নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাকসুর দেড়তলা সিড়ির ল্যান্ডিংয়ে হাত-পা ছড়িয়ে বসে আছি আমি আর রিপন। চুপচাপ। মনোজাগতিক কিছু অস্থিরতার দায় ক্যাম্পাসের উপর চাপাতে রিপনকে ডাকলাম- চল, আজ বিকেলে ক্যাম্পাসে যাই। অতিতে এ রকম বহু কষ্টকল্পনা, ভীষণ অসম্ভব অভিমান-হাসি-রাগ-ক্লান্তির ভার নিজের কাঁধে নিয়ে এই ক্যাম্পাস আমাদের মানসিক প্রশান্তি দিয়েছে সকালের শৈশবের মতই।
তাই সব অসময়গুলোকে সময় করতে ফিরে ফিরে আসি এখানে, এই তরুবীথি, নীপবনে।
করোনা আমাদের ফাঁকিবাজিকে আরও একটু চাগিয়ে দিতে পেরেছে বলেই বোধ হচ্ছে, চারটা বাজতেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে নচিকেতার গান ভাজতে ভাজতে আপিস থেকে বের হয়ে পড়ি। বিবিধ কারণে ঢাকার রাস্তায় এখনও জন-বাহন কম। মরে আসা রোদ আর নতুন গজিয়ে ওঠা তীব্র সবুজের মধ্য দিয়ে কিছুটা ফাঁকা সড়কে চলতে বেশ আরাম আরাম লাগে। অনেকটা নব্বুই দশকের মত।
সে নব্বুইয়ের শাহবাগের গল্পগুলো দেখতে দেখতেই যেনো আমি আর রিপন চারুকলা, ছবির হাট আর নজরুলের সমাধি পাশ কাটিয়ে একসময় ডাকসুতে এসে গেলাম। চুপচাপ ক্যাম্পাসে যতদুর দৃষ্টি যাচ্ছে, জনমনিষ্যির কোনো চিহ্ন নেই, তার বদলে এখানে ওখানে জংলা গাছের বাড়বাড়ন্ত। ক্যাম্পাস এখন যেন এক নির্বাক চলচ্চিত্র। কোথাও কেউ নেই। এই 'না থাকা'র কারণেই হয়তো আশপাশ থেকে বিচিত্র সব শব্দ কানে আসছে। হয়তো পাশের রাবার গাছের একটা হলুদ হয়ে আসা পাতা বাতাসে ভাসতে ভাসতে মাটিতে পড়লো, ‘টুশ’ করে হওয়া তার একটা শব্দ, ডাকসুর কার্নিস থেকে একটা ছোট পাখি ফুরুৎ করে উড়াল দিলো- তার শব্দ, তালগাছটার নিচে অলস বসে থাকা কুকুরটার নখ দিয়ে রাস্তা আঁচড়ানোর ‘খসখস’ শব্দ। দুরে কোথাও কেউ একজন বাইসাইকেলের বেল বাজালো, তার রেশ থেকে যাওয়া ‘টুংংঙ’ শব্দ ইত্যাদি, ইত্যাদি।
অদ্ভুত ব্যাপার! মানবসৃষ্ট শব্দমুখর এই ক্যাম্পাসে প্রকৃতির এত এত শব্দ হয়, করোনা না হলে জানাই হতো না। রিপন শব্দগুলো শুনছে কিনা বুঝতে পারছি না, মেঝেতে সারিবদ্ধভাবে চলতে থাকা কালো পিপড়ের একটা দলকে পর্যবেক্ষণ করাতেই ওর সব মনোযোগ বলে মনে হচ্ছে। মাঝে মাঝে একটা কাটি দিয়ে সারিটাকে ভেঙে দিচ্ছে। এই পিপড়েগুলো চলারও শিশশশ একটা শব্দ হচ্ছে।
অপার্থিব এই শব্দজগতে আমার নিজেকে ফলিম্যানের মত লাগছে। আচ্ছা ভালো কথা, আপনারা ফলিম্যান সম্পর্কে জানেন তো?
একটা সিনেমা বা নাটকে অভিনেতা, অভিনেত্রীর কন্ঠ, মিউজিক ছাড়াও হাজার রকমের শব্দ থাকে। ধরুন ঝড় হচ্ছে, তার শো-শো শব্দ, বা একটা লোক রাত দুপুরে মাতাল হয়ে নিশ্চুপ গলিতে টলতে টলতে যাচ্ছে- তার টেনে টেনে হাটার শব্দ, অন্ধকারে একটা ঘরের দরজা খুললো- তার ক্যা-আ-চ শব্দ, অথবা একটা মানুষ শুয়ে শুয়ে বই পড়ছে, ফ্যানের বাতাসে সে বইয়ের পাতা বারে বারে উল্টে যাচ্ছে, সে পাতা উল্টানোর ফস ফস শব্দ বা ওই ফ্যানটারই দুলে যাওয়ার শব্দ...। এ রকম অসংখ্য শব্দ থাকে যেগুলো লাইভ রেকর্ডিং করা যায় না। একজন ফলিম্যান স্টুডিওতে বসে বিভিন্ন পদ্ধতিতে এই শব্দগুলো তৈরী করে। সামনে বড় একটা স্ক্রিনে রেকর্ডেড মুভি/নাটকটা প্লে হয় আর সেটা দেখে দেখে তৎক্ষণিকভাবে সে প্রয়োজনীয় শব্দগুলো তৈরী করতে থাকে এবং রেকর্ডিং হয়।
আপাতদৃষ্টিতে এটা কোন কাজ মনে না হলেও বিষয়টা অত্যন্ত কঠিন। বিশেষত একই শব্দের ভেরিয়েশন যদি ঠিক না হয় তাহলে পুরো ছবিটাই কেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন ধরুন একটা লোক দৌঁড়ে যাচ্ছে, সে যখন আপনার দিকে আসছে, তখনকার পায়ের শব্দ এক রকম, যখন আপনার খুব কাছে, তখনকার শব্দ একরকম আবার যখন আপনাকে পার করে গেল, তখনকার শব্দ আরেক রকম। আবার মনে করুন একজন একটা চিনামাটির কাপে চা খাচ্ছে, ওই কাপ যখন কাচের টেবিলে রাখছে তখন একটা শব্দ হচ্ছে, কাপের চায়ের পরিমাণ কমার সাথে সাথে সে শব্দের স্কেলও বদলে যাচ্ছে।
কি খুব সহজ মনে হচ্ছে?
