নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের হাওয়া গায়ে মেখে ভাসতে ভাসতে যখন এই অব্দি এসে পড়েছি, তখন কখনও কখনও পেছনে ফিরতে ইচ্ছে হয় বৈকি। কদাচিৎ ফিরে তাকালে স্মৃতির পাতাগুলো বেশ উঞ্চ এক ওম ছড়িয়ে দেয় শরীরময়। শীতের সকালের প্রথম রোদ্দুরে কুয়াশাভেজা দোয়েল যেভাবে গা ঝাঁড়া দিয়ে নতুন দিন শুরু করে, ইচ্ছে হয় ওরকম একটা গা ঝাঁড়া দিয়ে আবার শুরু করি আমিও।
সেই যে এক মায়াবী শহর ছিলো, যেখানে ঝাঁকড়া সব গাছের সারি পিচের রাস্তায় শরৎ-বোশেখে নিবিড় ছায়ার ছবি আঁকতো; ঝিরিঝিরি বাতাসে মাদল বাজাতো; সে নিরিবিলি নাটোরই কি আমার শুরু?
না। মা বলতেন, শুরুটা মুলঘর। এটা খুলনার দিকে একটা শহর। আমার অবশ্যি মনে পড়ে না কিছুই। বাবা-মা দুজনেই চাকুরিজীবনে ছিলেন পরিযায়ী; আমিও ঘুরেছি তাঁদের সাথে সাথে।
তারপর কত শহর-বন্দর পেরিয়ে, কত যান-শকটে চড়ে, কত মানব সন্তানের ভালোবাসা নিয়ে তবেই না এই আমি আজকের আমি হলাম! পেছনে ফিরলে সে ভালোবাসা আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরতে চায়...।
একদিন শহরের উঞ্চতম দিনে পিচগলা রোদ্দুর ভেঙে পথে হাটছিলাম, হাতিরঝিলের দ্বিতীয় ওভারপাসের ওখানে আসতেই এক শিমুলরাঙা হাওয়া আমাকে ডাক দিলো। সে এক স্মৃতির হাওয়া। রাজধানীর সিসা গলানো শুন্যতা পেরিয়ে যেখানে নীল আকাশ পর্যন্ত চোখ যায় না, সেখানে সে বাতাসে আমি ভেসে গেলাম তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে অন্য এক শুন্যতায়। এক এক করে পাতা উল্টিয়ে আমাকে ইতিহাস ভ্রমণে নিয়ে গেলো যেনো!
সেখানেই এক গলিমুখে হঠাৎ দেখি আবু সাঈদ দাঁড়িয়ে। আরে! এখানে তুই? মনে আছে, ঝিকরগাছার নবারুণ লাইব্রেরির মিহির ভাইকে পটিয়ে পাটিয়ে হুমায়ূনের বই ধারে আনতাম পড়ার জন্য.... অথবা আসাদ স্যারের বায়োলজি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিএম স্কুলের মাঠে ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ার হওয়ার কথা... অথবা পোস্ট অফিস থেকে নতুন বিদেশি ডাকটিকেট দেখার সেই উত্তেজনা...?
আমার কিন্তু বেশ মনে পড়ে।
ইদানিং নটা-পাঁচটা উদয়াস্ত ব্যস্ততার মধ্যে এরকম ঘটেনা সহসা। নিজের অকার্যকর সময়গুলোতে তাই কল্পনার রঙে পাখা মেলে খুঁজতে হয় বন্ধুদের। তখন নিজের সাথেই কথা বলি দ্বৈতসত্তা হয়ে। এর মধ্যেই হয়তো কোনো এক সুনসান তপ্ত দুপুরে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের গল্পগুলো ভাঙতে ভাঙতে মুকুল এসে উপস্থিত হয় আমার আপিসে; ডেস্কে বসে সে আনন্দ উপভোগ করা যায় না পুরোপুরি। অগত্যা নিচে নামি। আমি খানিকটা আকুল হয়ে মুকুলকে দেখি, এই সেই মুকুল, ক্যাম্পাসের যাবতীয় অস্থিরতার দিনগুলোতে যে মুকুল আমাকে সঙ্গ দিয়েছিলো...। মোহসীন হলে মুকুল আমার বন্ধু কাম গার্জিয়ান ছিলো খানিকটা। পনেরো বছর আগের ক্যাম্পাসকে খোঁজার চেষ্টাটা ব্যর্থ হয় না সহসা...।
তারপর কিছু এলোমেলো কথা উড়ে যায় মুকুলের চিকন সাদা অপরিচিত সিগ্রেট শলাকা থেকে বের হওয়া ধোঁয়ার সাথে। মুকুল ইদানিং ব্র্যান্ড বদলেছে। সেকেন্ড ইয়ারে থাকতে আমি একবার এক প্যাকেট সিগারেট কিনে মুকুলকে দিয়েছিলাম। আর সেটার গায়ে সুন্দর করে লেখা ছিলো- ‘আমার বিশ্বাস এটাই মুকুলের জীবনের শেষ প্যাকেট!’
