তার সাথে দাবা খেলেন, নলিনী বাবু তাকে তিনবার হারান। নানান যায়গা থেকে অনেক লোক খেলতে এসে হেরেছেন। পনের বছরে দরিদ্র মাস্টার নলিনী বাবুর শরীর খুব খারাপ হয়ে পরলো। তখন তার রিটায়াটের সময় এলাকার চ্যারম্যান ঘোষণা দেন নলীনি বাবুকে যে হারাতে পারবে তাকে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার দিবেন। নলিনী বাবুর চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। তাই তখন ঠিক করা হয় তিনি জীবনে প্রথমবার হারবেন তার বন্ধু জালাল সাহেবের কাছে। জেতার পনের হাজার টাকা দিয়ে তার চিকিৎসা করা হবে। কিন্তু তিনি চেষ্টা করেও জীবনের শেষ খেলায় হারতে পারেন না। ঠিকই জিতে গেলেন।
৬ষ্ঠ গল্প : শিকার
আজরফ বক শিকার করে। তার বাবাও বক শিকার করতো। প্রথমে ছোট একটা বকের ছানা এনে পেলে পুষে সেটাকে বড় করে, তার পর সেই বককে দিয়ে মাচা বানিয়ে সেখানে বসিয়ের রেখে নিজে মাচার নিচে বসে থেকে ফাঁদ পাতে। পোষা বকের ডাকে যখন অন্য কোন বক সেই মাচায় এসে বসে তখন নিচ থেকে সেই বকের পা ধরে টানদিয়ে নিচে নামিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু কখনো কখনো বকেরা শিকারির চোখে ঠোকর দিয়ে তাকে অন্ধ করে দেয়ে। আজরফের বাবারও দুটি চোখই এভাবে নষ্ট হয়েছে, এবার ওর নিজের পালা।
৭ম গল্প : পাখির পালক
একজন বেকার যুবকের সারাদিনের এলোমেলো উদ্দেশ্যহীন কিছু কমকান্ডের কথা বলা হয়েছে এই গল্পে।
৮ম গল্প : অসুখ
একজন অপ্রকৃতস্থ মা যার ছেলে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছে। হানাদারবাহিনীর হাতে ধরা পরলে তাকে মাঠের মাঝে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিলো। এই কথা মনে হলেই মা আরো অপ্রকৃতস্থ হয়ে যান। তাই যুদ্ধে ছেলের সাথে থাকা বন্ধু মাঝে মাঝে এসে বলে যায় তার ছেলেকে জবাই করা হয়নি, তার পেটে গুলি লেগে মারা যায়। এ কথা শুনে মা কিছু দিনের জন্য শান্ত হয়।
৯ম গল্প : কবি
মা হারা অসুস্থ এক ছোট্ট মেয়ে আর তার কবি বাবা, বৃষ্টির রাতে লিখে চলে চোখে জল নিয়ে নতুন কোন কবিতা।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
১৯৭১ - হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর - হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় - হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প - হুমায়ূন আহমেদ
অনিল বাগচীর একদিন - হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ - হুমায়ূন আহমেদ
অন্যদিন - হুমায়ূন আহমেদ
অন্যভুবন - হুমায়ূন আহমেদ
অন্ধকারের গান - হুমায়ূন আহমেদ
অনন্ত নক্ষত্র বীথি - হুমায়ূন আহমেদ
অপেক্ষা - হুমায়ূন আহমেদ
অপরাহ্ন - হুমায়ূন আহমেদ
অমানুষ - হুমায়ূন আহমেদ
অরণ্য - হুমায়ূন আহমেদ
অঁহক - হুমায়ূন আহমেদ
আকাশ জোড়া মেঘ - হুমায়ূন আহমেদ
আগুনের পরশমণি - হুমায়ূন আহমেদ
আঙুল কাটা জগলু - হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না - হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে - হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ - হুমায়ূন আহমেদ
আজ হিমুর বিয়ে - হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন - হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন - হুমায়ূন আহমেদ
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: পড়েছি। বইটা হাতের কাছে পেলে আরেকবার পড়বো।