নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপত্তি

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০১


মেয়েটা রিকশা থেকে নেমে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। দেখেই আমি বুঝে ফেললাম যে মেয়েটা সমস্যায় পড়েছে।
ছোটবেলা থেকেই আমার মধ্যে কিছু একটা আছে, যে কারণে অনেক কিছুই আগেভাগে টের পেয়ে যাই। তাতে করে অবশ্য ঝামেলা ছাড়া বিশেষ কোনো সুবিধা পাইনি কোনোদিনই।

ক্লাস সিক্সে থাকতে একবার এই অগ্রীম বোঝার দায় চুকাতে ওই স্কুলই ছেড়ে দিতে হয়েছিলো। ঘটনাটা এ রকম-
ছাত্র সংসদ থেকে বেশ কিছু প্রকাশনা বিক্রি করে। এই গ্রিটিংকার্ড, ডায়েরি, রাইটিং প্যাড, এ রকম ছোট ছোট কিছু বস্তু। এগুলো বিক্রির টাকা থেকে সংসদের কিছু আয় হয়। এক ছুটির আগে আগে গেলাম সংসদ রুমে। বাড়িতে যাচ্ছি, বন্ধুদের জন্য কিছু কার্ড টার্ড নেবো। ওগুলো নেয়ার পর আমার দেয়া টাকাটা ড্রয়ারে রাখতে গিয়েই রফিক ভায়ের মুখের ভাব বদলে গেলো।
আমি সঙ্গে সঙ্গে বুঝে ফেললাম যে কি হয়েছে, জিজ্ঞাসা করলাম-
: রফিক ভাই, টাকা চুরি হয়ে গেছে?
রফিক ভাই উত্তর না দিয়ে আমার দিকে কেমনভাবে যেনো তাকিয়ে থাকলেন ।

বাড়িতে আমার কার্ড পেয়ে বন্ধুরা খুশি। আমিও। এরপর আবার হোস্টেলে ফেরার পর ওইদিন রফিক ভায়ের ওভাবে তাকিয়ে থাকার হাকিকত বুঝতে পারলাম। রফিক ভাই মারফত সংসদের অন্যদেরও দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে টাকাটা চুরির পেছনে আমিই আছি!!

এই ঘটনার রেশ সহসাই শেষ হলো না। বিরাট হাঙগামা শেষে হোস্টেল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- দুটোই ছেড়ে আসলাম। এরপর কানে ধরেছিলাম, আর কোনোদিনই, কোনো অবস্থাতেই কোনোকিছুই অগ্রীম বুঝবো না।

কিন্তু এখন রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের পেছনে এই ভর দুপুরের তপ্তরোদে মেয়েটাকে দেখে পৌরুষত্ব না প্রেম জেগে উঠলো; বোঝা গেলো না, কিন্তু আস্তে আস্তে আমাকে রিকশার দিকে এগিয়ে যেতে দেখা গেলো। সম্ভবত মেয়েটা বাসের জন্য এসেছে, বাস মিস করার শংকায় আছে। আমি কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম-
: কোনো প্রব্লেম হয়েছে আপু?
: হ্যাঁ, রিকশা ভাড়ার টাকা খুচরা নেই। এখানে কোনো দোকান টোকানও নেই যে খুচরা করবো। আপনার কাছে ১০০ টাকার খুচরা হবে?
আমি ওয়ালেট বের করে দেখি আমার কাছে ১০০ টাকার খুচরা নেই। আমি বললাম-
: ভাড়া কত?
: ২৫ টাকা।
: আমার কাছে ২৫ টাকা আছে, এই নেন।
: কিন্তু আমি আপনাকে টাকাটা ফেরত দেবো কিভাবে?
: ফেরত দিতে হবে না, আপনি কোন বাসে যাবেন?
: বৈশাখী। ওই যে আসছে বাসটা।
: ও হো হো, তাড়াতাড়ি যান।

মেয়েটা দৌঁড়ে গিয়ে বৈশাখীতে উঠে পড়লো। বাসটা শ্যাওড়াপাড়ার দিকে যায়। আমি বাসের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।

