নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
করোনাকালে ইউটিউবের কল্যাণে চোখ ব্যথা করে ফেলা মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে নিতান্তই কম না। পাকেচক্রে আমিও ওই দলে পড়ে গেছি। এই ওয়াচ রেসিপিতে দেশি-বিদেশি, ক্লাসিক-টিপিক্যাল, নাটক-সিনেমা, অখাদ্য-কুখাদ্য, কিছুই বাদ যায়নি। আমার আইডি থেকে ভিডিও দেখার পরিমাণ অকস্মাৎ এভাবে বেড়ে যাওয়ায় ইউটিউবও আমাকে বিভিন্ন পদের ভিডিও সাজেস্ট করতে থাকে।
স্ক্রল করতে গিয়ে একদিন দেখি একটা ভিডিও সাজেশান দিচ্ছে, নাম এহদ এ ওয়াফা। ওটা একটা পাকিস্তানি ড্রামা সিরিয়ালের শেষপর্ব ছিলো। আউট অব ইন্টারেস্ট আমি ভিডিওটা দেখতে শুরু করলাম; কিন্তু শুরুর পর বলা চলে এক নিশ্বাসেই একঘন্টা বাইশ মিনিটের শেষপর্বটা দেখে ফেললাম। এবং তারপর আমি খুঁজে নিয়ে প্রথমপর্ব থেকে দেখা শুরু করে পুরো সিরিজটাই দেখলাম।
এ দেশের অনেকের মতই পাকিস্তানি মুভি বা ড্রামার সাথে আমার পরিচয় ছিলো না। কিন্তু এহদ এ ওয়াফা সিরিজটা দেখে আমি যারপরনাই মুগ্ধ হয়েছি। যেহেতু আমি নাটক-সিনেমার লোক নই, সুতরাং এর রিভিউ করাটা আমার কম্ম না। তাছাড়া যেকোনো আসপেক্টেই পাকিস্তানি একটা প্রোডাকশনের প্রশংসা করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু ট্যাবু রয়ে গেছে। তবুও এই লেখাটা লিখছি কারণ ওই ড্রামা সিরিজটা দেখতে গিয়ে সমসাময়িককালে আমাদের দেশে নির্মিত নাটকের সাথে তুলনা চলে আসছিলো বারবার। বলাবাহুল্য, সেখানে ব্যাপক ব্যবধানে আমরা অকৃতকার্য হয়েছি।
আমি তাই এই ড্রামা সিরিজের ক্রিটিসিজম করছি না, আমি স্রেফ ব্যক্তিগত ভালোলাগার সাথে সাথে আমরা কি বানাচ্ছি তার একটা তুলনামূলক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবো।
এই ড্রামা সিরিজটা একটা দেশত্ববোধক সিরিজ এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অথবা তাদের অনুমোদনক্রমে নির্মিত হয়েছে, স্ক্রিনের কোণায় সারাক্ষণ আইএসপিআর লেখা থাকতে দেখেছি। মুন্সীয়ানাটা এখানেই যে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতা এবং দেশপ্রেমের ধুঁয়ো গায়ে নিয়েও এটা পুরোমাত্রায় অসামরিক ও শক্তিশালী সামাজিক একটা গল্প। গল্পের প্লট, কাহিনী, গাঁথুনি, সংলাপ অত্যন্ত চমৎকার। গল্পকার এবং পরিচালকের দক্ষতায় তাই নাটক হয়েও এটা নাটকীয় হয়ে যায়নি। স্বাভাবিক থেকেছে।
একটা কলেজ হোস্টেলে থাকা চারজন কৈশোরউত্তীর্ণ যুবকের বন্ধুত্ব নিয়ে গল্পের শুরু হয়। এই চারজন ছেলে এসেছে একাধারে সমাজের চার ধরনের শ্রেণী থেকে। অর্থনৈতিক শ্রেণীকরণ ও পারিবারিক ঐতিহ্যর দিক থেকেও তারা চারটি ধারার প্রতিনিধি। কিন্তু যেহেতু দেশপ্রেমকে উপজীব্য করে এই ড্রামা সিরিজ, সেহেতু শেষবিচারে তারা দেশের প্রতি নিবেদনের যায়গায় এসে এক যায়গায় মিলে যায়। এই চার ছেলের ব্যক্তিগত পথচলা, পারিবারিক টানাপোড়েন, সততা-শঠতা, প্রেম-ভালোবাসার আখ্যান নিয়েই পুরো সিরিজ এগিয়েছে, যা শেষ হয়েছে দেশপ্রেমের মন্ত্রে।