নেপথ্যের শিল্পী হিসেবে ফলিম্যানকে নতুন নতুন শব্দের খোঁজে চব্বিশটা ঘন্টাই নিজের চারপাশে তীক্ষè নজর রাখতে হয়। পাড়ার টং দোকানে চা খেতে গিয়ে চায়ে বুঁদ হওয়ার চেয়ে তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে হঠে কেতলি থেকে কাপে গরম পানি পড়ার কলকল শব্দ, হয়তো ওই সময়েই পাশের রাস্তায় কোনো একটা মোটরবাইক ক্যাঁ শব্দে তীব্র ব্রেক কষে দাঁড়ালো, এবং তারপরেই ঝনঝন করে কিছু বাসনকোসন পড়ার শব্দ, সাথে গাড়ির হর্ন, মানুষের গালাগাল, হট্টোগোল .... এত এত শব্দের মধ্যে ফলিম্যানের হাতের চা কখন ঠাণ্ডা পানসে হয়ে যায়, খেয়ালই থাকে না!
এ রকম একজন ফলিম্যানের জীবন নিয়ে একটা মুভি দেখেছিলাম। নিজের কাজের প্রতি এতটায় নিবেদিত যে একসময় সে শুধু অ্যবস্ট্রাক্ট শব্দই শুনতে থাকে, তার সামনে বসা মানুষের কথা শুনতে পায় না। মানে সবসময় প্রকৃতির শব্দুগলোতেই তার মনোযোগ চলে যায় ফলে বাবা-মা, স্ত্রী বা অন্যদের কথা তার মস্তিস্কে পৌঁছায় না...। সে হয়ে চলা শব্দগুলোর একটা ঘ্রাণ পায়।
এই নিরব ক্যাম্পাসে আজ বিচিত্র শব্দ শুনতে শুনতে হঠাৎ কবেকার কোন অনুরোধের আসরে ফেলে আসা কিছু শব্দ মনে পড়ে গেলো; একদা যে শব্দগুলোর ঘ্রাণ আমার কাছেও ছিলো।
ছবিসূত্র
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার এই লেখাটার কথা কি আপনার মনে পড়ে? দ্বিতীয় দফায় ব্লগে নিয়মিত হওয়ার বাসনায় যখন এদিক ওদিক ঘুরছি কিন্তু বিশেষ পাত্তা করতে না পেরে লেখা চালিয়ে যাবো কি না, সেই দোলাচলে, তখন এই লেখাটায় আপনার যুগপৎ দুটো মন্তব্য আমাকে ব্লগে থাকতে সাহায্য করেছিলো। এক অদ্ভুত ভালোলাগা এসে ভর করেছিলো।
আজ আবার এই পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখে সে রকম ভালোলাগা ভর করছে। কিছু লেখা থাকে, যেগুলো কেবল নিজের ভালোলাগা থেকেই চলে আসে, সে ধরনের লেখা পাঠকের ভালো না-ও লাগতে পারে। তাই এ রকম লেখা পোস্ট করার পর কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকি। সে পরিস্থিতিতে কেউ যদি লেখার মুলসুরটা ধরে ফেলে প্রথম মন্তব্য করে, তখন কনফিডেন্স লেভেল হাই হয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই দারুন লিখেছেন।
ফলিম্যানের বিষয় এত বিস্তারিত ভাবে আমি জানতাম না। আপনার লেখাগুলি পড়লে অনেক কিছু জানা এবং শেখা যায়।
এই জীবনে যে কত কিছু শেখার বাকি আছে!
ফলিম্যান সব ধরণের শব্দ কি নিজের মুখে তৈরি করে, না রেকর্ডেড শব্দ ঢুকিয়ে দ্যায়?
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। পড়ে যদি নতুন কিছু জানা যায়, তবেই তো সার্থকতা। ফলিম্যান মুখে শব্দ তৈরী করে না, বরং শব্দগুলো তৈরী করে বিচিত্র সব অনুষঙ্গ ব্যবহার করে। একটা উদাহরণ দিই- একঝাঁক কবুতর হঠাৎ একসাথে উড়তে শুরু করলো, তার ডানা ঝাঁপটানোর শব্দতো আর রেকর্ড করা যায় না। সেক্ষেত্রে দুটো এ৪ সাইজের কাগজ কয়েক ভাঁজ করে দু'হাতে ঝাকাতে থাকলে কবুতর ওড়ার শব্দ তৈরী হয়... অনেকটা এ রকম আর কি। বেশ মজার একটা বিষয়।
আর রেকর্ডেড শব্দ সাধারণত ম্যাচ করে না। তবুও কম বাজেটের কাজে রেকর্ডেড সাউন্ড ব্যবহার করা হয়, ফলে তার মানও খারাপ হয়। সংযুক্তি হিসেবে একটা তথ্য দিই- কিছু বছর আগে মনপুরা নামে একটা সিনেমা এ দেশে বেশ সমাদৃত হয়েছিলো। টেকনিক্যাল অনেক উন্নয়নের সাথে সাথে এই মুভির অ্যাবস্ট্রাক্ট সাউন্ডগুলোও ভালো ছিলো, গ্রামীণ পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যশীল শব্দগুলো বেশ নিখুঁতভাবেই তৈরী হওয়ায় মুভিটা পারফেক্ট হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েছিলো। রিপন নাথ নামের একজন ফলিম্যান এই মুভির শব্দ সংযোজন করে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: বহুদি পর পোষ্ট দিলেন। যদি মাঝে মাঝে একআধটা মন্তব্যও করেন। ফেলিম্যানকে নিয়ে ভালো লিখেছেন।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: রাজীব ভাই, আমার একজন সহকর্মী করোনা আক্রান্ত, আপনি নিশ্চয় ফেসবুক মারফত জেনে গিয়েছেন, ডিভিশনে আরও একজন আক্রান্ত- ফলে কাজের চাপ বেড়ে গেছে, ঈদে গ্রামে যাওয়া আসা এবং কিছু অস্থিরতার ফলশ্রুতিতে ব্লগে ঢুকলেও পড়া বা লেখার মত স্থিরতা ছিলো না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর উপমায় স্মতিচারণ লেখায় ফলিম্যান নিয়ে জানা হলো। মনোযোগ দিয়ে পড়লাম । মুগ্ধ হলাম লেখায়
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এমনিতে পাঠক হিসেবে আপনি যথেষ্ঠ মনোযোগী। প্রায় সবার পোস্টেই আপনার মন্তব্য থাকে।
