“সাইক্লোন”, “হারিকেন”, “টাইফুন”
১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
উইকিতে বলেছে -
ঘূর্ণিঝড়হলক্রান্তীয় অঞ্চলেরসমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি, বজ্র ও প্রচন্ড ঘূর্ণি বাতাস সম্বলিতআবহাওয়ার একটিনিম্ন-চাপ প্রক্রিয়া (low pressure system) যানিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপন্নতাপকেমেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে। এই ধরনের ঝড়ে বাতাস প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতেছুটে চলে বলে এর নামকরণ হয়েছে ঘুর্নিঝড়। ঘুর্নিঝড়ের ঘুর্নন উত্তরগোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে।
আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বলা হয় “সাইক্লোন সেন্টার” বা “ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র” তে আশ্রয় নিতে। তাহলে কি “সাইক্লোন” আর “ঘূর্ণিঝড়” একই জিনিস? আবার কিছুদিন আগে বিশাল এক ঘূর্ণিঝড় “ক্যাটরিনা” আঘাত করলো আমেরিকায়। ক্যাটেরিনা নাকি “হারিকেন”!! অন্য দিকে চীন-জাপানের দিকের ঘূর্ণিঝড় গুলি নাকি “টাইফুন”!! তাহলে “সাইক্লোন”, “হারিকেন”, “টাইফুন” এরা আসলেকি?
“সাইক্লোন”, “হারিকেন”, “টাইফুন” যে নামেই ডাকেন এরা আসল “ঘূর্ণিঝড়”। অঞ্চলভেদে ঘূর্ণিঝড়েকেই এই ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়। সাধারণভাবে ঘূর্ণিঝড়কেসাইক্লোন বলা হয়। যতদূর জানা যায় সাইক্লোন শব্দটি নেয়া হয়েছেগ্রিক শব্দকাইক্লোস (kyklos) থেকে, যার অর্থবৃত্ত বা চাকা। এটা অনেক সময় সাপের বৃত্তাকার কুন্ডলী বুঝাতেও ব্যবহূত হয়।১৮৪৮ সাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় বুঝাতে সাইক্লোন শব্দটির ব্যবহার করা হয়।