বৈরী প্রতিবেশীবেষ্টিত একটা দেশ তার শিল্প সাহিত্যে দেশপ্রেমের ‘তাস’ ব্যবহার করে জনগণের আবেগকে প্রভাবিত করতে চাইবে, এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কিন্তু আমার কাছে সিরিজটির শক্তিশালী গল্প, সাবলীল সংলাপ, চমৎকার দৃশ্যায়নের সাথে সাথে আবহসঙ্গীত, সব মিলিয়ে একটা কমপ্লিট প্রোডাকশন মনে হয়েছে; যেখানে অভিনেতা অভিনেত্রীদের দুর্দান্ত অভিনয় আছে, সুন্দর কিছু মেসেজ আছে। সেটাই তো হওয়া উচিৎ। দিনশেষে দর্শক যেনো কিছু একটা মনে রাখতে পারে।
এখন আসেন আমাদের নাটকের কথায়। গত এক-দেড়বছরে আপনার দেখা কোনো নাটকের কোনো বিশেষ বক্তব্য কি আপনার মনে রেখাপাত করেছে? আমার মনে হয় উত্তরটা হবে ‘না’। আমাদের নাটকের শেষ কথা বলতে ঘুরেফিরে সেই ‘বহুব্রীহি, সংসপ্তক, অয়োময়, কোথাও কেউ নেই, এইসব দিনরাত্রী, রূপনগর বা সেই নব্বুইয়র দশকের নাটকগুলোই আসে। যার কারণে এই লকড ডাউনের সময়ে বিটিভি পুনপ্রচারের জন্য আর্কাইভ থেকে এই নাটকগুলোকেই খুঁজে বের করতে পেরেছে!
গত কয়েকবছরে আমাদের এখানে নির্মিত নাটকগুলোর মধ্যে একমাত্র ‘বড়ছেলে’ নাটকটার কথাই যা একটু আলাদা করে বলা যায়, এ ছাড়া বাকি সব নাটকই একই ধারার, গতানুগতিক, একঘেয়ে ও চরমমাত্রায় বৈচিত্র্যহীন। সেখানে মূল চরিত্র দুজনের মাঝে প্রেম হওয়ানো ছাড়া আর কোনো মোক্ষই থাকে না। ইদানিংতো বাজেট কমাতে গিয়ে দেখা গেছে একটা বাসার মধে অথবা একটা ট্রেন বা বাসজার্নিতেই তিন চারজন চরিত্র নিয়েই একটা নাটক শেষ হয়ে যাচ্ছে। আবার অধিকাংশ নাটকেই দেখা যায় মূল চরিত্রের মা থাকলে বাবা নেই, অথবা বাবা থাকলে মা নেই.... । অদ্ভুত একটা অবস্থা, যেনো এ দেশে সব ফ্যামিলিই ব্রোকেন ফ্যামিলি হতে হবে অথবা মা-বাবার কেউ একজনকে বাধ্যতামূলকভাবে অকালপ্রয়াত হতে হবে।
সবচেয়ে বিপদজনক দিকটা হলো আমাদের নাটকগুলোতে এমন সব সংলাপ এখন অবলীলায় বলা হচ্ছে, যা যেকোনো বিচারেই অশ্লীল হিসেবে গণ্য হবে। গল্পহীনতা, অতি নাটকীয়তা এগুলো বাদই থাকলো।
সাম্প্রতিককালে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নামের একটা ধারাবাহিক নাটক চোখে পড়লো। প্রথম আট দশটা পর্ব দেখে মনে হলো, না এখানে কিছু গল্প আছে, বক্তব্য আছে। তারপর এর গল্পে অযৌক্তিকভাবে বিভিন্ন নতুন নতুন চরিত্রের অন্তর্ভূক্তি হয়েছে বটে, কিন্তু গল্পের মেরিট একটুও বাড়েনি। বরং নতুন এইসব চরিত্রের অভিনয় বিরক্তিই উৎপাদন করেছে শুধু। শতাধিক পর্ব পার করে করোনার কারণে এই সিরিজটা এখন বন্ধ রয়েছে।
এই সুযোগে ‘গল্পগুলো আমাদের’ নামের অন্য একটা ধারাবাহিক বিক্ষিপ্তভাবে দেখলাম। এই সিরিজের অন্যতম চরিত্র প্রায় বৃদ্ধ এক দম্পতি একটা রেস্তরা চালান, যেখানে উনারা উনাদের যৌবনের জোশ উর্ব্ধে তুলে রেস্তরায় আসা বিভিন্ন কাপলকে নিয়ে আলোচনা, সমস্যা সমাধান ইত্যাদি করেন! গল্পকারের বলিহারি সেন্স!! অতি নাটকীয় এই প্যানপ্যানানীর ফলে ওখানেই ওই সিরিজ দেখা সমাপ্ত। দুঃখজনক হলো দিলারা জামান এবং হাসান ইমামের মত শক্তিমান অভিনয়শিল্পীরাও এখন এ ধরনের চরিত্র অভিনয় করছেন বা করতে বাধ্য হচ্ছেন!!
