নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
বোধকরি দু’ মাসেরও বেশি সময় ধরে ডয়েচেভেলের সৌজন্যে সংবাদ শিরোনামটা লটকে আছে সামহোয়্যারইনের ‘আলোচিত ব্লগ’ এর উপরের প্যানেলে। একটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের পোর্টালে এরকম একটা সংবাদ বিনাবিচারে দু’মাস ধরে ঝুলতে থাকাটা জঙ্গলে থাকা ওই বাংলাদেশিদের প্রতি বৈশ্বিক অমনোযোগিতার ক্ষুদ্র একটা নমুনাও হলেও হতে পারে। তা দু’মাস যখন বাংলাদেশিরা ওখানে থাকতে পেরেছে, আরও কিছুসময় না হয় থাকুক। এর মধ্যে আমরা চলুন বছর পনেরো আগের মনিরামপুর উপজেলার এক গ্রাম থেকে ঘুরে আসি।
ওই গ্রামের দুরন্ত কিশোর শফিক তখন ক্লাস ফোর ফাইভে পড়ে। পড়াশোনায় আগ্রহী শফিকের সারা দিনমান উচ্ছল উপস্থিতি দরিদ্র মা-বাবার চোখে নানারঙের স্বপ্ন এঁকে দিয়ে যায়। দুপুরে রান্নাঘরের বারান্দায় বসে মোটাচালের ভাতের সাথে বেগুন-বড়ি-খলসে মাছের লোকমা মুখে তুলতে তুলতে শফিকের কৃষক বাবা একদিন স্ত্রীকে ডেকে বললো- বউ, আমাগের শফিক একদিন ম্যালা বড় চাকরি করবে, আমি কয়ে রাখলাম। তখন তুমার জন্যি নাকের ফুল বানায়ে দিবানে....। বউ কিছু বলেনা, শুধু আশায় ভরা চোখে তাকিয়ে থাকে শফিকের দিকে।
শফিক যখন ক্লাশ এইটে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেলো, পুরো গ্রামে একটা সাড়া পড়ে গেলো। যশোর থেকে লোকসমাজ পত্রিকায় শফিকের একটা ছবিও ছাঁপা হয়েছিলো। গ্রামের মাতব্বর মুরুব্বীরা শফিকের বাবাকে বললো- রফিক, তুমার ছেলেডারে ভালো স্কুলে ভত্তি করে দেও। ম্যাট্টিকি ভালো কত্তি পাল্লি দ্যাকপা খুব ভালো হবেনে।
গ্রামে আর কোনো ভালো স্কুল না থাকায় অগত্যা সেখান থেকেই এসএসসি দিয়ে শফিক প্রত্যাশিতভাবেই গোল্ডেন জিপিএ নিয়ে পাশ করলো।
এরপর আর গ্রামে থাকা চলে না। শেষ পর্যন্ত বাবা-মায়ের ধারদেনার পরিমাণ বাড়িয়ে শফিক শহরের এক কলেজে ভর্তি হলো। শহরের এই নামী কলেজে একনিষ্ঠ ছাত্র শফিকের পড়াশোনাও ভালোই হচ্ছিলো। কিন্তু গোল বাধে সেকেন্ড ইয়ারের মাঝামাঝি এসে হঠাৎ করে বাবা মারা যাওয়ায়।
সেদিন শফিকের খুব আনন্দের দিন ছিলো। বাবা গ্রাম থেকে এসেছিলো শফিকের সাথে দেখা করার জন্য। সাথে ছিলো কয়েকটা নারকেল, মায়ের হাতে বানানো নাড়ু, মোয়া, রান্না করা তরকারি আর মায়ের হাতে বোনা একটা শীতের সোয়েটার। ছেলের অধ্যবসায় দেখে সেদিন শফিকের বাবার চোখে পানি এসে গিয়েছিলো। ছেলের খাওয়া দেখতে দেখতে গোপনে চোখ মুছে রফিক মনে মনে দোয়া করছিলো- আল্লাহ, তুমি আমার ছেলেডার ভালো কইরো...
শফিকের মেস থেকে বের হয়ে গ্রামে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ওর বাবা। দড়াটানা মোড় পার হতে গিয়ে ভোস করে ছুটে যাওয়া এক ধনীর দুলালের ১৬৫ সিসির বাইকের ধাক্কায় উড়ে গিয়ে হাসান বুক ডিপোর সামনে গিয়ে পড়ে রফিক। লোকজন ধরাধরি করে পাশের সরকারি হাসপাতালে দিয়ে আসে।
পরদিন শফিকের কাছে যখন খবর আসে, ততক্ষণে আর বেঁচে নেয় রফিক। এরপরের গল্প সংক্ষিপ্ত। নিজের পড়াশুনার খরচের পাশাপাশি মা এবং ছোট বোনটার খরচ জোগাতে কয়েকটা টিউশনির পাশাপাশি শুক্রবারগুলোতে বিভিন্ন বিয়ে অনুষ্ঠানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট টিমের সাথে কাজ করাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়।
এই উদয়াস্ত পরিশ্রমের বিপরীতে পড়াশুনোটাই আর হয়ে ওঠেনা, ইন্টারের রেজাল্টও তাই হলো জিপিএ ৩.৯৫। এই জিপিএ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। তাছাড়াও পারিপার্শ্বিকতা তাকে আটকে ফেলে কঠিনভাবে। এ রকম সময়ে আবারও গ্রামের ময় মুরুব্বিদের আগমন, তার মাকে বলে- তোমার ছেলেকে বিদেশ পাঠায়ে দেও...
