নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগের আবহাওয়া একটু শান্ত হইছে মনে লয়, আহেন, আমরাও একটু বান্দরবানের পাহাড় থেইক্যা শান্তিতে ঘুইরা আহি... প্রথম পর্ব

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৭


বর্ষার পরপর বান্দরবানের ল্যান্ডস্কেপ এমনই সবুজ ও মনোরম। ফটোগ্রাফারের নাম উল্লেখ না থাকা ছবিসূত্র

আমাদের যাওয়ার কথা ছিলো গত বছরের মার্চে। হুট করে লকডাউনের খাড়ায় পড়ে সে দফায় ক্ষ্যান্ত দিলেও মনের মধ্যে নাফাখুম-নাফাখুম জিকির থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিলো না; অগত্যা এই মার্চের শেষে এসে তাই ঘুরান্টি টিমের দলবল নিয়ে হাটা ধরলাম নাফাখুমের উদ্দেশ্যে....। হাটা মানে আক্ষরিক অর্থেই হাটা। পাহাড়ে আমি আগেও গিয়েছি, কিন্তু নাফাখুমে যেতে হলে মওসুমভেদে দেড়ঘন্টা থেকে আড়াই ঘন্টা হাটাপথ পাড়ি দেয়া ছাড়া উপায় নেই।

ক্যাম্পাসের বন্ধুদের যে দলটা নিয়ে আমরা গত বিশবছর ধরেই ঘুরছি, এবার সে দলের আনুষ্ঠানিক একটা নাম পাওয়া গেছে- ‘দেশ ঘুরান্টি’। ঘুরান্টি শব্দটার জন্য এই ব্লগের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ২০০৯ সালে আমার এক পোস্টে ব্লগার নুশেরা মন্তব্য করেছিলো ‘শুভ ঘুরান্টি’। যদিও পরে শুনেছি যে শব্দটার প্রথম ব্যবহারকারী বা আবিষ্কারক নুশেরা নয়, ব্লগার বাফড়া।

আমার ইচ্ছে ছিলো নাম হবে ‘ঘুরান্টি’। কিন্তু সার্চ করে দেখি, অলরেডি একজন ‘ঘুরান্টি’ নামটা দখল করে আছে। কে জানে, সেও হয়তো এই ব্লগেরই কেউ হবে...। সে কারণে আমরা হয়ে গেলাম ‘দেশ ঘুরান্টি’।

এটা আমাদের টিম। কচ্ছপতলি থেকে এরকম পাথুরে ঝিরির পাড় ধরেই দেবতাখুম যেতে হয়।

ছোট্ট একটা দেশ হওয়ার পরও বাংলাদেশে যে কি পরিমাণ প্রাকৃতিক বৈপরীত্য আছে, তা বান্দরবান না গেলে ধারণা করা মুশকিল। এবারের ট্যুরে বেসিক্যালি আমাদের গন্তব্য ছিলো বান্দরবানের দেবতাখুম ঝর্ণা এবং নাফাখুম জলপ্রপাত। এ দুটো যায়গা-ই আমাদের চেনা পরিবেশের পুরোপুরি উল্টো। সম্পূর্ণ পাথুরে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝর্ণাধারা, নদী, জলপ্রপাত আর নিবিড় বন, অসাধারণ!

সবশেষ যখন বান্দরবান গিয়েছিলাম, তখন চিম্বুক পর্যন্ত যাওয়াটাই ছিলো রোমাঞ্চকর; নীলগীরি গেলেতো কথাই নেই। আজ প্রায় ১৩ বছর পর এসে দেখছি নীলগীরি-টিরি সব ডালভাত হয়ে গেছে। অবকাঠামো উন্নয়নের চেয়ে ট্যুরিস্টদের মানসিকতায় বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে এ সময়ে । ঢাকা থেকে দলে দলে মোটরবাইকে করে পাহাড়ে চলে আসছে ট্যুরিস্টরা। হরেদরে ছেলে-মেয়েরা চলে যাচ্ছে নাফাখুম থেকে আরও প্রায় ৫ ঘন্টার হাটা দুরত্বে অমিয়খুম, সাতভাইখুম বা জাদিপাই ঝর্ণা, কেওকেরাডাংয়ে।

আমরা যেতে চেয়েছিলাম মার্চের প্রথমদিকে। ট্যুরপণ্ডিত মারগুবুল্লাহ কইলো- ‘ভাই, পাহাড়ে যামু, অমাবস্যার আন্ধারে যাওনের ফায়দা কি? চান্নিপসর রাইতে নাফাখুম ঝর্ণার পাশে বইস্যা চাঁন্দের আলোর লগে গপসপ না কইরলে যাইয়া লাভ নাইক্যা....’ । আমাদের মধ্যে মারগুবুল্লাহ সবচেয়ে বেশি ঘুরেছে এসব এলাকায়, তার কথা ফেলার সুযোগ নাই। সুতরাং তারিখ বদলে মার্চের শেষ সপ্তাহে চলে আসলো। কিন্তু এমনই কপাল, বিশদিন পিছিয়ে পুর্ণিমা পেলাম ঠিকই, সাথে উপরি হিসেবে পেলাম মেঘমালা!!! কিয়ের চান্নিপসর.... অবশ্য রাত বাড়ার সাথে সাথে আকাশেও আলোর বন্যা এসে গিয়েছিলো।

বান্দরবানে পাহাড়ের গা বেয়ে চলে গেছে এরকম নদী। ফটোগ্রাফারের নাম উল্লেখ না থাকা ছবিসূত্র

ট্যুরের সময় যত কাছে আসছিলো, ঢাকায় আমরা ততই বিচলিত হয়ে পড়ছিলাম। কারণ গরম বেড়ে যাচ্ছিলো এবং সবাই বলছিলো ওদিকে গেলে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যাওয়া উচিৎ। কিন্তু আমরা ওখানে গিয়ে সুন্দর আবহাওয়া পেয়েছি, এমনকি নাফাখুমপাড়ায় রাতে আমাদেরকে কম্বল গায়ে দিতে হয়েছে। তবে হ্যাঁ, চৈত্রের শেষদিক হওয়ায় পাহাড়ে সবুজের ছোঁয়া কম ছিলো, পরিবেশে রুক্ষতা এসে গিয়েছিলো। সেটুকু কনসিডার করলে বাকি সবকিছুই উপভোগ্য ছিলো।

