নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শতবর্ষী বটবৃক্ষের ছায়াতল হতে বিদায় নিয়ে আমাদের এবারের গন্তব্য খাগড়াছড়ি শহরের কাছেই “হর্টি কালচার পার্ক” এর ঝুলন্ত সেতু। বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে খুব দ্রুত, সূর্যি মামা পাটে বসবেন কিচ্ছুক্ষণ পরেই। হাতে সময় খুব অল্প। সন্ধ্যার আগে আগে এসে পৌঁছই পার্কের কাছে। রাস্তা থেকে কিছুটা কাচা মাটির পথ ধরে হেঁটে যেতে হয় পার্কের গেইট পর্যন্ত, ঢুকতে হয় টিকেট কেটে। আমরা যখন ভেতরে ঢুকছি তখন সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সামান্য যে কজন বেড়াতে গিয়েছিলো (জোড়ায় জোড়ায়) তাঁরাও।
গেট পেরিয়েই সামনে উঁচু টিলা কেটে তৈরি ইট বিছান রাস্তা, রাস্তার দুই ধারে সারি সারি গাছ। একটু সামনেই চমৎকার বাগান। এখান থেকে দূরে তাকালে দেখা যায় ঢেউ খেলান পাহাড় সারি।
বাগান পেরিয়ে কিছুদূর গিয়ে শেষ হয়ে গেছে টিলাটি, আর এই টিলা থেকে সামনের আরেকটি টিলা পর্যন্ত সুন্দর একটি সেতু, ঝুলন্ত সেতু।
{ঝুলন্ত সেতুতে দস্যু পত্নী ও কন্যা}
সেতুর নিচে জলাধার, তার চারপাশে প্রচুর নারকেল গাছ, সুন্দর করে সাজানো। টিলা থেকে টিলার গা কেটে কেটে তৈরি করা হয়েছে নিচে নামার সিঁড়ি।
শীতকাল বলে জলাধারে পানি কম, বর্ষায় নিশ্চয়ই আর পানি বাড়ে, তখন দেখতে নিশ্চয়ই আর সুন্দর হবে।
ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে উল্টোদিকের অংশে গেলে সেখানে আছে বাচ্চাদের খেলার যায়গা। রয়েছে দোলনা, স্লিপার।
অলরেডি সন্ধে ঘনিয়ে এসেছে, পাহাড়ের আড়ালে মুখ লুকিয়েছে সূর্য, পাহাড়ি আঁধার তার অন্ধকার চাদর মেলে ধরতে শুরু করেছে।
সারাদিনে ভ্রমণ শেষে এবার হোটেলে ফিরে রেস্ট নেয়ার পালা......
পরিশিষ্ট: হোটেলে ফিরে ফ্রেস হয়ে রেস্ট নিয়ে আমরা প্রস্তুত হই রাতের খাবারের খোঁজে। এখানেই কে যেন বলেছিল সিস্টেম হোটেলের কথা। ভাবলাম সেখানেই যাব খেতে। গিয়ে দেখি এটি একটি পাহাড়ি হোটেল, চমৎকার করে সাজানো, সুন্দর পরিবেশ। খাবারের মানও ভালো। ওদের কাছে হরিণের মাংস থেকে শুরু করে ঘুঘুর মাংস, চিংড়ি থেকে শুরু করে বড় মাছের কাঠি কাবাব, সবই পাওয়া যায়, তবে প্রতি দিন না। একেক দিন একেক ধরনের রেসিপি হয়। আগামীকাল হবে হরিণ, কিন্তু আমরা থাকব না তখন খাগড়াছড়িতে।
এই ছবিটি মাসুদ ভাই (অচেনা কেউ) এর একটি পোস্ট থেকে নেয়া।
পথের হদিস : ঢাকা টু খাগড়াছড়ি বাস ভাড়া ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা নন এসি।
ভ্রমণ : আলুটিলা গুহা > রিছং ঝর্ণা > শতবর্ষী বটগাছ > ঝুলন্ত সেতু, এগুলি ঘুরিয়ে দেখিয়ে আনবে চাঁন্দের গাড়ী ৩,০০০ - ৩,৫০০ টাকা, আর মাহেন্দার ১,৫০০ – ১,৮০০ টাকা।
থাকা : হোটেল ভাড়া ৪০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্য।
এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ ভ্রমণ পোষ্ট ।
++++++
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার একখান পোষ্ট!!
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: গিয়েছিলাম এবং সিস্টেমে বাঁশ খেয়েছিলাম মানে সিস্টেম হোটেলে বাঁশের তরকারি দিয়ে ভাত খেয়েছিলাম । অনেক সুন্দর জায়গা ।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হা হা হা
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
উদাস কিশোর বলেছেন: কয়েকদিন আগেই ঘুরে এলাম
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ বেশ, কেমন ঘুরলেন?
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
দি সুফি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট +++++
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! বেশতো ভ্রমন হয়ে গেল!
সাধ আর সাধ্যের মাঝে ব্যবধান অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ রাখে।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তবুও চেষ্টায় থাকতে হয়
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
সুন্দর পোষ্ট +++