মায়ের কাছে এরচে ভালো বিকল্প আর ছিলো না তখন। এদিকে ঢাকাতে গ্রামের ছেলে ওবাইদুলের খোঁজ পাওয়া গেলো। বিদেশে লোক পাঠায়, খুবই নাকি বিশ্বস্ত। শেষ পর্যন্ত তাদের শেষ সম্বল কয়েক কাঠা কৃষিজমি বিক্রির টাকার বিনিময়ে সেই বিশ্বস্ত ওবাইদুলের হাত ধরে শফিক ইউরোপের পথে পাড়ি জমায়।
তারপর বিভিন্ন সাগরপথ, নদীপথ, হাটাপথ, জঙ্গলপথ পেরিয়ে মায়ের চোখের জল ঝরিয়ে শফিক এখন শীতের আতঙ্কে বসনিয়ার জঙ্গলে রাত কাটাচ্ছে।
দুই
আচ্ছা, শফিক আরও একটা রাত না হয় থাকুক বসনিয়ার জঙ্গলে। আমরা এবার আজ থেকে কুড়ি বছর পরের সুইজারল্যান্ডের এক শহর, লুজন থেকে ঘুরে আসি। সম্প্রতি লুজনে একটা একটা বাংলাদেশী কারি রেস্টুরেন্টচেইন খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। ‘মনিরামপুর কারি’ নামের এই রেস্টুরেন্টের সুনাম সুইজারল্যান্ড ছাড়িয়ে ইউরোপের প্রতিটা দেশেই ছড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশি ছাড়াও স্থানীয় মানুষদের মধ্যেও একই গতিতে প্রসার ঘটছে মনিরামপুর কারির।
এমনকি জার্মান ভাষায় প্রকাশিত সুইজারল্যান্ডের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক- ‘20 Minuten’-এ মনিরামপুর কারি নিয়ে একটা বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- মনিরামপুর কারির প্রভাবে স্থানীয় অধিবাসীদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে বক্স ট্রিটমেন্টে মনিরামপুর কারির সত্তাধিকারী শফিকুর রহমানের সচিত্র সাক্ষাতকারও প্রকাশিত হয়। শফিকুর রহমান বলেন- মনিরামপুর কারি মানেই বাংলাদেশি স্বাদ, মনিরামপুর কারি মানেই বাংলাদেশ। আমরা ইতোমধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশি বিভিন্ন ফুডের চেইন আউটলেট প্রতিষ্ঠা করেছি। সামনের ১৬ ডিসেম্বর একযোগে এগুলোর উদ্বোধন করা হবে।
তিন
এই ঘটনার প্রায় পাঁচবছর পেরিয়ে গিয়েছে। মনিরামপুর কারি এখন ইউরোপের সেরা ফুড চেইন। প্রায় ১ লক্ষ বাংলাদেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই চেইনের সাথে জড়িয়ে আছে। সম্প্রতি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখায় শফিকুর রহমান প্রথম প্রবাসী বাংলাদেশি হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। দেশের টেলিভিশনে এই খবর শুনে মনিরামপুরের সেই গ্রামের নজরুল মাতুব্বরের এক সুযোগ্য (!) পুত্র থুক করে একদলা থুথু ফেলে মুখ কুঁচকে বললো- শালা ছোটলোকের বাচ্চা ছোটলোক, দেশে খাতি পাত্তিসনে, এখন বিদেশ যেয়ে হোটেলের থাল-গামলা ধুয়ে বড়লোক হইছিস, আবার পুরুসকারও মারাচ্ছিস, শালা তৃতীয়শ্রেণী...
উৎসর্গ: প্রিয় ব্লগার ভুয়া মফিজ ভাই। উৎসর্গসূত্র বুঝতে এই লেখাটা দেখতে পারেন।
** ছবিটা iconshots.com ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। ফটোগ্রাফারের নামটা খুঁজে পেলাম না।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আবেগে কাইন্দালাইছি!!!!
এইডা যে কান্দনের ইমো, জীবনে প্রথমবার জানলাম। অহনতন আমিও অ্যাম্নে কান্দনের ট্রাই কর্মু। অবশ্য মাড়িতে একটু ব্যথা, বেশি হা করতে পারবো কি না কে জানে...
অভিনন্দনটা নিলাম। না নিলে ওইডা আবার তৃতীয়শ্রেণীর কারও পকেটে যদি চইলা যায়, তহন ফেরত পাওনের লাইগ্যা ২% প্রণোদনা দেওন লাগতে পারে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গত কিছুদিন থেকে আমি কিছুটা শারীরিকভাবে অসুস্থ অনুভব করছি, নইলে আমারও ইচ্ছা ছিলো, এই বিষয়ে লেখার জন্য।
আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ এই বিষয়ে লেখার জন্য। খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি প্রসঙ্গে আপনি আলোচনা শুরু করেছেন। আমি মনে করি, আমাদের ব্লগারদের এই বিষয়ে আলোচনা করা দরকার, প্রয়োজনে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে লেখালেখি বা অন্য যে কোন ভাবে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। এই ব্যাপারে আমাদের প্রবাসী ব্লগারাও স্থানীয় জনমত সৃষ্টিতে কাজ করতে পারেন। কিভাবে এই অসহায় মানুষগুলোকে সাহায্য করা যায়, সেই ব্যাপারে আলোচনা করে সুষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহন করতে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করতে হবে।
আপনি সম্ভব হলে এই পোস্টটিতে এই বিষয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি, সংবাদ, বিশ্লেষন যুক্ত করুন। আলোচনার সুবিধার্থে এই পোস্টটিকে আমরা সামনে রাখতে চাই।
ধন্যবাদ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: দোয়া করি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুন।
আপনার প্রস্তাবনার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যে নতুন একটা ডাইমেনশন তৈরী হয়েছে কিন্তু গতকালকে পড়া ব্লগার ভূয়া মফিজ এর একটা পোস্টের সাথে ঐক্যমত্য পোষণ করতেই মূলত এই লেখা, যে কারণে বসনিয়ার ওই সংবাদটা এখানে এসেছে পার্শ্বসংবাদ হিসেবে, মূলটা একেবারে শেষে এবং এটা ভুয়া মফিজ ভাইকে উৎসর্গকৃত।
তবুও আপনার পরামর্শে আপ্লুত বোধ করছি। তবে এই বিষয়ে লিখতে হলে ব্যাপক পড়া দরকার, এই মুহুর্তে সময় আমাকে সেজন্য অ্যালাও করবে কি না সেটাই সংশয়। সামনের ৬ তারিখে আমার অফিসের সবচে বড় ইভেন্ট, প্রায় ৫০০০ অংশগ্রহনকারী নিয়ে দিনব্যাপী একটা গেটটুগেদার। খুবই ব্যস্ত থাকবো তদ্দিন।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যদিও আপনি বিষয়টি অনেকটা গল্পের আকারে লিখেছেন, তবে সম্ভব হলে আমি যে সকল দিক নির্দেশনা দিয়েছি, সেটা অনুসরন করে যদি ফিচার বা রিপোর্ট আকারে একটি পোস্ট দিতেন, তাহলে সেটাকে আমরা সামনে রাখতে পারতাম।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
রায়হান চৌঃ বলেছেন: গিয়ে দেখেন ঐ মাতুব্বরের নাক কাটা পুত্র টা ই হলো এ দেশের রাজনীতি নামক ছাগলের ছত্রিশ নাম্বার পুত্র
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: সেটাইতো।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের দেশের এই যে লেবার নামক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী দের অবহেলা জাতীয় চরিত্রে পরিণত হয়েছে।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: যাবতীয় নেতিবাচক গুণগুলো রপ্ত করার বিষয়ে আমরা বেশ পারদর্শী।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯
এমেরিকা বলেছেন: আমাদের দেশটা ছোট, ২০ কোটি মানুষ ধারণ করার মত জায়গা এই দেশের বুকে নেই। তাই অতিরিক্ত মানুষ (যারা কোন কাজের না), তাদের ঠাই হয় বসনিয়ার জঙ্গলে অথবা বঙ্গোপসাগরের বিরান নৌকায়।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: মাইগ্রেশন একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। দেশের মানুষ বেশি হলে মাইগ্রেশনের পরিমাণ বেশি হবে এবং সেটা চোখেও পড়বে বেশি। সেটা ঠিকই আছে। কিন্তু উপরে ব্লগার কাল্পনিক_ভালবাসা যে বিষয়ে আলোচনার সুত্রপাত করেছেন, তা হলো- বাংলাদেশের মানুষ যখন বসনিয়ার জঙ্গলে রাত কাটাচ্ছে, তখন এই দেশ, এই দেশের কুটনীতি, এই দেশের সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ থেকে নিয়ে সাধারণ জনগণ কি করেছে?
৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বর্তমানে ১ কোটী ১০ লাখ বাংগালী বিদেশে আছেন; বৃটেন, আমেরিকা, কানাডা ও অষ্ট্রােলিয়ায় বেশীরভাগ বাংগালী পরিবার নিয়ে সেইসব দেশের নাগরিক কিংবা রেসিডেন্ট হিসেবে বসবাস করছেন; ইউরোপের অন্যান্য দেশেও সামান্য কিছু পরিমাণ বাংগালী স্হায়ীভাবে বাস শুরু করেছেন।
এঁদের জীবন, সামজ, জাতীয়তা, নাগরিকত্ব ইত্যাদি ব্লগার "ভুয়া মফিজ" মফিজের লেখায় মোটেও " পরিস্কার হয়নি"; উনি এগুলোকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন: এ বিষয়ে আমার বিশেষ জানা নেই।
৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়টা আমি ইচ্ছা করে এড়িয়ে গেছি। অথচ আপনি চোখের সামনে নিয়ে এলেন। এসব বিষয় গুলো আমি সহ্য করতে পারি না। ''মানুষ'' কষ্টে আছে। অথচ তা দেখার কেউ নাই। তাদের সাহায্য করার কেউ নাই। আসলে দরিদ্র দেশে জন্ম গ্রহন করাই পাপ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমরা নিজেরা যখন নিজেদের দেখবো না, তখন দেখার জন্য অন্য কেউ থাকবেনা, এটাই স্বাভাবিক। আপনি নিশ্চয় মনে করতে পারবেন যে করোনাকালে একজন টার্কিশ নাগরিককে ফেরত নিতে বিশেষ বিমান বাংলাদেশে এসেছিলো....অথচ আমাদের মানুষ বিভিন্ন যায়গায় ভীষণ বিপদে থাকে, তাদেরকে দেখার কেউ নেই.... আসলেই দুঃখজনক।
১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: সত্যি বলতে গল্পটা একটা সিনেমার মতো লেগেছে আমার কাছে, খুবই দারুণ হয়েছে!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: সিনেমাতো বাস্তব জীবনেরই প্রতিফলন ভাই, ধন্যবাদ।
১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার লেখার বিষয়বস্তু ছিল কি.......আর আমার সারিন্দায় তার মইদ্যে খুজে কি!!!
পইড়া কিছু বুঝে, নাকি না বুইঝা এমনে এমনেই কয়..........সেইটাই বুজলাম না। নাসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারে ভুইগা ভুইগা মানুষটা এক্কেরে শ্যাষ হয়া গেল গা!!!!!
@পদ্মপুকুরঃ কান্দনের জন্য হা করনের দরকার নাই। ফটো দ্যাখেন......এম্নে কানবেন।
@জাদিদ ভাইঃ দোয়া করি, দ্রুত শারীরিকভাবে সুস্থ্য হয়ে উঠুন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: এইডা কি দিলেন, এই কান্দন দেইখ্যা উল্টা হাসি আইতাছে জব্বর...
১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০
জোবাইর বলেছেন: আপনার উল্লেখিত গল্পের কাহিনী অনেক প্রবাসী বাংলাদেশির ব্যাপারে প্রযোজ্য হলেও বসনিয়ার জঙ্গলে থাকা বাংলাদেশিদের কাহিনীটা কিছুটা ব্যতিক্রম!