থানচি থেকে রেমাক্রিবাজার পর্যন্ত যেতে সাঙ্গুনদীতে পানি কম ছিলো। যে কারণে মাঝে মধ্যেই হাটুপানিতে নেমে আমাদের ইঞ্জিনবোট ঠেলতে হয়েছে। চার-পাঁচবার একেবারে নেমে কিছু দূর হেটে আবারও বোটে উঠতে হয়েছে। এক হিসেবে সেটা ভালোই হয়েছে। ভরা মৌসুমে এই নদীর আচরণ কি পরিমাণ ভয়ংকর হতে পারে, তার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া গেলো পানি এত কম থাকার পরও নদীর স্রোত এবং দুপাশের ক্ষয়ে যাওয়া পাথুরে পাহাড় দেখে। সে ভয়ংকর রূপের মুখোমুখিতো হতে হয়নি!

পার্বত্য অঞ্চল দেখার আগেই আমার সুযোগ হয়েছিলো কাঠমাণ্ডু ভ্রমণের। সমতলের মানুষ আমি বিশবছর আগে হিমালয়ের পাদদেশে গিয়ে পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখে আপ্লুত হয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-বান্দরবানে যতবার এসেছি, ততবারই মনে হয়েছে- আমাদের পাহাড় এত সুন্দর...।

বান্দরবানের রাস্তাগুলোও পাহাড়ের গা বেয়ে এরকম আঁকাবাকাভাবে উঠে গেছে। দুরে নীলগীরি রিসোর্ট এবং তার সামনে হেলিপ্যাড দেখা যাচ্ছে। ফটোগ্রাফারের নাম উল্লেখ না থাকা ছবিসূত্র

নীলগীরি পার হয়ে থানচির দিকে যাওয়ার সময় যদি চাঁন্দের গাড়িতে দাঁড়িয়ে সামনে তাকান, হঠাৎই দেখবেন আকাশ ছোঁয়া পাহাড় দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। আচমকা মনে হতে পারে এই পাহাড় পার হবো কিভাবে...। তারপর সেই পাহাড়কে কখনও ডানে, কখনও বামে রেখে ঘুরতে ঘুরতে একসময় থানচিতে পৌঁছে যাবেন। এই পথটাকে অনায়াসেই তুলনা করা যায় কাঁকরভিটা থেকে স্থলপথে কাঠমাণ্ডু যাওয়ার সেই ভয়ংকর সুন্দর পথের সাথে। তবুও আমরা নেপাল ছুটি!

এবার চলুন দেবতাখুম থেকে ঘুরে আসি
প্রথম দিন আমরা দেবতাখুম গিয়েছিলাম। দেবতাখুম টুরিস্ট স্পট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি। বান্দরবান শহর থেকে রোয়াংছড়ি-কচ্ছপতলি পর্যন্ত চাঁন্দের গাড়িতে গিয়ে এরপর প্রায় ঘন্টা দেড়েকের হাঁটা পথ পেরিয়ে শহর থেকে প্রায় ৩০-৩২ কিলোমিটার দুরের এই ঝর্ণা। একদিনেই ঘুরে আসা সম্ভব। এই যাত্রায় বান্দরবান শহর থেকে কচ্ছপতলিতে যাওয়া আসায় চান্দের গাড়ি প্রতি মোটামুটি ২০০০ টাকা নেয়। প্রতিটা চান্দেরগাড়িতে ১০ থেকে ১২ জন অনায়াসে বসা যায়। তবে সাধারণত এইসব যাত্রায় দাঁড়িয়ে যাওয়ায় উৎসাহী মানুষ বেশি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে ১৫জন যাওয়া কোনো ব্যাপারই না।

দেবতাখুমের এই ছবির সাথে বাংলাদেশের আর কোনওকিছুই মিলবে না।

আমাদের পরিচিত প্রতিবেশের বাইরে একদমই অন্যরকম এই ঝর্ণার পানি বের হয়ে আসে দুইপাশে খাড়া পাথুরে পাহাড়ের মাঝখানে ২০-২৫ ফিটের সরু এক চ্যানেল দিয়ে। প্রায় ৬০০ ফিট দৈর্ঘের এই চ্যানেলে কোনোসময়ই বোধহয় সূর্যের আলো আসতে পারে না। ফলে এই চৈত্রেও পানি ছিলো হিমশীতল এবং যথারীতি স্বচ্ছ। এখানকার গভীরতা সময়ভেদে ৫০ থেকে ৭০ ফিট হয়।

বান্দরবান শহর থেকে দেবতাখুম যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই গাইড নিতে হবে। গাইড ছাড়া এন্ট্রি নিষেধ। নিয়মানুযায়ী প্রতি ১০জনের জন্য ১জন গাইড প্রযোজ্য। গাইড প্রতি সাধারণত ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা নেয়। ১০ জনের দুয়েকজন বেশি হলে গাইড আপত্তি করে না। তবে কচ্ছপতলি আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করার সময় এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়।

কিন্ত বাংলাদেশে অতি প্রয়োজনীয় আইনই প্রায়শ বেলাইনে চলে এটা তো সাধারণ বিষয়। টিমে ১০জনের চেয়ে দুই পাঁচজন বেশি হলে কিভাবে সামলাবেন, সে আপনার বিজনেস। আমরা ১৫জন ছিলাম, আমার বেলায়, হাবাগোবা চেহারা দেখে দয়ার্দ্র হয়ে ছেড়ে দিয়েছিলো... :P

