নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯শে অক্টোবর ২০১৪ইং তারিখে সিলেটের একটা ফ্যামিলি-ফ্রেন্ড ভ্রমণের আয়োজন করেছিলাম। আমাদের গাড়ি ছাড়া হল ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে। পথে তখনও কর্মব্যস্ততা শুরু হয়নি। পথের ধারের চিরচেনা গ্রামবাংলার আবহমান দৃশ্যাবলি দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে চলি। “শ্রীমঙ্গলের পথে” চলতে চলতে আমরা যখন লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে পৌছাই তখন ঘড়িতে সময় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট।
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা, শিশুদের জন্য ১০ টাকা আর গাড়ি পার্কিং এর জন্য ২৫ টাকা। তাছাড়া গাইড নিতে চাইলে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত তিন ক্যাটাগরির গাইড পাওয়া যায়। যেহেতু আমরা এখানে বেশি সময় থাকবো না তাছাড়া আমি এর আগেও একবার এসেছি তাই আমরা কোন গাইড নিলাম না। আমার পরামর্শ থাকবে আপনারাও কেউ গাইড নিবেন না। এই বনের ভেতরে বেরানোর জন্য গাইডের দরকার পরে না। ভেতরের তিনটি রাস্তার যেকোনো একটা রাস্তা ধরে আপনি পুরটা বাগান বেরিয়ে আসতে পারবেন।
যাইহোক টিকেট কেটে ভিতরে যাওয়ার সময় প্রবেশ দারেরই দেখবেন আপনাকে স্বাদর নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে পথের দুই ধারের বিশাল বড় বড় রক্তন গাছ। বড় বড় গাছগুলি দুপাশ থেকে এসে আপনার মাথার অনেক উপরে তৈরি করেছে সবুজের আচ্ছাদন। ঘন সবুজ মিশ্র চিরহরিৎ বনের ফাঁক দিয়ে সূর্যের সোনালী আলো এসে লুটাবে আপনার পায়ের কাছে। এখান থেকেই পথের দুই ধারে শুরু হয়েছে ঘন ঝোপ। এক ধরনের ঝিঁঝি পোকার তীব্র সাইরেনের মত ডাক আমাদের কান ঝালাপালা করে দিচ্ছিল এই পথে যাওয়ার সময়।
লাউয়াছড়ার প্রবেদ্বার
এই পথ ধরে কিছুটা এগিয়ে গেলেই সামনে একটা ছোট্ট কালভার্ট , নিচে ঝিরি ঝিরি বয়ে চলেছে স্বচ্ছে জল। নিচের লালচে হলুদ বালি আর স্বচ্ছ জলের খেলা। একটু ভাল করে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন জলে রয়েছে জলেরই মত স্বচ্ছে কিছু খুদে মাছ। নিচে নামর রাস্তা আছে ডান দিক দিয়ে। সাথে বাচ্চা আর মেয়েরা না থাকলে এই ছড়া ধরে ভিতরের দিকে অনেকটা পথ হেঁটে আসা যেত, এবারে তা পারা গেলো না। বনের গভীরে আর একটা ছড়া আছে, গত বার যখন এসেছিলাম তখন দেখে গিয়ে ছিলাম।
লাউয়াছড়ার ছড়া
কালভার্ট পেরিয়ে আর কিছুটা সমনে গেলে আছে মসজিদ, মসজিদ পেরিয়ে সমনে গেলেই দেখতে পাবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর রেল পথের অংশটুকু। সাবধান থাকবেন, এই অংশে কোন গেট ম্যান নাই। লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পাকের মিশ্র চিরহরিৎ বনের বুক চিরে দুই ধারে চলে গিয়েছে চির সমান্তরাল রেল পথ। এই পথের উপরে বসে আর হেঁটেই অনেকটা সময় কাটিয়ে দেয়া যায়। আমরা যখন এই রেল পথের কাছা কাছি এসেছি তখনই একটা ট্রেন তার কুউউউ..... ঝিক ঝিক... শব্দে জানান দিয়ে গেলে যে সে যাচ্ছে এই পথ ধরে। একটুর জন্যে মিস একরে ফেললাম আমরা সেই দৃশ্যটা দেখা থেকে।
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক (রেল লাইন)