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়া হয়ে ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে বসনিয়ার জঙ্গলে মানবেতর জীবন যাপনকারী এই বাংলাদেশিরা বেশিভাগই সিলেটের লোক। উনারা অনেক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছিলেন। আরো উন্নত জীবন এবং বেশি আয়ের জন্য বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিভিন্ন দেশ হয়ে এখন বসনিয়ার জঙ্গলে এসে আটকে পড়েছেন। এদের কারো কারো আয় মধ্যপ্রাচ্যেও ভালো ছিল। কিন্তু দেশে নাকি এদের মান-সম্মান ইউরোপ-আমেরিক প্রবাসী সিলেটিদের তুলনায় কম! তাই জাতে উঠার জন্যও অনেকে এপথ ধরেছেন। এদের এখানে আসতে একেকজনের ১৮ থেকে ২০ লাখ খরচ হয়েছে। এদের অনেকের আত্মীয়/বন্ধুবান্ধব ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সে থাকে। যারা এদেরকে ইউরোপে আসার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
এই লোকগুলো দেশ থেকে টাকা এনে কিছুদিন পরপর স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বসনিয়া ও কোরেশিয়ার সীমান্ত প্রহরীদের ফাঁকি বা ঘুষ দিয়ে কোরেশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করে। যদিও বেশিভাগক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়। এদেরকে দেশে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় কতৃপক্ষ ও বাংলাদেশের দূতাবাশের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনাদের সাফ কথা, "১৮ থেকে ২০ লাখ খরচ করে এখানে এসেছি। বিভিন্ন দেশে দালালদেরকে এ টাকা দিতে হয়েছে আমাদের। এ মুহূর্তে দেশে গেলে নিঃস্ব হয়ে যাব আমরা। কিছুতেই দেশে ফেরত যাব না। এতগুলো টাকা খরচ করে এসেছি, যেভাবেই হোক, যত কষ্টই হোক যতদিন ইতালি বা জার্মানি ঢুকতে না পারি ততদিন এখানকার জঙ্গলে থাকবো। আর কেউ যদি জোর করে আমাদের দেশে ফেরত পাঠাতে চায় তাহলে আমাদের যে ১৮-২০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে তা দিতে হবে।"
তথ্যসূত্র:
1. ইতালিতে ঢুকতে বসনিয়ার জঙ্গলে একদল বাংলাদেশি - bdnews24.com - Published: 30 Sep 2020
2. বসনিয়ার জঙ্গলে আটকে থাকা বাংলাদেশিরা যেমন আছেন - bdnews24.com, Published: 18 Oct 2020
3. সিলেটের নিখিলদের স্বপ্ন বন্দি বসনিয়ার জঙ্গলে - যুগান্তর , ২৫ অক্টোবর ২০২০
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: লম্বা মন্তব্য করেছেন, ধন্যবাদ। আপনি কি কোনোভাবে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ, বেশ তথ্যমূলক মন্তব্য করেছেন এজন্য বললাম।
আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিলো আসলে ব্লগার ভুয়া মফিজ এর গতকালকের একটা পোস্ট, যেখানে তিনি প্রবাসীদের সম্পর্কে আমাদের দেশে থাকাদের যে নাক উচুঁ মনোভাব, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, আমিও আসলে সে যায়গা থেকেই লেখাটা লিখেছি। যেখানে দেখাতে চেয়েছি যে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী, যে সুযোগ থাকলে এ দেশেই সফল হতে পারতো, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি। ভাগ্যের ফেরে পড়ে সে আজ বসনিয়ার জঙ্গলে এবং দিনশেষে সে তার মেধাকে বিকাশ করতে পেরেছে এবং দেশকে সেবা দিচ্ছে....
আক্ষরিক অর্থে যারা বসনিয়ার জঙ্গলে কষ্ট পাচ্ছে, তারা এখানে মূখ্য ছিলো না এবং সে বিষয়ে আমি বিশেষ জানিও না। কিন্তু ব্লগার কাল্পনিক_ভালোবাসা এই পোস্টর আলোচনাটা আপনার বলা কথার দিকে নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন, সে হিসেবে অন্য কেউ আরও ভালো বলতে পারবেন।
আবারও ধনব্যাদ স্যার, শুভ ব্লগিং।
১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এমন শফিক আরো আছে যারা বিদেশে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতেছে । স্যালুট সবাইকে
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: জামাল ভুইয়া নামে এই শফিকদের একজন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশ ফুটবল টিমকে উদ্ধার করতেছে..
১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক- নম্বর ঘটনাটা পরে মর্মাহত হলাম। আপনি হয়তো একটু গল্পের আদলে লিখেছেন। তবে এটাই বাস্তব। ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বিদেশে কেউ বিপদে পড়লে এভাবে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতেন।আজ আমার সেটাই প্রার্থনা। রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ না হলে শফিকদের নিরাপদে ফেরাটা প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে গেল।
দুই-মনিরামপুর কারির ঘটনাটা বাঙালি পক্ষে গর্বের।
তিন- কিছু অর্বাচীন সব দেশে সবকালেই থাকবে।
চার- উৎসর্গে সুপার্ব ভালোলাগা। আপনাদের দু'জনকেই নিরন্তর শুভেচ্ছা....
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২০
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভারতীয়দের অসংখ্য দোষ আমরা বাংলাদেশীরা আবিষ্কার করতে পারি, যেগুলোতে সত্যতাও আছে, কিন্তু দেশপ্রেম এবং দেশকে প্রোমট করার বিষয়ে ভারতীয়রা আমাদের চেয়ে বেশ এগিয়ে, সেট অস্বীকার করার কিছু নেই। ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ ধরনের বেশ কিছু অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এমনকি অন্যদেশের মানুষের জন্যও।
আমার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে। উনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া আমার বোনের ছেলের একমাসের একটা ইন্টার্ন টাইপ কোর্স পড়েছিলো আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্যাচের সবাই সুন্দর মত ভিসা নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে আসাম চলে গেলেও ওই ছেলের ভিসা পাওয়াতো গেলই না, পাসপোর্টও ফেরত পাওয়া গেলো না।
হাইকমিশন এবং ভিসা সেন্টারে খোঁজ নিতে গেলে টিপিক্যাল ইন্ডিয়ান ব্যবহার পাওয়া গেল। বিভিন্ন যায়গায় মেল চালাচালি করেও কোনো সমাধান না হওয়ায় ও যখন হতাশ হয়ে পড়েছে, তখন আমি বললাম এক কাজ করো- সুষমা স্বরাজকে ট্যাগ করে ডিটেইল জানিয়ে টুইট করো। ও সেটাই করলো এবং তারপর যাদুমন্ত্রের মতই কাজ হলো। ওই টুইটে সুষমা স্বরাজ রিটুইট করে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনারকে বিষয়টা লুক আফটার করার জন্য বললেন এবং একইভাবে হাইকমিশনার মহোদয় রিটুইটে ওকে আশ্বস্ত করলেন যে কালই তুমি ভিসাসহ তোমার পাসপোর্ট পাবে....