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফলিম্যানের মতো হতে পারলে ভালোই হতো। কোথায় যেন পড়েছিলাম, নির্জনতারও একটা শব্দ আছে। সেই শব্দ, শব্দের পিছনের শব্দ, এসবগুলোই ভীষণ ইন্টারেস্টিং। আগে হরতালের সময় যখন ক্যাম্পাসে যেতাম, তখন এ'ধরনের কিছু শব্দ শুনতে, অনুভব করতে পারতাম। তবে, এতো ডিটেইলে কোন সময় ভাবি নাই। তাই অনুভবও করা হয় নাই ততোটা।
ফলিম্যানের সাথে আমার প্রিয় ক্যাম্পাস জুড়ে দেয়াতে লেখাটা ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এখন এই বিদেশ বিভুইয়ে যখন পিছন ফিরে ক্যাম্পাসের দিনগুলির কথা মনে করি, তখন বুকে কেমন যেন একটা হাহাকার উঠে। মনে হয়, সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে ফিরে যাই আগের সেই প্রিয় দিনগুলোতে। পর মুহুর্তেই যখন ভাবি, সেটা অসম্ভব.....তখন কষ্ট আরো বাড়ে।
বাসায় আমরা দু'জন 'এক্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' একসাথে থাকলেও কেন জানি আগের দিনগুলো তেমনভাবে অনুভব করা হয়ে উঠে না। জীবনটা বোধহয় এমনই!
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২১
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমাদের সবকিছুতেই ঘুরে ঘুরে ক্যাম্পাস জুড়ে যায়.... আলমাম্যাটার বলে কথা! শামসুন্নাহার হল কাহিনীতে যেভাবে লিখেছিলেন, তাতে করে এই লেখা পড়ে আপনার বুকে হাহাকার উঠবে, এ আর অস্বাভাবিক কি!
নির্জনতার একটা শব্দ অবশ্যই আছে, এক অ-ঘোরার সময়ে সুন্দরবন ঘুরতে গিয়ে উপলব্ধি করেছিলাম নির্জনতার শব্দ। আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম।
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেকে এসব বুঝেন দেখছি, এসব লেখা আমার কাছে পানির মতো মনে হয়: বর্ণ, স্বাদ, গন্ধ, কোনটাই নেই।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: ব্যাপার না। আপনি যে সব বিষয় ভালো বোঝেন, অনেকের কাছে সেগুলো হয়তো পানির মত মনে হয়। ভিন্নতা আছে বলেই তো সব কিছু এত সুন্দর লাগে। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ স্যার।
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: এত সুন্দর প্রতিমন্তব্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে গেলাম আপনাকে। বুঝা যাচ্ছে ফলিম্যানকে অনেক এক্সপেরিয়েন্সেড হতে হয়।
আমার খুব পছন্দ হয়েছে উত্তরটা।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: হু, শুধু এক্সপেরিয়েন্সড না, ক্রিয়েটিভও। যে সিনেমাটার কথা বলেছি, তার মুল চরিত্রের অভিনেতার একটা ডায়ালগ আছে- 'কবি যেমন ছন্দ খোঁজে, আমিও শব্দ খুঁজি' এরকম।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:১৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার জন্য ফলি আর্টিস্টের একটা ক্লিপ, এইটা দেখেন
৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: খুব ভাল লাগল- ব্যাস্ততা থাকায় মন্তব্য সংক্ষিপ্ত করলাম।
এক কথায় অভিভুত হলাম
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে স্যার।
৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
অজ্ঞ বালক বলেছেন: কতদিন পর আপনার পোস্ট। দারুণ লিখসেন। আমিও টিএসসিতে গিয়া বইসা আসলাম সেইদিন বহুক্ষণ। দারুণ লাগলো। ক্যাম্পাসটা এরকম দেখার মধ্যেও একটা মজা আছে। ফলিম্যানদের মুন্সিয়ানা আগেও দেখছি। ইউটিউবে ভিডিওর বদৌলতে দুনিয়ার হেন জিনিস নাই এখন দেখার বাকি। পোস্টে পেলাচ।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার উচ্ছসিত মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। নিরব ক্যাম্পাসটা ভালোই লাগছিলো। আপনি সঠিক বলেছেন- যাম্পাসটা এরকম দেখার মধ্যেও একটা মজা আছে।
সম্প্রতি একটা টিভিসি এবং একটা ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে গিয়ে ফলিম্যানের বিষয়ে ডিটেইলে জেনেছি। আপনার পেলাচে একটা এলাচ মিশিয়ে খেলাম, করোনাকালে এলাচ মেশানো গরম চা নাকি খুবই কার্যকরী।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশশ কত্তদিন ক্যাম্পাসে যাই না
আপনার লেখাটা এ মৌসুমে উথাল বাতাসে জারুল সোনালু ঝরার মত অপূর্ব সুন্দর ! অদ্ভুত সুন্দর কিছু পড়ার মাঝে ও বিষণ্ণতা কাজ করে, কাছে না পাবার হাহাকার বাড়িয়ে দেয়।
নিরব ক্যাম্পাসের এ সৌন্দর্যের ও কিন্তু মূল্য দিয়ে হয়, গতকাল জসীমউদ্দিন হল এর শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। লিস্টে সে হলের অনেকেই থাকায় সেই ছেলের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে আসলাম। বিবিধ কারনের মাঝে ক্যাম্পাস থেকে এতদিন দূরে সেটা ও ডিপ্রেশনের একটা কারন ছিল। এখন ভাবি সত্যি ই যদি আমাদের সময়ে এতদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকত কী যে হত !!!