মেয়েটার চেহারা বা গেটআপে কোনো বিশেষত্ব নেই, কিন্তু কথাবার্তা বা আচরণে একদমই জড়তাহীন। সাধারণত এ রকম ক্ষেত্রে মেয়েরা অপরিচিত কোনো ছেলের হেল্প নিতে চায়না বলেই আমি জানতাম, কিন্তু এই মেয়েটি অদ্ভুতভাবে টাকা ফেরত না দেয়ার বিষয়টাও মেনে নিয়ে সুন্দর চলে গেলো।

সপ্তাহ কয়েক পর সাদ স্যারের ক্লাস শেষ করে লেকচার থিয়েটার থেকে বের হয়েছি। একটা মেয়ে পেছন থেকে ডাক দিলো- ভাইয়া, ভাইয়া....
আমি দাঁড়ালাম। একটা হালকা গড়নের মেয়ে দৌঁড়ে আসলো-
: কেমন আছেন?
আমি চিনতে পারলাম না। আমার চোখের দৃষ্টি দেখে মেয়েটা বললো-
: চিনতে পারেননি, তাইতো?
: না
: আরে, ওই যে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের পেছনে.... রিকশা ভাড়া খুচরা ছিলো না...
: ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে, মনে পড়েছে। কিন্তু আজ আপনাকে অন্যরকম লাগছে, একদম চিনতে পারিনি।
: কি রকম?
: বলতে পারছি না, কিন্তু কিছু একটা আলাদা আছে।
: যাকগে, আপনি আবার ভাববেন না যে আপনার ২৫টাকা এখন ফেরত দেবো। ওটা আমার কাছেই থাক। যেদিন আপনি এরকম সমস্যায় পড়বেন, সেদিন ফেরত দিতে আমি উপস্থিত হবো.. মেয়েটা হাসতে হাসতে বললো।
আমিও হেসে ফেললাম। আরে লাগবে না, রেখে দেন আপনার কাছে।

এরপর পরিচিত সাইনবোর্ডের মতই মেয়েটি বিভিন্ন সময় বিভিন্নস্থানে চোখে পড়তে লাগলো। সাংবাদিকতায় পড়ে, আমারই ইয়ারমেট। নাম রাধু।
রাধু? আমি প্রশ্নবোধকভাবে তাকালাম মেয়েটার দিকে। রাধু বললো, এটা আমার আসল নাম না, ছোটবেলায় মাদারীপুর থাকতে 'চাঁদের হাটে'র নাটকে রাধু নামের এক ছেলে চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম, এরপর আমার নামই হয়ে গেছে রাধু। আমিও এখন সবাইকে ওটাই বলি।

এরপর রাধুর সাথে ঘনঘন দেখা হওয়ায় সম্পর্কটা আপনি থেকে তুমিতে এসেছে, কিছুটা সখ্যতাও তৈরী হয়েছে। এটাকে অবশ্য প্রেম বলার কোনো সুযোগ ছিলোনা।

সেকেন্ড ইয়ারের পরিক্ষার আগে আগে একদিন সন্ধ্যার পর হলে ফিরছি। বসুনিয়ার ওখানে আতিক ভাই আমাকে মাঠের কোণায় ডাক দিলেন। আমি আবার বিপদ বুঝে গেলাম। আতিক ভাই আমার হলে পলিটিক্স করেন। অনেক আগেই বাংলায় মাস্টার্স শেষ করেও কি হিসেবে হলে থাকেন, কে জানে..

আমি কাছে যেতেই আতিক ভাই বললেন-
: কি রে তোর তো আজকাল পাখা গজাইছে..
: ভাই, বুঝলাম না..
: বুঝোছ নাই, রাধুর সাথে তোর সম্পর্ক কি?
: কোন রাধু, ভাই? ও; জার্নালিজমের ওই মেয়ে? ভাই আমার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই...
পাশ থেকে মিলন বললো- না ভাই, কিছু একটা অবশ্যই আছে। আমি দুইজনকে একসাথে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখেছি।

মিলন আমার ইয়ারমেট, অ্যানথ্রোতে পড়ে। ফার্স্ট ইয়ারে একবার আমার সাথে ঝামেলা হওয়ায় বিপ্লবের হাতে মাইর খাইছিলো। সেই থেকে আমার উপর একটা রাগ আছে। এখন চান্স নিচ্ছে।

