নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি এদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে (পড়ুন ক্ষমতায় ফিরতে) আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এ কথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে গত আওয়ামী রেজিমে চরম নির্যাতিত ও নিপীড়িত দল ছিল বিএনপি। বিএপির অসংখ্য নেতাকর্মী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম খুন, কারাদণ্ড ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে। দিনের পর দিন নিজ বাড়িতে থাকতে পারেনি নেতা কর্মীরা।
কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে খুনী হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে সফল না হলেও শেষের দিকে এসে বিএনপি ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি করতে পেরেছিল বলে মনে হয়। মহানগরভিত্তিক সমাবেশগুলোতে দুদিন আগে থেকেই কর্মী-সমর্থক-জনতাকে চিড়ামুড়ি নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এ রকম একটা অবস্থায় জুলাই গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যখন গণহত্যাকারী হাসিনার পতন হয় এবং শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, তখন বিএনপি ছাত্র জনতার এই বিজয়কে তাদের নিজেদের বিজয় হিসেবে ধরে নেয় এবং কিছুদিনের মধ্যে তারাই ক্ষমতায় যাচ্ছে ভেবে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে।
এই ভাবনার প্রতিফলন দেখা যায় বিএনপির উর্ধ্বতন নেতৃত্ব থেকে সকল পর্যায়েই। দ্রুতই আওয়ামীলীগের ফেলে যাওয়া কার্যালয়, পরিবহন খাত, চাঁদাবাজি সাম্রাজ্য এবং বাজার সিন্ডিকেটসহ সকল ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেয় বিএনপির নেতা কর্মীরা। এমনকি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন যায়গায়। প্রথমদিকে বিএনপির নেতৃত্ব এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থাও নিয়েছে। শামা ওবায়েদ এর মত হেভিওয়েট নেতার পদ স্থগিত করার মত পদক্ষেপ নিয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচন দিবে এবং সে নির্বাচনে জিতে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে- এ রকম একটা ভাবনা থেকে বিএনপি জাতীয় সরকারে অসম্মতি প্রদান করায় শেষ পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ক্রমেই বিএনপি দেখছে যে তারা যেমনটা ভেবেছিল, ঘটনা পুরোপুরি তেমনটা ঘটছে না। এ কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিএনপি এক ধরনের প্রতিপক্ষ হিসেবে গণ্য করতে শুরু করেছে বলে আমার মনে হয়; যার চূড়ান্ত রূপ হিসেবে রাষ্ট্রপতি অপসারণের বিষয়ে বিএনপির অবস্থানকে আমরা দেখতে পারি।
সম্প্রতি সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার দোহায় দিয়ে রাষ্ট্রপতি অপসারণের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিএনপি নেতৃত্ব মনে করছে যে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি অপসারণ হলে অন্তবর্তীকালীন সরকার দীর্ঘ সময়ের জন্য থেকে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের সংস্কার করবে, যেটা পরবর্তী সরকার হিসেবে আখেরে বিএনপির জন্য শুভ হবে না।