কচ্ছপতলিতে রিপোর্টিংয়ের জন্য একটা চার্ট করে নাম, পেশা, ফোন নাম্বার, ঠিকানা এবং বাড়ির কারও অল্টারনেটিভ ফোন নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিতে হয়। এর আগে রোয়াংছড়িতে বিজিবিক্যাম্পেও একইভাবে রিপোর্টিং করতে হয়। সুতরাং এসব ফটোকপি ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়াটাই উত্তম। ওখানে দৌঁড়ের উপর থাকতে হয়, ফটোকপি টপি করার সময় পাবেন না, তাছাড়া জেরক্স মেশিনও পাওয়া যাবে না।

এই ফরম্যাটেই ইনফরমেশনগুলো দরকার হয়

কচ্ছপতলিতে আমরা দেখলাম একটা রাস্তার নির্মাণযজ্ঞ চলছে; যেটা দেবতাখুমের আরও কাছে চলে যাবে বলে শুনলাম। তবে আপাতত গাড়ি এখানেই ব্রেক। এটা একটা বাজার ধরণের। দোকানপাট আছে। খাবার হোটেল আছে, স্থানীয় জনপদও আছে। দেবতাখুমের শুরুতেই ভাতটাত খাবার জন্য দুটো টং দোকান আছে, আপনি চাইলে ওখানে খেতে পারেন। তবে কমন প্রাকটিস হলো কচ্ছপতলির আর্মিক্যাম্পে রিপোর্টিং সেরে এখানকার হোটেলে পছন্দসই খাবারের অর্ডার করে যাওয়া, তারপর ফেরার পথে দুপুরের খাবার খাওয়া। শেরাটনের খাবার তো আর এখানে পাওয়া যাবে না, তবে ১৫০-২৫০ টাকায় যা পাওয়া যায় সেটা এই ঘন্টা দেড়েক পাহাড়ি পথ হেটে আর দেবতাখুম ঝর্ণায় ভেলা চালানোর পর অমৃতর চেয়ে কম কিছু মনে হয় না।

কচ্ছপতলিতে ছোট ছোট দোকানে পাহাড়ে সৌখিন হাঁটিয়েদের জন্য প্রয়োজনীয় স্যান্ডাল, থ্রি কোয়ার্টার, ক্যাপ বা এ ধরনের গেজেট এন্ড গিয়ার পাওয়া যায়। এখানকার স্থানীয় জনগোষ্ঠী এখনও অন্য অনেক ট্যুরিস্ট স্পটের মানুষের মত ধান্ধাবাজ হয়ে পারেনি, ফলে এসব দ্রব্যাদির দাম যথেষ্ঠই রিজনেবল। তাই আমার পরামর্শ, ঢাকা থেকে ঘাড়ে করে এসব বয়ে নেয়ার কোনো মানে নেই।

দেবতাখুমের আরও একটা ছবি। এ রকম গীরিপথ ধরে ভেলায় করে ঝর্ণার উৎসমুখে যেতে হয়।

আমার মতে, দেবতাখুম এবং নীলগিরিসহ বান্দরবান ভ্রমণের জন্য দুইদিন দুইরাত চমৎকার কর্পোরেট সময়। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে জার্নি করে পরের দুইদিন এসব যায়গা দেখে শনিবার রাতে ঢাকায় রওনা হয়ে পরদিন সুন্দর অফিস করা যায়।

যাই হোক, কচ্ছপতলিতে খাবারের ব্যবস্থা করে হাঁটা ধরুন দেবতাখুমের দিকে। দেবতাখুম পৌঁছুতে মোটামুটি দেড়ঘন্টার মতো সময় লাগবে। পাহাড়, বন, নদী ঝিরির পাশ দিয়ে হাটতে হবে, ঝিরি পারও হতে কয়েকবার। যে ঝিরি বা নদীর কুল ধরে আমরা হাটছিলাম, পানি বেশি থাকলে সে নদি ধরে অনেকখানি বোটে যাওয়া যায় বলে শুনলাম।

পথে আমরা কাছাকাছি যায়গায় এরকম দুটো আদিবাসী পাড়া পেয়েছিলাম। এই পাড়াগুলোতে মাতৃতান্ত্রিক ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস

পথে দুয়েকটা আদিবাসী পাড়া পাওয়া যাবে। এভাবে একসময় শীলবাঁধা পাড়ায়। এই পাড়া থেকে দেবতাখুম প্রায় ৩০ মিনিটের পথ। এরপর আর কি! শীতল ঝর্ণার পানিতে সাতার কেটে বা ভেলা চালিয়ে ঘুরে আসুন উৎসমুখ পর্যন্ত। এখানে ভেলা এবং লাইফজ্যাকেটের ব্যবস্থা আছে। জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে বর্ষার বাড়বাড়ন্ত সময়ে ওই ঝর্ণায় ভেলা চালানো আদৌ সম্ভব কি না কে জানে!


অভিজিৎ দাসের তোলা এই ছবিটি নেয়া হয়েছে উইকি থেকে।

এখন শুষ্কসময় হওয়াতে এবং আমাদের মধ্যে ব্লগার মরুভূমীর জলদস্যু, রাজীব নুর ভাই বা মনিরা সুলতানা আপার মত ফটোগ্রাফার না থাকাতে কিছু ছবি ইন্টারনেট থেকে ধার করতে হলো। তাছাড় লেখাটা তৈরীতে কিঞ্চিত সহায়তা নেয়া হয়েছে এই সাইট থেকে। দেবতাখুমে পানির মধ্যে আমি একটা পুজোর একটা অস্থায়ী বেদির মত দেখেছিলাম। ভাষ্যমতে, এখানে মাছের দেবতাকে পুজো দেয়া হয়, যে কারণেই এই ঝর্ণার নাম দেবতাখুম। কিন্তু ইন্টারনেটে কোথাও এই তথ্যের সপক্ষে কোনো প্রমাণ পেলাম না।

একটা কথা, আমরা যেহেতু গ্রুপে গিয়েছিলাম, তাই আমার অভিজ্ঞতা মোটের উপর গ্রুপের জন্যই প্রযোজ্য। এছাড়া একলা বা দুই তিনজন মিলেও নিশ্চয় যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সেক্ষেত্রে গাইডই আপনাকে হেল্প করবে। একা যান বা চৌদ্দজন, গাইড আপনাকে নিতেই হবে।