রেল গেইটে গেইট ম্যান নাই তাই কোন বাধাও নাই ভাববেন না যেন, নিজেই সাবধান থাকবেন। রেল লাইন ধরে ডান বা বাম দিকের যেকোনো দিকে অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে আসতে পারেন খারাপ লাগবেনা। আমাদের হাতে সময় কম থাকার দরুন আমরা সেদিকে পা না বাড়িয়ে পাশের টিলাতে থাকা সাতরঙা চায়ের দোকানে উঠে গেলাম। অনেকটা সময় নষ্ট হল চা আসার অপেক্ষায় থেকে, তারপর হাটা ধরলাম বনের ভিতরের দিকে।
সাত রঙ্গা চা
বনভ্রমণের জন্য বনে তিনটি ট্রেইল বা হাঁটা পথ রয়েছে আগেই বলেছি। তিনটি পথের মধ্যে একটি ৩ ঘণ্টার পথ, একটি ১ ঘণ্টার পথ আর অপরটি ৩০ মিনিটের পথ। খুব বেশী ভিতরে যাইনি আমরা। নানান গাছ গাছালি আর ঝোপে ছাওয়া পায়ে চলা ট্রেইল ধরে এগিয়ে যাই অনেকটা পথ। মুহু মুহুই শোনা যেতে থাকে নানান ধরনের পাখির ডাক আর পোকাদের কলতান। প্রচণ্ড ভালোলাগা থাকলেও পুরটা পথ না গিয়েই ফিরতি পথ ধরি আমরা সময় বাঁচাতে। বনের ভিতরের কিছু ছবি দেখিন শেষ করার আগে।
বনের শুরুর পথ
লুঙ্গিপরা টারজেন
আলো ছায়ার খেলা
খুঁজে দেখেন আপনার নাম পান কিনা
বনের ভিতরে
ব্যাঙ এর ছাতা
বনফুলের শুভেচ্ছা
পরের গন্তব্য মাধবপুর লেক অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে কিছু তথ্য:
বর্তমানে জীব বৈচিত্র্যের দিক থেকে লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সমৃদ্ধ-তম বনগুলোর একটি। লাউছড়ার জাতীয় উদ্যানে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়।
বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। বনের মধ্যে কিছু সময় কাটালেই উল্লুকের ডাকাডাকি কানে আসবে। উল্লুক ছাড়াও এখানে রয়েছে মুখপোড়া হনুমান, বানর, শিয়াল, মেছো-বাঘ, বন্য কুকুর, ভাল্লুক, মায়া হরিণ (বার্কিং ডিয়ার),অজগরসহ নানা প্রজাতির জীবজন্তু।
উদ্যানের বন্য পাখির মধ্যে সবুজ ঘুঘু, বনমোরগ, তুর্কি বাজ, সাদা ভ্রু সাতভায়লা, ঈগল, হরিয়াল, কালো-মাথা টিয়া, কালো ফর্কটেইল. ধূসর সাত শৈলী, পেঁচা, ফিঙ্গে, লেজকাটা টিয়া, কালোবাজ, হীরামন, কালো-মাথা বুলবুল, ধুমকল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
বনের শেষে আছে আদিবাসীদের গ্রাম, ওদের লেবু বাগান, আছে ছড়ায় বয়ে চলা ঝিরি ঝিরি জলের ধারা। শুধু আদিবাসীদের গামের ভিতরে ঢুকবেন না, আর লেবু বাগান থেকে লেবু ছিঁড়বেন না, তাহলেই হবে। ওদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করলে ওরা খুবই শান্ত প্রকৃতির আচরণ করবে, সেধে বা আগবাড়ায়ে ওদের সাথে মিশতে যাবেন না তাহলেই হল।
ভ্রমণের সময় Nikon D80 ও সনি ক্যামেরা দিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছি আমি আর ইস্রাফীল। বাকিরাও দু একটা ছবি তুলেছে, সেই সব ছবি থেকে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের কয়েকটা দেখুন।
পথের হদিছ
যাওয়ার খরচা খুব বেশি হবে না নিশ্চই। কিভাবে যাবেন তার উপরে নির্ভর করছে।
প্রবেশ মূল্য ২০টাকা, শিশু ও ছাত্র ১০টাকা। বিদেশীদের জন্য ৫ ডলার।
গাড়ি পারর্কিং ২৫ টাকা।
পিকনিং স্পট ব্যবহার জন প্রতি ১০ টাকা।
ভিতরে বা আশে পাশে খাবারের কোন ব্যবস্থা নাই, নিজ দায়িত্বে করে নিতে হবে।
তবে গটের বাইরে ডাব পাওআ যায়।
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: বাহ বাহ! আপনার টুকরো টুকরো ছবি ব্লগগুলো একটা পুর্নাঙ্গ ভ্রমণ পোস্ট এ রুপ নিলো +++++
ভালো থাকবেন ভ্রাতা
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঠিক ধরেছেন
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০
ইঞ্জি মো:মারুফ হাসান বলেছেন: মনে হল আমি ভ্রমণে চলে গিয়েছিলাম।
একটি প্রযুক্তি নির্ভর ব্লগ ঘুরে আসলে ভালো লাগবে http://tunerpage.com/