এই যায়গাতে বিএনপি জুলাই গণঅভ্যূত্থানের মূল সুর ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যূত্থান কেবল একটা সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন হিসেবে সংঘটিত হয়নি বরং যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা শেখ হাসিনার মতো স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজ শাসক তৈরি করে, যে ব্যবস্থা মত প্রকাশ ও বিচার পাওয়ার স্বাধীনতা হরণ করে, যে ব্যবস্থায় দেশের সকল প্রতিষ্ঠান কেবল অকার্যকরই হয় না, বরং জনগণের উপর নিপীড়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়, সর্বোপরি শাসক দলের সদস্য এবং তাদের সুবিধাভোগী অলিগার্কগোষ্ঠী ব্যতিত বাকি সবাইকে যে ব্যবস্থা ডিহিউম্যানাইজড করে ফেলে তার পরিবর্তন এবং প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের জন্যই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে দেশের শ্রমিক-মজুর-কৃষক-শিক্ষক-ব্যবসায়ী-ধনী-গরীব-নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের জনগন রাজপথে নেমে এসেছিল। হ্যাঁ এ আন্দোলনে বিএনপিসহ আরও অনেক রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরাও ছিল, তবে সেটা কতটুকু দলীয় সিদ্ধান্তে আর কতটুকু ব্যক্তিগত তাড়নায় সেটা তারাই বলতে পারবে।
চাকুরিতে কোটা সংরক্ষণবিরোধী একটা আন্দোলন হঠাৎ করেই তো আর সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়নি, তার জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুতের কাজ গত এক দশকের বেশি সময় ধরেই করে গেছে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং বিভিন্ন গ্রুপ। কিন্তু মূল কাজটা হয়েছেই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে।
এ যায়গায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা ছিল বলে আমি মনে করি। বিএনপির অতীত দুর্নীতির ইতিহাস এবং স্বৈরাচারের ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠার ল্যাসপেন্সার দেশীয় গণমাধ্যমের এক পাক্ষিক বয়ানের বিপরীতে বিএনপি কোনো শক্তিশালী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। যে কারণে সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর সরকারবিরোধী আন্দোলনকে দেখেছে এক স্বৈরাচারের বিপরীতে আরেক দুর্নীতিবাজ সরকারের আগমনের আন্দোলন হিসেবে।
অন্যদিকে জুলাই বিপ্লবে আবু সাইদ এবং আরও অসংখ্য শিক্ষার্থী যখন খুনি হাসিনার পুলিশের গুলির সামনে দুহাত প্রসারিত করে নিজের জীবনের ভয়কে অগ্রাহ্য করে দেখাতে পেরেছে, তখন সাধারণ মানুষ এই ছাত্রদের মধ্যে নিজেদের এতদিনের জমানো ক্ষোভ, রাগ ও প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পেয়েছে এবং সে আন্দোলনে শরিক হয়ে নিজেরাও বিনাদ্বিধায় প্রাণদানে প্রস্তুত হয়েছে। একই সাথে নতুন প্রজন্ম এই দুর্নীতিপরায়ন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত পরিবর্তন করতে পারবে বলে বিশ্বাস করেছে।
এ রকম পরিস্থিতিতে ৫ আগস্টেই অকার্যকর হয়ে যাওয়া সংবিধান বা অন্যকিছুর দোহায় দিয়ে বিএনপি যদি প্রতিনিয়ত ছাত্র-জনআকাঙক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিতে থাকে, ন্যূনপক্ষে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত পরিবর্তনের লক্ষে ইতিবাচক কমিটমেন্ট না দেখাতে পারে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বিএনপি’র অবস্থা বর্তমান আওয়ামীলীগের চেয়েও খারাপ হবে। এমনকি এ রকম দ্বিধার মধ্য দিয়ে গণঅভ্যূত্থানের আন্দোলনকারীদের মধ্যে যদি বিভক্তি এসে যায় তাহলে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ তার সুযোগ অবশ্যই নিবে এবং সেক্ষেত্রে বিএনপি’র সরকার গঠনের আশা, আশাই থেকে যেতে পারে।