এই প্রেমের ছ্যাবলামীর বাইরে আমাদের নাটকে বর্তমানকালের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ধারা হলো- কমেডি ধারা। এই ধারায় অভিনয় করতে করতে আমাদের গুণী পরিচালকদের গাড্ডায় পড়ে ‘কেরাম’ এর মোশাররফ করিম বা মনপুরার চঞ্চল চৌধুরীরা আজ নিজেদেরকে মোটামুটিভাবে ‘ভাড়’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। অথচ আমাদের বহুব্রীহি বা আজ রবিবারে হুমায়ূন আহমেদ দেখিয়েছেন সেন্স অব হিউমার কিভাবে নাটকে দৃশ্যায়ন করতে হয়!
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এখন আমরা। এই স্বল্প সময়ে আমরা পাকিস্তানকে অনেক ক্ষেত্রেই পেছনে ফেলে দিয়েছি। কিন্তু এহদ এ ওয়াফা এবং তৎপরবর্তী আরও কিছু পাকিস্তানি নাটক ও মুভি দেখে মনে হচ্ছে ধর্মীয় গোড়ামী ও সন্ত্রাসে আক্রান্ত হয়েও এই ক্ষেত্রে ওরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে যোজন যোজন দুরে। প্রযুক্তির ব্যবহারে খামতি থাকতে পারে, কিন্তু গল্প তৈরী বা পরিচালনায় দক্ষতার দিক থেকে কেনো আমরা পিছিয়ে থাকবো? প্রগতির দিক থেকে পিছিয়ে থেকেও এহদ এ ওয়াফা ড্রামা সিরিজে যেভাবে ওরা স্বাভাবিক বর্তনীর মধ্যে থেকেই পাকিস্তানের সমাজকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরেছে, আমাদের নাটকগুলোতে কি আমরা তা পারছি?
এই যায়গাটাতে আমাদের চিন্তার অবকাশ রয়ে গেছে। কারণ সোহরাওয়ার্দীতে দলীয় জনসমাগমে গলা ফাটিয়ে বলা বক্তব্য আর নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে সমাজ ও দেশের উন্নতি নিয়ে যতই বকওয়াজ করা হোক না কেনো, দেশ ও সমাজের সত্যিকার প্রতিনিধিত্ব হিসেবে মানুষ শিল্প-সাহিত্যকেই গ্রহণ করে। মানুষ মনেও রাখে সেটাই।
মনে রাখলে সুবিধা হবে যে ইরানের যাবতীয় বিতর্ক পাশে রেখেও মানুষ কিন্তু মাজিদ মাজিদির ‘চিলড্রেন অব হেভেন’ বা এই ধরনের শিল্পকর্মগুলোর কথাটাই আগে বলে।
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
পদ্মপুকুর বলেছেন: নীচে থেকে শুরু করি;
আপনি এত অ্যাপোলোজাইস কেনো করছেন? আপনার মত আপনি দেবেন এতে ভয়ের কি আছে! তাছাড়া আপনি এই ব্লগে এই বিষয়গুলো নিয়ে, বিশেষত গান নিয়ে যেসব পোস্ট দেন, তা দিয়েই তো প্রমাণিত হয় যে আপনি এ বিষয়ে আমার চেয়ে অনেক বেশি বোঝেন, জানেন।
আপনার এই মন্তব্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমি 'টেক ইট ইজি' পর্যায়েও নেই, বরং বিনা দ্বিধায় মেনে নিয়েছি। মূলত আমি জিরো লেভেলের টিভি ভিউয়ার, মাঝে মধ্যে সময়ে অসময়ে কিছু দেখি। করোনা বিরতিতে যার পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। সে হিসেবে আমার পর্যবেক্ষণ নিতান্তই অগুরুত্বপূর্ণ। শৈল্পিক মাত্রায় তা বিচার করলে হবে না। আপনি যেমন বললেন যে বিটিভি আমলের চেয়ে এখনকার প্রডাকশনের মান উন্নত, অনভিজ্ঞতার কারণে আমি তো ওভাবে চিন্তা করিনি, এখন আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে- হ্যা সেটাই তো ঠিক।