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ১৯শে অক্টোবর ২০১৪ইং তারিখে সিলেটের একটা ফ্যামিলি-ফ্রেন্ড ভ্রমণের আয়োজন করেছিলাম। আমাদের গাড়ি ছাড়া হল ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে। পথে তখনও কর্মব্যস্ততা শুরু হয়নি। পথের ধারের চিরচেনা গ্রামবাংলার আবহমান দৃশ্যাবলি দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে চলি।
[url=http://forum.projanmo.com/topic49958.html]“শ্রীমঙ্গলের পথে”[/url] চলতে চলতে আমরা যখন লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে পৌছাই তখন ঘড়িতে সময় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট। লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা, শিশুদের জন্য ১০ টাকা আর গাড়ি পার্কিং এর জন্য ২৫ টাকা। তাছাড়া গাইড নিতে চাইলে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত তিন ক্যাটাগরির গাইড পাওয়া যায়। যেহেতু আমরা এখানে বেশি সময় থাকবো না তাছাড়া আমি এর আগেও একবার এসেছি তাই আমরা কোন গাইড নিলাম না। আমার পরামর্শ থাকবে আপনারাও কেউ গাইড নিবেন না। এই বনের ভেতরে বেরানোর জন্য গাইডের দরকার পরে না। ভেতরের তিনটি রাস্তার যেকোনো একটা রাস্তা ধরে আপনি পুরটা বাগান বেরিয়ে আসতে পারবেন।
যাইহোক টিকেট কেটে ভিতরে যাওয়ার সময় প্রবেশ দ্বারেরই দেখবেন আপনাকে সাদর নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে পথের দুই ধারের বিশাল বড় বড় রক্তন গাছ। বড় বড় গাছগুলি দুপাশ থেকে এসে আপনার মাথার অনেক উপরে তৈরি করেছে সবুজের আচ্ছাদন। ঘন সবুজ মিশ্র চিরহরিৎ বনের ফাঁক দিয়ে সূর্যের সোনালী আলো এসে লুটাবে আপনার পায়ের কাছে। এখান থেকেই পথের দুই ধারে শুরু হয়েছে ঘন ঝোপ। এক ধরনের ঝিঁঝি পোকার তীব্র সাইরেনের মত ডাক আমাদের কান ঝালাপালা করে দিচ্ছিল এই পথে যাওয়ার সময়।
লাউয়াছড়ার প্রবেদ্বার
লাউয়াছড়ার প্রবেদ্বার
এই পথ ধরে কিছুটা এগিয়ে গেলেই সামনে একটা ছোট্ট কালভার্ট , নিচে ঝিরি ঝিরি বয়ে চলেছে স্বচ্ছে জল। নিচের লালচে হলুদ বালি আর স্বচ্ছ জলের খেলা। একটু ভাল করে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন জলে রয়েছে জলেরই মত স্বচ্ছে কিছু খুদে মাছ। নিচে নামর রাস্তা আছে ডান দিক দিয়ে। সাথে বাচ্চা আর মেয়েরা না থাকলে এই ছড়া ধরে ভিতরের দিকে অনেকটা পথ হেঁটে আসা যেত, এবারে তা পারা গেলো না। বনের গভীরে আর একটা ছড়া আছে, গত বার যখন এসেছিলাম তখন দেখে গিয়ে ছিলাম।
লাউয়াছড়ার ছড়া
কালভার্ট পেরিয়ে আর কিছুটা সমনে গেলে আছে মসজিদ, মসজিদ পেরিয়ে সমনে গেলেই দেখতে পাবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর রেল পথের অংশটুকু। সাবধান থাকবেন, এই অংশে কোন গেট ম্যান নাই। লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পাকের মিশ্র চিরহরিৎ বনের বুক চিরে দুই ধারে চলে গিয়েছে চির সমান্তরাল রেল পথ। এই পথের উপরে বসে আর হেঁটেই অনেকটা সময় কাটিয়ে দেয়া যায়। আমরা যখন এই রেল পথের কাছা কাছি এসেছি তখনই একটা ট্রেন তার কুউউউ..... ঝিক ঝিক... শব্দে জানান দিয়ে গেলে যে সে যাচ্ছে এই পথ ধরে। একটুর জন্যে মিস একরে ফেললাম আমরা সেই দৃশ্যটা।
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক রেল লাইন
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক (রেল লাইন)
