নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখার আনুষ্ঠানিক অনুমতির আগে থেকেই ক্যাম্পাসে আমার আক্ষরিক পদচারণা শুরু হয়েছিলো। মধ্য নব্বুইয়ে আমরা সোহরাওয়ার্দীতে ফুটবল খেলতে যেতাম। তরুছায়াঘেরা সোহরাওয়ার্দী জুড়ে সে সময় গলফ কোর্ট ছিলো, তারই পাশের সবুজ জমীনে আমরা খেলতাম। যেদিন ওখানে যায়গা পাওয়া যেতো না, সেদিন আমরা যেতাম মলচত্বর বা মোহসীন হলের মাঠে। সে সময় রমনা-সোহরাওয়ার্দী আর এদিকে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়-বুয়েট মিলিয়ে এ এলাকা ছিলো সবুজের গহীন গল্পরাজ্য। রাজধানীর ব্যস্ততা-গদ্যের মধ্যেও প্রবল বৈপরীত্যের এক শান্ত কবিতা।
এরপর নব্বুইয়ের শেষভাগে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হলাম, তখনও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছিলো আভিজাত্য আর ইতিহাসের মিশেলে ঘেরা এক বিস্ময়। কলাভবন তখন তিনতলা। উচ্চতায় পাশের রাধাচুঁড়াকেও ছুঁতে পারেনা; আর সামনের ইউক্যালিপটাসগুলোর কাছেতো রীতিমত বামন!! পুরো এলাকার বৃক্ষরাজীর ফাঁকফোকর গলে শিল্পিত ভবনগুলোর অবস্থান একরকম মায়াময় প্রশান্তি ছড়িয়ে দিতো। সৌম্য-সমাহিত এক দ্যোতনা বিরাজ করতো এ এলাকা জুড়ে। আর তার ভরকেন্দ্রে ছিলো টিএসসি।
আহ্ টিএসসি! কত মেঘের ঘনঘটা, কত স্মৃতিকাতরতা, কত কত প্রিয় কথা জড়িয়ে আছে এই টিএসসির সাথে! কত সম্পর্ক ভাঙা আর গড়ার সাক্ষী এই টিএসসি। ষাটের দশকে গ্রিক স্থপতি কনস্ট্যান্টিন ডক্সিয়াডেস এর নকশায় নির্মিত টিএসসির ভাঙা লাল ইটগুলোর সাথে যে ভালোবাসা মিশে আছে, তার দখল নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের অনেক কিছুই ছাড়তে রাজি থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস।
কিন্তু সে বিশ্বাসকে পাত্তা না দিয়েই আমরা চলে এলাম উন্নয়নের কালে। এখানে এখন উন্নয়ন মানেই দৃষ্টিসীমা আটকে দেয়া স্থাপনার সারি। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাস্তাগুলোয় মাঝের ডিভাইডার উচুনিচু করার পরীক্ষণকে জারি রেখে আমাদের চোখের সামনেই ধাঁইধাঁই করে ত্রিতল কলাভবন চতুর্থতলা পূর্ণ করে পঞ্চম তলায় পৌঁছে গেলো। আমাদের আবেগ আর প্রতিবাদকে মথিত করে তাবৎ সবুজকে নিকেশ করে এখানে সেখানে ধমাধম একটার পর একটা বিল্ডিং উঠে আমাদের দৃষ্টির সামনে প্রতিবন্ধকতা তুলে দিলো। তবুও টিকে ছিলো টিএসসি। বহুজাতিক কোম্পানি টেলকোগুলোর মোক্ষম আর্থিক প্রস্তাবও কোনক্রমে এড়াতে পেরেছিলো এ শতাব্দীর প্রথম দিকে। কিন্তু এবার আর টিকবে বলে মনে হচ্ছে না। এবার স্বয়ং রক্ষকবৃন্দরাই চাইছে এর উন্নয়ন। উন্নয়ন না করে এবার আর ছাড়া হবে না, রক্তের কসম! অর্থের মবিলিটি বন্ধ হলে কি আর উন্নয়ন ধরে রাখা যাবে!!
