নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পায়রা
ঝিনেদার জমিদার কালাচাঁদ রায়রা
সে-বছর পুষেছিল একপাল পায়রা।
বড়োবাবু খাটিয়াতে বসে বসে পান খায়,
পায়রা আঙিনা জুড়ে খুঁটে খুঁটে ধান খায়।
হাঁসগুলো জলে চলে আঁকাবাঁকা রকমে,
পায়রা জমায় সভা বক্-বক্ -বকমে।
----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের -----
পায়রা হচ্ছে গৃহী পাখি, স্বেচ্ছায় মায়ার বধনে ধরা দেয়। পায়রা পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি। একে কবুতর, কপোত, পারাবত ইত্যাদি নামে আমরা ডাকি।
ইংরেজীতে এদের Domestic pigeon বলে, আর বৈজ্ঞানিক নাম Columba livia domestica। বা Columba domestica।. গৃহপালিত কবুতরের উদ্ভব বুনো কবুতর Columba livia থেকে।
পৃথিবীতে প্রায় ২০০ জাতের কবুতর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রায় ৩০ প্রকার কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশে কবুতরের জাতের মধ্যে গিরিবাজ, গোল্লা সবচেয়ে কমন। বাংলাদেশের সর্বত্র কবুতর পাওয়া যায়। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
প্রাচীন কালে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করা হত। কবুতর ওড়ানোর প্রতিযোগিতা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আছে। কিন্তু বর্তমানে এটা পরিবারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
মাদী কবুতরের বয়স ৫ থেকে ৬ মাস হলে দু'টি ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর থেকে মর্দা ও মাদী উভয় কবুতর পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দিতে শুরু করে। সাধারণত ডিম পাড়ার ১৭-১৮ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এভাবে একজোড়া কবুতর সাধারণত ১২ মাসে ১০-১২ জোড়া বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে। বাচ্চার বয়স ২৬ থেকে ২৮ দিন হলে বাচ্চা পূর্ণতা লাভ করে এবং মানুষের খাবার উপযুক্ত হয়। এ সময় বাচ্চা সরিয়ে ফেললে মা কবুতর নতুন করে ডিম দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
ছবি তোলার স্থান : উত্তর বাড্ডা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২০১৭ ইং
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
পাক-পাখালি - ০১
পাক-পাখালি - ০২
পাক-পাখালি - ০৩
পাক-পাখালি - ০৪
পাক-পাখালি - ০৫ : পায়রা
পাক-পাখালি - ০৬
পাক-পাখালি - ০৭ : চড়াই
পাক-পাখালি - ০৮ : ফিঙ্গে
পাক-পাখালি - ০৯ : সবুজ বাঁশপাতি
পাক-পাখালি - ১০ : চড়াই
পাক-পাখালি - ১১ : বন বাটান
পাক-পাখালি - ১২
পাক-পাখালি - ১৩
পাক-পাখালি - ১৪
পাক-পাখালি - ১৫ : পায়রা
পাক-পাখালি - ১৬ : চড়াই
পাক-পাখালি - ১৭ : গাংচিল
পাক-পাখালি - ১৮ : সাদা ময়ূর
পাক-পাখালি - ১৯
পাক-পাখালি - ২০ : কাক
পাক-পাখালি - ২১
=================================================================
২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া
২| ২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর ছবি
২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০২
সাইন বোর্ড বলেছেন: সাভারের নামা বাজার এবং হেমায়েত পুরে পায়রার হাট বসে, অনেক প্রজাতির পায়রা ওখানে দেখতে পাওয়া যায়, মুগ্ধ গওয়ার মত ।
ভাল লাগল আপনার এ আয়োজন ।
২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মিরপুর আর টঙ্গীতেও বসে হাট। সেখানেও প্রচুর পায়রা পাওয়া যায়। কিছু কিছু পায়রা আছে ভাই মুরগির সমন বড়। কিছু লম্বা গলার, কোনটার ঠোট ছোট, কোনটার মাথা ছোট। !!!