ফলিম্যান শব্দটা আমার কাছে নতুন, ভালো লাগলো জেনে। শব্দের ঘ্রাণ পাশাপশি ঘ্রাণের শব্দ দুইটাই আমাকে ভীষণভাবে আবেশিত করে। মাঝে মাঝে মনে হয় শেষ বয়সে হয়ত আমি ও সেই ফলিম্যানের মত মানুষের শব্দ আর বুঝে উঠতে পারবো না।
এ ধরনের পোষ্ট পড়ার আনন্দ বেশ দীর্ঘ !
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: শামসুন্নাহার হলে পুলিশ প্রবেশ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এরশাদ সরকার আমলের পর প্রথমবারের মত হল ভ্যাকেন্ট হয়ে যায়। বেশ লম্বা সময় হল বন্ধ ছিলো। কিন্তু তখনও বিভিন্নমূখী পুলিশি প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে চিপা চাপা দিয়ে আমরা লাইব্রেরির সামনে এসে পৌঁছুতাম। এখন ভাবি সত্যি ই যদি আমাদের সময়ে এতদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকত কী যে হত !!! পড়ে ভাবছি, তখন হয়তো এই ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতেই আমাদের অবচেতন মন ক্যাম্পাসে ঠেলে নিয়ে যেত...
বাহ ভালো বলেছেন- শব্দের ঘ্রাণ পাশাপশি ঘ্রাণের শব্দ দুইটাই আমাকে ভীষণভাবে আবেশিত করে... তবে সে আবেশে বুঁদ হয়ে শেষ বয়সের পরিণতির আশংকা পূরণ না হোক সে আশা করি। আর শেষ বাক্যর জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ক্যাম্পাসের গেইটগুলো খুলেছে তাহলে! খুব সুন্দর লিখেছেন। একবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতের অতিথি পাখি দেখতে গিয়েছিলাম। সবপাখি যখন একসাথে উড়ে যায়, তাদের ডানায় লেগে থাকা পানি টুপটুপ করে ঝরে পড়ে, এই শব্দটা যে কী অপার্থিব! বলে বোঝানো দায়।
ফলিম্যানের চলচ্চিত্রটা দেখেছি। মানুষের ডেডিকেশন আর পারফেকশন কতটা হতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত।
লেখা ভীষণ ভালো লেগেছে ...
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি বেশ মুভি টুভি দেখেন বোঝা যাচ্ছে। ড্রামা নিয়ে লেখা একটা পোস্টে আপনি সনদসহ মন্তব্য করেছিলেন। এই মুভিটা দেখার আগে পর্যন্ত শব্দের কারুকার্য দেখার কোনো সুযোগই হয়নি। এখন যেকোনো কিছু দেখতে গেলেই এই শব্দের খেলাগুলো খুব চোখে পড়ে।
আমরা প্রতি বিজয়দিবসেই ইউনিভার্সিটির বাসে করে স্মৃতিসৌধে যেতাম, তারপর ওখান থেকে বিভিন্ন বাসে আসা বন্ধুরা একত্রিত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর যেতাম, নিয়মিত রুটিন ছিলো। তবে ওই সময় এত বেশি মানুষ থাকতো যে ওই যে সব পাখি একসাথে ওড়া এবং ডানায় লেগে থাকা পানির বিন্দু ঝরে পড়ার দৃশ্য অবগাহন করার সুযোগ পাওয়া যেতো কম।
যাঁদের লেখা আমি পছন্দ করি, তাঁরা 'লেখা ভীষণ ভালো লেগেছে' বললে আপ্লুত না হয়ে পারা যায় না।
১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ফেলে আসা শব্দরা আজ খোঁজে অবয়ব
চায় রূপ-রং আর গন্ধ
এতকাল পড়ে আমি যে অসহায়
হায় কেন চোখ থাকতে অন্ধ।
+++++++
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাহ, খুব সুন্দর তো, ফেলে আসা শব্দরা আজ খোঁজে অবয়ব
কার কবিতা মাইদুল ভাই?
কবিতার এটাই মজা, আমি যে কথা বলতে ১৫০০ শব্দ ব্যয় করলাম, সেটাই সুন্দর দুই লাইনে বুঝিয়ে দেয়।
১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এইতো আপনার পোস্ট পড়ে নিজেই লিখে ফেললাম।
হুম কবিতা এ কারনেই ভাল লাগে, অল্পতেই সব বুঝিয়ে দে।
আপনি উৎসাহ দিলেন তাই বাকিটাও কম্পিট করার চেষ্টা করবো।
ভাল থাকবেন।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: অবশ্যই বাকিটুকুও লিখে ফেলুন। পাঠকদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার অধিকার আপনার নেই!!!