কদিন আগে আরটিভির ‘দাবির মিছিল থামবে কবে?’ শীর্ষক টকশোতে একদম শেষে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সঠিকভাবেই বলেছেন যে “এই গণঅভ্যূত্থান আসলে পিপল’স উইলকে সার্ভ করে। পিপল’স উইল একটা প্রত্যাশা করেছে যে মানুষ বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা আর চায় না। এটা হচ্ছে মানুষের আকাঙ্খা। আপনি যদি সেটা অনুভব করতে না পারেন, মানুষ আপনাকে ইনভ্যালিড করে দিবে, আজকে অথবা কালকে। যত রাজনৈতিক সংগঠন আছে, যারা আমাদের সিনিয়র সিটিজেন আছেন, অনেক বুঝদার ব্যক্তি, অনেক লম্বা লম্বা কথা বলতে পারেন। আমি এত লম্বা লম্বা কথা জানি না, আমি বায়োকেমিষ্ট্রি পড়ছি, আমি এত সংবিধান বুঝি না। কিন্তু আমি এটা বুঝি যে গত ১৫ বছর মানুষের সাথে যা হয়েছে.. .. আমাদের হলে.. .. ছাত্রদের .. .. কি বলবো? সে তো একটা স্টুডেন্ট, হয়তো তার ফার্স্ট হওয়ার ক্যাপাসিটি ছিল, ওই স্টুডেন্টকে সাফার করতে হয়েছে গণরুমে, রাত ৩টা বাজে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হতো।
আজকে এসে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে। এটা কিন্তু আমাদের ভেতরকার আকাক্সক্ষা ছিলো যে আমরা এই ছাত্র রাজনীতি চাই না। একইসাথে আমরা এই রাজনৈতিক ব্যবস্থাও চাইনা, যে রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপরে দাঁড়িয়ে আপনারা লম্বা লম্বা কথা বলেন। হ্যাঁ, এখানে অবশ্যই আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। আমাদের সবার মধ্যেই একটা ঐক্য লাগবে, এই সিস্টেমটাকে আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। এই অন্তবর্তী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু কোনো কিছুই পিপল’স উইলকে আন্ডারমাইন করতে পারবে না। মানুষকে সাথে নিয়েই আপনাকে চলতে হবে নাহলে মানুষ আপনাকে ছাপায়ে চলে যাবে, আমাকেও ছাপায়ে চলে যাবে।”
উমামা ফাতেমার এই কথাগুলোই আসলে অভ্যূত্থান পরবর্তী বাস্তবতা। এটা যদি কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দল না বুঝতে পারে, তাদের জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। বিএনপি যত দ্রুত এই বাস্তবতা বুঝতে পারবে, ততই দেশ এবং বিএনপির জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে আমি মনে করি।
উমামা ফাতেমার বক্তব্য
ছবি কৃতজ্ঞতা
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি যদি গ্রেনেড হামলার কথা উল্লেখ করেন তাহলে একই প্যারায় আয়নাঘর, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, বালুর ট্রাক, মইনুল রোডের বাসা থেকে উচ্ছেদ এবং এ ধরনের সবই আলোচনা করতে হবে।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ডও ছিল না, দীর্ঘদিনের কোনো পরিকল্পনাও ছিল না। জুলাই থেকে যারা ধারাবাহিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাদের কারো কাছেই মনে হবে না, এটা দীর্ঘদিনের কোনো পরিকল্পনা ছিল। ৩ আগস্টে ৯ দফা, ৪ আগস্টে এক দফা। ৯ দফা সরকার মেনে নিলে তো আর এক দফায় যেতে হতো না। ২, ৩, ৪ আগস্টে সরকার ড্রাস্টিক অ্যাকশনে গেছে, আর ভেবেছে যে, আন্দোলন আর এগোতে পারবে না। কিন্তু ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার সেই জেদ ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
এ আন্দোলনের সময়ে বিএনপিকে জন-সম্পৃক্ত দল মনে হয় নি। ছাত্র আন্দোলনের সময় ফখরুল আর রিজভী ভাইও প্রতিদিন কেবল রুটিন বক্তব্য দিয়ে গেছেন বলে মনে হয়েছে। কিন্তু ছাত্ররা যখন বিজয়ী হলো, তখন সবাই কে কার আগে পারে, দৌড়ে এসে নিজেদের মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করা শুরু করলো। এ নিয়ে আমিই বোধ হয় এখনো বাকি আছি যে নিজেকে মাস্টারমাইন্ড-দের পার্ট বলে দাবি করে নাই এ নিয়ে আরো কত যে গো-এষণা হবে, অনেকে ডক্টরেট ডিগ্রিও পাবে ভবিষ্যতে
