নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তরের সৈকত (সেন্টমার্টিন)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

২০১২ সালের ২৬শে জানুয়ারি গিয়েছিলাম সেন্টমার্টিন বেড়াতে। সেখান থেকে বেড়িয়ে এসে ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখে একটি পোস্টও করেছিলাম “সেন্টমার্টিনের পথে…. ” শিরনামে, তারপর আর লেখা হয়ে উঠেনি। প্রায় দুবছর বাদে সেই ভ্রমণের দ্বিতীয় কিস্তির ছবি নিয়ে হাজির হয়েছি।



১৪ জনের বিশাল বাহিনী জাহাজ কুতুবদিয়াতে চড়ে চলে ছিলাম সেন্টমার্টিনের পথে…. । প্রায় আড়াই ঘণ্টার সমুদ্র যাত্রার সময়টুকু অনায়াসে টেকে যায় ওপেন ডেক থেকে নদী-সমুদ্র, জেলে নৌকা-জাল, পাহার আর মেঘ দেখে। সারাটা পথই সঙ্গী হিসেবে সাথে ছিল ঝাঁক ঝাঁক গাংচিল। হাসি-ঠাট্টা আর ছবিতোলার ফাঁকে হালকা নাস্তা আর আড্ডায় এক সময় এসে যাই গন্তব্য সেন্টমার্টিনের ঘাটে। আগে থেকেই হোটেল প্রিন্স হেভেনে আমাদের ৫টি রুম বুকিং করা ছিল তাই আস্তে ধীরে জাহাজ থেকে নেমে আসি আমরা আধা। আজ এই পর্বে আমরা দেখবো সেন্টমার্টিনের উত্তরের সৈকত, চলুন তাহলে আমার ক্যামেরার সাথে......





১।



উপরের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে সেন্টমার্টিনের জাহাজ ঘাট (জেটি) আর আমরা যে হোটেলে ছিলাম (প্রিন্স হেভেন) তার লোকেশন ও রোড ম্যাপ। প্রিন্স হেভেন এর পাশেই হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইস।





২।



নীল জলের মাঝে সেন্টমার্টিন জাহাজ ঘাট (জেটি)





জাহাজে আমাদের সিট ছিল সবার উপরে ওপেন ডেকে। সেখান থেকে নামার জন্য দুটি আলাদা সিঁড়ি, জাহাজ ঘাটে ভিড়ার আগেই যাত্রীরা এমন হুর-হুরি করে নিচে নামতে শুরু করলো যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার যাবে না। মুহূর্তের মধ্যেই আমরা কেমন ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলাম। এর মধ্যে দুটি পিচ্চি কুলি পাওয়া গেলো, তাদের কাঁধে কিছু ব্যাগ দিয়ে কিছুটা হালকা হয়ে নিলাম। ওরা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে চলা শুরু করলো আমরাও ওদের পিছু পিছু, একটু পরেই পিচ্চিগুলি চোখের আড়াল হয়ে গেলো। ভাবলাম গেলো বুঝি সবগুলি ব্যাগ। দল ছুট হয়ে এক গ্রুপ যখন নিচে নেমে এসেছি তখন দেখি পিচ্চিগুলি ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জেটিতে।





৩।



দলছুট আরেক গ্রুপ তখনও নামতে পারেনি জাহাজ থেকে।







৪।



জেটির সাথে বাঁধা জেলে নৌকো গুলি নীল জলের মৃদুমন্দ ঢেউয়ে নাচছে। এমন নীল জলের মাঝে জেটি সেন্টমার্টিন ছাড়া বাংলাদের আর কোথাও মনে হয় দেখা যাবে না।







৫।



ছোট ছোট অজস্র মাছ খেলা করছে নীল জলে।





এক সময় গোটা দল নেমে আসি জাহাজ থেকে। কিছুদূর হেঁটে সকলে চড়ে বসি তিন চাকার ভ্যানে। অল্প একটু রাস্তা শেষেই পৌঁছে যাই সেন্টমার্টিনের উত্তর দিকের শেষ প্রান্তে হোটেল প্রিন্স হ্যাভেনে। হোটেল যাইহোক তার লোকেশন আর হোটেল থেকে সৈকত-সাগরের ভিউ অসাধারণ।



৬।



উত্তর সৈকত থেকে হোটেল প্রিন্স হ্যাভেনে





আমাদের সবকটি রুম হওয়ার কথা ছিল ২য় তালায়। কিন্তু দেখা গেলো মাত্র দুটি রুম আছে ২য় তালায়, বাকি ৩টি নিতে হবে নিচ তালায়। সাইফুলের শ্বশুর আর মামা শ্বশুরদের উপরে দিয়ে আমরা নিচে রয়ে গেলাম।