তবে একজন লেম্যানের পর্যবেক্ষণও সংশ্লিষ্ট মানুষদের জানা দরকার।
আপনি ঠিকই বলেছেন যে এখনকার দিনে 'ট্রেন্ডিং' বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বড়ছেলের বিষয়ে হয়তো সেটাই হয়েছে। তবে ওটা সাম্প্রতিককালের গতানুগতিকতার বাইরে গেছে, সেটাও ঠিক। আমার আসলে আক্ষেপটা ছিলো যে ওরা এত এত প্রতিকুলতা নিয়েও যেভাবে ওরা নাটক সিনেমায় সমাজ, দেশকে ইতিবাচকভাবে শক্তিশালীরূপে তুলে আনছে, তার বিপরীতে আমরা কেনো এক যায়গাতেই পড়ে আছি? আমাদের নাটকগুলোতে কেনো বৈচিত্র্য আসছে না, নির্মাণে কেনো গুণগত পরিবর্তন আসছে না।
যাই হোক, লম্বা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্যার।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আরেকটা বিষয়, আমাদের দেশে দেশপ্রেমমূলক কোনো নাটক বা সিনেমা যখন তৈরী হয়, তখন সেটা একটা সীমাবদ্ধ গণ্ডিতে এসে আটকে যায়, আমার মনে হয় এই যায়গা থেকে বেরিয়ে এখন বৃহৎ পরিসরে দেখা প্রয়োজন।
২| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
রাকু হাসান বলেছেন:
আপনার ধারণার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত । বাংলাদেশের ড্রামার মান খারাপ । তুলনা করলে অব্যশই পিছিয়ে । সেটার পেছনে মূল কারণ হতে পারে ভালো মানসিকতার প্রযোজক,বাজেট এবং দর্শক স্বল্পতা । বাংলাদেশে সরাসরি সরকারী অনুদানে ড্রামা সিরিজ হতে শুনি নি । হয়ে থাকলেও সে তথ্য জানা নেই। এ দিক থেকে প্রতিবেশী দেশ অবশ্যই এগিয়ে । ইদানীং তুরস্কের 'Resurrection' ড্রামা টা খুব আলোড়ন তুলেছে সারা বিশ্বে । কাহিনী ইসলামের প্রারম্ভিক সূচনা কে ঘিরে । অনেকে বলছেন ইসলামোপোবিয়া দূরীকরণে সিরিজটি খুব কাজে দিচ্ছে। অন্য ধর্মের মানুষজন দেখছেন এটা । Resurrection Ertugrul Season 1 Trailer (English)
শুনেছি প্রেসিডেন্ড এরদোগান নিজে পরোক্ষভাবে জড়িত এই ড্রামা সিরজি তৈরিতে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য। চাইলে চোখ বুলাতে পারেন । দেখবো ড্রামাটি।
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাংলাদেশের কোনো একটা চ্যানেলে দিরিলিস এরতুগ্রুল সিরিজটি দেখাতো। কিন্তু সোনাবীজ ভাইয়ের সূত্র অনুযায়ী ওগুলো দেখার সময় বের করতে পারিনি। তবে ইদানিং খুব আলোচনা হচ্ছে। কদিন আগেই বোধহয় ব্লগার আখেনআটেন এই সিরিজ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন।
আমাদের সিনেমায় ইদানিং কিছু পরিবর্তন আসছে বলে মনে হয়, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বা গল্পের ক্ষেত্রেও গতানুগতিকতা থেকে বের হওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ভিন্ন চিন্তার কিছু তরুণ কিছু পরিচালক পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু নাটকের ক্ষেত্রে আমার মতে খুবই খারাপ অবস্থা। একদিকে নাটকে অশ্লীল সংলাপ ও গল্পের প্রাধান্য বাড়ছে, বাজেট কমায় নির্মাণে অদক্ষতা ও অমনোযোগিতা আসছে অন্যদিকে একই কারণে বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে।
