নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ : হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০

হরতন ইশকাপন

হুমায়ূন আহমেদ







স্পয়লার সতর্কবাণী : রিভিউটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট



কাহিনী সংক্ষেপ :

মনসুর ২৫/২৬ বছরের হত-দরিদ্র যুবক। তার মেন্টাল পাওয়ার আছে। মানুষিক শক্তি ব্যবহার করে সে ছোট খাট জিনিষ নারাতে পারে, বইয়ের পাতা উলটাতে পারে, মোমবাতি নিভাতে পারে। সে এসেছে মিসির আলীকে তার ক্ষমতা দেখাতে। কিন্তু মিসির আলী খুব সহজেই ধরে ফেলেন তার চালাকি বা ম্যাজিক ট্রিক।

মনসুর যাবার আগে মিসির আলীকে বলে যায় যে তার আসলেই মানুষিক ক্ষমতা আছে যা হটাৎ হটাৎ আসে, এর পর সেই ক্ষমতা আসলে সে মিসির আলীকে দেখিয়ে যাবে।



মিসির আলি বর্তমানে যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন তার বাড়িওয়ালা আজমল হোসেনের ভাগ্নি রেবুর মাথায় সামান্য সমস্যা আছে। রেবু এমন একটা ভাব করে যাতে সহজেই মনে হয় যে সে মিসির আলিকে ভালোবাসে বা মিসির আলির প্রতি তার আলাদা আকর্ষণ আছে। রেবু প্রতিদিন সন্ধ্যায় মিসির আলীর বারান্দার সামনে আসে কিন্তু মিসির আলীর সাথে সব সময় দেখা করেনা, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চলে যায়।



সেদিন রাতে খুব ঝর হয়, বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ চলে যয়। এমন সময় বাড়িওয়ালা মিসির আলিকে ঢেকে নিয়ে যায়, কেউ একজন জরুরি ফোন করেছে, মিসির আলীকে চায়। ফোন করেছে মনসুর, সে বলল রেবু আসলে এক ভয়ংকর খুনি। রেবু তার স্বামী ও মেয়েকে খুন করেছে। তার মাকেও খুন করেছে, কিন্তু কেউ বুঝতে পারে নি। এখন এই বাড়ির একজনকে খুন করবে।



মিসির আলি একা একা থাকেন বলে তার কাজে সাহায্য করার জন্য মিসির আলির বাড়িওয়ালা আঁখিতারা নামের ৯/১০ বছরের একটি মেয়েকে নিয়ে এসেছে মিসির আলীর কাজ করার জন্য।



আজমল সাহেব তার পীর-ভাইকে মিসির আলির বাড়িতে নিয়ে আসে। তিন মাঝে মাঝে ভবিষ্যৎ বানী করেন, আর সেগুলি মিলে যায়। যাবার আগে তিনি ভবিষ্যৎ বানী করলেন যে দু দিনের মধ্যে মিসির আলি বড় একটা বিপদে পরবে, জীবন সংশয়কারী বিপদ।



আখিতারার জ্বর আসে, প্রচণ্ড জ্বর ১০৫ ডিগ্রী। মিসির আলি অসহায় বোধ করতে থাকেন, এমন সময় মনসুর এসে হাজির হয়, এবং সমস্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। অনেকক্ষণ মেয়েটির মাথায় পানি ঢালার পর মনসুর এসে বলে মেয়েটির জ্বর কমে নি, মনসুর নাকি মৃত্যুর গন্ধ পায়, মেয়েটি আর বাঁচবে না। মনসুর আর মিসির আলি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়ে। মেয়েটি পরদিন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসে। মিসির আলিকে সে জানায় রাতে জ্বিন দেখে সে ভয় পেয়েছে, তাই জ্বর হয়েছে। আসলে জ্বিন নয় মনসুর তাকে ভয় দেখায়।