১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
অন্তরা রহমান বলেছেন: কি অসাধারণ আপনার লেখনী, মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুব ভালো লাগলো পড়ে। সব আবার ঠিক হলে টিএসসিতে যাবো। হাকিম চত্ত্বরে হালিম খাবো। যদিও বহিরাগত।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: কোনো বিষয় না, আমিও এখন বহিরাগত। বের হয়ে গেছি এক যুগ হয়ে যাচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সবাইকেই আপন করে নেয়।
আপনার মুগ্ধতা দেখে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।
১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,
দু'টো চোখ আর কানের নিবিঢ় পর্যবেক্ষনে তুলে আনা শব্দের ঘ্রান মাখানো এক অপূর্ব লেখা।
ইন্দ্রিয়ের নজর তেমন হলেই লেখা যায় - হয়তো পাশের রাবার গাছের একটা হলুদ হয়ে আসা পাতা বাতাসে ভাসতে ভাসতে মাটিতে পড়লো, ‘টুশ’ করে হওয়া তার একটা শব্দ, ডাকসুর কার্নিস থেকে একটা ছোট পাখি ফুরুৎ করে উড়াল দিলো- তার শব্দ, তালগাছটার নিচে অলস বসে থাকা কুকুরটার নখ দিয়ে রাস্তা আঁচড়ানোর ‘খসখস’ শব্দ। দুরে কোথাও কেউ একজন বাইসাইকেলের বেল বাজালো, তার রেশ থেকে যাওয়া ‘টুংংঙ’ শব্দ
এক আলাদা ফলিম্যানের দেখা মিললো এখানে, যিনি অনুভূতির পদ্ম পুকুরে ঢেউ তুলে যেন পদ্মফুলের গন্ধই বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে গেলেন।
অনেক অনেক আগে আমিও কিছু নিঃসঙ্গী বর্ণদের শব্দ হয়ে ওঠার গন্ধ ছুঁতে চেয়েছিলুম এভাবে - নিঃসঙ্গী বর্ণমালা
অপরাহ্নের শুভেচ্ছা।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন: বিবিধ কারণে আমার ছোটবেলাটা কেটেছে বেশ অভালোবাসায়, অবহেলায়। একটা লেখায় লিখেছিলাম। সে কারণে বেশ কম বয়সেই বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করাটা আমার জন্য মন্দের ভালো ছিলো। সে থেকেই বন্ধুদের প্রতি আমার একটা আলাদা পক্ষপাতিত্ব আছে।
ব্লগের বাইরে এই ব্লগের লেখকদের সাথে পরিচয় নেই বললেই চলে, তবুও এই ব্লগেও আমি সে ভালোবাসাটা টের পাই অনেকের মন্তব্যে, লেখায়। আর কিছু বলবো না, ভালো থাকবেন।
১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: বহুদিন পরে দারুন এক পোস্ট নিয়ে প্রত্যাবর্তন করলেন পদ্মপুকুর। প্রানপ্রিয় ক্যম্পাস নিয়ে অসাধারন এক পোস্ট লিখেছেন। ফলিম্যন সম্পর্কেও জানা ছিল না। ভাল লাগলো জেনে। প্রকৃতির শব্দ ও ঘ্রান বরাবরই অসাধারন এক অনুভুতি সৃষ্টি করে আমাদের মাঝে । সমুদ্রের গর্জন আমার কাছে সেরা শব্দ , এরপরই বৃষ্টি ।
ক্যম্পাসে চাইলেই যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই।এই করোনাকালে জুম মিটিং খুব জনপ্রিয়। প্রায়ই জুম মিটিং এ একত্রিত হই ব্যাচের সবাই। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চলে স্মৃতিচারন।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: বছর বারো আগে একবার প্রথম রাতে কক্সবাজার বিচে গিয়ে আমি আর রুপন বসে ছিলাম। সে সময় সন্ধ্যার পর বিচে কেউ থাকতো না এখনকার মত। সেদিন ছিলো চান্নি পশর রাইত। আমরা চাঁদের আলোয় দেখছি প্রতিটা ঢেউয়ের মাথায় চড়ে লক্ষ লক্ষ মুক্তোর বিন্দু তীরের দিকে আসছে একটার পর একটা, সাথে সেই গর্জন.... অপার্থিব এক অনুভূতি।
আবার নির্জনতার শব্দও শুনেছিলাম সুন্দবনে গিয়ে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ করোনাকালে আমাকে মনে রাখার জন্য।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
ঘরহীন বলেছেন: দারুণ পোস্ট। বেশ কাব্যিক বর্ণনা। ফলিম্যানদের নিয়ে একটা সিনেমা আছে, কলকাতার। খুব সম্ভবত - শব্দ! দেখেছেন?
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও দারুণ ধন্যবাদ! দেখেছিলাম একটা, কিন্তু নাম মনে নেই।
১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মা.হাসান বলেছেন: আপনার বর্ননা করা শব্দের ঘ্রান-বর্ণ সব আলতো করে একটা ধাক্কা দিয়ে গেলো।
ছাত্র অবস্থায় নাট্যতত্ত্ব ডিপার্টমেন্টের একটা ল্যাব বা প্রোজেক্ট ক্লাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। কবর নাটক নিয়ে কাজ চলছিলো। নাটকে ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ রিপ্লিকেট করছিলো। সে সময় ফলিম্যান সম্পর্কে কিছু ধারনা পেয়েছিলাম , এখন আরো ভালো করে জানা হলো।
সূক্ষ্ম শব্দগুলো শুনতে গেলে ভালো হেডফোন দরকা। স্থূল জগতে থাকি, মন দিয়ে কিছু করার সুযোগ হয়ে ওঠে না।
আপনার ব্যস্ততা কমে আসুক এই কামনা রইলো।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ, তবে ব্যস্ততা কমবে না বলেই মনে হয়। সে যা পারে হোক গিয়ে, লেখাতে ফিরতে পারলেই আমি খুশি।
মানুষের এক জীবনে কত বিচিত্র ধরণের কাজ যে করতে হয় তার কোনো ইয়াত্তা নেই, নিজের অভিজ্ঞতার গণ্ডীতে না আসলে তা জানাও যায় না। বছরখানেক আগে একদিন অফিস ফিরতি পথে বাসার পাশেই একটু আড্ডা দিচ্ছি, রাস্তায় লোকজন কমে যাচ্ছে, সারাদিনের সওদা শেষে সবাই নীড়ের দিকে ফিরছে। হঠাৎ দেখি ইদুর তেলাপোকার মারার ওষুধ বিক্রি করা এক পৌঢ় ওই চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়ালেন চা খাবার জন্য। লোকটার কাঁধে ঝোলানো মেগাফোনে অনুচ্চ স্বরে রেকর্ড বেঁজে যাচ্ছে- ইদুর মরে, তেলাপোকা মরে... । আমি মনোযোগ দিয়ে তাকালাম, মানুষটার মুখায়ববে অবসন্নতা, সারা শরীরে ক্লান্তি এতটাই যে মেগাফোনটা বন্ধ করার প্রয়োজনটাও অকেজো হয়ে গেছে।
সারাদিন এভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে কয়জনের কাছে ওই ওষুধ বিক্রি করতে পারেন কে জানে! তবুও প্রতি সকালেই তিনি নিশ্চয় নতুন উদ্যোমে আবার বেরিয়ে পড়েন তার এই বিচিত্র পেশা নিয়ে।
এরকম অসংখ্য পেশাজীবি আমাদের আশেপাশেই আছে, আমরা দেখি না, দেখতে চাইও না। ফলিম্যানের ওই মুভিতে তার এই আক্ষেপটাও ছিলো প্রবল।
যাই হোক, ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।
১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর। ফলিম্যানরা স্টুডিওতে প্রকৃতি ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের এই শব্দগুলো তৈরি করে কিভাবে? এটা নিয়ে আমি মাঝে মাঝে ভাবি যখন সিনেমা বা নাটক দেখি। এরা কি প্রাকৃতিক আওয়াজ ব্যবহার করে না কি প্রযুক্তির সাহায্য নেয়?