তবে দর্শকস্বল্পতা কথার সাথে আমি একমত নই। আমি কেনো এই সিরিজটাতে আটকে গেলাম, মানুষ কেনো এরতুগ্রুল সিরিজ দেখছে? কারণ তার নির্মাণ, গল্প এবং অভিনয় দক্ষতা। আমরা এই যায়গাতে উৎরে যেতে পারলে দর্শকস্বল্পতা কোনো প্রতিবন্ধকতা হবে না বলেই মনে হয়।
ধন্যাবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমাদের সমস্যা আমাদের পেশাদারিত্বের অভাব। চ্যানেলগুলোর মালিক কোন না কোন ব্যবসায়ী, যারা নাটক নির্মাণের চেয়ে টকশো, নিউজ এবং রাজনৈতিক আলাপের দিকেই মনোযোগী। তাই নাটক বানায় ঠেলায় পরে, বানাতে হবে তাই বানানো। বড় কথা আমাদের একটি সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে বিনোধন জগৎ নিয়ে। একটি প্রতিযোগিতামূলক সিষ্টেম ডেভেলপ
করতে হবে, যারা ভাল করবে না তাদের লাইসেন বাতিল করতে হবে।
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: পঞ্চাশ বছরেও যদি পেশাদারিত্ব তৈরী না হয় তো আর কবে হবে? অবশ্য শুধু এই ক্ষেত্রে কেনো, কোনো ক্ষেত্রেই তো পেশাদারিত্ব আসেনি বলেই মনে হয়।
চ্যানেলের মালিক ব্যবসায়ী হলে অসুবিধা কি? বরং মুনাফার জন্য তারইতো আরও বেশি করে মানসম্পন্ন নাটক সিনেমা তৈরী করার কথা...
৪| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের নাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষজনের এখন কোন ডেডিকেশান নাই। এটা এখন আর শিল্প নাই; পুরাই বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে গিয়েছে এই সেক্টরটা। ভালো কিছুর আশা কিভাবে করবেন? তারপরে, ভারতীয় চ্যানেলগুলোর কারনে সমস্যা আরো প্রকট হচ্ছে। নির্মাতারা এই চ্যালেন্জ নেয়ার বদলে যেন-তেনভাবে নাটক তৈরী করে ছেড়ে দিচ্ছে।
স্পন্সরদেরও দায় আছে। নাটকের কোয়ালিটি না, চেনামুখ দেখে তারা স্পন্সর করে। সব মিলিয়ে ভালো কিছু হচ্ছে না। হতাশা চারিদিকে!!
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: কিন্তু যখন নতুন কেউ নাটকে আসে, সে তো ডেডিকেশন নিয়েই আসে, তারপর কি হয় তাদের? অনেকেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসেন, এরপর গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে ফেলেন।
দর্শক, স্পন্সর, অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক প্রযোজক সবারই দায় আছে এ অবস্থা সৃষ্টির পেছনে কিন্তু নির্মাতাদেরকেই তো মূখ্য ভূমিকা নিতে হবে। এখন বিশ্বায়নের সময়। শুধু ভারতীয় কেনো, বৈশ্বিক শিল্প-সাহিত্যের মোকাবেলার চ্যালেঞ্জটাতো তাদরেকেই নিতে হবে।
৫| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ্রামা সিরিজের কথা শুনে যাচ্ছি, সময় কই! হালার ফেইসবুকেই তো জীবন কাটিয়ে দিলাম!
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভুল বললেন! ফেইসবুকেই জীবন কাটিয়ে দিলে এই ব্লগে আপনার ৩০০ পোস্ট হতো না আর সময়ের সেরা বুদ্ধিজীবি কে, সেটাও বের করতে পারতেন না!!