এখানে এখন উন্নয়ন মানে ঝাঁ চকচকে রাস্তা, রাস্তায় যাতায়াতকারীদের নিরাপত্তা বিধান নয়। এখানে এখন নীল আকাশকে ঢেকে দেয়া স্থাপনাগুলোই উন্নয়ন; তারই নিচে শীতার্ত রাতে গুটিশুটি মেরে পলিথিন গায়ে কুকুরের সাথে জীবন ভাগাভাগি করা শিশুর জগৎটা ফিরিয়ে দেয়ার মধ্যে নয়। এখানে এখন পুরোনোকে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে ফেলাটাই উন্নয়ন, ঐতিহ্য রক্ষণে নয়। সেখানে টিএসসি কোন ছার। তাকে তো ভাংতেই হবে। ইতিহাসকে অস্বীকার করার মধ্যেই তো বাঙালির বীরত্ব।
এদেশের জন্মের ইতিহাসের পরতে পরতে যার স্থান অবিচ্ছেদ্য- হে টিএসসি, আজ তোমার আশু প্রয়াণ সংবাদে আমি ব্যথিত। একদা যে ব্যাপীত ভালোবাসায় আমাদেরকে আপন করে নিয়েছিলে, সে ভালোবাসার ঘ্রাণ আর নিতে পারবো না, তার বদলে সেখানে মুখ ব্যাদান করে দাঁত কেলিয়ে থাকবে উন্নয়নের স্মারক। সে উন্নয়ন অবগাহন করে তুমি ইতিহাস বইয়ের পাতাতেই ঘুমাও শান্তিতে, ভীষণ চুপচাপভাবে।।
প্রথম ছবি: উইকিপিডিয়া:
দ্বিতীয় ও শেষ ছবি কৃতজ্ঞতা: প্রথমআলো
নিচে ব্লগার তমাল মন্তব্যে প্রথমআলোর লিংক কাজ করছে না বলে বলেছেন। ইদানিং প্রথমআলোর লিংক দিলে কেন জানিনা, ঠিকঠাক কাজ করে না। তাই নিউজটাই উঠিয়ে দিলাম: আজকের অনলাইনে প্রকাশিত।
ভাঙা হবে টিএসসি ভবন, নকশার কাজ চলছে
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯: ০৫
ভেঙে সম্পূর্ণ নতুন রূপে গড়া হবে। তবে ষাটের দশকে নির্মিত টিএসসির দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাটির নতুন রূপ কেমন হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর ও সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। গ্রিক স্থপতি কনস্ট্যান্টিন ডক্সিয়াডেস ষাটের দশকের শুরুতে টিএসসির নকশা করেছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের আমলে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবনটিকে তিনি আধুনিক ভবন হিসেবে দেখতে চান। সেই লক্ষ্যে তিনি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবনের নকশা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। যেহেতু টিএসসি ছাত্র ও শিক্ষকদের কেন্দ্র, তাই আমরা টিএসসি ভবনকে আধুনিক পদ্ধতিতে নতুন করে গড়তে চাই।’ প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর টিএসসি ভবন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘১৯৬৪ সালে টিএসসি নির্মিত হয়েছিল। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০০, শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ২০০ থেকে কিছু বেশি। এটাকে বিবেচনায় রেখে এটুকু জায়গায় টিএসসির ভবন, মিলনায়তন ও ফ্যাসিলিটিজ তৈরি করা হয়েছিল। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজারের বেশি শিক্ষক আর ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আছেন। কিন্তু টিএসসি আগের মতোই আছে। প্রধানমন্ত্রী সে জন্যই আমাদের এটা পুনর্বিন্যাস করার নির্দেশনা দিলেন।’
এদিকে শিক্ষকদের কেউ কেউ টিএসসির দৃষ্টিনন্দন ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তবে টিএসসিকে নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর। নকশা প্রস্তুত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে চাহিদাপত্র নিয়েছে। টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরকে টিএসসির নতুন অবয়বে কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকতে পারে, তার একটি তালিকা দিয়েছেন। সম্প্রতি তালিকাটি গণপূর্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর। টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ আলী আকবরের দেওয়া তালিকায় যেসব সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হলো সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মহড়াকক্ষ, ব্যায়ামাগার, টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য আধুনিক সুবিধাসংবলিত কক্ষ, আন্তক্রীড়াকক্ষ, পৃথক