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০১
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ স্যার। স্টুডিওতে এই শব্দ সৃষ্টি করতে প্রযুক্তি নয় বরং বিচিত্র সব ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করে থাকে। দ্বিতীয় মন্তব্যে একটা উদাহরণ বলেছি। এদের কাজ অত্যন্ত বিচিত্র, না দেখলে বোঝা মুশকিল। যেমন ধরুন- বোতলের ছিপি খোলার শব্দ তৈরীতে মুখের ভেতরে আঙুল দিয়ে কিভাবে যেন আঙুল টান দেয়, তখন ছিপি খোলার শব্দ হয়, আবার মনে করুন একজন মানুষ বনের ভেতরে শুকনো পাতার উপর দিয়ে মচমচ করে হেটে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে মাইক্রোফোনের সামনে কিছু শুকনো পাতা রেখে পা দিয়ে হাটার মত ভঙ্গি করে শব্দটা তৈরী করা হয়... আরও বিচিত্র বিচিত্র উপায় তাদের কাছে থাকে।
২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার জন্য ছোট একটি ভিডিও ক্লিপ। আশা করি ভালো লাগবে।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভয়াবহ। ছোটবেলায় সাপ ও জোঁকের কিছু স্মৃতির কারণে আমি সরিসৃপ জাতীয় প্রাণী দেখতে পারি না। ইরিটেশন হয়, আর আপনি কিনা ড্রাকুলার ক্লিপ পাঠালেন। এটা দেখা আমার জন্য সম্ভব না, কেন দিয়েছেন এটা, এখানে কি ফলিম্যানের কিছু আছে?
২১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সহকর্মী করোনা আক্রান্ত সেটা আমি জানি। সেই ভাই ভালো মানুষ। সমাজে অসহায় মানুষদের জন্য ভালো কিছু করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আল্লাহ তাকে সুস্থ করুক সেটা আমি মনে প্রানে চাই।
আপনি ভালো থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই
২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
ভাবনার পদ্মপুকুরে ডুবিয়ে দিলেন অজানিতেই
হৃদ সিকম্তি হৃদয়ের হৃদয় ভাঙার শব্দ
নিরব যাতনার চোখ বেয়ে বয়ে যাওয়া জল
নিজের নিশ্বাসের শব্দে নিজেই চমকে ওঠা
পুকুরে কান ডুব দিয়ে জলের বুকে বৃস্টির শব্দ
যেন ভেতরের সুপ্ত ফলিম্যান টাকে আঙুল তুলে চিনিয়ে দিলেন
অনেক অনেক ভাললাগা আর মুগ্ধ পাঠ।
আহমেদ জিএস ভায়ার মন্তব্য মন ছুঁয়ে গেল।
+++
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: শুভ সকাল স্যার। সকালের মন চাঙ্গা করা চায়ের সাথে আপনার এই মন্তব্য, অসাধারণ জুটি আজ আমার জন্য। ধন্যবাদ। ধারে কাছে থাকলে এক কাপ চা অফার করতাম।
আহমেদ জিএস ভাইজানের একটা পোস্টে ব্লগার কাল্পনিক ভালবাসা মন্তব্য করেছেন অসাধারন! আপনার ব্লগে আসা মানেই মুগ্ধ হওয়ার সমার্থক হয়ে যাচ্ছে। ভালো থাকবেন এবং অনেক শুভ কামনা রইল। কথাটা যে কতটা সত্যি, তা উনার মন্তব্যগুলো দেখলেও বুঝতে পারা যায়।
২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ট্যাকটাইল ইমেজারি, বা স্পর্শদৃশ্যকল্পে পরিপূর্ণ একটি লেখা, সাথে অতীত রোমন্থনের বিউগল। পড়াশোনা শেষে চাকরিতে ঢোকার পর প্রথম দু - তিন বছর প্রায়ই অফিস আওয়ার শেষ হলে বেলাবেলি টিএসসি গিয়ে মাঠে টানটান হয়ে শুয়ে থাকতাম, একা। উপরে আকাশ, ভেসে যাওয়া থোকা থোকা মেঘ, শামসুন্নাহার হলের চিলদের উড়ে বেড়ানো, কানে হেডফোনে কোল্ড প্লে'র 'ফ্লাই অন' গানটি। এভাবে, মোটামুটি বছর তিনেক কাটার পর মনে হল - দশ বছরের পুরাতন ক্যাম্পাসের স্মৃতিকে এভাবে আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করাটা আমার জীবনকে কী একটা লুপের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে? অনবরত ঘুরপাক খেয়ে চলেছি একই চক্রে?
আপনার কখনো এমনটা মনে হয় ক্যাম্পাসে গেলে?
ফলিম্যানের জীবন নিয়ে একটা সিনেমা দেখেছিলাম, ঋত্বিক চক্রবর্তী অভিনীত, কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায়, "শব্দ" নামে।
ভালো আছেন আশা করি। : )
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি ভালো আছি এবং অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুবই আনন্দবোধ হচ্ছে। আমার আশংকাকে সত্যে পরিণত করে সব পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন। তারপরও যখন মন্তব্যে আসছেন, বুঝতে পারছি সামুর ভালোবাসা পুরোপুরি মুছতে পারেননি। আমার কথা যদি মানেন তো বলবো- এই ভালোবাসা কখনওই মুছবে না, সুতরাং ছোটখাটো খটোমটো বিষয়গুলো ইগনোর করে এখানে থেকে যান, লেখা দিন আগের মতই। পাঠকদের একটা অধিকার আছে, আপনি সেটা অগ্রাহ্য করতে পারেন না।
মোটামুটি বছর তিনেক কাটার পর মনে হল - দশ বছরের পুরাতন ক্যাম্পাসের স্মৃতিকে এভাবে আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করাটা আমার জীবনকে কী একটা লুপের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে? অনবরত ঘুরপাক খেয়ে চলেছি একই চক্রে? আপনার কখনো এমনটা মনে হয় ক্যাম্পাসে গেলে?