৬| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এখন নাটকের নায়ক নায়িকা পরিচালক সবাই একটা করে ফ্যান গ্রুপ খুলে । তারপর নেটে প্রচারণা চালায় । ইউটিউবের ভিউ দেখে নাটকের পাত্র-পাত্রী ঠিক করে হয় । বিশ্বায়নের এই যুগে অপরের উপর দোষারোপ করে লাভ নাই । গল্প নাটক সিনেমার প্রাণ ।
আগে এক ঘণ্টার নাটকের জন্য বাজেট ছিল ৪/৫ লাখ । এখন বড় জোর ২ লাখ । নায়ক-নায়িকার জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ৫০ লাখ । চরিত্রের সংখ্যা কমে যাচ্ছে ।
নাটকের জন্য এখনো পর্যন্ত সেরা এনটিভি । তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চ্যানেলগুলোকে পিছনে ফেলবে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ।
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন। কিন্তু এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা বিশেষ কিছু অর্জন করতে পারবো বলে মনে হয় না।
৭| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার উত্তর পেয়ে বুক ভরে গেছে। আপনি অনেক শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন আমার কাছ থেকে। আমিও শিখলাম কীভাবে একটা উত্তর দিতে হয়। আমি পাকিস্তানি প্রডাকশনের ব্যাপারে কিছু বলি নি, কারণ, আমার জ্ঞান নাই। ২০০০ সালে মাস তিনেকের মতো পাকিস্তান থাকতে হয়েছিল। হিন্দি/উর্দু বুঝি না, নরমাল চ্যানেলে যেসব দেখানো হতো, তাতে রুনা লায়লা আর শাহনাজ রহমতুল্লাহ'র গান দেখার জন্য ওয়েট করতাম। বাকিগুলো সাধারণ মনে হতো। সেন্ট্রাল টিভিরুমে সব ইন্ডিয়ান ভি চ্যানেল, এমটিভি চ্যানেল নিয়া মাতামাতি করতো
আমার কমেন্টের ২য় উত্তরের সাথে আমি শতভাগ একমত। এটা আমারও মনের কথা।
আমাদের স্বাধীনত যুদ্ধের উপর এখন যেসব ড্রামা বা ছবি হয়, তাতে কোনো নতুনত্ব বা ক্রিয়েটিভিটির ছাপ নেই। এমনকি, ভাষা আন্দোলনের উপর 'ফাগুন হাওয়ায়' এত জোরেসোরে প্রচারণা চালানোর পর ওটা দেখে যারপরনাই মনক্ষুণ্ণ হয়েছি।
আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিভিন্ন ব্যাটল নিয়ে অন্তত স্বল্পদৈর্ঘ্য ওয়ার-ফিল্ম বানানো যেত। ব্যাটেল অব কামাল্পুর, ব্যাটেল অব বেলুনিয়া বালজ, ব্যাটেল অব হিলি। আমি অনেক বাংলা ছবি দেখি, আমার চোখে এগুলো পড়ে নি।
৯৩/৯৪ সালে ইন্ডিয়ান 'প্রহর' বা 'প্রহার' দেখে আমি এতটাই উদবুদ্ধ হয়েছিলাম যে, আমি প্লান করেছিলাম আমি বাংলাদেশে এরকম একটা ছবি বানাবো। কিন্তু, আমার দৌড় তো ব্লগ আর ইউটিউব পর্যন্ত
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন: ৯৩/৯৪ সালে ইন্ডিয়ান 'প্রহর' বা 'প্রহার' দেখে আমি এতটাই উদবুদ্ধ হয়েছিলাম যে, আমি প্লান করেছিলাম আমি বাংলাদেশে এরকম একটা ছবি বানাবো। কিন্তু, আমার দৌড় তো ব্লগ আর ইউটিউব পর্যন্ত
আহা, আরেকটু উদ্বুদ্ধ হলেতো আমরা ভালো কিছু পেতাম অ্যাটলিস্ট। দেখেন না শুরু করা যায় কি না?