কিন্তু রাধুর সাথে কোনোদিনই আমি বৃষ্টিতে ভিজিনি। আমার সাথে ওইরকম সম্পর্কই না। মিলন বললো- ভাই মাইর লাগাবো? আপ্নের জিনিসের উপরে চোখ দেয়..
আমি বলতে গেলাম- না ভাই, এই রকম কিচ্ছু না.... কিন্তু তার আগেই আতিক ভায়ের চোখের ইশারায় মিলন আমার কপাল বরাবর এক ঘুঁষি বসিয়ে দিয়েছে। আমি ওর দিকে তাকানোর সুযোগই পেলাম না, অন্যদিক থেকে মাসুদ, হাসান আরও কে কে যেনো আমাকে সমানে মেরে মাঠের কোণায় ফেলে রেখে চলে গেলো।

মোহসীন হলের মাঠের অন্ধকার ওই কোণায় অনেকক্ষণ পড়ে থেকে কোনো কিছু আগেভাগে বোঝার বিপত্তিটা আরেকবার টের পেলাম... ..


ছবিসূত্র



অপু তানভীর, গিয়াসউদ্দিন লিটন, সোনাবীজ....... এবং গেছোদাদাসহ আরও অনেকের সুন্দর সুন্দর গল্প পড়ে পড়ে ইদানিং একটু গল্প লেখার চেষ্টা করছি। হচ্ছে অবশ্য কচু হাতি ঘন্টা, তারপরও...

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:





অপু তানভীর গল্প বানানোর মেশিন বসায়েছে

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: জীবনটাইতো একটা গল্প স্যার! এন্ড্রু কিশোর গেয়েছিলেন- জীবনের গল্প, আছে বাকি অল্প/ যা কিছু বলার নাও বলে নাও... অপু তানভীর গল্পে বলছেন আপনি গদ্যে। একই কথা।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: গল্পটি ভালো লাগলো। আরো গল্প দেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: থ্যাঙ্কু আপা। আমি আসলে লিখতে খুব একটা পারিনা, গল্পতো নয়ই। কিন্তু ব্লগে অনেকের গল্প পড়তে খুব ভালো লাগে। সেজন্যই... :|

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা নিন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার। আপনার ভালো লাগাটা আমার জন্য খুশীর খবর।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: ২৫ টাকার ধোলাই , খুব বেশি লেগেছিল কি ? মলম------------------ B-)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: B:-) B:-)

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বলা নেই কওয়া নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা এরকম মারপিট করতে পারে? এরকম কথাবার্তা তো স্কুল লেভেলে চলে। একেবারে শেষে আপনার প্যাদানি খাওয়ার অংশটুকু বাদে বাকি গল্প যথেষ্ট সুন্দর হয়েছে।
পোস্টে দ্বিতীয় লাইক।
শুভকামনা প্রিয় পদ্ম পুকুর ভাইকে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: বলা নেই কওয়া নেই, এরকম মারপিট করতে পারে কি না, এখন তো আমার নিজেরই সন্দেহ হচ্ছে। তবে, এরচে ঠুনকো বিষয়েও মারপিট হওয়ার রেকর্ড আছে।

আর আপনি আমাকে পছন্দ করেন দেখেই আমার মার খাওয়া আপনার ভালো লাগেনি, কিন্তু গল্পের বটমলাইনটাইতো মার খাওয়া...

ধন্যবাদ স্যার, পাওনার চেয়ে বেশি সুন্দর মন্তব্যর জন্য।

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: আজকাল কেন জানি নায়করা ভাত খাচ্ছে না শুধু মার খাচ্ছে।

গল্প দারুণ হয়েছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: কি করবো বলেন, একজন তো নাম্বার ওয়ান শাকিব খান হয়ে বসে আছেন, বাকিদের মার খাওয়া ছাড়া উপায় কি...
মন্তব্যর জন্য থ্যাঙ্কু স্যার।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগে বোঝার বিপত্তির কথা আর বলবেন না!
তবে উপকারও যে নেই তা নয়! অনেক সময় দারুন উপকারও হয় :)

শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ আমেজ আদর্শ হলেও আরো কিছূ যেন পড়ার ইচ্ছে ছিল!
আরো কিছু কথা আরো কিছু আবেগ :)