জামায়াতের শফিক ভাইয়ের ভাবসাবে তো মনে হয়, তারা অলরেডি সরকারে চলে এসেছে। একটু ধৈর্যধারণের দরকার আছে বলে মনে করি।
তারেক ভাই নিজেকে প্রাইম মিনিস্টার ভাবা শুরু করেছেন, সন্দেহ নাই।
তবে, বিএনপি ঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করি। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক পথে এগোতে পারছে কিনা, আমার কাছে তো এটাই বড়ো প্রশ্ন হিসাবে দেখা দিচ্ছে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: খলিল ভাই, আমিও বিশ্বাস করি যে এই আন্দোলন পরিকল্পিত কিছুই ছিল না। মহাপরিকল্পনা যদি কেউ করেই থাকেন, তিনি মহান আল্লাহ, এ ছাড়া আর কেউ নয়।
যদি শেখ হাসিনা কোটা নিয়ে গোয়াতুর্মি না করতেন, রাজাকারের নাতিপুতি বিষয়ক বক্তব্য না দিতেন, তাহলে আন্দোলন সীমিত পর্যায়েই থাকতো, রাত ১২টায় হল গেট ভেঙে মেয়েরা বের হতো না।
যদি ওবাইদুল কাদের ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিতে বেকুবের মত বক্তব্য না দিতেন তাহলে ছাত্রলীগও হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়তো না, আন্দোলনও ক্যাম্পাসের বাইরে যেত না।
আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানীর পর শেখ হাসিনা যদি মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়ে নাটক না করতো তাহলে পাবলিক খেপে যেতো না।
সবচে বড় কথা, শেষ পর্যন্ত কোটা সংস্কারের দাবি মেনেই নিল, সেটা প্রথমে করলে আন্দোলন সেখানেই থেমে যেত, কিন্তু ওই যে ঘারত্যাড়া শেখ হাসিনা!
পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না, এ রকম মনে করার মত কোনো কিছু এখনও ঘটেনি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে যে বিপ্লবের জনআকাঙ্খার যায়গা থেকে সরে না যাওয়া ভালো হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে লম্বা মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কয়েকটা গান শুনলাম।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯
আমি সাজিদ বলেছেন: ৩৫% বিএনপির সমর্থক, ১৫-২০% আওয়ামী লীগের সমর্থক, ২০-২৫% জামায়াতের সমর্থক।এই ৭০-৭৫% মানুষকে বাদ দিয়ে কি জ্বিন পরীর সমর্থনে দেশের কোনও সরকার চলবে?
যেহেতু বিশদ বর্ণনা লিখেছেন, বুঝার চেষ্টা করছি যে কাদের কি অ্যাজেন্ডা চলছে!
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: দীর্ঘমেয়াদে দেশ চলবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারাই, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু গত অর্ধশতাব্দী ধরে এই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই মিলেমিশে এ দেশের সকল সিস্টেম, ইনস্টিটিউট ধ্বংস করেছে যত্নের সাথে। সে যায়গা থেকে আমি মনে করি- জুলাই গণঅভ্যূত্থানের অংশীজনরা কেবল ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাত করে আরেকটি একই ধরনের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেনি। বরং সেখানে এই ইনস্টিটিউটগুলো নতুনভাবে গড়ে তোলা, একটা ভারসম্যশীল রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করার আকাঙ্খা প্রবলভাবে উপস্থিত ছিল। সে আকাঙ্খাগুলো পুরণ হতে হবে।