৮| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সবার না, কারো কারো মনে রাখতে হবে । দেশ প্রেম অটুট রেখে যেটা ভালো লাগে সেটা করলে ক্ষতি কি
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: কোনোও ক্ষতি নেই। তবে আলোচনা সমালোচনা এবং তা গ্রহণের মধ্য দিয়েই মানবসভতা এগিয়ে যায়।
৯| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: চ্যানেল মালিক ব্যাবসায়ি হলে সমস্যা আছে। এরা অনেকে কোন না কোন রাজনৈতির সাথে জড়িত, শিল্পের প্রতি ভালবাসায় নয় বরং নিজের মত এবং পন্য প্রচারের জন্যই চ্যানেল খুলেছে, তাছাড়া চ্যানেল খুললেও সমাজে আলাদা একটা মূল্য পাওয়া যায়! চ্যানেল থেকে পয়সা ইনকাম নয় বরং নিজের মত প্রচারেই ব্যাস্ত এরা, মানুষ দেখুক বা না দেখুক এতে কিছু যায় আসে না এদের!! ব্যাবসায়ীদের দরকারে আছে তবে নিরপেক্ষ এবং শিল্পের প্রতি দায়িত্ববোধ সম্পূণ্য ব্যাবসায়ী হতে হবে মিডিয়া শিল্পে যেটা আমাদের এখানে নেই।
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: তা অবশ্য ঠিকই বলেছেন! এখনকার গণমাধ্যম দখল করে রেখেছে ব্যবসায়িক পাণ্ডারা। এবং শিল্পের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ এদের নেই, কেবলমাত্র নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহার করে মালিকানাধিন গণমাধ্যম।
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
১০| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো খুব মন দিয়ে পড়লাম।
বাংলাদেশের নাটক সিনেমা দেখা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি।
আমার দাওয়াতটা কি এখনও আছে? নাকি ভুলে গেছেন?
০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: দাওয়াত বহাল আছে এবং পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে, তবে এ মুহূর্তে আমি নিজেই আইসোলেশনে আছি আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত। ভালো থাকবেন আর পারলে ওই সিরিজটা দেখেন, ভালো লাগবে।
১১| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
রাকু হাসান বলেছেন:
আমাদের সিনেমায় ইদানিং কিছু পরিবর্তন আসছে বলে মনে হয়, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বা গল্পের ক্ষেত্রেও গতানুগতিকতা থেকে বের হওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।--এই প্রবণতাটা আমিও লক্ষ্য করছি । ইতিবাচক দিক হলো তাঁরা চেষ্টা করছে। হ্যাঁ নাটকের ক্ষেত্রে যেন নিচের দিকে যাচ্ছে দিন দিন । তবে সিনেমার ক্ষেত্রে আশা জাগানিয়া কিছু হচ্ছে।
তবে দর্শকস্বল্পতা কথার সাথে আমি একমত নই। আমি কেনো এই সিরিজটাতে আটকে গেলাম, মানুষ কেনো এরতুগ্রুল সিরিজ দেখছে? কারণ তার নির্মাণ, গল্প এবং অভিনয় দক্ষতা। আমরা এই যায়গাতে উৎরে যেতে পারলে দর্শকস্বল্পতা কোনো প্রতিবন্ধকতা হবে না বলেই মনে হয়।---আমার ভাবনাগুলো আপনি বলে দিয়েছেন । আমিও ভাবি যে এই সব কারণেই তা যাই হোক সেটা কে দর্শক স্বল্পতা । মানের বিচারে যদি হিসেব করি ,তাহলে অবশ্যই দর্শকের অভাব নেই বাংলাদেশে ।
বাংলাদেশে আগের দর্শকছিল শুধু বাংলাদেশ মুখী । আর সেখানে ভাগ বসিয়েছে বিদেশী টিভি সিরিজ । ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেভাবেই হোক তারা বাংলাদেশের দর্শকদের ধরে ফেলছে। েএই প্রবণতা কাটাতে হলে ,আবার ফিরে আনতে চাইলে অবশ্যই আমাদের আয়নাবাজির মত কাজ লাগবে। তার জন্য দরকার ভালো গল্প,দক্ষ পরিচালক(আছে আমাদের),ভালো প্রযোজক(অভাববোধ করছি),শক্তিমান অভিনেতা,অভিনেত্রী(আছে তবে সীমিত), প্রযুক্তিগত বিদ্যা তো লাগবেই। । আপনি যে সিরিজে আটকে গেলেন ,সেটার কারণ আপনি বলে দিয়েছেন। ঠিক এসবই ঠিকঠাক ভাবে করলেই কেবল দর্শক ফিরবে। সব সময় বাজেটের অযুহাত দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করি । ভালো গল্প হলে কম ব্যয়েও ভালো কিছু তৈরি সম্ভব । আর এখন ভালো গল্পের অভাবটা বোধহয় খুব বেশি । নামী দামী লেখকরা নাটক খুব একটা লিখছেন না ।