পরে অবাক হয়ে দেখলাম- মুকুল ওই প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট খায় সারাদিন, আর দোকান থেকে কিনে খায় আরও দশটা, জীবনের শেষ প্যাকেট আর শেষ হয় না!!
সে সব জারুল ফোটা দিন কবেই সেপিয়া কালারে কনভার্ট হয়ে গেছে, মুকুল এখন বড় প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। কিন্তু এই আগুনঢালা আলসে দুপুরে মুকুলের সিগ্রেটের ধোঁয়ায় সে দৃশ্যগুলোতে কিছুটা রং লাগতে থাকে... শুধু এখানে রিন্টুটা থাকলেই জমে যেতো।
আহা, রিন্টু! দুই বাচ্চার বাবা আর ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্তা রিন্টু এখনও আগের মতই আসর মাতানো, সেই ঢ্যাঙা চ্যাসিসে আগের মতই ঘুরান্টি, চঞ্চল, উচ্ছল। রিন্টুটা আর বড় হলো না! আগে আমরা দল বেঁধে ঘুরতাম, এখন আমাদের বাদ দিয়ে যুঁথি আর বাচ্চাদের নিয়ে দেশময় ঘুরে বেড়াচ্ছে...। রিন্টু, তুই কি ভুলে গেলি- ছেঁড়াদ্বীপের ওয়াচ টাওয়ারে উঠে আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের বর্ধিত সীমানা নির্ধারণ করে এসেছিলাম...?
সে সীমানা পর্যন্ত বেড়েছে কি প্রবালদ্বীপ? জানিনা। তবে আমার বন্ধুদের সীমানা সংকুচিত হয়েছে নিশ্চিতভাবেই। ইদানিং হাওয়ায় ভাসিয়ে মুঠোফোনে ডাক পাঠালেই কথা বলা যায় সবার সাথে। কিন্তু সে কথা কখনওই মেলে না ‘পাশাপাশি বসিবার’ কিছু গ্রে-স্কেল মোডের ছবির সাথে।
অগত্যা হঠাৎ রাস্তায়, অফিস অঞ্চলে যখন ইসহাক, আরিফ, আসাদ, বিপ্লব বা রোমেলের সাথে দেখা হয়ে যায়, তখন তরল গলায় গেয়ে উঠি- বন্ধু, কি খবর বল, কতদিন দেখা হয়নি....
ছবিসূত্র: নিজস্ব
১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: সেটাই সত্যি, অনেক দুরে থাকলেও বন্ধুরা মনের স্মৃতিতে থেকে যায়।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৬
শায়মা বলেছেন: বাপরে!!
তুমিও তো কম কাব্যিক না ভাইয়া!!!
দাঁড়াও ছবির মধ্যে খুঁজে বের করি তুমি কোনটা?
নিশ্চয় মাঝের ক্যাপ পর পাঁজির পাঝাড়া দেখতে ঐ কালোমতন লোকটাই তুমি......
১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: হয়নি, আপনি গোল্লা পেয়েছেন
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩২
শায়মা বলেছেন: হায় হায় অন্যগুলো তো সব সাদাসিদে ভালোমানুষ চেহারার সব লোকজন!
তুমি কেমনে হও!!!!
ওকে ট্রাইং এগেইন.....
তাহলে ঐ যে একদম এক পাশে সাদা ধপধপে, কাঁধে গেঞ্জি ফেলা বোকা বোকা চেহারার ভাইয়াটাই তুমি......
