নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধকারের গান – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৩

বইয়ের নাম : অন্ধকারের গান
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস


সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট

কাহিনী সংক্ষেপ :
বুলুর বাবা মিজান সাহেব সস্তায় ওদের বাড়িটি কিনে ছিলেন ২৪ বছর আগে। বুলুদের এই বাড়ির পিছন দিকে একটা কুয়া আছে। প্রথম যে দিন বুলুরা এই বাড়িতে আসেন সেদিনই সন্ধ্যার সময় বুলুর মা কুয়ার পাশে ঘোমটা দেয়া একটা মেয়েকে দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠেন। সেদিনের পরে এই বাড়িতে ২৪ বছর পেরিয়ে গেছে, এর মধ্যে সেই ঘোমটা পরা মেয়েটিকে তিনি বেশ কেয়েকবার দেখেছেন, কিন্তু কাউকে কিছু বলেন নি। অন্য দিকে মিজান সাহেব মাঝে মাঝে কুয়ার ভেতরে কলকল শব্দ শোনেন, তিনিও কাউকে কিছু বলেন না।

বুলুর ছোট বোন বীণা। বুলু আর বীণার বি.এ. রেজাল্ট বেরিয়েছে। বীণা মেধা তালিকায় স্থান পায়।

অন্যদিকে বুলু তৃতীয় বারের মত পরীক্ষা দিয়েও ফেল করে এবং বাড়ি থেকে পালায়।

পরীক্ষার রেজাল্ট জানাতে বীণা তার কলেজ লাইফের খেপাটে বান্ধুবী অলিকের বাসায় যায়। অনেকদিন পর তাদের দেখা হয়, এর মধ্যে অলিকের মা চামরার এক রেয়ার ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

মিজান সাহেব যেখানে চাকরি করেন তার মালিক গনি সাহেব, খুবই ভালো মানুষ। কাউকেই তিনি কখনো ধমক দিয়ে কথা বলেন না, বরং হাসি মুখেই কথা বলেন। তবুও সবাই তাকে বাঘের মত ভয় পায়। বুলু বি.এ. ফেল করে বাড়িতে ফিরেনি শুনে গনি সাহেব বুলুর চাকুরির ব্যবস্থা করে দিবেন জানান। ২৮ দিন পরে এক দুপুরে বুলু পায়ে কাটা ফুটিয়ে খুরিয়ে খুরিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।

গনি সাহেবের ৩ মেয়েরই বিয়ে হয়ে গেছে। আর সবচেয়ে ছোট ১১ বছরের ছেলে বাবু। বাবু মানুষীক ভারসাম্যহীন বাচ্চা। গনি সাহেবের মেয়ে আর জামাইরা অপেক্ষায় আছে তার সম্পত্তি ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।

অলিকের মা যে চর্ম রোগের কারণে মারা গেছেন সেই একই রকম দাগ অলিকের শরীরেও দেখা দিয়েছে। অলিক বীণাদের বাড়িতে যাবার জন্য বের হয় কিন্তু ঠিকানা মনে নেই। দোকানে বুলুদের ঠিকানা জিজ্ঞাসা করতে করতে এগুতে থাকে। তখন বুলু এসে জানায় যে সে বীণার ভাই। বুলু তাকে বাসায় নিয়ে যায়।

এদিকে বুলুর পায়ে যে কাটা বিঁধে ছিলো সেটার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। তার পা নীল হয়ে ফুলে গেছে, গায়ে প্রচন্ড জ্বর। শেষে অবস্থা এমন হলো যে বুলুর মুখ দিয়ে লালা বেরতে শুরু করল। বীণা বুলুকে নিয়ে হাসপাতালে গেলো, কিন্তু ভর্তী করাতে পারল না, কোন সিট নেই। অলিকের বাবা বড় সচিব, তাই বীণা ফোন করলো অলিককে। অলিক তার বাবাকে বলে এক ঘন্টার মধ্যে ভর্তী আর চিকিৎসা শুরুর ব্যবস্থা করলো। অনেক দিন হাসপাতালে থেকে ৩টি অপারেশন হওয়ার পরেও বুলুর পা ঠিক হলো না, শেষ চেষ্টা হিসেবে বুলুর পা কেটে বাদ দেয়ার জন্য অপারেশন করা হলো। কিন্তু বুলুর আর জ্ঞান ফিরে এলো না, অজ্ঞান অবস্থায় বুলু মারা গেলো।

মিজান সাহেবের অফিসের ফাইলে কিছু গরমিল ধরা পরে যা তিনি সমাধান করতে পারেন না। দিনদিন তার টেনশন বাড়তে থাকে। এদিকে গনি সাহেব মিজান সাহেবকে ইংগিত দিয়ে ছিলো একাউন্ট ডিপাটমেন্টের রহমান টাকা সরিয়েছে বলে ফাইলে গরমিল হচ্ছে। কিন্তু মিজান সাহেবের সেটা বিশ্বস হয় না। মিজান সাহেব প্রতিদিনই চেষ্টা করে যাচ্ছেন হিসাব মিলাতে কিন্তু পারছেন না। তিনি হিসাব মিলাতা পারছেন না কারণ গনি সাহেব ইচ্ছে করেই এই গরমিল করে রেখেছেন। হিসাবে আসলে কোন গোলমাল নেই। কমচারিরা যেনো চাপের মধ্যে থাকে তাই তিনি ইচ্ছে করে এই ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু মিজান সাহেব আর এই চাপ নিতে পারে না, তিনি রেজিকনেশান লেটার লিখে অফিসে রেখে বেরিয়ে যান। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত তার চাকরি ছাড়া হয় না। বুলু মারা যাওয়ার পরে তার সভাব চরিত্র অনেকটা চেঞ্জ হয়ে যায়।