ক্যাফেটেরিয়া, শিক্ষক মিলনায়তন, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তিন তলাবিশিষ্ট স্থান, অতিথিকক্ষসহ বেশ কিছু আধুনিক সুবিধা। সৈয়দ আলী আকবর বলেছেন, তাঁদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নতুন অবয়বে টিএসসিতে তিনটি মিলনায়তন থাকবে, যেগুলোর একটিতে প্রায় দেড় হাজার ও অন্য দুটির প্রতিটিতে ৩০০ জনের ধারণক্ষমতা থাকবে। কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায় নতুন একটি সুইমিংপুল নির্মাণ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. আবদুল মান্নান আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিএসসির নকশার বিষয়টি নিয়ে আমাদের অন্ধকারেই রাখা হয়েছে। তবে গণপূর্তের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যখন কথা হয়েছে, তখন তাঁরা আমাদের বলেছেন যে এটি হবে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকের একটি প্রকল্প। টিএসসিতে আধুনিক সুবিধাসংবলিত একটি নান্দনিক বহুতল কমপ্লেক্স (ভবন) হতে পারে। গণপূর্তের কাছে আমরা প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার তালিকা জমা দিয়েছি। কিন্তু কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আমাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি। নকশা অনুমোদিত হয়ে আসার পর কাজ শুরু হবে।’ আবদুল মান্নানের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা সার্কেল-১৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে৷ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, টিএসসি ভেঙে নতুন কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। নকশার কাজ চলছে। নকশার দায়িত্বপ্রাপ্ত গণপূর্তের কর্মকর্তা আলী আশরাফ দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, নকশা তৈরির জন্য তাঁকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আকারে কিছুই এখনো হয়নি বলে জানান তিনি। বিরোধিতায় শিক্ষকেরা টিএসসির বর্তমান ভবনটিকে ‘আধুনিক স্থাপত্যের সুন্দর নিদর্শন’ উল্লেখ করে এটিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেউ কেউ৷
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়কে ছবি দেখেই চেনা যায় কিছু ঐতিহ্য ধারণ করা স্থাপনার মাধ্যমে। শত শত বছরের পুরোনো হয়ে গেলেও এগুলোকে সযত্নে সংরক্ষণ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন স্থাপনার মধ্যে আছে কার্জন হল, এসএম হল ও টিএসসি। এর মধ্যে টিএসসি ষাটের দশকে নির্মিত অপেক্ষাকৃত আধুনিক স্থাপত্যের একটি সুন্দর নিদর্শন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের পূর্ববর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ঐতিহ্য ধারণ করে এই টিএসসি। রক্ষণাবেক্ষণের বদলে এটিকে ভেঙে এখন বহুতল ভবন নির্মাণের আয়োজন চলছে। শুধু শুধু অর্থনীতিবিদদেরই সমালোচনা করা হয় যে তাঁরা সবকিছুর বাজারদর বোঝে, কিন্তু কোনো কিছুর প্রকৃত মূল্য বোঝে না!’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টিএসসির সামাজিক–রাজনৈতিক গুরুত্ব ও ঐতিহ্য আছে। এটি ভেঙে নাকি এখন বহুতল ভবন বানানো হবে! এমনিতেই মেট্রোরেল দিয়ে টিএসসির সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি চোখে ভাসছে, আর এখন বহুতল ভবন। আমরা উন্নয়ন বলতে যখন বহুতল ভবন বুঝি, তখন “ইতিহাস ঐতিহ্যের খেতা পুরি টাইপের”কার্যক্রম মনটা ভারাক্রান্ত করে দিল। লাইব্রেরি ভেঙে বহুতল ভবন বানানোর কথা শুনলে তা–ও মনটা খুশি হতো। যেটা দরকার, সেটা করা হয় না। যেটা প্রায়োরিটি, সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।’
এছাড়াও আরও কয়েকটা সম্পুরক নিউজ আজকের অনলাইনেই আছে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: বিষাদসিন্ধুর একটা অংশ আমাদের পাঠ্য ছিলো। যার শুরুটা এরকম- অর্থই সকল অনর্থের মূল, এই অর্থের জন্যই সীমার বর্শাগ্রে ইমাম হোসেনের মস্তক বিদ্ধ করিয়া উর্ধ্বশ্বাসে কুফা অভিমুখে ছুটিয়া চলিতেছে.....
