নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রায় কাল্পনিক একটি রাতের চিত্র

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

প্রায় কাল্পনিক একটি রাতের চিত্র



শীতের রাত। আমাদের শহুরে পরবাসী দরিদ্র শীতের রাত নয় বরং গ্রামের প্রতাপশালী শীতের সময়। ফসলের মাঠের ধারের একটি জমিতে একটি তাবু খাটানো। সামনেই পরে আছে একগাদা শুকনো লাকড়ি, সন্ধ্যার পরেই শীত তার তীক্ষ্ণ দাঁতের ছোবল দেবে বলে ক্যাম্প ফায়ারের আয়োজন হচ্ছে। তাবু থেকে কয়েক কদম দূরে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া অগভীর একটি পুকুর থেকে ধরা পরেছে বেশ কয়েকটি খাটি দেশী মাছ। ক্যাম্প ফায়ারের কয়লার আগুনে সেই মাছ ঝলসে নেয়া হবে রাতের খাবার হিসেবে। আরও থাকবে শিকার করা প্রায় বুনো খরগোশের বারবীকিউ, এই দিয়ে হবে রাতের ডিনার।

পশ্চিম আকাশে বড় একটা ডিমের হলদে কুসুমের মত ঝুলে আছে তেলহীন সূর্যটা। ফসলের মাঠের উপরে পাতলা চাদরের মত কুয়াশা ঝুলে আছে। দূরের গ্রামগুলি ধীরে ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশার আড়ালে। উত্তরী হাওয়ায় শিশুর দাঁতের ধার, কামড় বসাচ্ছে শরীরে। তাই জলে উঠলো ক্যাম্প ফায়ার।

দূরের গির্জা থেকে ভেসে আসলো সন্ধ্যার ঘণ্টা ধ্বনি, ঢং ঢং - ঢং ঢং - ঢং ঢং ....... পাশের চিতা-খোলা মন্দির থেকে ভেসে এলো শাঁখের আওয়াজ। কোন হিন্দু বাড়িতে পূজা হচ্ছে, শোনা যাচ্ছে গায়ের বধূর উলোদ্ধনী। মুয়াজ্জিনের আজানের সুরও কান ছুঁয়ে যায় দূর থেকে।

১০০ ভাগ গ্রামের ছবি চার ধারে ছড়ানো। তবুও শেষ নয় এখানে। যখন আগুণ জালা হল ততোক্ষণে অন্ধকার তার কালো চাদর বিছাতে শুরু করেছে। তখনই চারপাশ থেকে বন্য শেয়ালের পাল তার কোরাস গাইতে শুরু করলো হুক্কাহুয়া তানে। ক্যাম্প ফায়ারের পাশে পাটির উপরে চাদর বিছিয়ে বসে আছি আমরা কজন। আগুনের উত্তাপ এসে লাগছে মুখে। দূরের দ্বীপের মত একটা দুটো বাড়িতে দেখা যাচ্ছে একটা দুটা টিম টিমে আলো। বাকি সব অন্ধকারে নিমজ্জিত। মাঝে মাঝেই রাত জাগা নিশাচর শিকারি পাখিদের তীক্ষ্ণ ডাক শোনা যাচ্ছে। বিশাল বড় ফল খেকো বাদুড় তার দীর্ঘ ডানা ঝাপটে উড়ে যাচ্ছে। খরগোশ ঝলসানো বারবিকিউয়ের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে খোলা প্রান্তরে। সেই গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে শেয়ালদের আনাগোনা আমাদের দিকে। এমনি সময় দূরের রেল লাইনে হাজির হয় বিশাল এক রাতের ট্রেন। কু ঝিক ঝিক শব্দের সাথে তার এগিয়ে চলা আর হঠাৎ দীর্ঘ হর্ন ,,,,,,,,

এগিয়ে চলে ট্রেন, এগিয়ে চলে রাত, শশানের পিছন থেকে আধখাওয়া এক ভৌতিক চাঁদ উকি দেয় তার ঘোলাটে আলো নিয়ে। কুয়াশার ঘোলা চাদের আলোয় অশরীরী এক পরিবেশ তৈরি হয় আগুনের কমলা আলো সীমানার বাইরে।




বি.দ্র. প্রায় কাল্পনিক এই রাতের চিত্র আশা করি অর্ধেকটাই উপভোক করতে পারবো (মাছ আর খরগোশ ছাড়া) এই শীতেই, আমাদের স্বপ্নের "আশ্রম"-এ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

সুমন কর বলেছেন: প্রায় কাল্পনিক এটকি রাতের চিত্র < একটি হবে।

শিরোনাম ভুল দেখতে ভালো লাগেনা।

লেখা ভালো হয়েছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় সুমন ভাই ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাদের স্বপ্নের আশ্রম ব্যাপারটা ডিটেইল জানার ইচ্ছে রইল, আর শুধু নিজে উপভোগ করবেন? আমাদের সুযোগ নেই কেন?

বেশ কিছু টাইপিং এরর আছে, ঠিক করে দিয়েন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আশ্রমের ডিটেইলস লেখার সময় ঘনিয়ে এসেছে, আশা করি কিছুদিন পরেই পুরোটা জানাতে পারবো।
আশ্রমে সবার সুযোগ আছে। যখন তৈরি হয়ে যাবে তখন অবশ্যই আমাদের জানিয়ে যেকেউ উপভোগ করতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.