নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন স্থাপত্য দেখার আলাদাটা একটা আকর্ষণ আছে। আমি মাঝে মাঝেই সুযোগ হলে তাদের দেখতে বেরহই। প্রাচীন স্থাপত্য গুলির মধ্যে মঠ বা স্মৃতি-মন্দির খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রাচীন মঠ বা স্মৃতি-মন্দিরগুলি আমাদের দেশের ইতিহাসেরই অংশ। আজ আমার দেখা ৫টি প্রচীন মঠ বা স্মৃতি-মন্দির ছবি এখানে রইলো। প্রতি পর্বেই আমার দেখা ও ছবি তোলা ৫টি করে প্রাচীন মঠ বা স্মৃতি-মন্দিরের ছবি ও সামান্য তথ্য উপস্থাপন করবো। এখানে প্রাচীন বলতে পুরনো আর মঠ বলতে স্মৃতি-মন্দিরকে বুঝানো হয়েছে।
০০১ : সোনারং জোড়া মঠ
সোনারং জোড়া মঠ বাংলাদেশের অষ্টাদশ শতাব্দীর এই প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। এটি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে অবস্থিত। কথিত ইতিহাসে জোড়া মঠ হিসাবে পরিচিত লাভ করলেও মুলত এটি জোড়া মন্দির। মন্দিরের একটি প্রস্তর লিপি থেকে জানা যায় এলাকার রূপচন্দ্র নামে হিন্দু লোক বড় কালীমন্দিরটি ১৮৪৩ সালে ও ছোট মন্দিরটি ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন। ছোট মন্দিরটি মুলত শিবমন্দির। বড় মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১৫ মিটার। প্রায় ২৪১ ফুট উঁচু এই মঠ দিল্লীর কুতুব মিনারের চেয়েও পাঁচ ফুট উঁচু। তাই এটি ভারত উপমহাদেশের সর্বোচ্চ মঠ।
- উইকিপিডিয়া।
ছবি তোলার স্থান : সোনারং গ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°31'20.8"N 90°27'33.1"E
ছবি তোলার তারিখ : ২৯-১২-২০১৭ইং
০০২ : পালপাড়া মঠ
আড়াইহাজার উপজেলায় থানার কাছাকাছি উত্তর পাশে পালপাড়া গ্রামের মধ্যে এই মঠটি অবস্থিত। মাটি থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১২০ ফিট। এর নির্মাণকাল ১৩২২ সনের ১৫ই ফাল্গুন। নিমার্তা সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না। এই মঠের সামনের দিকে একটি পুকুর আছে যার পাশে এর নির্মাণকালের একটি ফলক রয়েছে।
ছবি তোলার স্থান : পালপাড়া গ্রাম, আড়াইহাজার, নারায়নগঞ্জ।
GPS coordinates : 23°47'08.3"N 90°39'25.8"E
ছবি তোলার তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং
০০৩ : সেনপাড়া মঠ
ছবি তোলার স্থান : সেনপাড়া, বারদি, নারায়নগঞ্জ।
GPS coordinates : 23°41'57.3"N 90°38'07.2"E
ছবি তোলার তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং
০০৪ : আমিনপুর মঠ
ছবি তোলার স্থান : পানাম নগর, সোনারগাঁ, নারায়নগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°39'25.9"N 90°36'11.3"E
ছবি তোলার তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং
০০৫ : লোহাগড়া মঠ
ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে ‘লোহাগড়া’ গ্রামের মঠটি কিংবদন্তীর সাক্ষী হিসেবে এখনো দন্ডায়মান। পরম প্রতাপশালী জমিদার পরিবারের দু’ভাই ‘লোহা’ ও গহড়’ এতোই প্রভাবশালী ছিলো যে, এরা যখন যা ইচ্ছা তা-ই করতেন এবং তা প্রতিফলিত করে আনন্দ অনুভব করতেন। এই দুই ভাইয়ের নামানুসারে গ্রামের নাম রাখা হয় ‘লোহাগড়’।
ডাকাতিয়া নদীর কূলে তাদের বাড়ির অবস্থানের নির্দেশিকা স্বরূপ সুউচ্চ মঠটি নির্মাণ করেন। তাদের আর্থিক প্রতিপত্তির নিদর্শন স্বরূপ মঠের শিখরে একটি স্বর্ণদন্ড স্থাপন করেন। এই স্বর্ণদন্ডের লোভে মঠের শিখরে ওঠার প্রচেষ্টায় কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছেন বলে শোনা যায়। এই বৃহৎ স্বর্ণদন্ডটি পরবর্তীকালে ঝড়-তুফানে মঠ শিখর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীতে পড়ে যায় এবং নদী তটের জমি চাষ করার সময় একজন কৃষক পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। লোকমুখে শোনা যায়, এই স্বর্ণদন্ডটি প্রায় আড়াই মণ ওজনের ছিলো।
মঠটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে দুই ভাইয়ের দোর্দন্ড প্রতাপের নীরব সাক্ষী হয়ে। প্রায় ২০০ বছরের পুরানো লোহাগড়ের মঠটি অত্যাচারী জমিদারদের অত্যাচারের নীরব সাক্ষী হিসেবে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
সূত্র - বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
ছবি তোলার স্থান : লোহাগড়া, চাঁদপুর, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°11'23.0"N 90°43'35.7"E