উন্নয়নের গল্পের সাথে অর্থ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেখানে নিজস্বতার কোনোও 'খাওয়া' নাই।
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
জুন বলেছেন: টি এস সি যদি ভাংগে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হবে না পদ্মপুকুর। বহুত মধুর স্মৃতি জড়িত আছে আমাদের এলমুনাই হয় এখানেই। আমি শিওর যাদের মাথা থেকে এই বুদ্ধি বের হয়েছে তারা কোনদিনও ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করে নি । আর প্রথমেই ভাংগবে সেই স্মৃতি সৌধটি যা রয়েছে সবুজ লনের এক কিনারে । বিশ্ব বিখ্যাত গ্রীক আর্কিটেক্ট ডক্সিয়াডিস এই নকশা করার সময় আমাদের দেশের সংস্কৃতি আর আবহাওয়াকে মাথায় রেখেছিলেন।
বাংলাদেশ একদিন পুরোটাই ভেংগেচুড়ে ইরাক সিরিয়া হবে । আমরা শুধু ভাংতেই পারি , গড়তে নয় । এই মেট্রো লাইনের জন্য পুরোটা শহর ধুলোর আস্তরনে ঢাকা , এর কোন সমাধানের চিন্তা নেই আবার কমলাপুর স্টেষন আর টিএস সি ভাংগো । ভাব হলো ওরা একাই খাচ্ছে, আমরাতো কিছু পাচ্ছি না সুতরাং -----
এর পর মনে হয় জাতীয় সংসদ ভেংগে আধুনিক নকশায় বানানোর কথা মাথায় আসতে পারে কারো কারো
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: দুঃখজনক তো অবশ্যই। সকালে অফিসে গিয়ে নিউজটা দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। পৃথিবীর দেশে দেশে ঐতিহ্য-স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করার কত শত প্রয়াস থাকে, আর আমাদের কেবলি ভাঙো আর ভাঙো...
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নতুন করে গড়তে হলে পুরনো কে ভাঙ্গতেই হবে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: নতুন করে গড়তে তো হবেই। কিন্তু একটা ঐতিহ্যকে ভাংতে গেলে সেখানে বালখিল্যতার চেয়ে বিজ্ঞতার প্রয়োজন অনেক বেশি। প্রশ্ন হলো আমরা সেটা দেখাতে পারছি কি না।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: দুঃখজনক৷ ডিইউ-র শিক্ষক ছাত্রদের মতামত নেওয়া উচিত ছিলো।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই যখন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।উপচার্যও সায় দিচ্ছেন।এটা মনে হয় না থামানো যাবে।জুন আপুর শেষ বক্তব্যটা আমিও ভাবছিলাম।কোনদিন না আবার জাতীয় সংসদের উপরেও তাহাদের উন্নয়নের নজর পড়ে!
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০২
পদ্মপুকুর বলেছেন: না, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের মতামত জরুরী নয়, কিন্তু বিশেষজ্ঞ, ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ, এদের মতামতটা জরুরী ছিলো। তবে পরে যেটা বলেছেন, সেটাই বাস্তবতা। এবার আর রক্ষা হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যেকোনো ঐতিহ্যবাহী ভবনের আধুনিকীকরণ সম্ভব না ভেঙেই। কলকাতায় ব্রিটিশ আমলের মহাকরণকে না ভেঙেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আধুনিকীকরণ করছেন।মে জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী সাময়িক সরিয়ে নবান্নে নিয়ে গেছেন। টিএসসি ভবন যেহেতু দেশের শিক্ষা জগতের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী আবেগকে সম্মান দিতেই পারতেন। আপনাদের মতো যাদের জীবনে টিএটসির স্মৃতি জড়িয়ে আছে তাদের বিষণ্ণ হওয়াটা স্বাভাবিক। কি আর করার....
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: বেশ কদিন বাদে আপনাকে দেখলাম, আপনি কেমন আছেন স্যার?
ঐতিহ্যকে পাশে রেখেই যে উন্নয়ন সম্ভব, সে ধারনা এখানে অচল বলেই মনে হচ্ছে। আমি কলকাতাতে গিয়ে পুরোনোকে ধরে রাখার যে চেষ্টা, সেটাতেই অভিভূত হয়েছিলাম সবচেয়ে বেশি। ২০১১ তে আমার এই লেখাটা দেখতে পারেন।
টিএসসি শুধু আমার জীবনের স্মৃতি নয়, এ দেশের বিভিন্ন অর্জনের সাথেই জড়িয়ে আছে টিএসসি, ইতিহাসপ্রিয় দল আওয়ামীলীগ সরকারের সে কথাটা অন্তত মনে রাখা উচিৎ। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৫
ঢুকিচেপা বলেছেন: একটা ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। স্মৃতিকাতর ব্যক্তিরা আর ফিরে পাবে না তাদের স্মৃতির সাক্ষী।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: ঐতিহ্য হারানোর মিছিলে শরিক হতে পারে আরও অনেক কিছুই...