দ্বিতীয়ত: এমনও হতে পারে যে আপনার উল্লিখিত ৭০-৭৫% মানুষের মধ্য থেকে ৭০-৭৫% মানুষই ওই গণঅভ্যূত্থানের জনআকাঙ্খাকে ধারণ করে..... আমার ব্ক্তব্যে অ্যাজেন্ডা বোঝার কিছু নেই, পরিষ্কারভাবে এটাই বলতে চাচ্ছি, বিএনপি বা যে রাজনৈতিক দলই ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করবে, তাকে এই জনআকাঙ্খাকে পুরণ করেই যেতে হবে। না হলে সে ইনভ্যালিড হয়ে যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার মনে হয় কিছু বিচ্চ্যুতি আছে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: নাহিদ, সারজিস, আসিফ , হাসনাত , উমামাদের বক্তৃতা যত শুনছি তত চমৎকৃত হচ্ছি। এত নির্ভুল, স্পষ্ট ও স্বচ্ছ এদের বক্তব্য যে গর্ব হয় এই প্রজন্মের তরুন তরুনীদের দেখলে। এরা সবাই বিএনপির ভাবগতিক বুঝতে পারছে। ডক্টর ইউনুসতো অবস্যই। আসিফ নজরুল সাদা দলের শিক্ষক হিসাবে মাঝে মাঝে বিএনপিকে খুশি করতে বিপ্লবের স্পিরিটের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ফেলেন।
বিএনপিকে রুখতে না পারলে তরুনদের এত রক্তদান পুরোপুরি বৃথা যাবে। ক্ষমতায় যাবার আগেই বিএনপি যেই রুপ দেখিয়ে চলছে , তাতে ক্ষমতায় গেলে যে আরেক ফ্যসিস্ট আমরা দেখব তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বড়জোড় রাস্ট্রীয় গুম, খুন অপহরন হয়ত কমবে। বাকি আর সবকিছুই আগের মতই চলবে। এমনকি লিখে রাখতে পারেন যে, পার্শ্ববর্তী দেশকে আগের মতই সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে যাবে তাদেরকে না রাগিয়ে নিরুপদ্রবে নিজেদের লুটপাঠের ক্ষমতা বজায় রাখতে।
৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি যদি গ্রেনেড হামলার কথা উল্লেখ করেন তাহলে একই প্যারায় আয়নাঘর, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, বালুর ট্রাক, মইনুল রোডের বাসা থেকে উচ্ছেদ এবং এ ধরনের সবই আলোচনা করতে হবে।
আয়নাঘর বলতে কিছু নেই। এগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর সেফ হাউজ। আশির দশকে আমার এলাকায় একটা নিরাপত্তা বাহিনীর সেফ হাউজ ছিল যেটা মহিউদ্দিন আহমদের একটা বই পড়ে জানতে পারি।
গোলাম আজমের ছেলের গামছা কাহিনীর কথা কি ভুলে গেছেন।
খালেদা জিয়া শেখ রেহানার বাড়িকে ধানমণ্ডি থানা বানিয়েছিলেন।
ইলিয়াস আলির এক ক্যাডার এখন বড় ফেসবুক সেলিব্রেটি ।
সব আমলে কিছু বিচার বহির্ভূত ঘটনা ঘটেছে । সেগুলো নিয়া আলাপ চালু রাখা জরুরি ।
৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
কিরকুট বলেছেন: বিএনপি ঠিক পথেই হাটছে । তারা ১৫ বছর ধরে এটাই চাইছিলো । চাটাচাটিতে তারা পিছিয়ে পরেছিলো । তাদের সকল আন্দোলন ছিলো চাটার অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন । এখন তারা ফিরে পেয়েছে তাই চাটছে !
৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
দেশে এখন অরাজকতা চলছে।
এর শেষ হবার জন্য নির্বাচন দরকার।
এই মুহূর্তে নির্বাচন দরকার।
এখন নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
দেরী করলে আলীগের সম্ভাবনা বাড়বে।
কোমলমতিরা জনরোষের শিকার হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: যে দল প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে গ্রেনেড হামলা করিয়ে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো তাদের পক্ষে কখনো সঠিক পথে রাজনীতি করা সম্ভব না।
বিএনপিকে ক্ষমতা দেওয়ার সম্ভাবনা কম। তারেক জিয়া ৮ আগস্ট দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু গ্রীন সিগনাল না পাওয়ায় আসে নাই।
ছাত্র-জনতা-সেনা অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটনো একটা বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। যা ইউনুস সাহেব নিজেই স্বীকার করেছিলেন মাহফুজ আলমকে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পরিচয় করে দেওয়ার সময়।
এখানে বিএনপির কোন স্টেক ছিল না। জামায়তের ছিলো।