পরবর্তীপর্বে নাফাখুমে যাওয়ার আমন্ত্রণ।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: ঘুরাঘুরি ভাল হয়েছে দেখা যাচ্ছে ।
দেবতাখুম আমি যখন যাই তখন সেটার পরিচিত খুব কম ছিল । তাই আসলে চেহারাটা দেখতে পেয়েছিলাম কিন্তু এখন এটা এতো পরিচিত পেয়েছে আর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে । এমন ভাবে চলতে থাকলে আরও খারাপ হবে ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: এই স্পটটা পরিচিতি পেয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি। তবে ঠিকই বলেছেন যে যত পরিচিত পাচ্ছে, আমাদের চরিত্র অনুযায়ী আমরা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করছি। তারপরও যেটুকু আছে, তাও সুন্দর।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ব্লগের আবহাওয়া একটু শান্ত হইছে মনে লয়,

পদ্মপুকুর শান্ত হয়েছে, আবার ঢিল ছুড়ে তাকে
অশান্ত কইরেন না দাদা। লকডাউনে বান্দরবান
ঘোরার দাওয়াত না উস্কানি !! আমি কিন্তু ঘর থেইক্কা
বাইর হমুনা।
আপনার ভ্রমণকাহিনী পইড়া দুধের স্বাধ ঘোলে
মিটাইলাম। চমৎকার বর্ণনা ও ছবির জন্য ধন্যবাদ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঘটনা উল্টা। আপনি পাহাড়ে গেলে অটো লকডাউনে পড়ে যাবেন। সারাদিনেও কাছে ঘেষার জন্য মানুষ পাবেন না।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দেবতাখুম যাওয়া হয় নাই, যাওয়া হয় নাই আরো অনেক যায়গাতেই। তবে ইচ্ছে ছিলো এবার যাওয়ার, হলো না।
গতবছর ঠিক ফেব্রয়ারির ২৬ তারিখে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে থানচি-রেমাক্রি-নাফাখুম দেখে এসেছিলাম। ঠিক তখনই শুরু হয়েছিলো করোনার আক্রমন সারা পৃথিবী জুড়ে। কবেযে আবার সব স্বাভাবিক হবে!!!!

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমরা নাফাখুমও গিয়েছিলাম, পরের পর্বে লিখবো। আপনিতো প্রচুর ঘোরাঘুরি করেন, ঘুরান্টিতে থাকলে ভালোই হতো, সুন্দর সুন্দর ছবি পেতাম। কুরবানী ঈদের পর পোখারা যাওয়ার একটা চিন্তা চলছে... যাবেন নাকি?

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ ব্লগ। ছবিতে ও বর্ণনায় জমজমাট।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: ছবি তুলতে পারি না, নাহলে আরও সুন্দর সুন্দর ছবি দেয়া যেত। আপনি সুস্থ হয়েছেন আশা করি।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

শায়মা বলেছেন: বান্দরবান আমার পৃথিবীর দেখা সবচাইতে সুন্দর জায়গা।
অনেক ভালো লাগা ভাইয়া।


তবে শিরোনাম বদলাও। নয়ত এই শিরোনামে শান্ত আবহাওয়া আবার অশান্ত হয়ে যেতে পারে।

নুরু ভাইয়া ইজ রাইট।

তোমার তো আবার পরিস্থিতি অশান্ত করার পুরান স্মৃতি আছে...... :P

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিও বান্দরবানের ব্যাপারে আপনার সাথে একমত আপা। কিন্তু আমি সাধারণ মানুষ, আমার দেয়া শিরোনামে কিছু যায় আসে না।বাদ্দেন, ছেড়াদ্বীপে আমাদের গ্রুপ ছবিতে আপনি আমাকে খুঁজে বের করার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ওই ছবিতে আমি ছিলাম না, এবার কিন্তু আছি... :D

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: চার মাস আগে দেবতাখুম গিয়েছিলাম। দারুন সুন্দর পরিবেশ। মন আনন্দে ভরে গিয়েছিলো।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: মানে আপনি ডিসেম্বরে গিয়েছিলেন? তখন তো দারুণ সুন্দর পরিবেশই থাকার কথা।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



শান্তি বাহিনী, কিংবা অন্য পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হাতে পড়ার রিস্ক আছে?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: এ বিষয়ে পরের পর্বের লিখবো ভেবেছিলাম। যাই হোক, এসব এলাকায় সাধারণ ট্যুরিস্টদের শান্তিবাহিনী বা অন্য পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর হাতে পড়ার রিস্ক নেই বললেই চলে। মুলত এসব এলাকায় যেতে হলে যে গাইড নিতে হয়, তারাই মুলত একটা লিঁয়াজো করে। ট্যুরিস্টদের সম্পর্কে এই গোষ্ঠীগুলোকে অবগত রাখে।

পাহাড়ে সাধারণত যে সমস্যাগুলো হয়, সেগুলো রাজনৈতিক। কখনও নিজেদের ভেতরে, কখনও সরকারি ফোর্সের সাথে। সাধারণভাবে ট্যুরিস্টদের কোনো সমস্যা হয় না।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হাবাগোবা চেহারা দেখে দয়ার্থ হওয়া বাংলাদেশি সামরিক/বেসামরিক বাহিনীর অবিধানে নাইক্কা! আমরা বুঝবার পারছি। হাবাগোবা দেইখা আপনাদেরকে অন্যদের থেকে একটু বেশিই দোহন করেছে! :-B সেটা যাই হোক! আপনারা লীগের লোক! =p~
চাঁদগাজী ভাউর প্রশ্নের উত্তরটা জানার আমারও ইচ্ছে!

ইনফরমেশনের ফরম্যাটটার সাথেই সম্ভবত সবগুলো পরিচয়পত্রের ফটোকপি যুক্ত করে দেওন লাগবে তাই না?