১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: এইবারও হয়নি। যার কথা বলেছেন সে হলো আমার এই এই বন্ধুটি।
আপ্নার জন্য একটা কৈতোক-
এক ভদ্রলোক চোখের ডাক্তারের কাছে গেছে। যথারীতি ডাক্তার তার ভিশন টেস্ট নেয়ার জন্য চোখে লেন্স পরিয়ে সামনের A B C D লেখা চার্টের সবচে ছোট ফন্ট দেখিয়ে বললো- : পড়তে পারছেন? লোকটি বললো- না। এবার আরেকটু বড় ফন্ট দেখিয়ে ডাক্তার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলো এবং লোকটিও একই উত্তর দিলো। এভাবে একে একে ছোট থেকে সবচে বড় ফন্টে যাওয়ার পড়ও লোকটি যখন পড়তে পারলো না, তখন ডাক্তার প্রায় নিশ্চিত যে লোকটির চোখ পুরোটাই গেছে।
তখন রোগীর সাথে আসা অ্যাটেনডেন্ট বললো, ডাক্তার সাহেব, ওকে যাই দেখান, ও পড়তে পারবে না, ওতো পড়ালেখাই জানে না...
আপ্নেও যতই চেষ্টা করেন, আমারে পাইবেন না, ওই ছবি তুলছিই তো আমি!!
আমি বিলক্ষণ জানি যে আপনার ধৈর্য্য রবার্ট ব্রুসের চেয়ে বেশি, তাই আগেই থামায়া দিলাম, নাইলে দরকার পর্লে আপনি ফটোশপ দিয়ে ওই চারজনের পাশে আরও কয়েকজনের ছবি বসিয়ে চেষ্টা করতেই থাকবেন.....
তবে আপনের চেষ্টার জন্য ধন্যবাদ, এই লন আপনার পুরস্কার-
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০২
শায়মা বলেছেন:
আপ্নেও যতই চেষ্টা করেন, আমারে পাইবেন না, ওই ছবি তুলছিই তো আমি!!
আমি বিলক্ষণ জানি যে আপনার ধৈর্য্য রবার্ট ব্রুসের চেয়ে বেশি, তাই আগেই থামায়া দিলাম, নাইলে দরকার পর্লে আপনি ফটোশপ দিয়ে ওই চারজনের পাশে আরও কয়েকজনের ছবি বসিয়ে চেষ্টা করতেই থাকবেন.....
তবে আপনের চেষ্টার জন্য ধন্যবাদ, এই লন আপনার পুরস্কার-
হা হা হা হা ভাইয়া!!!!!!!!!!! হাসতে হাসতে মরে গেছি...... ফটোশপ কেনো? তুমি আমার ধৈর্য্য দেখেছো কিন্তু আরও কিছু জানোনি......
আমি এইবার দেখতে পাচ্ছি ছবি তুলছে যে সে ঢ্যাঙ্গা মতন, লিকলিকে মতন, পাঁজি মতন ......... .......... .........
ইহা হইলো আমার দিব্য চোখ ..... মানে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ে দেখলাম তুমি ঠিক কেমন দেখতে ছিলে .......
সাতটা লোলিপপের তিনটা খাওয়া কেনো???
ইয়াক থু !! খেয়ে মেয়ে এটো করে খেতে দিয়েছো!!!!!!!! সাধে কি বলেছি ......
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০২
পদ্মপুকুর বলেছেন: হু, আপ্নের সিক্সথ সেন্স দেখা যাচ্ছে ভালোই স্ট্রং! আপ্নের কাছ থেকে দুরে থাকতে হবে...