ভাল লাগলো
++++++

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: হাঁ হাঁ হাঁ.... আমার ক্ষেত্রে অবশ্য শেষ হইয়াও হইলো না শেষ রবীঠাকুরের কল্যাণে নয়, অন্য হেতু আছে। এটা লেখার পর মনে করে দেখলাম ব্লগে অল্প যে কটা প্রেমের গল্প লিখতে চেষ্টা করেছি, সবগুলোতেই প্রেম এক্কেবারে গলার কাছে এসে আটকে গেছে। পূর্ণতা পাচ্ছে না। এর কারণ সম্ভবত আমার কোনো প্রেমের অভিজ্ঞতা নেই

ভালোলাগায় প্রীত হইলাম। ধন্যবাদ স্যার।

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পদ্মার দুই দিকেই পাড়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: বিরাট দার্শনিক কথা! একটু খোলাসা করলে সুবিধা হইতো।

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ, শুভ ব্লগিং।

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যদিও ফুটনোটে আমার নাম উল্লেখ করেছেন, কিন্তু আপনি তো আমার গল্প পড়ার অনেক আগে থেকেই ভালো গল্প লেখেন। অনেক ভালো লেখেন। আপনার লেখার রম্য স্টাইলটা খুব ভালো লাগে। যেমন, 'মেয়েটাকে দেখে প্রেম না পৌরুষত্ব জেগে উঠলো, বোঝা গেলো না, কিন্তু আস্তে আস্তে আমাকে রিকশার দিকে এগিয়ে যেতে দেখা গেলো।' এ কথাটা চমৎকার লেগেছে আমার কাছে।

স্বল্প পরিসরে রাধুর সাথে গড়ে ওঠা সম্পর্ক বা অসম্পর্কটা খুব মধুর লেগেছে, যদিও বড়ো ভাইয়ের 'বস্তু' হওয়ার সুবাদে মিলনের হাতে মাইর খাইয়া নায়কের পরিণতি খুব ট্র্যাজেডিময় হইয়া যায়। আহহারে! আর কেউ যেন আগেভাগে অমন কিছু না বুঝতে পারে :(

টাকা চুরির ঘটনাটা বুঝলাম না। ড্রয়ারে কে টাকা রাখতে গেছিল? রফিক ভাই নিজে? তাহলে আপনাকে (মানে গল্পের নায়ককে) সন্দেহ করার কারণ কী?

সুন্দর লেখা।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: শ্রীলংকান এক বাচ্চা মেয়ে এবং বাংলাদেশি একজন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে লেখা আপনার এক গল্প পড়ে আমি রীতিমত বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম। ওটাই আপনার কোনো লেখা প্রথম পড়া এবং ব্লগে এতবড় গল্পও প্রথম পড়া। সাধারণত ব্লগে বড় লেখা পড়া হয়ে ওঠেনা, কিন্তু ওই গল্পকারের নিপুণতায় ওই লম্বা গল্পে আটকে গিয়েছিলাম। পড়ে আমি বোকার মত ভেবেছিলাম যে ব্লগে এত ভালো গল্প লেখে কে? তখন তো আর আমি জানতাম না যে আপনি আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত গল্পকার, আপনার বইটইও আছে...

আরাশিগো'র (নামটা ঠিক বললাম তো?) ওই লেখার পর থেকেই আপনার লেখা পড়ি। সত্যি বলতে- আমি যখন (অ)গল্প লিখতে চেষ্টা করি, তখন আপনার নামটা প্রথমে মনে আসে। এজন্যই ফুটনোটে আপনি এসে গেছেন। এখন আপনি বলছেন- আমি ভালো লিখি, শুনে ভালো লাগছে, কিন্তু আপনার বা অন্য অনেকের গল্প পড়লে তখন বুঝি যে ভদ্রতা করে বলছেন। তবুও লজ্জা পাইনা, খুশী হই।

স্বল্প পরিসরে সম্পর্কের ব্যাখ্যা বিদ্রোহী ভায়ের মন্তব্যের নিচে দিয়েছি। এখানে মাইর খাওয়াটা যতটা না আতিক ভায়ের কল্যাণে, তারচেয়ে বোধহয় বেশি মিলনের পুরোনো রাগের কল্যাণে। আর টাকার ব্যাপারটা হলো- আমার দেয়া টাকাটা ড্রয়ারে রাখতে গিয়ে রফিক ভায়ের মুখের ভাব বদলে গেলো....। বাই দ্য ওয়ে, দুঃখজনক হলেও এই অংশটুকু সত্য।

লম্বা মন্তব্য করা আপনার ট্রেডমার্ক। তারপরও অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