জীবনে প্রথমবার মামা হিসেবে খুব ভালো লেগেছিলো আপনাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কল্যাণে।
১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৩
জুন বলেছেন: পদ্মপুকুর ,
একটা কথা মনে রাখবেন আমরা থার্ড ওয়ার্ল্ডের বাসিন্দা তো আমরা যতই ফাস্ট ওয়ার্ল্ডের তকমা পাই না ক্যান লোকজন আমাদের তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিকই মনে করে । সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো এটা কিন্ত সেই সংস্লিষ্ট দেশের লোকজন মনে না করলেও আমাদের দেশের কিছু লোকজন তা প্রায়শই মনে করায় দিতে ভুলে না
আমার পরিচিত এক বাংলাদেশী ছেলে ব্যংককে একটি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনে চাকরী করতো । গতবার গিয়ে শুনলাম সে চাকরি বাকরি ছেড়ে উকিল আর আইএল টি এস নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। কি ব্যাপার , আমি তো অবাক ঐখানে মানুষ সহজে চাকরি পায় না আর সে কি না ! জিজ্ঞেস করে জানলাম তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন জনকে ট্রেনিং বা ওয়ার্কশপে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রায়ই পাঠায় কিন্ত তার সুযোগ হয় না কারন তার পাসপোর্ট থার্ড ওয়ার্ল্ডের। তার পাসপোর্ট দিয়ে সে ভিসা ছাড়া কোন দেশে যেতে পারে না যেখানে এশিয়ার অনেক দেশ আর অস্ট্রেলিয়ার ছেলে মেয়েরা ভিসা ছাড়া বিভিন্ন দেশে যেতে পারছে । তাকে যেতে হলে ঢাকায় ফিরে ভিসা নিয়ে তারপর ব্যংকক ফিরে গিয়ে ফ্লাই করতে হবে । কোন অর্গানাইজেশন এসব হ্যাসেল সহ্য করবে বলেন ? তাই এখন সে ফাস্ট ওয়ার্ল্ডে গিয়ে ফাস্ট ওয়ার্ল্ডের পাসপোর্ট বানিয়ে ফিরে আসবে আবার
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার বর্ণিত ঘটনাটা দুঃখজনক। তবে বিদেশীরা আমাদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীর মনে করতেই পারে, আমরাওতো কথায় কথায় উগান্ডার কথা বলি। কিন্তু ঘটনা হলো আমরাই যখন আমাদের প্রবাসী ভাইবোনদেরকে তৃতীয়শ্রেণীর তকমা দিয়ে দেই, তখন অন্যরা আমাদের সম্মান বাঁচাতে এগিয়ে আসবে ভাবাটা অবান্তর।
নিজেকেই যে সম্মান করতে পারেনা, অন্যে তাঁকে সম্মান করবে কি?
১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩২
সোহানী বলেছেন: আমার সমস্যা, লিখার শিরোনাম দেখলেই অর্ধেক মন্তব্য মাথায় ঘুরঘুর করে। তার তা ভেবে পড়তে শুরু করলাম। কিছু দূর যেতেই শফিক আসলো। শফিকের সুখে দু:খে আন্দোলিত হতে হতেই ধনীর দুলালের ১৬৫ সিসির মোটর বাইক নিয়ে আসলেন। সেটা হজম করতে না করতে শিরোনাম হাজির হলো। তা নিয়ে গভীর ভাবনায় তলিয়ে যেতে যেতেই সুইজারল্যান্ডের ২০ মিনিট কারি নিয়ে আসলেন। খুব খুশিতে শফিকুর রহমানের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করতে করতেই মাতুব্বরের সুযোগ্য পুত্ররে হাজির করাতেই বুঝে গেলাম আসলে কি কইবার চাচ্ছেন। খেক্ খেক্ খেক্। আর শেষে যথাযথ ব্যাক্তিকে উৎসর্গ দেখেই মিলে গেল পুরো পাজেল।....... এর নাম হলো লিখা। অসাধারন। এরপর যদি বই না দেখি আপনের খবর আছে কিন্তু ।
আসলে যারা দেশে থাকে তারা কোনভাবেই উপলব্ধি করতে পারে না কি অমানুষিক শারিরীক ও মানসিক পরিশ্রম করে এ শিক্ষিত অশিক্ষিত মানুষগুলো। বসনিয়া জঙ্গল শুরু মাত্র। তারপর তার শেষ যে কোথায় আমরা জানি না। বিশেষ করে যারা অবৈধ পথে দেশে আসে তারা যে কি অমানুষিক পরিশ্রম করে নতুন দেশে নতুন পরিবেশে এসে তা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। তার বিবরন নিয়ে হয়তো কোন দিন লিখবো।
এর কোন কিছুই কেউ ফিল করবে না যতক্ষন না সে পরিবেশে আসে। তাই যারা তু্চ্ছ তাচ্ছিল করে, তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকের তকমা দেয় তাদের জন্য একরাশ দু:খ। জ্ঞান কম থাকতেই পারে কিন্তু সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে জাহির করতে আসা সত্যিই হাস্যকর।
আশা করি কাভা ভাই ভালো আছেন এবং উনার লিখা দিখতে পারবো শীঘ্রই।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: বছর দুয়েক আগে আমি একটা লেখা দিয়েছিলাম দেশের অবস্থাসম্পন্ন মানুষ কেনো বিদেশে স্থায়ীভাবে চলে যেতে আগ্রহী হয়, সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে। আপনি এবং মেহজাবিন জুন আপা সেখানে সেটাকে ডিফেন্ড করে ধারাবাহিক মন্তব্য করেছিলেন, মনে পড়ে?
যারা এদেশের আলো হাওয়ায় বড় হয়ে, সব ধরনের সুবিধা নিয়ে, কোনো কিছুর অভাব বোধ না করেও যখন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রেরণায় থাকে, তখন আমার রাগ লাগে, ওই লেখাটা ছিলো সে বিষয়ে। কিন্তু এখানে যেটা আপনি বলেছেন- আসলে যারা দেশে থাকে তারা কোনভাবেই উপলব্ধি করতে পারে না কি অমানুষিক শারিরীক ও মানসিক পরিশ্রম করে এ শিক্ষিত অশিক্ষিত মানুষগুলো..... জ্ঞান কম থাকতেই পারে কিন্তু সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে জাহির করতে আসা সত্যিই হাস্যকর। আমি ওই পরিস্থিতিতে না পড়লেও আপনার এই বক্তব্যর সাথে পুরোমাত্রায় একাত্ম আমি।
১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ের অসুস্থতার খবর শুনে বিষন্ন হলাম। ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আশা করি সবার দোয়ায়-শুভ কামনায় দ্রুতই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। বাই দ্য ওয়ে, কলকাতা থেকে গেছোদাদা লিখতেন, উনাকে দেখছি না অনেকদিন।
১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫১
জুন বলেছেন:
Get well soon Kalponik
ক্রিসেন্থিমাম নিয়ে লিখতে গিয়ে পড়লাম হলুদ ক্রিসেন্থিমামের এই ব্যাবহারের কথা ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: কোন ব্যবহার আপা?