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মেট্রোরেললাইনটা যখন একেবেকে চলে গেল ঢাবি ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে;
তখন থেকে এটার ইঙ্গিত ছিলো, এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে এই আরকি...
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: যদিও লাভ হবে বলে মনে হয় না, তবুও ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে আপনারা কি কোনো প্রতিবাদ করবেন?
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করার চেয়ে আমরা এদের বিকৃত কিংবা ভাঙনেই মজা পাই। পড়েছে মুঘলের হাতে, এখন দেখা যাক, মুঘলেরা আমাদের কংক্রিটের কোন জঞ্জাল উপহার দিবে নাকি ঐতিহ্যকে বুকে ধরে নয়া সম্ভাবনার কোন কিছু....। যদিও প্রথমটা হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি মনে করি। এতে কিছু ইতর প্রকৃতির শিক্ষক-কর্মকর্তা-নেতাদের পকেট ভারী হবে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: যদিও প্রথমটা হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি মনে করি এখনকার সোহরাওয়ার্দী দেখলে সে সম্ভাবনায় আগে মনে উকি দেয়!
৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বহু মানুষের স্মৃতিবহ এই জায়গা । হারিয়ে যাবে কালের জোয়ার যা দুঃখজনক ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩০
পদ্মপুকুর বলেছেন: অবশ্যই দুঃখজনক। এখন বোধহয় প্যারাডাইম শিফট হচ্ছে...
১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা প্রথম আলো পত্রিকায় আজ এই নিউজটা পড়লাম।
আরেকটা নিউজ পড়লাম তাকাল সংক্রান্ত। ঢাকায় নাকি প্রতিদিন ৩৯ টা করে তালাক হচ্ছে!!!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ৩৯ টি করে তালাকের খবরটা আমিও পড়েছি। এবং আইনজ্ঞ ব্লগার এমটি উল্লাহ সে বিষয়ে সম্পূরক পোস্টও দিয়েছেন। ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি সর্বদাই মোটামুটি মানের ছাত্র ছিলাম। এসএসসি পাশ করতে পারবো এই বিশ্বাস আমার ছিলো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বিষয়টা কখনো স্বপ্নেও আসেনি।
কোনো একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রিকসাযোগে যাচ্ছি, মাঠে কয়েকজন ফুটবল খেলছে। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। এই মাঠে খেলার অধিকার আমার নেই। আমি লেখতে পারিনা এটা কারণ না, আমি এখানকার কেউ নই সেইটাই কারণ। অথচ আমি মাস্টার্সে হিবাবিজ্ঞানে ফাস্ট ক্লাস পেয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার তেমন কোনো বন্ধ নেই, বন্ধন নেই কমলাপুর রেলস্টেশনের সাথেও।
তবুও এইবস ঐতিহাসীক স্থাপনাগুলি আধুনীকায়নের নামে ভেঙ্গেফেলার পরিকল্পনা করতে দেখলে মনটা খারাপ হয়। দিন দিন আমাদের বুদ্ধি হাঁটুর নিচে নেমে যাচ্ছে মনে হয়।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেই তারে ধুন্ধুমার মেধাবী হইতে হইবো- এই তত্ত্ব পাকড়াইলে আমার ছাত্রত্ব খাজির হওনের সম্ভাবনা আছে... নিতান্তই গড়পড়তা মানের ছাত্রের বেশি হ্ইতে পারিনাইক্যা কুনোদিন। এই ব্লগেও একই অবস্থা!!
যাউগ্গা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সবার অন্তর্লীন সম্পর্ক আছে। আর আছে বলেই আপনিও ব্যথিত হচ্ছেন। সমস্যা হলো, যাদের ব্যথিত হওয়াটা কার্যকর হতো, আশু প্রাপ্তিযোগের লক্ষণে তারাই খুব আমোদিত এখন।
১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৩
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড! এটা কি শোনালেন? আমি স্তম্ভিত! কত স্মৃতি কত আড্ডা কত কবিতা আবৃত্তি..........।
আমরা বেকুব বাট কতটা???? আমি কোনভাবেই বুঝছি না ছাত্র সংখ্যার সাথে টিএসসিএর সম্পর্ক কি? এটাতে কি ক্লাস হয় নাকি? নাহ্ কোনভাবেই মাথা ঠান্ডা রাখতে পারছি না।
সারা পৃথিবী ঐতিহ্য ধরে রাখে বহু কষ্ট করে আর আমরা ধ্বংস করি।
আমি অবাক হয়ে দেখেছি কানাডা/আমেরিকা/সুইজারল্যান্ড/ফ্রান্স/জার্মানে স্টেশনের পর স্টেশন আধুনিক করেছে সময়ের প্রয়োজনে কিন্তু ঠিকই পুরোনােটি রেখে দিয়েছে পাশে। জার্মান ড্রেসডান শহরে বোমা ফেলে সব ধ্বংস করে দিয়েছিল। কিন্তু জার্মান আবার পূন:নির্মান করেছে ঠিক একই রকমভাবে। আধুনিক দালান নয় কিছুতেই। কাকে কি বলি। এক রাশ দু:খ..............