মা.হাসান বলেছেন: কচু হাতি ঘন্টা ভালো লেগেছে। রাধু নামটা আগে শুনি নি। না ভিজে মার খাবার চেয়ে ভিজে মার খাওয়াই ভালো হতো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: কচুহাতিঘন্টার বাদ্যে গলা চুলকায়নি শুনে প্রীত হলাম ! আর রাধু নাম শোনেননি? আপনার তো শোনার কথা, মিলন আর মাসুদের সাথে ওখানে আপনিওতো আমাকে হেভি কেলালেন... :-B । ওই উদুম কেলানী খেয়ে আমি গান গাচ্ছি -আগে জানলে তোর ভাঙা নাওয়ে চড়তাম না- আর আপনি বলেন ভিজে মার খাওয়াই ভালো....।

না ভিজেই এই অবস্থা, ভিজলে কি আর ব্লগে লিখতে পারতাম!

অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার। ইদানিং আমার সব লেখাই আপনার ভালো লাগছে। ফ্যানক্লাব খুলবেন না কি? :P

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর ,



ঝরঝরে গল্প ।
গল্পে কোনও বিপত্তি নেই । বিপত্তিটা বেঁধেছে আপনার দেয়া বৃষ্টি ভেজা ছবিটার জন্যে।
গল্পে বলেছেন , রাধুর সাথে বৃষ্টিতে ভেজেন নি। মারও খেলেন তার জন্যে! :((
ছবিটা দিয়ে প্রমান করলেন গল্পে সত্য কথা বলেন নি। :P উচিৎ ছিলো রাধুকে বাদ দিয়ে ঘামে ভেজা একজন মাত্র লোকের ছবি দেয়া। B-)

গল্পে আপনার হাত খুল্লমখুল্লা। আগেও এমন দেখা গেছে। তা হলে এতো ইতস্ততঃ কেন ?
গল্পে ++++

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্লাস চিহ্নগুলো বোল্ড হয়ে আছে, বুঝতে পারছি এগুলো এক্কেবারে আদি বিক্রমপুরী প্লাস!!!
এম্নিতেই মারখেয়ে চেহারা বিগড়ায়ে গেছে, সেই চেহারা দিলে এই ছবি দেখেই পাঠক পালাইতো, গল্প পড়বে কি... (তবে চুপিচুপি আপনাকে বলি- লেখার পর ছবি খুঁজতে গিয়ে এই ছবিটা পছন্দ হলো, তখন ছবির সাথে মিলিয়ে বৃষ্টিতে ভেজার লাইনগুলোও নতুন যোগ হলো। আগে ওই যায়গায় অন্য কিছু ছিলো।)

প্রেরণার জন্য আপ্নেরেও ++++

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৪

জুন বলেছেন: আমি শুধু আপনার গল্পে আপনার আর রাধুর সাথে আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন করিডোরে ঘুরে আসলাম পদ্মপুকুর ।
অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: হু, এ এক সুবিধা আছে। ক্যাম্পাসের গল্পগুলো খুব দ্রুতই আমাদের আচ্ছন্ন করে রাখে। করোনার কারণে ক্যাম্পাস এখন অন্যরকম। শান্ত, সবুজ। আমি প্রায় প্রতিদিনই অফিস শেষে একটানে ক্যাম্পাসে চলে যাই, কোনো এক বন্ধুকে আসতে বলি, তারপর আড্ডা দেই, থাকি কিছুক্ষণ, উপভোগ করতে চেষ্টা করি।

এইটা শুনলে আবার নিচের সাজিদ আবির রাগ করবে। সাজিদ আবির খুবই প্রাকটিক্যাল মানুষ, স্মৃতিকাতরতায় আটকে থাকতে রাজি নয়। আমি আবার উল্টো।

আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।

১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: পড়লাম হজরত। ডায়লগের পাশাপাশি চরিত্রগুলির সাইকোলজিক্যাল ডিলেমাগুলি নিয়ে আলোচনা করলে হাড্ডির ওপর মাংস পড়তো। আতিক ভাই নামে আমারও এক পরিচিত পলিটিকাল বড়ভাই ছিল। বাংলা'র না যদিও। আমার থ্রুতে আমার ডিপার্টমেন্টের এক ক্লাসমেটের সাথে পরিচিত হয়ে পরে মেয়েটার সাথে প্রেম শুরু করেন। সম্পর্কটা ভালো ভাবে আগায় নাই। কিন্তু মেয়েটাকে নানাভাবে কষ্ট দিয়েছেন এটা পরে শুনেছি। আমি এখনো আমার ঐ বন্ধুর সাথে তারে পরিচয় করিয়ে দেয়ার অপরাধবোধে ভুগি। কিন্তু আমার বন্ধু মেয়েটি এইটা নিয়া কোন এক অজানা কারণে আমারে কখনোই দোষারোপ করে নাই।