১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। না প্রিয় ভাই গেছো দাদার সঙ্গে আমার ব্লগের বাইরে জানাশোনা নেই।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকাছে। কাউকে বেশিদিন না দেখলে চিন্তিত হতে হয়।
২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: ভুয়া মফিজের বর্ণনা ছিল তত্ত্বীয়, আপনারটা বিশদ ব্যাখ্যা সহ ব্যবহারিক বর্ননা। নজরুল মাতুব্বরের ছেলে এদেশে অনেক দেখি, যাদের কাজ পিতার অর্জনকে কাজে লাগিয়ে নিজে বসে বসে মাতুব্বরি করা আর আর শফিকের মতো মানুষদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে মুই কি হনু ভাবা।
লন্ডনী শব্দটা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার জন্য ব্যবহার করা হয়, আপনি কি শুনেছেন? করিমগঞ্জ কেন ভারতে সেই পোস্টে আপনার স্ত্রী কোন অঞ্চলের বলেছিলেন, সেই অঞ্চলের মানুষ এটা বলে। নজরুল মাতুব্বরের ছেলের কথা শুনে মনে পড়ে গেল...
গল্পের বিস্তার এমনভাবে করেছেন যে শেষ পর্যন্ত কি হতে যাচ্ছে ধারণা করতে পারিনি। গল্পের বিষয় আর বলায় প্লাস।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আপনি এবং আখেনআটেন পোস্টে আসলে আমি একটু লজ্জিত হই। কি জন্য, সেটা আপনি জানেন। যদিও আপনারা মনে রাখেননি বলেই বিশ্বাস, তবুও এ থেকে আমার বের হতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলেই মনে হয়।
আগের পোস্টের মত এখানেও আপনি পুরোনো একটা পোস্টের রেফারেন্স দিয়েছেন দেখে কিছুটা বিস্মিত। আপনার স্মৃতিশক্তির প্রশংসা করতেই হয়। তবে ওইপোস্টে আমার স্ত্রীর বাড়ির এলাকা হিসেবে খুব সম্ভবত সিলেট মনে করেছেন, সেটা ঠিক নয়, আমি এবং তিনি, দুজনেই যশোরের।
ভালো কথা, এই লেখায় যে ডায়ালেকট ব্যবহার করা হয়েছে স্বল্প পরিসরে, সেটা আমার এলাকার অরিজিনাল।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য কথাহলো- বিপদে পড়া মানুষদের খোঁজ খবর কেউ নেয় না। মানুষ তেল ওয়ালা মাথায় তেল দেয়।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে, আপনি পুরো পোস্টটা পড়েননি।
২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৪
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বিপদে পড়া মানুষদের পাশে সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: হু, ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ।
২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,
ডয়েচভেলের সৌজন্যে আপনার দেয়া শিরোনামটিই কেবল নয় আরও গোটা দুই শিরোনাম লটকে আছে অনেকদিন ধরে।আপনার মতো আমারও মনে হয়েছিলো কেউকি নেই এসব বাংলাদেশীদের দেখার! নিদেন পক্ষে বসনিয়াতে বাংলাদেশের দূতাবাসের তো উচিৎ ছিলো ব্যাপারটির একটা ফয়সালা করার।
আবার ১২ নম্বর মস্তব্যে " জোবাইর" এর লেখা থেকে দেখলুম, তাদেরকে দেশে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় কতৃপক্ষ ও বাংলাদেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অথচ তারা নাকি এসব কথা আমলে না নিয়ে নিজেদেরকে ভাগ্যের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন।
এখন দোষটি কার ঘাড়ে ফেলা যাবে ?
কাল্পনিক_ ভালোবাসা এ ব্যাপারে বলেছেন- "ব্লগারদের এই বিষয়ে আলোচনা করা দরকার, প্রয়োজনে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে লেখালেখি বা অন্য যে কোন ভাবে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। এই ব্যাপারে আমাদের প্রবাসী ব্লগারাও স্থানীয় জনমত সৃষ্টিতে কাজ করতে পারেন। কিভাবে এই অসহায় মানুষগুলোকে সাহায্য করা যায়, সেই ব্যাপারে আলোচনা করে সুষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহন করতে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করতে হবে।"
আমিও তার সাথে একমত যে, সচেতন সকল মানুষেরই উচিৎ এসব নিয়ে কথা বলা । এসব অবুঝ বাংলাদেশীরা কেন যে এমন খপ্পরে পড়েন , বারংবার এসব নিয়ে সতর্ক করার পরেও কেন এমনটা ঘটে তার স্বরূপ সন্ধান করে সমাধানের পথটি বাৎলে দেয়া।
আপনার লেখাটি যদিও গল্পের আদলে এসেছে তবুও অনেক সত্যও আছে এখানে, কেন ও কিসের কারনে দেশ থেকে একজন মানুষ বিদেশে যাওয়ার বিপদসঙ্কুল পথে পা বাড়ান। আর তাদের নিয়ে কোন ধরনের মানুষ ব্যঙ্গ করেন আছে সে সত্যটিও।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: দুঃখিত, আপনার এরকম একটা মন্তব্যে জবাব দিতে দেরী হয়ে গেলো। অফিসের এক প্রোগ্রামে ব্যাপকভাবে এনগেজড হয়ে যাওয়ায় সময় সংকটে পড়ে গেছি।
আমি আসলে এই লেখার মধ্য দিয়ে ব্লগার ভুয়া মফিজ এর পাশে দাঁড়াতে চাইছিলাম। ব্লগার কাল্পনিক ভালোবাসা সেটাকে একটা অ্যাকাডেমিক আলোচনায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, যেন এই বিষয়ে মানুষ কথা বলে, জনসচেতনতা তৈরী হয়। দুঃখজনক যে আমি লেখাটাকে সে আলোচনায় নিয়ে যেতে পারিনি।
একবার ইন্ডিয়া যাওয়ার সময় পেট্রাপোল বর্ডারে ঢুকেছি, হঠাৎ আবিষ্কার করলাম আমার পাসপোর্ট আমার হাতে নেই। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি পাসপোর্টবিহীন অবস্থায়!!! কি যে এক অসহায় অবস্থা, সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া অনুধাবন করা সম্ভব নয়। ওই পরিস্থিতির কারণেই বসনিয়ার জঙ্গলে থাকা বাংলাদেশিদের অসহায়ত্ব আমি কিছুটা বুঝতে পারি।
আমার খুব আফসোস যে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের মানুষেরা দেশের কোনো সেবা পায় না। ব্লগার জোবাইর যেটা বলেছেন, সেটা শুনে ভালো লাগছে যে কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য অ্যাটলিস্ট কিছু করতে চেয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ যেকোনো মূল্যে তার নিজের নাগরিকের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে, যেমনটা আমি ৯ নম্বর প্রতিমন্তব্যে বলেছি এবং ব্লগার পদাতিক চৌধুরীর সালে আলোচনা হয়েছে।
এখন জোবাইর এর বলা ঘটনাগুলোর মত ঘটনা যত বেশি ঘটতে থাকবে, বিদেশের মাটিতে আমাদের মানুষদের মধ্যে তত বেশি আস্থা তৈরী হবে যে আমি একা নই...