আমার সবসময় এটা মনে হয়। পার্থক্য হলো এই- আপনি হয়তো সে চক্র থেকে বের হয়ে যেতে পারেন আর আমি অনন্ত নক্ষত্রবীথির এই চক্রে লটকে থেকেই আনন্দ পাই। চিঠির যুগে একজন আমাকে লিখেছিলো- কারও কারও কাছে আজীবন ঋণী থাকতেই হয় এবং সে ঋণ শোধ না দেয়াতেই আনন্দ.... এ যায়গায় আমার ব্যাপারটা ওরকমই। এ কারণে আপনার অনুভূতির মত অনুভুতি নিয়েও আমি সুমনের গানের হাত ধরে বারে বারে ক্যাম্পাসে ফিরে ফিরে আসি। যখন মন ভালো থাকে, তখন আসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে আর যখন মন খারাপ থাকে তখন আসি সে দীর্ঘশ্বাসগুলো ফিরিয়ে নিয়ে নীল আকাশে উড়তে...
অনেক আগে লেখা আমার এই এই লেখাটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন...
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার। ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
২৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন অনুভূতি
ফলিম্যান সম্পর্কে আজই জানলাম
ধন্যবাদ আপনাকে
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও বিশেষ ধন্যবাদ। যখনই আমি হাইবারনেশনে যাই, আপনিই প্রথম আমার খোঁজ করেন। আমি কৃতজ্ঞ।
২৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
শায়মা বলেছেন: ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮০
লেখক বলেছেন: আমার এই লেখাটার কথা কি আপনার মনে পড়ে? দ্বিতীয় দফায় ব্লগে নিয়মিত হওয়ার বাসনায় যখন এদিক ওদিক ঘুরছি কিন্তু বিশেষ পাত্তা করতে না পেরে লেখা চালিয়ে যাবো কি না, সেই দোলাচলে, তখন এই লেখাটায় আ............
হা হা হা না ভাইয়া মনে ছিলোনা। কিন্তু তুমি এমন করে আমার কথা মনে রেখেছো দেখে অবাক হলাম!! আমি তো ভেবেছিলাম শুধু লেডি রয়েল বেঙ্গল টাইগার কমেন্টগুলোওয়ালা পোস্টটাকেই মনে রাখছো তুমি!!!!!!!!! হা হা হা তবে হ্যাঁ আই গেট ফান এভরিহ্যোয়ার........ সে হাসি তামাশাই বলো আর কুংফু কেরাটেই বলো।
জীবনে আনন্দ সবখানেই আসলে.......
আজ সকাল থেকে হীরক রাজার দেশের গানগুলির মাঝে আছি .....
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: না, না, ওই পোস্টের মন্তব্যগুলোও মনে থাকে। কৃতজ্ঞতাবোধ বলে একটা বিষয় আছে না...
২৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫০
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ভালোবাসা - মন্দবাসা, আমার ক্ষেত্রে কোনটিই এই যান্ত্রিক সিস্টেমটিকে ঘিরে নয়। ব্লগে আমার সুদিনে বা দুর্দিনে কখনো আমি ব্লগের মালিকপক্ষের মধ্যস্ততা/ হস্তক্ষেপ চাইনি।ফিরে আসি পছন্দের কিছু মানুষের টানে। আমার ব্লগিং এর অ্যাপ্রোচে খানিকটা গলত ছিল, সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি। সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলবো হয়তো আবার একদিন।
স্মৃতিকাতরতাকে অবলম্বন করে বাঁচার জন্যে মানবজীবনের দৈর্ঘ্য অনেক সংক্ষিপ্ত নয় কী?
আপনার লেখাটি আপনি শেয়ার করার আগেই পড়েছি। সুখপাঠ্য, স্মৃতির গোড়ায় অনুরণন তৈরি করে।
ভালো থাকবেন ভাই।
২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনারা, যাদের ব্লগের বাইরের লেখার জগতে পদচারণা সাবলীল, তাদের জন্য এই অ্যামেচার ব্লগিং করাটা অনেকটাই বাহুল্য জানি; তবুও ভালো লেখকরা থাকলে অন্যদের সুবিধা হয়। তাই বলে অ্যাপ্রোচ বদলানোর কোনো কারণ দেখি না, অ্যাপ্রোচটাতো নিজস্ব কাস্টমেরই অংশ। ওই কাস্টমকে সাথে নিয়েই নিশ্চয় পাঠক আপনাকে গ্রহণ করেছে।
আর মানবজীবন তো সংক্ষিপ্তই, কি আর করা যাবে, কেউ কেউ অনেক কিছু করবে আর কেউ স্মৃতিকাতরতার ভরং ধরে জীবনটা আলস্যে আলস্যে কাটিয়ে দেবে....