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩০
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমরা ততটাই বেকুব, যতটা হলে টিএসসিকে ভেঙে ফেলার চিন্তা করা যায়!!
আমার মনে হয়- কার্জন হলকেও ভেঙে ফেলা উচিৎ এখন। কার্জন হল তৈরীর সময়তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিলো না। এখন যে পরিমাণ শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখানে এত বিশাল যায়গা নিয়ে কার্জন হল থাকার যৌক্তিকতা কি? বরং এখানে একটা ৪৯ তলা বিল্ডিং হবে, যার ১০ তলা পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক পারপাস, ১১ থেকে ২৫ পর্যন্ত ছাত্রাবাস আর বাকিগুলো কার্জন'স কুইজিন নামের একটা আন্তর্জাতিকমানের ৭ তারকা হোটেল.....
বিশ্ববিদ্যালয়ের হাবা-লোভী কর্তৃপক্ষের সকল পারপাসই সার্ভ হয়ে যাবে। ওহো, ওই বিল্ডিংয়ের ছাদে ১০ টাকায় ছা-সিঙারা-ছমুছার ব্যবস্থা থাকবে!!!
১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কেন আমরা ইতিহাস ও ঐতিয্যকে সমান গুরুত্বে টিকিয়ে রেখে উন্নয়ন করতে পারিনা !!!!!!!!
অন্য অনেক উন্নত দেশেতো এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সুন্দর করে সংরক্ষণ করেই উন্নয়ন করে যাচ্ছে।
অনেক ঘটনার স্বাক্ষী এই টিএসসিকে স্বমহিমায় রেখে যা করার করা হোক।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: কেন আমরা ইতিহাস ও ঐতিয্যকে সমান গুরুত্বে টিকিয়ে রেখে উন্নয়ন করতে পারিনা !!!!!!!!
পারিতো! কিন্তু সেটা হলে আবার অনেকের পকেটের উন্নয়ন থেমে যায়। সেটাও তো দেখতে হবে!!
১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কমলাপুর রেলস্টেশনও সরানো হবে এখন শুনি টিএসসিও
কী আর করার আছে আমাদের
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: কি দেখার কথা কি দেখছি...
১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: ভাঙগাভাঙগির সাথে বড়সড় আর্থিক ব্যাপার জড়িত থাকার কারণে, এই বিষয়ে বিপুল আগ্রহ দেখা যায়।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: এই কারণেই তো ভাষ্কর্য ইস্যুতে এত বিবাদ, যারা পাচ্ছে আর যারা পাচ্ছেনা, দ্বন্দ্বটা তাদের মধ্যেই...
১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কমলাপুর রেল স্টেশান ভাঙ্গার খবরে দুঃখ পেয়েছিলাম, আর টিএসসি ভাঙ্গার খবরে পাথর হয়ে গিয়েছি। ঐতিহ্য যে একটা জাতির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটা আমাদের নেতা-নেত্রীদের বোঝাবে কে? সবচেয়ে আশ্চর্য হয়েছি, একজন প্রাক্তন ঢাবি ছাত্রীর কাছ থেকে এই প্রস্তাবনা আসায়। উনি কি সত্যিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন? আমার তো সন্দেহ হচ্ছে এখন!!!
এসব ভাঙচুর করে কানাডার বেগম পাড়ায় আরো কয়েকজনের বাড়ি হবে। এটাই দিন শেষে সরকারের এবং জাতির লাভ!!!