ভালো থাকবেন, লম্বা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৪
সত্যপীরবাবা বলেছেন: আপনার লেখার মুন্সিয়ানার ধরনের জন্য প্লাস। তার চাইতেও বড় প্লাস, বছর কয়েক আগে "অর্ধ শিক্ষিত DV লটারী জেতা মফিজদের' আমরিকা যাওয়া নিয়ে তুচছ-তাচ্ছিল্য/উপহাস করা প্রবাসী ব্লগারের বিশাল মানব-হিতৈষী মন্তব্যে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আর অন্য কারও মন্তব্যর ব্যাপারে আমি দায়িত্বশীল নই।
২৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইউরোপ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ইরাক সিরিয়ার মুসলমানদের গনহারে ডুকতে দিয়ে।তারা ঐ দেশের জনগনের সাথে মিসে যায় না।ঐ দেশের কালচারকে ঘৃণার চোখে দেখে।নানার রকমের সমস্যার শৃষ্টি করে।এখন আর মানবতার দৃষটিতেও তাদের কেউ দেখে না।
সরকারের উপর প্রেসার শৃষ্টি করে তাদের ফেরত নেবার ব্যবস্থা করা দরকার।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি পোস্ট বহির্ভূত মন্তব্য করেছেন। দুঃখিত।
২৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৬
করুণাধারা বলেছেন: আমার এবং আখেনাটেনের পোস্টে আপনার লজ্জিত হবার কোন কারন নেই, কারণ তৈলচর্চিত মিথ্যা মন্তব্যের চেয়ে আমি অন্য ব্লগারের থেকে সত্যিকারের মন্তব্য পেতে পছন্দ করি, এবং আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লেগেছে। আশাকরি ভবিষ্যতেও আপনি নিজের মত সবসময় প্রকাশ করবেন।
ঠিক ধরেছেন, আমি ভেবেছিলাম আপনার স্ত্রী সিলেটের তাই আপনি খেটেখুটে ওই পোস্ট লিখেছিলেন। অনুমান ঠিক হলো না জেনে একটু হতাশ হলাম অবশ্য।
ডাইলেক্ট ভালোই বুঝেছি, ওটা আমার শ্বশুড় বাড়ির ডাইলেক্ট।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালোই হলো, আপনার শ্বশুড়বাড়ি আর আমার শ্বশুরবাড়ি একই জেলাতে.... শ্বশুড়বাড়ি জিন্দাবাদ..
২৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভুয়া মফিজ এর পোস্টের সূত্র ধরে লেখা আপনার এ পোস্টটা চমৎকার হয়েছে। পোস্টটা তাকে উৎসর্গ করাও যথার্থ হয়েছে। আর সত্য মিথ্যা যাই হোক, গল্পটাও ভাল লেগেছে। গল্প চমৎকারভাবে আবর্তিত হয়েছে।
আপন ভাগ্নেকে যেভাবে উপকার করলেন এবং সুষমা স্বরাজ যেভাবে একটি টুইট বার্তা পেয়ে সাহায্যার্থে এগিয়ে এলেন, দুটো উদ্যোগই প্রশংসনীয় এবং তার কথা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি।
পোস্টে দশম আল লাগা + +।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: অনেক অনেকদিন পর আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য করছেন বলে মনে হচ্ছে। যথারীতি মনযোগী পাঠকের মন্তব্য হিসেবেই এসেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। গল্পটা হয়তো গল্প হিসেবে দুর্বল কিন্তু ব্লগার ভুয়া মফিজ এর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবল আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
আর যদ্দুর মনে পড়ে, ওই সময়ে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ ধরনের বেশ কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, এমনকি পাকিস্তানি এক রোগীর ভিসাপ্রাপ্তির বিষয়েও তিনি হস্তক্ষেপ করেছিলেন, ধারণাটা আমি ওই সংবাদ থেকেই নিয়েছিলাম। এই সুযোগে তাঁকে আবারও ধন্যবাদ।
২৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৭
সোহানী বলেছেন: তখন কিন্তু আপনি আমাকে পাত্তাই দেন নাই.........হাহাহাহা। আমার মনে পড়েছে লিখাটা। তিথি নামের একটি মেয়ের কথাই লিখেছিলেন। আর আমি বাস্তবতকার উদাহরন দিয়েছিলাম কিন্তু।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১০
পদ্মপুকুর বলেছেন: সর্বনাশ!!! আপনি মেয়ের নামও বের করে ফেলেছেন, আপনার স্মরণশক্তিতো ভয়াবহভাবে বেশি...... যে মানুষ কোথাকার কোন ব্লগারের একটা লেখা পড়ার আড়াই বছর পরও লেখার প্রসঙ্গ আসতেই চরিত্রের নাম বলে দেয়, তাঁর সাথে ভবিষ্যতে হিসেব নিকেশ করে সাবধানে কথা বলতে হবে দেখছি.......
২৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেক অনেকদিন পর আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য করছেন বলে মনে হচ্ছে" - এর ঠিক আগের পোস্টটাতেই এক দিন আগে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। মাত্র একদিন আগের বলে সেটা নজর এড়ানোর কথা নয়, তবে চলতি পোস্টের প্রতিমন্তব্য শেষ করার পরেই হয়তো বকেয়াগুলো ধরবেন, এমনটাই আমি ধরে নিয়েছি।
এ দুটো বাদে, জ্বী অনেকদিন পরেই মনে হয় এলাম। আশাকরি, এখন থেকে আরো ঘন ঘন আসা হবে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: জ্বী আপনি স্যার ঠিকই ধরেছেন।
সামনের শনিবারে অফিসের বাৎসরিক সবচে বড় প্রোগ্রামটা হতে যাচ্ছে। এখন ২৪/৭ হিসেবে অফিস করতে হচ্ছে। এজন্য ব্লগে লগডইন থাকলেও পড়া বা মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি। আজ একটু সময় পেয়ে দেখছি সবগুলো এবং আগের পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখে এলাম।
ঘনঘন আসার প্রতিশ্রুতি দিলে ঘনঘন আসার উপলক্ষও তৈরী করতে হবে..... বিপদেই পড়লাম মনে হয়
৩০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সম্ভাবনা,দারিদ্র্য, সম্ভাবনার মৃত্যু,সংগ্রাম,সম্ভাবনা,পরিশ্রম ও সফলতা। গল্পের শফিকের জীবনের মোড়গুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। এর সাথে বসনিয়ার জঙ্গলের বাংলাদেশিদের মানবেতর জীবনকে দারুণভাবে সম্পৃক্ত করেছেন।
সত্যি বলতে আমি মনে করি যে,দেশে থাকা বা প্রবাসী হওয়া যার যার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।একজন মানুষ কোন পরিস্থিতিতে নিজের চিরপরিচিত গণ্ডির বাইরে গিয়ে প্রবাসী হয় সেটা তার পরিস্থিতিতে না পড়লে কেউই বুঝতে পারবে না। আর নিজের শ্রম,মেধার মাধ্যমে মানুষ যদি সফলতা পায় তাহলে তাকে কেউ তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক বললেই সে তৃতীয় শ্রেণির হয়ে যাবে না।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে আবারও এই পোস্টে দেখতে পাওয়ায় যারপরনাই আনন্দিত। মাঝে মাঝে আমার কাছে গল্পের শেষ কথা হয়ে দাঁড়ায় 'সংগৃহীত' নামের একটা স্যাটায়ার। তখন জীবনের মোড়গুলো সুন্দর করে তুলে ধরাটা নিজের কাছেই খুব সুন্দর মনে হয় না।
৩১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৪
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার বিনয়ে মুগ্ধ।আপনি তো দেখা যাচ্ছে সংগৃহীত গল্পের ভক্ত হয়ে গেছেন। ওটা আমার লেখা কপি করা এক সংগ্রাহককে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলাম। এটা কারো এতটা পছন্দ হয়ে যাবে ভাবিনি। জীবনের মোড় সুন্দর করে তুলে ধরাটা আপনার কাছে সুন্দর মনে না হলেও কিন্তু পাঠকদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ওপরে প্রত্যেকজন মন্তব্যকারী সেটা বলেছেন। আর জঙ্গলের সেই মানুষ,কিংবা ভাগ্যবিড়ম্বিত শফিকের জন্য মন আর্দ্র হয়েছে প্রায় সবার।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাদ্দেন। লেখা যেমনই হোক, অনেকের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পাই। সেটা মনে রেখেও ভবিষ্যতের লম্বা সময় পার করা যাবে। আমি এতেই খুশি। ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।
৩২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২১
সোহানী বলেছেন: জ্বে না ভাই, আমি এতো ব্রেইন নাই আমার। ওটা মনে আছে কারন ওই নিয়ে একটা লিখার পরিকল্পনা ছিল। এবং শুরুও করেছিলাম আপনার লিখার রেফারেন্স দিয়ে। কিন্তু শেষও করি নাই, পোস্টও করি না..........!!!
তবে সত্য যে আমি খুব কম লিখা পড়ি (সময়ের অভাব) কিন্তু যা পড়ি তা গভীরভাবে পড়ার চেস্টা করি
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: ওটা মনে আছে কারন ওই নিয়ে একটা লিখার পরিকল্পনা ছিল সেতো আরেক ভয়ের কথা (প্রচণ্ড ভয়ের ইমো)
৩৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এটা নিয়ে সার্থক নাটক বানানো যায়। দারুন হয়েছে লেখাটা।
আসলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জীবনে কোন কোন ঘটনা জড়িয়ে আছে বিদেশ পাড়ি দেবর পিছনে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই গল্পে (গল্পই বলি, যদিও এমন ঘটনা সত্যিও হতে পারে) চমকের পরে চমক। আচ্ছা.....সিরিয়ালী এক এক করে বলি;
প্রথম চমকঃ শিরোনাম দেখে ভাবলাম, এইটা তো বৃটিশ আমলের খবর। পদ্মপুকুরের মতো প্রতিভাবান একজন ব্লগার এটা কি লিখলো......আর...... কি আর পড়বো!! পড়া শুরু করে চমকালাম।
দ্বিতীয় চমকঃ এই ছেলে যে বসনিয়ার জঙ্গলে আটকা পড়বে, এতো জানাই কথা। ''দুই'' পড়া শুরু করার পর আবার চমকালাম।
তৃতীয় চমকঃ ''তিন'' পড়ে, বিশেষ করে শেষের ক'টা লাইন; অবধারিতভাবেই চমকালাম। কি দারুনভাবে নজরুল মাতুব্বরের সুযোগ্য পুত্রের মুখে ভাষার খৈ ফোটালেন!!!
শেষবারের মতো চমকালাম, আমাকে উৎসর্গ করা দেখে। এইটা নাম্বার ছাড়া, কারন আজকাল ''তৃতীয়'' শব্দটা আমার খুবই প্রিয়, তাই এরপরে আর যেতে চাই না!! আবেগে কাইন্দালাইছি!!!!
হ্যাটস অফ! দিলখোলা অভিনন্দনটা মনে করে নিয়ে নিবেন। পোষ্টটা প্রিয়তে না নিলে আপনার প্রতিভার অবমাননা করা হয়।