আচ্ছা, দেবতামুখে কি রাত্রিযাপন করা যায়? সেটার কীরকম কী সুবিধা অসুবিধা?


ভ্রমণ কাহিনীর শৈল্পিক প্রকাশের জন্য অনেকগুলো ধন্যবাদ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপ্নে নির্ঘাৎ কচ্ছপতলি আর্মিক্যাম্পের কেউ, নাইলে ক্যাম্নে জানলেন যে কি হইছিলো....

আচ্ছা, ইনফরমেশনের এই ফরম্যাটটার সাথেই সবার ন্যাশনাল আইডির ফটোকপি জুড়ে দিতে হয়। ওরা এটা দেখে দেখে নিজেদের একটা লগবুকে এন্ট্রি দেয়। তবে আমি যেটা দিয়েছি, ওটা ওরা গ্রহণ করে না। একই ফরম্যাটে ওদের নিজস্ব একটা পেপার আছে। বেসিক্যালি ওইটাই পুরণ করতে হয়। আমরা আগেই আমাদের গাইডের কাছে এই ফরম্যাট পুরণ করে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম, সে ওটা দেখে বাকি কাজ সেরে ফেলেছিলো।

দেবতাখুমে রাত্রিযাপন করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে ঝর্ণার মোটামুটি আধাঘন্টা আগে যে পাড়া আছে, ট্যুরের মওসুমে ওর আশেপাশে ট্যুরিস্টরা তাবু টাঙিয়ে রাতযাপন করে।

আপনাকেও ধন্যবাদ। আসলে শৈল্পিক প্রকাশের চেয়ে লেখাটা যদি কারও কাজে লাগে, তাহলেই ভালো লাগবে।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ বাংলা নববর্ষ ও শুভেচ্ছা

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা স্যার।

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: ব্লগে দুতিনদিন জমজমাট ভাবের পর আবার সেই মেন্দা মারা অবস্থা :( । কুমির আর ফারাও ভাইয়ের পোস্টে সেঞ্চুরি হবার আগেই পোস্ট ড্রাফটে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট আপুতো অভিমান করে চলেই গেলো |-) । করুনাধারা আপার পোস্টে সেঞ্চুরি কমেন্ট হলো, খুব ভালো লেগেছিলো। ব্লগে করে শেষ বার সেঞ্চুরি কমেন্ট দেখেছি মনেই পড়ে না। যে হারে কমেন্ট আসছিলো তাতে তো হাজার পার হয়ে যেতো। কিন্তু বেরসিকের মতো উনি কমেন্ট বন্ধ করে দিলেন।

মুরগির রানিখেতের মতো এই ঝিম ধরা ভাব সহ্য হয় না। কেউ কিছু না করলে শনিবারের মধ্যে আমিই গ্যাঞ্জাম লাগামু। X((

অপু ভাই এসব জায়গায় অনেক বার গেছে। তবে বান্ধবি ছাড়া না :`> । শেষ বার তো অল্পের জন্য এক বান্ধবির হাতে খুন হতে হতে বেঁচে গেছে, ঐটা নিয়ে একটা গল্পও লিখছিলো।

চাদের গাড়িতে মাত্র ১০-১২ জন? ঐটার ছাদ, বনাত, এমনকি চাক্কার উপরেও লোক নেয়। বাঁক নেয়ার সময়ে ছাদের উপর থাকলে অসাধারণ ফিলিংস।

করোনা মনে হয় এই জনমে দূর হবে না। কাজেই গৃহবন্দি হয়ে বউয়ের নির্যাতনে মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু কপালে নাই, এটা মেনে নিয়েছি। ভ্রমন কাহিনি পড়ে হাহুতাশ ছাড়া উপায় নাই। |-)

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: চাদের গাড়িতে মাত্র ১০-১২ জন? ঐটার ছাদ, বনাত, এমনকি চাক্কার উপরেও লোক নেয়। বাঁক নেয়ার সময়ে ছাদের উপর থাকলে অসাধারণ ফিলিংস।
আপ্নের মত পাব্লিকের লাইগ্যা অহন বান্দরবানের চাঁন্দের গাড়িওলারা ছাদই খুইলা ফালাইছে, এই দেহেন-

বছর তিন আগে সাজেকে যাওনের সময় চান্দের গাড়ির ছাদে বইসা ওই ফিলিংস পাইছিলাম।

আর ব্লগও ওই বান্দরবানের পাহাড়ি রাস্তার মতই, কখনও উপ্রে উঠে, কখনও নিচে নামে... টেনশন লইয়েন না। কমতে কমতে অহন আছিই তো আমরা আর মামুরা... এর মইদ্যে কাইজ্যা করনের ফায়দা কি?

অপু ভাই অনেক কই কি করছে, এই খবরও পাইয়ালাইছেন? আপ্নে কি ভাই একাত্তর বা সময় টিভিতে আছেন্নি? B-)

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৬

ওমেরা বলেছেন: ব্লগের এত শান্ত আবহাওয়া ভালো লাগে না । তাই বলে আবার মনে করিয়েন আমি গ্যন্জাম পছন্দ করি আসলে আমি বলতে চেয়েছি ব্লগে ব্লগার সংখ্যা দিনে দিনে কমেই যাচ্ছে এটা ভালো লাগে না। আপনারা ঠিক মত ব্লগে না এলে ব্লগ তো মরেই যাবে !!

আপনার ভ্রমন কাহীনি ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি আসলে পারিবারিক একটা ট্রমার মধ্যে ছিলাম। এসব থেকে বের হতেই এই ট্যুরটা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো। সব মিলিয়ে কিছুদিন ব্লগে নেই। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাথা নষ্ট ক্যাচালে ব্লগে ঢু দিতে বিরক্ত লাগে ; কত ভালো লেখা যে মিস হয়ে যায় :(
আপনার সাথে আমিও ঘুরলাম !! আনন্দ আনন্দ ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার না সাজেক গেলে আমাকে গাইড হিসেবে নেয়ার কথা ছিলো? যান, এরপর বান্দরবানের রাস্তাও দেখিয়ে দিলাম....