মাঝে-মধ্যে দেশের কর্তাদের কাজে-কর্মে এতোই আশ্চর্য হই যে, বলার মতো কোন ভাষা খুজে পাই না।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: সবকিছুতে সন্দেহ পোষণ করবেন না স্যার, (সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ)
১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
রানার ব্লগ বলেছেন: কমলাপুর রেল স্টেশান ভাঙ্গা হবে এর একটা যোউতিক কারন এরা দিয়েছে কিন্তু টিএসসি কেন ভাঙ্গা হবে? এখন আমি যদি বলি আমাকে আপনারা একজন হিংসুটে বা ধর্ম বিমুখ বলবেন, টিএসসি নিয়ে মৌলোবাদি অনেক সমস্যা ছিলো এর প্রধান কারন এরা টিএসসির ভেতর যেতে পারতো না। টিএসির ব্যাপারে এদের অনেক অভযোগ ছিলো।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: মৌলবাদীদের সমস্যার কারণে টিএসসি ভাঙা হবে- এই হাইপোথিসিস এখানে কাজে লাগবে বলে মনে হয় না, কারণ এটা তো ভাঙতে চাইছে সম্প্রসারণের জন্য...
১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসহ্য লাগছে এসব খবর, অথচ করার কিছু নাই
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: কি যে বলেন না, আমাদের সহ্যক্ষমতা এখন অসীম পর্যায়ের....
১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই কবে শুনবো , হাকিমের এখানে এসব খালি জায়গার কোন প্রয়োজন নেই , গাছ কাটো আর টেন্ডার দাও। ছাতিম গাছ টা রাস্তা ময়লা করে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: সম্ভাবনা আছে আপা। আমরা ক্যাম্পাসে থাকার সময়েই ওই যায়গাটাতে ফার্সী ভাষাসংক্রান্ত কি একটা হওয়ার জন্য কয়েকটা গাছ কাটা হয়েছিলো, পরে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের মুখে সে প্রকল্প স্থগিত হয়ে গিয়েছিলো। চোখ ওদিকেও আছে, চিন্তা করবেন না।
২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটাকে এভাবে রেখে দিয়ে আরেকটা নতুন করলে, ইতিহাস রক্ষা হতো।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: সেইটাই বলতে চাচ্ছি স্যার। বা এটার স্থাপত্যরীতির সাথে সামঞ্জস্যশীল স্থাপনা সংযোজনও করা যেতে পারে, কিন্তু ভাংতে হবে কেনো?
২১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি!!! গতবার যখন দেখে এসেছি যে মেট্রোরেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে যাওয়ার লাইন টানা হয়েছে সেদিনই স্তদ্ধ হয়ে গেছি। অনেক বড় চক্রান্ত রয়েছে এ্সবের পেছনে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২২
পদ্মপুকুর বলেছেন: দেশের প্রধানতম একজন কবি-যাঁদের হওয়ার কথা দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক কাণ্ডারি, সেই সম্প্রদায় যখন দায়িত্ববোধ ভুলে পদকপ্রাপ্তির জন্য প্রকাশ্যে হাহাকার করেন, তখন যেকোনো বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে-প্রতিবাদে তাঁদের অংশগ্রহণের ন্যায্যতা হারায়। এ রকম অবস্থায় রাষ্ট্র নিজের ইচ্ছেতেই সবকিছু করবে, এটাই স্বাভাবিক।
এ সময়ে সরকারের পাশে প্রয়োজন ছিলো সত্যিকার বুদ্ধিজীবি-সংস্কৃতিকর্মীর সদপরামর্শ। আফসোস, তাঁরা পূর্বেই সে যোগ্যতা হারিয়েছেন ব্যক্তিস্বার্থে নিজের স্বকীয়তা জলাঞ্জলী দিয়ে। সুতরং যা হওয়ার তাই হচ্ছে। ব্লগে লিখে আমার প্রতিবাদে কিছু যায় আসে না বলেই আমি এখানে প্রতিবাদ করছি বা করতে পারছি। যখন আমার প্রতিবাদে কিছু যেয়ে আসার মত পরিস্থিতি তৈরী হবে, তখন হয়তো আমারও বিকিকিনি হবে কোনো এক হাটে...
২২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: টিএসসি সুন্দর স্থাপত্যের একটি নমুনা, এক ঐতিহ্য। ঠিক মনে করতে পারছিনা, কোন্ ভারতীয় সাহিত্যিকের লেখায় টিএসসির উল্লেখ দেখেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখলাম ছাত্র- শিক্ষকদের এক মিলনকেন্দ্র, এমনটি কোথাও দেখিনি।" আমিও ঢাবি ছাড়া আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র আছে বলে শুনিনি, দেখা তো দূরের কথা।
আমার শুধু একটা উপমা মনে আসছে, "অর্থলোভে ইজ্জত হারানো।" এক্ষেত্রে হয়ত বলা যায় অর্থলোভে ঐতিহ্য হারানো... ভাবিকালের ছাত্ররা এটাকে কী চোখে দেখবে তাই ভাবি...