যেভাবেই থাকুন, ভালো থাকুন।
২৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সম্প্রতি একটা টিভিসি এবং একটা ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে গিয়ে ফলিম্যানের বিষয়ে ডিটেইলে জেনেছি। আপনি কি কোন বিজ্ঞাপনী সংস্থায় আছেন? টিভিসি নির্মাণ থেকে মনে হলো। কিসে আছেন জানতে ইচ্ছে হলো; অবশ্য বলতে অসুবিধা থাকলে বলার দরকার নাই।
২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: অবশ্যই বলা যাবে স্যার। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কালেই একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ শুরু করেছিলাম এবং দ্বিতীয়বর্ষ থেকে শুরু করে মাস্টার্স শেষ করার পরও কিছু বছর ওখানে ছিলাম। তারপর প্রতিষ্ঠান বদলে এখন একটা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টে আছি।
২৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
ঢুকিচেপা বলেছেন: লেখাটা প্রথম পোস্ট করার পরেই পড়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু মনোযোগের কারণে অনুভূতিগুলো স্পর্শ করতে পারছিলাম না, তাই পড়া বন্ধ করতে হয়েছে। আমি বুঝতে পারছিলাম এই অনুভূতি বুঝতে গেলে একটু নিরবতা এবং মনোসংযোগ দরকার। অবশেষে প্রস্তুতি নিয়ে পড়া হলো।
একটু নষ্টালজিয়া, কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং কিছু বর্ণনায় মনে হলো একটা সর্টফিল্ম দেখে গেলাম।
চমৎকার লাগলো লেখাটা।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: একবার আমার মত অন্তর্মূখী এক লোক হোজ্জাকে ধরলো- হোজ্জা, আমার এই ঘোড়াটা একটু বাজারে বিক্রি করে দাও, তুমিতো সুন্দর করে কথা বলতে পারো। লাভের ১০ শতাংশ তোমাকে দেয়া হবে। হোজ্জাও রাজী।
এরপর বাজারে নিয়ে হোজ্জা ঘোড়ার গুণগান করা শুরু করলো- এই ঘোড়া হলো এমন একটা আরবীয় ঘোড়া, যার বাবা, দাদা, পরদাদার পিঠে চড়েছে সুলতান সুলেমান এবং তার বংশধরেরা। আর এই ঘোড়ার মায়ের কুল এক সম্ভ্রান্ত আরবীয় ঘোড়ার দিক থেকে এসেছে, যে ঘোড়াগুলো বহু যুদ্ধে বিজয়ী ইত্যাদি ইত্যাদি...
নিজের ঘোড়ার এত গুণ শুনে ঘোড়ার মালিক বলে উঠলো- হোজ্জা, এই ঘোড়া আমি বিক্রি করবো না, এ যে এত দামী ঘোড়া তা আমি নিজেই তো জানতাম না!
এখানে আমার খানিকটা ওই দশা!!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে লেখাকে আত্মীকরণ করার জন্য।
২৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
শেখ কামাল হোসেন মুকুল বলেছেন: তোমার কলমে যাদু আছে। বই লিখে ফেল। সবাই খুশি হবে।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: মুকুল, যাদু তো এখন আর কলমে থাকে না, থাকে কি-বোর্ডে। কলম থেকে যাদু চলে যাওয়ার সাথে সাথে মাথা থেকেও অনেক কিছুই চলে যায়। আজ সকালে একজন আমাকে তিনটা বানান জিজ্ঞাসা করলো, আল্লাহর রহমতে তিনটায় ভুল হয়েছে। অথচ কি-বোর্ডে অহরহই এই শব্দগুলো লিখি এবং অটো কারেকশনের দৌলতে কখনওই ভুল হয় না... এখন বোঝ যাদুটা আসলে কোথায়..
আরেকটা কথা, টিভি টক শো, সেমিনার আর অতিথি ক্লাসে যেভাবে তুমি কথা বলো, সেটা যদি একটু সময় দিয়ে এখানে লিখতে, তাহলে blogবাসী মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারতো। প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
৩০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: এই লকডাউনের মধ্যে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে বসে আমি ভাবছিলাম- এটা কোথায় আসলাম! এত নির্জনতা, চুপচাপ কান পাতলে শোনা যায় - 'The Sound of Silence'. চারদিক বিছানো নৈঃশব্দের জমিনে ফুটে থাকা শব্দফুলের ঘ্রাণ! কী চমৎকার করেই না লিখেছেন!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: কোন একটা লেখায় দেখলাম সাজিদ আবির আপনাকে পরিচিতজনের মত সম্বোধন করেছে, আর এখানে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কথা লিখেছেন, বুঝতে পারছি আপনি আমাদেরই ক্যাম্পাসের....
মজার ব্যাপার হলো- ওইদিন আমি সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনেও গিয়েছিলাম। এবং যখন লেখাটার কথা মাথায় আসলো, তখন আপনি যে মন্তব্য লিখেছেন, অ্যাকজাক্টলি সে কথাগুলোই (এটা কোথায় আসলাম! এত নির্জনতা, চুপচাপ কান পাতলে শোনা যায় - 'The Sound of Silence) মাথার ভেতর ঘুরঘুর করছিলো...
সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ স্যার।
৩১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: জি ভাই, 'আমি তোমাদেরই লোক'! একইসব রাস্তা, মোড়, গাছ, মাঠ মাড়িয়ে আমরা আমাদের তারুণ্য আর যৌবনের পাঠ আদানপ্রদান করেছি!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাহ বাহ, কেয়া বাৎ কেয়া বাৎ
৩২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩১
সাগর শরীফ বলেছেন: অসাধারণ!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।
৩৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০
সাগর শরীফ বলেছেন: স্যার বলে এই পিচ্চিটাকে লজ্জা দিলেন মহাশয়?!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৯
শায়মা বলেছেন: বাহ! কি দারুণ লেখার বিষয়টা!
মানুষ আমাকে বলে নাম্বার ওয়ান নিজেকে নিয়ে বিজি থাকা মানুষ!
নিজেকে ছাড়া কিছুই বুঝিনা।
আমারও মনে হয় হয়তো তাই। কিন্তু আমিও এই সব শব্দ শুনতে পাই। হাজার শব্দের মাঝে থেকেও মানব সৃষ্ট শব্দ ছাড়াও গাড়ির হর্নের পাশে পড়ে থাকা বা লেগে থাকা রেশটাকে। বা রাত দুপরে বাতাসে ভেসে থাকা নিশব্দ প্রায় শুনশান নীরবতাকে। রাতের পাখিদের ডানা ঝাপটানি বা বাতাসের শনশন তো আছেই........
তবে ব্যস্ত মুখর শহরগুলোতে এই নীরবতার প্রকৃতির শব্দগুলো হারিয়ে যেতে যেতেও ফিরে এলো সেটাও কি কম পাওয়া!!!