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
পদ্ম, বন্ধুদের নিয়ে স্মৃতিচারণ সেরকম হয়েছে । জীবনে ভালো থাকা, ভালোলাগার অনেক অংশ জুড়েই থাকে বন্ধুরা । স্পেশালি আমি বা আমার মতো যারা পরিবার থেকে দূরে আছি, আমাদের কাছে বন্ধু মিন্স আ লট টু আস । আর দুরের বন্ধুদেরকে ভীষণ মিস করি । বিশেষ করে যারা ফরেভার চলে গেছে না ফেরার ঠিকানায় । সুমনের এই গানটা আমারও ভীষণ প্রিয় ।
‘বন্ধু কি খবর বল, কতদিন দেখা হয়নি’
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার কাছে একটু একটু মনে হয় যে ইংরেজি ফ্রেন্ড শব্দের সঠিক অর্থ 'বন্ধু' নয়। বন্ধু বোঝাতে অন্য শব্দ দরকার ছিলো। যে কাউকে বলা যায়- এ আমার ফ্রেন্ড, ও আমার ফ্রেন্ড। কিন্তু যখন বলা হয়, ও আমার বন্ধু, তখন তার অর্থ ব্যাপক হয়ে দাঁড়ায়...।
আমি আমার বন্ধুদের খুবই মিস করি, বিশেষ করে ক্যাম্পাসের বন্ধুদের। মজার ব্যাপার হলো- মোটামুটি সব বন্ধুর সাথেই আমার যোগাযোগ আছে এবং যে কেউ প্রয়োজন হলে আমার কাছ থেকে জানতে চায়- ওর খবর কি, তার খবর কি...
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: শত ব্যস্ততার মাঝে মাসে একদুই দিন বন্ধুদের সাথে দেখা করবেন দল বেঁধে। এটার দরকার আছে। তবে দুষ্ট বন্ধুদের এড়িয়ে যাবেন।
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: বুঝছি, আপনি আমাকে দুষ্টু বন্ধুর লিস্টে ফেলেছেন, এই জন্য এত করে বলার পরও আসলেন না.... এই ছিলো তোমার কপালে আমার পা, ফুলিয়া গিয়াছে উঠানটা....
রাজীব ভাই, আমিও চাই সবার সাথে দেখা করতে নির্দিষ্ট সময় পরপর, কিন্তু হয় কই? ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর...
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যে গানটার কলি লিখেছিলাম ওটা কাদের গান বলেন তো?
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: জানিনা তো! আমি শুনিনি এই গান। ইদানিং গানটান খুব কম শোনা হয়।
৮| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাংলায় একটা কথা আছে বন্ধু আমার।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৯| ১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচুর দেয়া গানটা উইনিং এর, অসাধারণ একটা গান । গতকালও এটা আমি ঢুকিকে শেয়ার করেছি ।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: সাচু? বাহ নামটা সুন্দর হয়েছে তো... সাচুর উচিৎ আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া।
১০| ১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা Winnings এর একটা বিখ্যাত গান।
স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যায়
ছোট বেলার হাসি ভরা দিনে
মনে পড়ে যায়
মন হারায়
হারানো দিনের স্মৃতির পটে
খেলার সাথীরা অনেক দূরে
চোখ থেকে নয় মন প্রীতি থেকে
মনে পড়ে যায়
স্মৃতির পটে
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: নস্টালজিক। সব কিছুই মনে পরে যায় স্মৃতির পটে। শুনবো সময় করে।
১১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিররডল - আপনি গানের ব্যাপারে ওস্তাদ বোঝা যাচ্ছে। পদ্ম পুকুরকে বলেছিলাম সে প্রথমে বুঝে নাই। দুজনকেই ধন্যবাদ।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: এই ব্লগে গানের প্রচুর ওস্তাদ লোক আছে... সোনাবীজ তো ওস্তাদেরও ওস্তাদ। আমার গানের দৌড় ওই নব্বুই দশকে থেকে গেছে...
১২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমি আপনাকে ঠিকই চিনেছি। সমুদ্রের দিকে চেয়ে আছেন।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আর বাদ থাকলো একজন!
কেউ একজন লাল টি-শার্ট পরা ফর্সা মোমেনকেও আমি বলে চালিয়ে দিলেই কোটা পূর্ণ হয় আর কি
১৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা শেষ হলে আমি আসবো আপনার কাছে। মানে 'দাওয়াত'। এক নম্বরেই ফখরুদ্দিন আছে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: ওকে ডান। ব্লগার চাঁদগাজী আপনাকে ট্রেনে হাসের গোশতের সাথে চালের গুড়ার রুটি খাইয়েছেন, আমার ফখরুদ্দিনই সই!