১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নেতা মারগুবুল্লাহ ভাইকে আমার সালাম
পদ্ম পুকুর ভাইকে আমার সালাম
দেশ ঘুরান্টি টিমের সকল সদস্যকে আমার গুরুর পক্ষ থেকে সালাম

ভ্রমণ কাহিনি পড়তে পড়তে মনে হইল আমিও ভি দেশ ঘুরান্টি টিমের সাথে আছি

তবে, পাহাড়ের দেশে ঘোরার কথা শুনলেই বোরিং লাগে। কত যে ঘুরতে হইছে তার হিসাব নাই :( শখে না কিন্তু

মার্চের কত তারিখে গেছিলেন? আমার ছেলে ৭বন্ধু মিলে ১২ মার্চ তারিখে বান্দরবান যায়, ১৫ তারিখে করোনা নিয়া বাড়ি ফিরে :( ১৭ দিন পর টেস্টে নেগেটিভ আসে :)



সাম্প্রতিক ক্যাচালে আপনি বান্দরবান ছিলেন নাকি? কিছু একটা করেন- ক্যাচাল না হলে ব্লগ জমে না

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: আলহামদুল্লিাহ, ওদের করোনা নেগেটিভ হয়েছে। আমরা মার্চের ২৬-৩০ এ ছিলাম। যেভাবে সবাই আমার সাথে ঘুরছে, ভবিষ্যতে আর এরকম দুইনম্বরি ছবি দিয়ে চালানো যাবে বলে মনে হয় না....

মারগুবুল্লাহরে জানাইছি আপনার সালাম। যদিও আমরা ভালোবেসে ওরে মারগুবুল্লাহ বলে ডাকি, ওর নাম আসলে মারগুবুল্লাহ না।

১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাম্প্রতিক ক্যাচালে আপনি বান্দরবান ছিলেন নাকি? কিছু একটা করেন- ক্যাচাল না হলে ব্লগ জমে না -- আমিও তাই বলি..........লুকিয়ে লুকিয়ে ক্যাচাল দেখা হচ্ছিল বুঝি বড়!! :P


বান্দরবনে বেশ কয়েকবার গেলেও দেবতাখুম...যাওয়া হয় নি কখনও। সময় ও সুযোগ পেলে দেশের এসব জায়গা মিস করা যায় না। :D

চমৎকার পোস্ট।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: দেবতাখুম, নাফাখুম, বগালেক,কেউকেরাডাং, অমিয়খুম, জাদিপাই, সাতভাইখুম, সব যায়গায় যাবেন। সুন্দর।

১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার! একবছর যাবত খুপরিতে বসে আছি, পোস্ট পড়তে পড়তে মনে হলো বেশ একটা ভ্রমণ হলো...

এবার বলেন:
১) এতজনের মধ্যে একজন ঠিকমতো মাস্ক পড়া, তিনজনের গলার কাছে আর একজনের থুতনির একটু উপরে মাস্ক। বাকিরা মাস্ক বিহীন। ভ্রমণ শেষে আপনাদের সবাই করোনা মুক্ত আছেন?

২) আপনারা সবাই সাঁতার জানেন? এখানে ভেলা উল্টানোর ঘটনা ঘটেছে?

আরেকটা কথা, আপনার বাড়িতে কি পতির পুন্যে সতীর পুন্য হয় সিস্টেম? B-)

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: ১. এমনিতেই ওই এলাকাগুলো জনবিরল, ত্রিসীমানায় কোনো মানুষ নেই, তাই মাস্কগুলো নাক থেকে থুতনি, থুতনি থেকে গলায়, তারপর একসময় সেখান থেকে পকেটে চলে গেছে অবলীলায়...। আমাদের ট্যুরটা কিছুটা পার্সোনালাইজড ছিলো, মানুষের সংস্পর্শে আসার প্রয়োজন তেমন একটা পড়েনি।

গত ৩০ তারিখে আমরা ঢাকা এসেছি। এখন পর্যন্ত আমরা সবাই আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি।

২. আমি বাদে সবাই সাতার জানে। দেবতাখুমে কয়েকজন সাতরেও গেলো। আমি ভেলা চালিয়েছি।

আরেকটা কথাটা বুঝতে পারিনি...

১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বান্দরবন কখনো যাইনি; শুধু বান্দরবন কেন বলছি? কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রামেও কখনো যাইনি। কেন জানি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের প্রতি কখনো কোন আগ্রহ জন্মায়নি। তবে, কেন জানি বান্দরবন যাওয়ার খুব ইচ্ছে। আপনার এই পোস্ট পড়ে আগ্রহটা আরো বাড়লো। করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে একবার ঘুরে আসবো আশা করছি। দলের নাম 'দেশ ঘুরান্টি' চমৎকার হয়েছে। এমন প্রাণবন্ত একটি দল নিয়ে একদিন এভারেস্ট জয় করা সম্ভব।

ব্লগের ক্যাচাল পর্ব আপাতত শেষ মনে হচ্ছে। আপনার মতো আমিও 'বোবা' দর্শক ছিলাম। ছোট্ট মানুষ না বুঝে মুখে ফস্কে কিছু একটা বলে ফেললে গুরুজনেরা মাইন্ড করলে শরম লাগতো। আপনি লিখুন, সাথে আছি। আমার পোস্টে আপনার চমৎকার বেশ কিছু কমেন্ট আছে। এগুলো আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা।

ভালো থাকুন। পরিবারের সবার জন্য শুভ কামনা। শুভ নববর্ষ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: বহুদ্দিনবাদে আপনাকে দেখে আমার দেবতাখুম দেখার মতই আনন্দ হচ্ছে। ব্লগ থেকে আপনার সেলফ আইসোলেশনের সময়টাতে যদ্দুর মনে পড়ে আমি কয়েকবার আপনাকে নক করে এসেছি, তবু আপনার ঘুম ভাঙেনি। এখন আচানক আপনাকে দেখে আসলেই ভালো লাগছে।

একটা কথা ভালো বলেছেন- এরকম প্রাণবন্ত একটা দল..... আসলেই তাই। আমাদের টিমে ২০ জনের মত সদস্য আছে। আমরা একসাথে বহুদ্দিন থেকেই বিভিন্ন দিকে ঘুরছি। এবার ট্যুরে গিয়ে সবাইকে দেখে মনে হলো- না, মেঘে মেঘে অনেক বেলা-ই হয়েছে। অনেকেরই মাথায় শুভ্রতা দেখা দিয়েছে। কিন্তু রেমাক্রি থেকে নাফাখুম পর্যন্ত হাটার সময়ে মনে হলো না যে প্রাণশক্তি কারও কমেছে একটুও....