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: পত্রিকাতে এটা নিয়ে খুব লেখা হচ্ছে ইদানিং দেখছি। জানিনা, এ যাত্রায় এটা পার পাবে কি না। এখন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ইজ্জতের চেয়েও অর্থের লোভই প্রকট এবং প্রকাশ্য।
যাই হোক, কেমন আছেন আপনি? অনেকদিন আপনার লেখা দেখছি না।
২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নতুন কোনো লেখা নেই!? কবে লিখবেন...
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫০
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি আমার লেখার জন্য অপেক্ষা করছেন !!!!! আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
যাকগে, ধন্যবাদ আপনাকে খোঁজ করার জন্য। মাথায় প্রচুর লেখা ঘুরঘুর করে কিন্তু হাতে থাকা সময়গুলো পিছলে পিছলে বের হয়ে যাচ্ছে, একটুও ধরে রাখতে পারছি না।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্লগারের কয়েকটা পোস্ট, এবং এর সাথে গত পর্শুর কাল্পনিক_ভালবাসা'র পোস্টের ধারাবাহিকতায় আমার মনে হচ্ছে- ব্লগের একটা বাঁকবদল শুরু হয়েছে। ইতিবাচক এই বাঁকবদলে আপনারা যারা ভালো লেখেন, তাদের আরও বেশি অংশগ্রহণ প্রয়োজন হবে। পোস্ট ড্রাফটে নেয়ার পরিমাণও কমাতে হবে...
২৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেকেই ব্যক্তিগত ব্লগের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন।
ব্লগে পিঠ চাপরে দেয়ার যে সুক্ষ্ণত্বত্ত্বটা আছে সে কারণেই অনেক ভালো লেখা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। কয়েক মাস আগেও দুই/তিনদিনেও নির্বাচিত পাতা রিফ্রেশ হতো না।
যারা ভালো লেখেন তারা নিশ্চয়ই কাল্পনিক_ভালবাসা ভাইয়ের পোস্ট গুরুত্ব সহকারে নিবেন।
পোস্ট ড্রাফটে নেয়ার পরিমাণ অবশ্যই কমাতে পারি, যদি নিক কিভাবে ডিএক্টিভেট করা যায় সেটা শিখতে পারি
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: পিঠ চাপড়াচাপড়ি এবং কামড়াকামড়ি হয়তো কমিউনিটি ব্লগের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গই হয়ে গেছে। ভালো লেখক ও লেখার পরিমাণ বেশি হলে পিঠ চাপড়াচাপড়িও হবে সে লেখার উপরেই, মোটের উপর তা পরিবেশের জন্য ভালো হবেই বলে মনে হয়।
আর নিক ডিঅ্যাকটিভেট করার চিন্তা কেন করছেন? বিশ্ব ইতিহাসের বয়ে চলা সময়ে আমার আপনার যে সামান্য অংশগ্রহণ, সেটাই থাকুক না লেখা হয়ে। অনাগত সময়ে কেউ একজন হয়তো সেটুকুর বদৌলতেই আপনাকে-আমাকে চিনবে, যেমনভাবে আমি আপনাকে চিনেছিলাম রমেল চাকমাকে নিয়ে লেখাটা পড়ে।
২৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: পদ্মপুকুর, আমার স্থায়ী অনুপস্থিতিতে কি হবে না হবে সেটা নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র আগ্রহী নই।
যা হবে এই একজীবনেই হোক, না হলে কোনোদিনই না হোক।
উপন্যাসের নায়িকা হতে যাচ্ছি তো তাই নিক ডিএক্টিভেটের কথা ভাবছি।
কোনোদিন পড়েছেন কিংবা শুনেছেন, উপন্যাসের নায়িকা ব্লগার
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: টিএসসির একটি নিজস্বতা ছিলো সবসময়েই।ওখানকার ছাত্র না হয়েও যাতায়াত ছিলো টিএসসিতে।ভেঙে ফেলার খবর শুনে খারাপ লাগছে। লিংকটা কাজ করছে ভাইয়া।