নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইয়ের নাম : অন্যদিন
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে। যেহেতু আমার কাহিনী সংক্ষেপ স্পয়লার দোষে দুষ্ট হয়, তাই আমি সবসময় অনেক দিনের পুরনো বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপ লিখি।
=======================================================================
কাহিনী সংক্ষেপ :
নীলগঞ্জ থেকে রঞ্জু এসেছে ঢাকায় তার বন্ধু শফিকের কাছে। রঞ্জুর গ্রামের বাড়িতে আছে অতি দরিদ্র বেকার বাবা, মা আর দুই ভাই বোন আনজু ও পারুল। রঞ্জু অনেক কষ্টে শফিকের মেস খুঁজে বের করে এসে দেখে শফিক নেই। তার পাশের রুমের জ্যোতিষী নিশানাথ বাবু বললেন সারা দিন রঞ্জুর জন্য অপেক্ষা করে কিছুক্ষণ আগে শফিক বেরিয়ে গেছে। নিশানাথ বাবুর ঘরেই রঞ্জু শফিকের ফেরার অপেক্ষা করতে লাগলো।
রাতে শফিক ফিরে রঞ্জুকে তার ঘরে নিয়ে গেলো। পরদিন সকালে মেসের ম্যানেজার রশীদ মিয়ার কাছে রঞ্জুর নাম লিখিয়ে আসলো নতুন মেম্বার হিসেবে। শফিক আর রঞ্জু এক সাথে পড়তো। শফিত পাটটাই চাকরি আর টিউশানির পরে সময় পায়না বলে এবছর ইউনিভার্সিটিতে পড়া ছেড়ে দিয়েছে ।
রঞ্জুদের আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ। পয়সার অভাবে গত তিনটি বছর রঞ্জুর পড়াশুনা বন্ধ ছিল, ছোট বোন পারুলের স্কুলের বেতন দিতে পারছেনা। জমি থেকে সামান্য কিছু আসে। মামারা কিছু দেয়, তাই দিয়ে সংসার চলে।
শফিক রঞ্জুর কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করলো, তার জন্য একটা টিউশানির ব্যবস্থা করলো। দেখতে দেখতে ৫/৬ মাস কেটে গেল। রঞ্জু লক্ষ্য করেছে শফিকের রাতে ঘুম হয় না, ছটফট করে, অনেক রাতে উঠে চা বানিয়ে খায়। শরীর ভেঙ্গে যাচ্ছে, চোখের নিচে কালি।
এদিকে বাড়ি থেকে মার চিঠিতে রঞ্জু জানতে পারে তার বাবার মাথায় সামান্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক শীতের দিনে হঠাৎ করেই তিনি এসে হাজির হন মেসে, রঞ্জু জানতে পারে তার বোনটি নেত্রকোনায় কোন এক ছেলেকে বিয়ে করে চলে গেছে। এদিকে মেসের সবার সাথে খুব খাতির হয়ে যায় রঞ্জুর বাবার। তিনি মেসের এক বোডারের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে চলে যান, সেখানে তার ছোট বনের সাথে শফিকের বিয়েও ঠিক করে আসেন।
রঞ্জু তার পুরনো টিউশানি ছেড়ে দিয়ে নতুন আরেকটি টিউশানি নিয়েছে, শেলী নামের নাইনে পড়ুয়া লাজুক একটি মেয়েকে সে পড়ায়। রঞ্জুর কলেজের বেতন মৌকুফ হয়ে গেছে তাই হাতে কিছু টাকাও থাকে। অন্যদিকে শফিকের চাকরিটা চলে যায়, ফুটপাতে কাপর বেচার একটা ব্যবসা শুরুকরে ধরা খায়, তার শরীর আরও ভেঙ্গে যায়, প্রায় প্রতি রাতেই জ্বর আসে।
অন্য দিকে জ্যোতিষী নিশানাথ বাবুর দিনকাল খুব খারাপ হয়ে পরে, তিনি কয়েক মাসের ভাড়া দিতে পারেন না। একদিন দুপুরে তিনি মেস ছেড়ে চলে যান, তার পরপরই চলে যান মেসের সবচেয়ে বৃদ্ধ মেম্বার। অফিস থেকে কোয়াটার পেয়ে চলে যান আরো একজন মেম্বার।
তিলে তিলে জমানো অল্প কিছু টাকা নিয়ে শফিক প্রস্তুত হয় চায়ের দোকান দেয়ার জন্য। একদিন নিশানাথ বাবু ফিরে আসেন ওদের সাথে দেখা করে বিদায় নিয়ে যেতে, তিনি চলে যাবেন মেঘালয়। রঞ্জুও উঠে যাবে তার ছাত্রী শেলীদের বাড়িতে। এভাবেই খালি হতে থাকে শফিকদের মেস বাড়িটি।
এপিগ্রাম:
১। দূর্লভ জিনিস পেতে কষ্ট পেতেই হয়।
২। সুখী হবার অভূত ক্ষমতা আছে মানুষে। অতি সামান্য জিনিসও মানুষকে অভিভূত করে ফেলতে পারে।
৩। সান্ত্বনার কথা বলা খুব কঠিন, সবাই বলতে পারে না, সান্ত্বনার কথা বলতে হলে খুব হৃদয়বান লোক হতে হয়।
৪। একজন সফল মানুষের মুখে তার দুর্ভাগ্যের দিনের কথা শুনতে ভালোই লাগে।
==================================================================
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
১৯৭১ - হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর - হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় - হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প - হুমায়ূন আহমেদ
অনিল বাগচীর একদিন - হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ - হুমায়ূন আহমেদ
অন্যদিন - হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না - হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে - হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ - হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন - হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন - হুমায়ূন আহমেদ
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ নুর ভাই মতামতের জন্য।
২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই লেখা পড়ার পর বইটা পড়লেতো পাঠক মজা পাবে না। আমি কখনও বইয়ের শেষে কি আছে দেখি না পুরোটা না পড়া পর্যন্ত।
১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সরি সাড়ে চুয়াত্তর ভাই। কোনো ভাবে স্পয়লার সতর্কতাটা মিস হয়ে গেছিলো। ঠিক করে দিয়েছি।
পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে। যেহেতু আমার কাহিনী সংক্ষেপ স্পয়লার দোষে দুষ্ট হয়, তাই আমি সবসময় অনেক দিনের পুরনো বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপ লিখি।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০০
আকিব ইজাজ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। গল্পটা অনেক আগে পড়েছিলাম, আপনার কাহিনী সংক্ষেপ পড়ে আবারও গল্পটা মনে পড়ে গেলো। পাশাপাশি গল্প পড়ে আপনার অনুধাবন করা কথা গুলোও ভালো লাগলো।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ; আপনাকে আকিব ইজাজ লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আচ্ছা এখন হুমায়ুন আহমেদ এর মত এত জন প্রিয় লেখক আছে কিনা
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নেই, আবার কখনো কেউ হতে পারবেকিনা কে জানে।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০
মিরোরডডল বলেছেন:
গল্পটা পড়েছিলাম । বইটা আছে এখনও । মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের এরকম লেখাগুলো সবগুলোই ভালোলাগার ।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের লেখার একটা বিরাট অংশ জুড়ে আছে মধ্যবিত্তের চিত্র।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো পোষ্ট টী।