যদি দেশে থাকেন তো নেক্সট শরতে ঘুরে আসতে পারেন। এলাকাগুলো আসলেই সুন্দর।

১৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানে আপনি ডিসেম্বরে গিয়েছিলেন? তখন তো দারুণ সুন্দর পরিবেশই থাকার কথা।

দেবতাখুম ভ্রমন নিয়ে সামুতে লিখেছিলাম।
ছবি ব্লগও দিয়েছিলাম।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার ওইগুলো আগেও দেখেছিলাম। পোস্টগুলো আবার দেখে আসলাম। কিন্তু আপনি এত বেশি পোস্ট দেন যে ট্রেস করা মুশকিল হয়ে পড়ে....। ওই সময়ে পরিবেশ আরও সতেজ ছিল, দেখতে সুন্দর লাগছে।

১৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: লেখক বলেছেন:
'একই ফরম্যাটে ওদের নিজস্ব একটা পেপার আছে। বেসিক্যালি ওইটাই পুরণ করতে হয়। আমরা আগেই আমাদের গাইডের কাছে এই ফরম্যাট পুরণ করে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম, সে ওটা দেখে বাকি কাজ সেরে ফেলেছিলো।'

গাইডের কাছে পূর্বেই পাঠিয়ে দেওয়া অর্থে কী বুঝিয়েছেন?
ওখানে যাওয়ার আগে কি কোন ভাবে গাইডের সাথে যোগাযোগ করন যায়?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমরা ঢাকায় থাকতেই গাইড কনফার্ম করেছিলাম। বাকি ব্যবস্থা সে যেন এগিয়ে রাখতে পারে, তাই ইনফরমেশনগুলো মেইল করে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। রোয়াংছড়ির বিজিবি ক্যাম্প এবং কচ্ছপতলির আর্মি ক্যাম্পে যে ফর্মে ইনফরমেশনগুলো নেয়, সে নির্দিষ্ট ফর্ম গাইডরা নিজেরাই সংগ্রহ করে আগে থেকেই পুরণ করে রেখেছিলো।

আপনার আগ্রহ আছে মনে হচ্ছে। ট্যুরের মওসুমে এসব এলাকায় প্রচণ্ড ভীড় হয়, সেসময় এই ফর্মালিটিজগুলো সারতে সময় লাগে। এ কারণেই আমাদের সাথে থাকা হোমরাচোমরারা এসব আগেই ম্যানেজ করে ফেলেছিলো। যদিও আমরা শেষদিকে যাওয়ায় খুব একটা ভীড়ভাট্টা পাইনি।

১৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:২৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: ২০০১ এ প্রথম বান্দরবন গিয়ে থার জন্য ভালো এটা হোটেল পাইনি। পাহাড়ের উপরে সরকারী বিশ্রামাগারে ছিলাম।
কিন্ত ২০১৬ তে গিয়ে দেখি দিনে ২০, ০০০ টাকা ভাড়ার হোটেলও আছে।

আমিও একটা হোটেল করতে চেয়েছিলাম। কিন্ত জমির ব্যাবস্থা করতে পারিনি। কারণ ওরা দেশের সব জায়গায় জমি কিনতে এবং বাস করতে পারবে কিন্ত বাঙ্গালীরা পারবে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি এর আগে গিয়েছিলাম ২০০৭ এ। তখন শহরে কিছু কিছু হোটেল রিসোর্ট তৈরী হচ্ছে মাত্র। এখন সাইরুতে তো ২৪ হাজার টাকার রুমভাড়া....

শুনলাম, পাহাড়ি এলকায় বাঙালিদের পুনর্বাসনের জন্য যে যায়গা দেয়া হয়েছিলো, এখন নাকি এরকম যে সব যায়গা অদখলীকৃত হয়ে আছে, সেটার মালিকের নামের সাথে যদি কারও দাদা-বাবা-নানা- বা এ ধরনের কারও সাথে মিলে যায়, তখন স্থানীয় হেড ও ভুমি অফিসের সাথে যোগসাজসে সে যায়গার দখল নিচ্ছে কিছু ধুর্ত বাঙালি।

২০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ব্লগের ক্যাচালের পর এই ঘুরাঘুরি দারুন উপভোগ্য।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ, কেমন আছেন আপনি?

২১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান, ভ্রমন-লেখা-ছবি সবগুলোই ব্যাপোক সৌন্দর্য অইছে ভাই। ইজন্য পোস্টে এবং লেখায় +++।

আপনার লেখার সাথে সাথে আমিও ঘুরে আসলাম পাহাড়-ছড়ার এলাকা বান্দরবন থেকে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: বিনা পয়সায় ঘুরে ফেললেন, আমার যাওয়া আসার খরচটা দেন অ্যাটলিস্ট!! :)

২২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: view this link

বলতে চাচ্ছিলাম, আপনার যেমন এই সব জায়গায় ঘুরতে ভাল লাগে আপনার স্ত্রীরও ভালো লাগে হয়ত, সেটা ভাবতে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: না, সে অর্থে আমার ফ্যামিলিতে পতির পুন্যে সতীর পুন্য হয় সিস্টেম বলবত নেই, থাকতেও পারে না। গতমাসের প্রথমদিকেই আমরা স্বপরিবারে রাঙামাটি-কাপ্তাই ঘুরে এসেছি, ফর ইয়োর কাইন্ড ইনফরমেশন।

২৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেকদিন পরে ভ্রমন বিষয়ক লেখা পড়ে ভাল লাগল।
ভ্রমন বিষয়ক বেশিরভাগ লেখাই আমি সামুতেই পড়েছি।
আশা করি আপনি ভাল আছেন?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

২৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

স্থিতধী বলেছেন: জাদিপাই যখন আরো অনেক দুর্গম এলাকা ছিলো তখন গিয়েছিলাম, সেখানকার ঝর্নাটা অতি চমৎকার ।

আপনি তখন এখানে থাকলে খুব ভালো হতো ; শিল্পীর ঔদ্ধত্য থাকা কেউ একজন হন্য হয়ে " নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক" খুঁজে যাচ্ছিলো । আপনি থাকলে সেটা পেয়ে যেতো খুব সম্ভব ।

নয়তো আমিতো ভাবতেছিলাম কাউকে একবার বলি Amnesty international বা democracy watch কে একটা কল দিতে! :P

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: জাদিপাই যাওয়ার ইচ্ছে আছে, কবে নাগাদ সম্ভব হবে, বা আদৌও হবে কি না কে জানে...

২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

ইসিয়াক বলেছেন: কিছুদিন আগে দু’দিন জ্বর ছিল । তারপর মাথা ব্যথা ছিল সাত/আটদিন। এখন ভালো আছি।
কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা সতত।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,




চমৎকার বর্ণনা।
এসব জায়গার নামই শুধু শুনে গেছি, যাওয়া ভাগ্যে জোটেনি। হয়তো হবেও না কখনও। আফসোস করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

শুভ নববর্ষ।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আফসোস করার মত কি হইলো, আপনি আগ্রহী হলে নেক্সট যেখানে যাবো, আমন্ত্রণ জানাতে পারি...।

নববর্ষের শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ।

২৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৮

সোহানী বলেছেন: আপনারা কি শুরু করলেন!! এই নিয়া মনে হয় ৪র্থ পোস্ট পড়লাম ব্লগে খুম ঘুরতে যাবার বর্ননা। আর এইসব বর্ননা পড়ে আমিই খুন হবার দশা। এমনিতেই আমি ঘুরাঘুরি পাগল মানুষ, তারউপর করোনায় গত বছর থেকে বসা। এর উপর যদি এমন সব ভ্রমণ কাহিনী আনেন তাহলে আমি কই যাই......... X( । গত বছর দেশে গেছিলাম, আসার পর কানাডার কয়েকটা প্রভিন্সে ঘুরার প্লান ছিল স্বপরিবারে কিন্তু সব ভেস্তে গেল। আর কবে যে সব কিছু স্বাভাবিক হবে জানি না..... ঘরে বসে থাকতে থাকতে শিকড় গজাচ্ছে।

আপনার ঘুরান্টি টিমের সদস্য পদ বিক্রি হইলে আওয়াজ দিয়েন..। প্রাক্তন বিশ্ববিদ্যালয় মেট হবার কারনে বিশেষ বিবেচনায় আনা যায় কিনা জানাবেন :P । এরকম একটা দলের সদস্য হতে ইচ্ছে করছে।

আমি হয়তো কোন এক সময় বলেছি, বাবার চাকরীর সূত্রে আমাদের জীবনের বড় একটা অংশ কেটেছে রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই, কক্সবাজার, চিটাগাং, সিলেট......। আর বাবা ছিলেন ঘুরাগুরির মানুষ। যার কারনে আমরা প্রায় সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম্ কিন্তু তখন শান্তি বাহিনীর কারনে অনেকটা রেস্ট্রিকশান ছিল যাতায়াত। তারপরও অনেক ঘুরতাম আমরা। নাফামখুম তখন আমরা নামই জানতাম না। কেওকারাডাং ছাড়া তেমনভাবে কোন এরিয়া পরিচিত ছিল না। আর এখনতো জাতি এতো বেশী ঘুরাঘুরি করে যে তাদের হাত থেকে দেশের আর কোন ইঞ্চি বাকি নাই B-))

আর হাঁ ব্লগের ক্যাচাল..। আপনি অনুপস্থিত ছিলেন বটে কিন্তু ক্যাচাল ছাড়া ব্লগ জমে না এইটা কিন্তু সত্যি। আমিও এমন বিজি ছিলাম যে একটু শান্তিতে কোমড় বাইঁধা নামুম তার ও কোন জো ছিল না। তার আগেই দেখি সব ড্রাফট!! ধুর... এইটা কিছু হইলো :P । (যদিও মাহা ভাই মনে হয় একটু খানি ট্রাই দিতাছে .........)

চমৎকার বর্ননা আর ছবি সহ ভ্রমণ ব্লগে হিংসা মিশ্রিত ভালোলাগা।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার হাহাকার বাড়িয়ে এটার দ্বিতীয় পর্ব দিয়েছি.... :D তবে আপনার মন্তব্য পড়ে একটা আইডিয়া মাথায় আসছে- এই প্যান্ডেমিকে হঠাত করেই সবকিছু অনলাইনে চলে গেছে, আমিও পাব্লিকরে কম খরচে অনলাইনে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরিয়ে আনতে পারি, কি কন? B-)

নাফাখুম ডিসকভার্ড হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি। আপনি যে সময়ের কথা বলছেন, সেসময় মানুষ চিম্বুকে আসতে পারলেই বর্তে যেতো।

সদস্যপদ বিক্রি অইতো না। তয় ক্যাম্পাস সিনিয়র হিসেবে উপদেষ্টা পদ দেওন যাইতে পারে। দেশে আইলে আওয়াজ দিয়েন। সেই সূত্রে কানাডায় একখান শাখা খুইলা ফালামু....

২৮| ১১ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী! বর্ণনার স্টাইল, ছবি, তথ্য উপাত্ত-- সব মিলিয়ে একটি সুখপাঠ্য পোস্ট।

মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য থেকেও অনেক কিছু জানা হলো।

পোস্টে দ্বাদশ ভাল লাগা + +।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.