মনসুর আর রেবুর পূর্ব প্রণয় ছিল, কিন্তু রেবুর বিয়ে হয়ে যায় অন্য আরেকজনের সাথে। সেখানে রেবুর একটা মেয়ে হয়। রেবুর স্বামীর ধারনা হয় এই বাচ্চার আসল পিতা সে নয়, অন্যকেউ। এক সময় রেবু তা স্বীকার করে এবং তার স্বামী ও সন্তানকে বটি দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে। রেবুর মাথা খারাপ হয়ে যায়। মনসুরের ধারনা মিসির আলি রেবুকে সারিয়ে তুলতে পারবে, কিন্তু রেবু আবার মিসির আলিকে খুন করে ফেলবে এই ভয়ে মুনসুর চেষ্টা করে মিসির আলিকে এই বাড়ি থেকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দিতে।



পর্যবেক্ষণ : ৫৩ পাতায় একটা ত্রুটি চোখে পড়লে। সেখানি মিসির আলি বলেন যে তিনি মেয়েটির নাম বলেন নি, আসলে কিন্তু তার আগে তিনি মেয়েটির নাম বলেছিলেন।



সমাপ্ত



প্রথম প্রকাশ: ঝিঁঝি পোকা



এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের শঙ্খনীল কারাগার বা নন্দিত নরক থেকে শুরু করে প্রতিটা গল্প উপন্যাসই অনবদ্য।


ভালো লাগলো আপনার রিভিউ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

অপ্রতীয়মান বলেছেন: বইটা পড়া না থাকলে কেমন আকর্ষণ বোধ করতাম এই রিভিউ পড়ে তা বুঝতে পারছি না, তবে অনেক বিস্তারিতই বলে দিয়েছেন ঘটনার। তবে ভালো লাগলো, বেশ অনেকদিন আগের পড়া ছিল। রিভিউ পড়ে অনেক কিছুই মনে পড়ছে :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই লেখায় পুরা কাহিণীটাই আছে।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বুক রিভিউ ভালো হইছে। বইটা খুব সম্ভবত পড়েছি। সম্ভব হলে ডাউনলোড লিংকটা দিয়েন তো!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নিচে ফেবুর গ্রুপটাতে সদস্য হয়ে যান, হাজার হাজার বই পেয়ে যাবেন।
Click This Link

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের লেখার মধ্যে অন্য কিছু আছে। ভাল লাগার মত, মানুষকে ধরে রাখার মত। রিভিউ ভাল লেগেছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের লেখার মধ্যে অন্য কিছু আছে। ভাল লাগার মত, মানুষকে ধরে রাখার মত। রিভিউ ভাল লেগেছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: বইটা অনেক আগেই পড়েছি । তবে রিভিউ পড়ে পুনরায় রিভিশন দিতে পেরে ভালো লাগলো । উদ্যোগটা বেশ কাজের ।

ধন্যবাদ ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যারা আগে পড়েছেন তারা এই লেখাটা পড়লে পুরো বইয়ের ছবিটাই চোখের সামনে এসে যাবে।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার....
রিভিউ ভালো হয়েছে....
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক সঙ্গে থাকলে আরোও পূর্ণাঙ্গতা আসতো চমৎকার বুক রিভিউতে...
২য় ভালোলাগা (+)...

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আনার মন্তব্য আর মতামতের জন্য।
৩ নং মন্তব্যে পিডিএফ লিংক পাবেন।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

ডট কম ০০৯ বলেছেন: বিজ্ঞাপন ভাল হইছে। লাইক ইট।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বিজ্ঞাপনে !!! হা হা হা।

৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

সুমন কর বলেছেন: আপনি রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়িতে কোন হোটলে ছিলেন? যদি কিছু ভাল নাম দিতেন, উপকার হতো। আপনার ভ্রমণ পোস্টগুলোতে পাচ্ছি না।

ভালো খাকুন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খাগড়াছড়িতে তেম ভালো কোন হোটেল নেই। শাপলাচত্তরের কাছেই "হোটেল নিলয়" তে ছিলাম আমরা। শহরের একটু বাইরের দিকে ভালো থাকার ব্যবস্থা আছে পর্যটনের।
রাঙ্গামাটিতে হোটেলের কোন অভাব নেই, আমরা ছিলাম হোটেল "লেক সিটি"তে। আমাদের রুমের বারান্দাটা ছিলো একেবারে লেকের উপরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.