১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,
রিম সাবরিনার শুরু করা নভোনীল এর ২য় পর্বে আপনি লিখেছিলেন, গল্প নাকি লিখতে জানেন না। কিন্তু এ যে গল্পই নয়, এক জীবনের উপন্যাস লিখে ফেললেন! +++++++
আসলে সব মানুষের ভেতরেই একটি কিশোর বাস করে। জীবনপথের কোনও বাঁকে কখনও কখনও নষ্টালজিক হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে শুধু ! তেমন নষ্টালজিক কিছু একটার লিংক, যেন আপনার কথাই বলছে -মাঝে মাঝে ........
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার ফটোকপি করা শিট, আমার বাসের লাস্ট সিট
আমার স্ক্র্যাচ পড়ে যাওয়া চশমার কাচ, সায়ানোফাইটিক ইট
আমার চিনি বেশি দেয়া চা, আমার ফোনে যান্ত্রিক মা
আমার পকেট বাঁচানো ডিম ভাজা ভাত মুখে হাসি বুকে ঘা
আমার প্রেমে ডুবে থাকা নারী, আমার বুমেরাং আহাজারি
আমার ফেলে আসা তাজা কাজলের চোখ কবিতার মহামারী
আমার বর্ষার ভাঙা ছাতা, আমার পেইজ শেষ হওয়া খাতা
আমার সিজিপিএ লোভে রাতজাগা পড়া, শিমুলের ঝরাপাতা
আমার পিংক ফ্লয়েডের সলো, আমার মেঘদলও খুব ভালো
আমার আর্টসেল ব্ল্যাক শিরোনামহীন সব হাসিমুখে ছিলো
আমার ধুলোবালি জমা বই, আমার বন্ধুরা সব কই
আমার ভাল্লাগেনা এই মিথ্যে শহর, রাতের আড়ালে রই
গত এগারো তারিখ সন্ধ্যায় মুকুলকে ফোন দিলাম। মুকুল হাসিমুখে বললো- আরে, আজকেই তেজগাঁ লিংক রোডে গিয়েছিলাম, ভাবলাম তোমার অফিসে ঢুঁ মেরে যাবো, কিন্তু বৃষ্টি এসে যাওয়াতে আর হলো না....। ওখান থেকেই লেখাটার জন্ম হলো মাথার মধ্যে।
আপনার প্রশংসা আমার কাছে গোল্ডেন সিজিপিএ-র মতই । অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার লেখাটাও দেখে এসেছি। ভালো থাকবেন স্যার।
১৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,
দেখুন তো, কি রকম কাকতালীয় একটা ব্যাপার ঘটে গেলো! উপরের মন্তব্যে আমার দেয়া লিংক " মাঝে মাঝে"তে গিয়ে আপনি সেখানে যে মন্তব্য করে এসেছেন তার প্রতিমন্তব্য করে তবেই এখানে এসে উপরের মন্তব্যটি করেছি। কি আশ্চর্য্য ! আমি সেই প্রতিমন্তব্যে লিখেছি " হাতের টিপ যে খুব ভালো ছিলো তা নয় তবে জিপিএ-৫ পেতুম, গোল্ডেন না পেলেও.।"
আর এখানে এসেই দেখি আপনিও একই রকম লিখেছেন আপনার উপরের প্রতিমন্তব্যে - "......... আমার কাছে গোল্ডেন সিজিপিএ-র মতই "
অবাক রকমের কাকতালীয় নয় কি !!!!!!!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: কথা কিছু কিছু বুঝে নিতে হয়....
১৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,
কারেকশন - উপরের মন্তব্যটি করেছি। <<< উপরের প্রতিমন্তব্যটি পড়েছি।
১৭| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা সেইসব জারুল ফুটা দিন আজ সেপিয়া রঙ ধারণ করেছে
স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা আমিও খুব ভাবি,,,,,,,,, বড় আনন্দ হয় মনে।
খুব সুন্দর লিখেছেন
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: গতকালও গিয়েছিলাম ক্যাম্পাসে। ইদানিং নিশ্চুপ ক্যাম্পাস খুব ভালো লাগে....
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খেলার সাথীরা অনেক দূরে
চোখ থেকে নয়
মন স্মৃতি থেকে
মনে পরে যায়
স্মৃতির পটে