৭।



হোটেলের ২য় তালা থেকে সামনের সৈকত।







৮।



এবার সাগর অবগাহনরে পালা, সামনের নীল জল আর বালির সৈকত হাত ছানি দিয়ে ডাকছে আমাদের।







৯।



সৈকতের বাম দিক থেকে শুরু হয়েছে প্রবালের রাজত্ব, দূরে.... সেখানে দর্শনার্থীর ভীর।







১০।



প্রবাল আর বালির সাথে জলের খেলা







১১।



আধ-ডুবা প্রবালের একাংশ







১২।



যতদূর দৃষ্টি যায় এমনই প্রবাল পাথরের রুক্ষ সৌন্দর্য







১৩।



প্রবাল সৈকত আর কেয়া ঝোপ





১৪।



ছবি নাকি ইতিহাস, এখানে সবাই ইতিহাস তৈরিতে ব্যস্ত।







১৫।



আমার কন্যা সাইয়ারা, ওর তখন জ্বর, তাই সমুদ্র স্নান নিষিদ্ধ ওর জন্য।







১৬।



ইস্রাফীল, সকলের চলমান দৃশ্য ধারণ করতে ব্যস্ত, তাই ওর নিজের কোনো চলমান দৃশ্য নাই। আর এই একই কারণে আমার নিজের স্থির চিত্র কম।







১৭।



সাইফুল ওর ইস্রাফীল





১৮।



মামা-মামীকে দেখে বুঝতেই পারছেন জানুয়ারিতে ঢাকায় শীত থাক আর নাই থাক সেন্টমার্টিনে কিন্তু বেশ ভালো ভাবেই থাকে।







১৯।



ফুল মামা ফ্যামিলি





২০।



গত রাতেও এই পিচ্চির জ্বর ছিল এখন কিন্তু নাই।







২১।



আমাদের দলের সর্বকনিষ্ঠ দুই সদস্যেরই জ্বর!!





২২।



একলা দৈর....





২৩।



সাহস করে এগিয়ে গিয়েছিলো সামনে, কিন্তু ঢেউ আসতে দেখে ফিরে আসার চেষ্টা।







২৪।



দুষ্টুমি





২৫।



সাইফুলের শ্বশুর, সাগরে নামবেন তো দূরের কথা ঢেউয়ে পা ভিজাতেও নারাজ। বাকিদের আনন্দ দেখেই উনি খুব খুশী।





বস, আজ আর ছবি দেখাতে পারছিনা, এখন আমি নিজে নামবো নীল জলে। বাকিরা মোটামুটি সকলেই নেমে গেছে সাগর অবগাহনে আমিই আধ ভেজা হয়ে ছবি তুলে যাচ্ছি। এখন ছবি তোলা বন্ধ, নামবো সাগরে, সাঁতার পারি না তাতে কি, ডুব দেবো নীল জলে।



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: দারুন ফ্যামিলি ভ্রমন.......

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

এম এ কাশেম বলেছেন: আজ নীল জলে ডুব দেবো
ব্যাথার নীলে নীল হবো

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কেনো কেনো??

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

নানাভাই বলেছেন: বাহঃ চমৎকার!
+++++++ মারলাম।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: ছেঁড়া দ্বীপে গ্যাছিলেনতো.... ??

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বি

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

েবনিটগ বলেছেন: হোটেল বুকিং কি আগে থেকে দিয়ে জেতে হয় নাকি ওখানে গিয়েও দেয়া যায়? মাঝারি মানের হোটেলে দৈনিক কত ভাড়া পরে?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অন্য যায়গার তুলনায় ভাড়া একটু বেশি।
সিজনে অবশ্যই আগে থেকে বুকিং দিয়ে যেতে হবে।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: যদিও ওখানকার সবচেয়ে বড় ধোকাবাজী হলো......সব মাছ আর শুটকি.....যা কিনা সবই যায় চিটাগাং থেকে......কিন্তু সাগরপাড়ে বলে সবাই ধরে নেয় ওগুলা স্থানীয় জেলেদের ধরা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কথা সত্যি, উখানে ওরা খুব একটা শুটকি তৈরি করে না। তবে আপনি চাইলে তাজা মাছ ওদের কাছ থেকে কিনতে পারবেন।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

সোজা কথা বলেছেন: খুবই সৌন্দর্য্য।দেখে বালু লাগল।কবে যে যামু ???

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: েশের পরিস্থিতি ঠান্ডা হইলে চলে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.