আফসানা নাওয়াজি মুবারকবাদ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি স্যার ঠিকই বলেছেন। আমার গল্প আগায় না কারণ ওই যে হাড্ডিচর্মসারতা, মাংসের পেলবতা থাকে না। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। পরিশীলিত সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ। তবে আপনি ক্যাম্পাসে ঢোকার বেশ আগেই আমি বের হয়ে গেছি, সে হিসেবে আপনি আমার জুনিয়র। ক্যাম্পাসসুত্রে পরিচয় হলে হয়তো 'তুমি'ই বলতাম। কিন্তু এখানে আপনার বহুমাত্রিক লেখনীর গুণে আপনি যোজন যোজন রাস্তা এগিয়ে আছেন আমার চেয়ে। সে হিসেবে আপনার পরামর্শ, সমালোচনা, যদি তা আরও উচ্চমাত্রার হয়, আমি নিতে পারবো স্বানন্দে। সিরিয়াসলি বলছি। শিখতে লজ্জা কিসের!

আপনার পলিটিক্যাল বড় ভাইয়ের কথায় আমারও একটা কথা মনে পড়লো। মিঠু নামে আমার এক পলিটিক্যাল ফ্রেন্ড ফার্স্ট ইয়ারেই ক্রাশ খাইলো (আমাদের সময় অবশ্য ক্রাশ শব্দটাই ছিলো না)। কিন্তু আমার মত এক হ্যাংলা সাদাসিধে ছেলে ওই মেয়ের সাথে সাথে ঘুরে বেড়ায়। একদিন অপরাজেয় বাংলার সামনে মিঠু সেই ছেলেকে ধরলো। তারপর তাদের কথপোকথন নিম্নরূপ-
: ওই দাঁড়া, মিঠু ছেলেটাকে থামালো
: বলেন।
: অপরজেয় বাংলা দেখছোস্?
: দেখছি।
: ওইখানে কয়টা মুর্তি?
: ক্যান, তিনটা।
: এরপর তোরে যদি আর কোনোদিন শিমুর আশেপাশে দেখি, তাইলে ওইখানে মুর্তি কিন্তু চারটা হয়্যা যাইবো, বুজছোস?

ওই ছ্যামড়া এরপর মাসখানেক ক্যাম্পাসেই আসেনি। তবে খুবই খুশির সংবাদ যে সেকেন্ড ইয়ারে কমার্স ফ্যাকাল্টিতে এক গোলাগুলির ঘটনায় মিঠু অস্ত্রসহ ধরা খাওয়ার পর ইউনিভার্সিটি থেকে সাসপেন্ড হয় দু বছরের জন্য। ওই সময় শিমুর সাথে তার বন্ধুত্ব গাঢ় হয় এবং শিমু তাকে মোটিভেশন দিয়ে দিয়ে রাজনীতি থেকে ফিরিয়ে এনে বইয়ের জগতে ঢুকিয়ে দেয়। শেষমেষ ২৭তম বিসিএসএ মিঠু দুর্দান্ত রেজাল্ট নিয়ে ফরেন অ্যাফেয়ার্স ক্যাডারে জয়েন করে। এখন ইয়োরোপের একটা দেশে আছে।

১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

ওমেরা বলেছেন: ভাষার শালীনতা, মাধুর্যতা খুব সাধারন গল্প মনে দোলা দিয়ে যায়। আপনার গল্পও সেরকম হয়েছে।
আপনি তো ভালো লিখেন ভাইয়া আপনার গল্প ভালো হবে না কেন!
আপনার বিমানবালা নিয়ে লিখাটা আমার এতবেশী ভালো লেগেছিল এখনো আমার মনে গেঁথে আছে ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: বলেন কি? ভীষণ আশ্চর্যান্বিত হয়ে বিষম খেয়ে গেলাম পুরো। আপনি ওই লেখা মনে রেখেছেন, কি বলে যে ধন্যবাদ দিব...