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০১/২০১৭ ইং
=================================================================
আরো দেখুন -
হেরিটেজ ট্যুর ২৫ : আড়াইহাজার - সোনারগাঁও
হেরিটেজ ট্যুর ২৬ : মানিকগঞ্জ - নাগরপুর
হেরিটেজ ট্যুর ২৮ : চাঁদপুর
হেরিটেজ ট্যুর ২৯ : নরসিংদী - কিশোরগঞ্জ
হেরিটেজ ট্যুর ৩১ : নরসিংদী - গাজীপুর
হেরিটেজ ট্যুর ৬৫ : নারায়ণগঞ্জ - মুন্সিগঞ্জ
=================================================================
মসজিদ দর্শন : ০১ : মহজমপুর শাহী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০২ : ষাট গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৩ : বিবি বেগনী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৪ : চুনাখোলা মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৫ : নয় গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৬ : জিন্দা পীর মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৭ : সিঙ্গাইর মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৮ : গোয়ালদি মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৯ : আবদুল হামিদ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ১০ : পুরান বাজার জামে মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ১১ : হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ১ম পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ২য় পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ৩য় পর্ব
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০১
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০২
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৩
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৪
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৫
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৬
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৭
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০১
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০২
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০৩
বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০১
বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০২
=================================================================
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: মঠ এর আর কি কোনো নাম আছে??
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মঠ আসলে স্মৃতি-মন্দির।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২০
আসোয়াদ লোদি বলেছেন: পুরাকীর্তি সংরক্ষণ না করলে একদিন কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অনেক হারিয়ে গেছে, এখনো যাচ্ছে।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: আমাদের দেশে আসলে এই সব পুরা কৃতি সংরক্ষনের কোণ ব্যাবস্থা নেই। নামে যা আছে সে নিজেই পুরাকৃতি হয়ে বসে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে। তবে যেহেতু আপনি নিজে ওই সব জায়গায় গেছেন এই সব পুরাকৃতির সাথে আরো বিস্তারিত কাহিনী গুলো (যা স্থানীয়ভাবে প্রচলিত) দিলে ভালো হয় বলে আমার ধারনা। কারন এগুলোও হারিয়ে যাবে অচিরেই।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সংরক্ষনের বিষয়ে আপনি যথার্থ বলেছেন।
প্রতি মাসের শেষ শুক্রবারে পুরাকৃতি দেখতে যাওয়ার একটা টিম আছে আমাদের। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি পুরাকৃতি সম্পর্কে স্থানীয়দের আগ্রহ প্রায় শূন্যের কোঠায়। কোথায় আছে তার একটা নামমাত্র ধারনা নিয়ে আমরা খেঁজে খঁজে বের করি। অনেক সময় কিছূই পাওয়া যায় না।
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এসব আমার ভীষণ ভালোলাগে, ইচ্ছে করে এখনি ছুটে যাই এসমন সৌন্দর্য্য পাণে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমারও বিশেষ আগ্রহ আছে এদের প্রতি। তাই চেষ্টা করি কিছু কিছু ঘুরে দেখতে, ছবি তুলতে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩
সাইন বোর্ড বলেছেন: সুন্দর কালেক্শন ।