৪| ২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০২
ডি মুন বলেছেন:
দারুণ ছবি।
কবুতর পালনের প্রতি আগ্রহ আছে আমার।
শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ার পর কৃষি প্রজেক্টে এটা অন্তর্ভুক্ত করবো।
২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিও পালবো গ্রামে একটা বাড়ি করতে পারলেই।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: কবুতর আমার খুব পছন্দ। আপনি কি কবুতর পালেন?
ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।
২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: না আমি কবুতর পালি না। আসলে যায়গা নেই। জয়দেপুরের গ্রামে জমি কিনেছি, সেখানে বাড়ি করতে পারলে পালবো। তবে এখন বাসায় বাড়ান্দায় ঘুঘু পালি। কোকাটেল, ডায়মন্ড ডাব আর বাজরি আছে। লাভ বাড ছিলো, উড়ে গেছে। কবুতর এনেছিলাম, অনেক বেশী গন্ধ হয় বলে বেচে দিয়েছি।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বৃষ্টিতে ভিজলে ঠাণ্ডা লাগে না এদের?
২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বৃষ্টি হলে খুব আয়েশ করেই ভিজতো এরা।
অতীত কাল, ভিজতো বললা।
এদের বাড়ি যেখানে ছিলো (ঠিক আমার সামনের বাড়ি) সেখানে আজ থেকে পাইলিং শুরু হয়েছে। ৯ তালা ভবন হবে।
৭| ২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
ইসিয়াক বলেছেন: খুব সুন্দর।
২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া
৮| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
কবুতর খাওয়া? মনে হয়, ইহা অপ্রয়োজনীয় কাজ।
২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কবুতরের বাচ্চার মাংস কিন্তু বেশ খেতে। এবং রোগী পথ্যও বলা চলে।
দ্বিতীয় কথা, কবুতরের যে বাচ্চা গুলি খাওয়া হয় সেই কবুতর গুলি পালাই হয় খাদ্য হিসেবে। যেমন পালা হয় মুরগি, টার্কি, কোয়েল, হাস ইত্যাদি।
৯| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: ছবিগুলো কি আপনি তুলেছেন? দু-খানা ছবি সেই রকম হয়েছে। পোস্ট পড়ে ভাল লাগল
২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী ছবিগুলি আমিই তুলেছি। সাধারণত অন্যের ছবি আমি ব্যবহার করি না, করলেও তা উল্লেখ থাকে।
মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: একদিন সকালে হাটতে হাটতে পায়রার হাটে গেলাম।এক জোড়া কবুতরের দাম জানতে চাইলাম।দাম চাইল তিন লাখ টাকা।তখন ভাবলাম বাংলাদেশ আসলেই অনেক উন্নত হয়ে গেছে।
২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুনেছি বাংলাদেশ সর্বচ্চো ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা দাম আছে এক জোড়া কবুতরের!!
এইগুলা দিয়া করে? কি খাওয়ায়?
১১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩০
মা.হাসান বলেছেন: এদের বাড়ি যেখানে ছিলো (ঠিক আমার সামনের বাড়ি) সেখানে আজ থেকে পাইলিং শুরু হয়েছে। ৯ তালা ভবন হবে।
সব জায়গায় এই অবস্থা। আগে গেরস্থের ঘরে মুরগির মতো পালতে দেখেছি। এখন আমাদের গোটা গ্রামে একটা বাড়িতেও নেই, তবে বানিজ্যিক চাষ আছে।
আমার বন্ধুর বাড়িতে দেখেছি, গিরিবাজ, হাত তালি দিলে আকাশে ডিগবাজি খায়। তবে তার আগে ধরে ডানা গুলো কেমন যেন ভাজ করে দিতে হয়। আমি নিশ্চিত না, আমার কাছে মনে হয়েছে এটাতে কবুতরদের ব্যথা লাগার কথা।
সবাই বৃষ্টিতে ভিজছে, মন খারাপ করা কান্ড। বাক বাকুম করা জুটির ছবি নেই?
পোস্টে +
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আগে গ্রামের দিকে প্রতি বাড়িতেই কবুতরের খোপ বেধে রাখতো। কোনো যত্ন নিতে হতো না, খাবার দিতে হতো না। নিজেরা জোগাড় করে নিতো সব। এখন আর তা দেখা যায় না।
বাক বাকুম করা জুটির ছবি আপাততো নেই।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ মা.হাসান ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