১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৭

জাহিদ হাসান বলেছেন:

আপনি ভালো লিখেন। জবাব নেই।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। তবে আপনার এই থাম্বস আমার ভালো লাগেনি। এটা অনেকটা ফেসবুকীয় ব্যাপার। ব্লগটা ঠিক ওই যায়গায় না বলেই আমার মনে হয়। অন্য কার যেনো পোস্টে আপনার এই থাম্বস দেখে আমি ওখানে এটাই লিখতে চেয়েছিলাম।

১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো হয়েছে, খুবই ভালো হয়েছে।

এরপর পরিচিত সাইনবোর্ডের মতই মেয়েটি বিভিন্ন সময় বিভিন্নস্থানে চোখে পড়তে লাগলো।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ও, জানেনইতো যে পরিচিত সাইনবোর্ড চোখে পড়ে বেশি!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি সবার গল্প পড়তে পড়তে নিজেই একজন চমৎকার গল্পকার বনে গিয়েছেন

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। কিন্তু প্রশংসার আগে ১৩ নম্বর মন্তব্য না পড়ে আসলে মত বদলানোর সম্ভাবনা আছে।

১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পে এক জায়গায় লিখেছেন- ছোটবেলা থেকেই আপনি অনেক কিছু আগেভাগে টের পেয়ে যান!!! আমার এই গুনটা নেই।

আপনি ভালো লিখেন। এটা আপনিও জানেন। গল্প সুন্দর। ভাষা সুন্দর। এবং পোষ্টে প্রত্যেকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: রাজীব ভাই, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার জীবনে বেশ কয়েকবার আগে বুঝে ফেলার এরকম কিছু ঘটনা ঘটেছে যে মনে হয়েছে- ওটা না হলেই খুব ভালো হোত।

ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।

১৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কচু-হাতি-ঘন্টা হয়নি রে ভাই, গল্প ভালো হয়েছে।

আমি তো আরেকটু হলেই রাধুকে খুঁজে বের করে ফেলতাম (গল্পের নায়িকা বলে কথা!)।
আপনার সমসাময়িক সময়ে সাংবাদিকতা বিভাগে বেশ কয়েকজন সুন্দরী ছাত্রী (পড়ুন দুর্ধষ সুন্দরী) পড়তেন। ঐ যে যাদের দেখা পাবার জন্য অপেক্ষা করা যায়, প্রেম নিবেদনটা ঠিক হয়ে ওঠে না ধরনের।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: রাধুকেই খুঁজে বের করে ফেলছিলেন...!!! সর্বনাশ!

তবে, আমার মধ্যে ক্ষমতাবান লোক, পলিটিক্যালি এক্সপোজড মানুষ এবং সুন্দরী তরুণীদের (পড়ুন দুর্ধষ সুন্দরী তরুণী) এড়িয়ে চলার প্রবণতা ছিলো। ক্যাম্পাস লাইফে আমার বন্ধুরা সবই এই তিন ক্যাটেগরির বাইরে থাকতো। একটা মজার কথা বলি- পুরো হললাইফে আমি সকালে ফুটবল খেলেছি মোহসীন হল মাঠে। আমার সাথে হলের আরও কিছু পোলাপাইনও খেলতো, সে সূত্রে তাদের সাথে আমার সম্পর্ক গাঢ় ছিলো। ২০০১ এর পট পরিবর্তনের পর দেখা গেলো আমার মাঠের সাথীদের কয়েকজন পলিটিক্যালি ইনভল্ভড হয়ে গেলো এবং তাদের সাথে আমার দুরত্ব বাড়তে থাকলো। অন্যেদিকে, আগে রাজনীতিতে জড়িত ছিলো কিন্তু এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে এমন কয়েকজনের সাথে আমার দ্রুত বন্ধুত্ব হতে লাগলো.....