বীণার বিয়ের কথা হচ্ছিল, বুলু মারা যাওয়ার পরে সেটা ভেঙ্গে যায়। অলিক চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়। সেখান থেকে সে চিঠি লিখে যানায় যে তার চর্ম রোগটি ডাক্তাররা ধরতে পেরেছেন। এখন অনেকটা ভালোর দিকে।

----- সমাপ্ত -----

=======================================================================
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
১৯৭১ - হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর - হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় - হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প - হুমায়ূন আহমেদ
অনিল বাগচীর একদিন - হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ - হুমায়ূন আহমেদ
অন্যদিন - হুমায়ূন আহমেদ
অন্যভুবন - হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না - হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে - হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ - হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন - হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন - হুমায়ূন আহমেদ

ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

ইসিয়াক বলেছেন:

কেন জানি অন্ধকারের গান উপন্যাসটি আমার খুব প্রিয় একটি উপন্যাস। প্রথমে একটা পত্রিকায় পড়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিলো, তখন যে উপন্যাস বা বই ধরতাম তা একবারেই পড়ে উঠতাম। এমনও হয়েছে সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা হয়ে গেছে,তার মধ্যে মা এসে খাইয়ে দিয়ে গেছে। সেবা প্রকাশনির বইগুলো আমাদের বাড়ির পাশের একজনের কাছ থেকে নিয়ে পড়তাম। শর্ত ছিলো সময় বেঁধে দিতো এই সময়ের মধ্যে বই ফেরত দিয়ে যেতে হবে।কথার বরখেলাপ হলে পরবর্তীতে আর বই দেবে না। আমি সময় দেখতাম আর বই পড়তাম।এবং নির্দিষ্ট সময়ে বই ফেরত দিতাম।

১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বই পড়ে ফেরত দেয়া খুবই ভালো অভ্যাস। যদিও আমি অন্যের বই এনে খুব একটা পড়িনি। তবে আমার বই নানান জনে নিয়ে পড়েছে এবং অনেকেই ফেরত দেয়নি। একজনতো একটা সিরিজের অনেকগুলি বই রেখে দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের বই যেই দেখেছে সেই নিয়েছে, তার কাছ থেকে আবার অন্যজন নিয়েছে। তারপর পাখা গজিয়ে উড়ে গেছে।
অনেক সময় নিজের বই দেখেছি অন্যের মালিকানায়।

আমি একটানা বই পড়ে শেষ করেছি খুবই কম। এর মধ্যে যেটার কথা আলাদা করে বলা যায় সেটা হচ্ছে "আট কুঠুরি নয় দরজা"।
হুমায়ূন আহমেদের অনেক বই একটানা শেষ করেছি। কারণ উনার বই বেশীর ভাগই ছোট ছোট। আর শেষ করেছি মোহাম্মদ জাফর ইকবালের অনেক সাইন্স ফিকশন বই।
আমি আবার সাইন্স ফিকশন খুব পছন্দ করি।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

ইসিয়াক বলেছেন:


তাহলে খুলেই বলি বেশির ভাগ বই আমার মা কিনতেন । তিনি অসম্ভব পড়ুয়া ছিলেন। আমাদের বাড়িতে কয়েক হাজার বই ছিলো আর পত্রিকার তো কুল ছিলো না।
আর যার কাছ থেকে সেবার বই নিয়ে আসতাম সে ছিলো আমার সহপাঠি ও খেলার সাথি ।তার সাথে বই নেয়ার অযুহাতে দেখা হতো ,কথা হতো, এরকম একটা ব্যপার ছিলো । ভালো লাগতো আর কি। প্রেম ট্রেম না, গল্প করতে, তোয়াজ করতে, কেন জানি ভালো লাগতো।যদিও সেবার বইগুলো পড়ার পর ভালো লাগলে দোকান থেকে সপ্তাহ শেষে বইয়ের দোকান থেকে কিনে সংগ্রহ করে রাখতাম। আর সত্যি কথা বলেছেন বই পড়তে ধার নিলে বেশির ভাগ মানুষ ফেরত দেয় না। যদিও দেয় তখন বইয়ের হাল দেখলে মাথা গরম হয়ে যায়।

১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ফেরত পাওয়া বইয়ের হাল আসলেই বেহাল হয়ে যায়। তবে ব্যাতিক্রম অবশ্যই আছে।
সেবা তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা এবং অনুবাদ পড়ি। সংগ্রহেও আছে।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এমন একটি সময় ছিল যখন সারা রাত জেগে হারিকেনের
আলোতে পুরা একটি উপন্যাসই পাঠ করে ফেলতাম ।
এখন উপন্যাস রিভিউ পাঠই ভাল লাগে।
যাহোক, এই সংক্ষিপ্ত সুন্দর লেখাটি
পাঠে ভাল লাগল।

শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হারিকেনের আলোতে পড়া হয়নি। তবে রাত জেগে অনেক বই পড়েছি।
আপনার পাঠ অভিজ্ঞতা অভিভূত করলো।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: অন্ধকারের গান বইটা কয়েকদিন আগেই শেষ করেছি। সামান্য পায়ে কাটা ফুটে তার পর পা টাই ফেলে দিতে হয়। এদিকে পরীক্ষায় ফেল করে বাসা থেকে পালায়। খুব ছোট একটা বই। কিন্তু বইটা আমাকে ভিষন বিষন্ন করে দিয়েছে।

১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কাহিনীটা এমন - মনে হচ্ছে সব কিছু ঠিক হয়ে যাচ্ছে, সামনে সব কিছু উজ্জ্বল, কিন্তু হয়ে উঠে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.