রেল গেইটে গেইট ম্যান নাই তাই কোন বাধাও নাই ভাববেন না যেন, নিজেই সাবধান থাকবেন। রেল লাইন ধরে ডান বা বাম দিকের যেকোনো দিকে অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে আসতে পারেন খারাপ লাগবেনা। আমাদের হাতে সময় কম থাকার দরুন আমরা সেদিকে পা না বাড়িয়ে পাশের টিলাতে থাকা সাতরঙা চায়ের দোকানে উঠে গেলাম। অনেকটা সময় নষ্ট হল চা আসার অপেক্ষায় থেকে, তারপর হাটা ধরলাম বনের ভিতরের দিকে।
সাত রঙ্গা চা
বনভ্রমণের জন্য বনে তিনটি ট্রেইল বা হাঁটা পথ রয়েছে আগেই বলেছি। তিনটি পথের মধ্যে একটি ৩ ঘণ্টার পথ, একটি ১ ঘণ্টার পথ আর অপরটি ৩০ মিনিটের পথ। খুব বেশী ভিতরে যাইনি আমরা। নানান গাছ গাছালি আর ঝোপে ছাওয়া পায়ে চলা ট্রেইল ধরে এগিয়ে যাই অনেকটা পথ। মুহু মুহুই শোনা যেতে থাকে নানান ধরনের পাখির ডাক আর পোকাদের কলতান। প্রচণ্ড ভালোলাগা থাকলেও পুরটা পথ না গিয়েই ফিরতি পথ ধরি আমরা সময় বাঁচাতে। বনের ভিতরের কিছু ছবি দেখিন শেষ করার আগে।
বনের শুরুর পথ
লুঙ্গি পরা টারজেন
আলো ছায়ার খেলা
খুঁজে দেখেন আপনার নাম পান কিনা
বনের ভিতরে
ব্যাঙের ছাতা
বনফুলের শুভেচ্ছা
পরের গন্তব্য মাধবপুর লেক অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে কিছু তথ্য:
বর্তমানে জীব বৈচিত্র্যের দিক থেকে লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সমৃদ্ধ-তম বনগুলোর একটি। লাউছড়ার জাতীয় উদ্যানে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়।
বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। বনের মধ্যে কিছু সময় কাটালেই উল্লুকের ডাকাডাকি কানে আসবে। উল্লুক ছাড়াও এখানে রয়েছে মুখপোড়া হনুমান, বানর, শিয়াল, মেছো-বাঘ, বন্য কুকুর, ভাল্লুক, মায়া হরিণ (বার্কিং ডিয়ার), অজগরসহ নানা প্রজাতির জীবজন্তু।
উদ্যানের বন্য পাখির মধ্যে সবুজ ঘুঘু, বনমোরগ, তুর্কি বাজ, সাদা ভ্রু সাতভায়লা, ঈগল, হরিয়াল, কালো-মাথা টিয়া, কালো ফর্কটেইল. ধূসর সাত শৈলী, পেঁচা, ফিঙ্গে, লেজকাটা টিয়া, কালোবাজ, হীরামন, কালো-মাথা বুলবুল, ধুমকল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
বনের শেষে আছে আদিবাসীদের গ্রাম, ওদের লেবু বাগান, আছে ছড়ায় বয়ে চলা ঝিরি ঝিরি জলের ধারা। শুধু আদিবাসীদের গামের ভিতরে ঢুকবেন না, আর লেবু বাগান থেকে লেবু ছিঁড়বেন না, তাহলেই হবে। ওদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করলে ওরা খুবই শান্ত প্রকৃতির আচরণ করবে, সেধে বা আগবাড়ায়ে ওদের সাথে মিশতে যাবেন না তাহলেই হল।
ভ্রমণের সময় Nikon D80 ও সনি ক্যামেরা দিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছি আমি আর ইস্রাফীল। বাকিরাও দু একটা ছবি তুলেছে, সেই সব ছবি থেকে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের কয়েকটা দেখলেন।
পথের হদিছ:
যাওয়ার খরচা খুব বেশি হবে না নিশ্চই। কিভাবে যাবেন তার উপরে নির্ভর করছে। যেতেতু আমরা নিজেদের গাড়িতে করে গিয়েছি তাই বাস ভাড়া সম্পর্কে কোন ধারনা দিতে পারছিনা।
প্রবেশ মূল্য ২০টাকা, শিশু ও ছাত্র ১০টাকা। বিদেশীদের জন্য ৫ ডলার।
গাড়ি পারর্কিং ২৫ টাকা।
পিকনিং স্পট ব্যবহার জন প্রতি ১০ টাকা।
ভিতরে বা আশে পাশে খাবারের কোন ব্যবস্থা নাই, নিজ দায়িত্বে করে নিতে হবে।
তবে গেটের বাইরে ডাব পাওয়া যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। প্রথমদিকের ছবিগুলো এবার ভিন্নভাবে দিয়েছেন, ভালো লাগলো। আপনার ছবি সব সময় সুন্দর হয়। যাবার ইচ্ছা খাকলো।
২য় +।