আপনার দুর্ধষ সুন্দরীদের ক্ষেত্রে যেহেতু পালাবদলের কোনো বিষয় ছিলো না, সেহেতু ওই লাইন একদম প্রথমেই বাদ। এটাকে আপনি অ্যাভোয়েডেন্ট পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার, সিজোটাইপাল পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার বা অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারও বলতে পারেন।

২০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪২

সোহানী বলেছেন: ঘটনার পিছনে ঘটনা কি? সত্যিকারের এরকম কিছু কি কপালে জুটছিল কিনা, জাতি জানতে চায় B:-/

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার ইমোজি দেখে মনে হচ্ছে মোহসীন হল মাঠের কোণার ঘটনাটা সত্যি হলে আপনি খুশী হবেন... /:) আপনি না আমার ক্যাম্পাস সিনিয়র, কোথায় আমাকে আগলে রাখবেন, তা না..... আপনার এই শত্রুতার কারণ জাতি জানতে চায়।

২১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব কিছু আগে ভাগে বুঝে ঘুষি দেয়ার আগেই চম্পট দেয়া উচিত ছিল, তবেই বিপত্তি এড়ানো যেত বলে মনে হয়।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি ঠিকাছেন? বাসার সবাই?

২২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব ভাই, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার জীবনে বেশ কয়েকবার আগে বুঝে ফেলার এরকম কিছু ঘটনা ঘটেছে যে মনে হয়েছে- ওটা না হলেই খুব ভালো হোত।

ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।

মনে রাইখেন দাওয়াত ক্যানসেল করছেন। অবশ্য এখন আপনি আবার দাওয়াত দিলে আমি সেই দাওয়াত আর গ্রহন করবো না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকাছে, আমার এক্খান ফটো তুলে দেয়ার জন্যে আসবেন এবার, তখন আপনাকে ফখরুদ্দিনে নিয়ে যাবো...

২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: পদ্ম পুকুর, আমি মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী নই। আর ছবির রমনীকেও চিনতে পারিনি। ১০০% ফেইল করলাম!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ওভার!

২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদ্ম পুকুর ভাই আপনাদের দোয়ায় আমি ও পরিবার সবাই এখন ভালো আছি। ধন্যবাদ খোঁজ নেয়ার জন্য।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ স্যার।

২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহাহাহা রাধু
গল্প ভালো লাগলো

আহা প্রেম প্রেম ভাব নিয়ে পড়তে গিয়েই দেখি শেষ । ভালো থাকুন আরও গল্প লিখুন

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: পদ্ম পুকুর বলেছেন: লিখতেই তো চাচ্ছিলাম.... কিন্তু কল্পদ্রুমের এক গল্প পোস্টেসাজিদ আবীর এর সমালোচনা পড়ে টাশকি খেয়ে গেছি! লেখার সাহসই পাচ্ছি না। আমার লেখার যে মান, তাতে সাজিদ আবীর সমালোচনা শুরু করলে আমার জন্য টেকা মুশকিল হবে। সেটা জেনেই এই ছেলে আমার পোস্টে এসে ভালো ভালো কথা বলে, আমিতো খুশী হয়ে যাই। কিন্তু কল্পদ্রুমের পোস্টে ওই মন্তব্যগুলো পড়ে বুঝতে পারছি- সে আসলে আমার পিঠে হাত বুলিয়েছে... X((

২৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সহজ সরল জীবনের গল্প, প্রেমের গল্প আমার কাছে খুবই ভালো লাগে, আমরা কেউ লেখক নই সাহিত্যিক নই অথবা বই বেচার ধান্ধাও নেই, তাই ইতা নিয়া চিন্তা না করলেও আমাদের হবে। মাথার ব্রেইন খাটাতে হলে যে কোনো একদিকেই খাটানো ভালো। আমরা চাকুরীজীবী সাংসারিক তাই অন্যদিকে মাথা খাটাই না। যা মনে আসে লিখে ফেলি।

আমারে অনেকে কয় গল্প লিখতে, গল্প লিখতে পারি না তো লিখবো কেন, আজাইরা গদ্যর মত লিখলে কেউ সেটাকে ভালোবাসবে না। তাই এ ই বিষয় ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আপনার গল্প খুবই সুন্দর হয় । ধারাবাহিক বর্ণনা হয় না আমার মত। লিখে যান

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার। খুবই সরলভাবে সঠিক কথাটা বলেছেন। তাইতো, আমরাতো লেখক নই, বই বেচারও ধান্ধা নাই.... মনের আনন্দে যা একটু লিখি, একটা লেখা পোস্ট করার পর সুন্দর হেলদি একটা ফিলিংস আসে.... এবং যা লিখি সেটা শুধু ব্লগেই।

২৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৩

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনার গল্প লেখার হাত ভালো।
চালিয়ে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.