মাসুদ সেজান
সাগর জাহান
সেলিম আল দীন
আনিসুল হক--তাঁদের কাজ ভালো লাগে। এখানে আনিসুল হক আশার আলো । আগে সৈয়দ শামসুল হকের মত ব্যক্তি পাণ্ডুলিপি লিখতেন ,এমন কয়জন পাব ? ব্যবসায়িক মানসিকতা পরিবর্তন না করলে উন্নতি সম্ভব নয় । এখন নতুন অভিনেতা নির্বাচন করা ন্যাকামি দিয়ে ,ফেসবুক ফলোয়ার ,ইউটিউভ থেকে জনপ্রিয় হয়ে । আসুক আমার সমস্যা নেই কিন্তু ওদের যে ভাষা ব্যবহার তা জঘন্য লাগে আমার । এনটিভির মত চ্যালেন িএগুলো আবার কাভারও করছে । এই ধরুন ,,আপনি ব্যাচেলার পয়েন্ট নাটকটি সবাই কে নিয়ে দেখতে পারবেন না । অথচ দর্শক খাচ্ছে। এখন নাটকে যে সব দর্শক ঠিকে আছে ,বিশেষ করে আগেকার ,তাদের মাটি কামড়ে আছে। নতুন প্রজম্মের কথা চিন্তা করেই নিমার্ণ
হচ্ছে ,সেখানে যেন সকলের প্রবেশাধিকার নেই । অনন্ত পরিস্থিতি সেটাই বলে। পোশাক,ফিটনেসের কথা নাই বল্লাম । কষ্ট হবে আপনার পড়তে । সরি । ভালো থাকবেন । আসসালামু আলাইকুম ।
০৩ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: এখন যেহেতু বিশ্বায়নের যুগ, আপনাকে বিশ্বের সাথেই প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে হবে এবং সে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে মান উন্নয়ন হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা হচ্ছে কই? কেন যেন সবাই হাল ছেড়ে দিয়ে বসে আছেন বলে মনে হচ্ছে। না হলে একটা নাটকের চরিত্রের ফাঁসি ঠেকাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও একদা বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিলো, সে প্রভাব ফেলা নাটক এখন হচ্ছে না কেনো?
আর যেটা বললেন যে নতুন প্রজন্মের জন্য নির্মানের কথা। তো আমরা এমন এক নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলছি, যাদের চাহিদার জগতে আমাদের প্রবেশাধিকারই থাকছে না!! আসলেই এখন এমন অনেক নাটক আছে যা সপরিবারে দেখা মুশকিল হয়ে পড়ে।
যাই হোক আবার ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।
১২| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
নতুন বলেছেন: বিশ্বায়নের ফলে জনগনের কাছে বিদেশি কনটেন্ট অনেক সহজ লভ্য।
জনগন আগের মতন জ্ঞানী জিনিস খায় না তারা হালকা জিনিস পছন্দ করে।
ব্যবসায়ীরা অল্প বাজেটে নাটক করে তাই তারা লেখককে বলেই দেয়, ২ টা চরিত্র আর ২ টা লোকেসনে নাটক হবে।
সিনেমা হল চলে যাবে, অনলাইনে স্ট্রিমিং ই ভবিশ্যত।
০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: দেখা যাচ্ছে এই ব্যবসায়ীরা আমাদের ফ্রাংকেনস্টাইনের দৈত্য হিসেবে দাড়িয়ে গেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প-সাহিত্য, সবকিছুই এরা গ্রাস করে ফেলছে!
১৩| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
নতুন বলেছেন: পরিবত`নের জোয়ারে প্রতিদিন বদলাচ্ছে দুনিয়া
০৩ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: হু ঠিকই বলেছেন।
১৪| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পদ্ম পুকুর ভাই,
আমি পাকিস্তানী সিরিজগুলো দেখেছি অধিকাংশ দেখার মতো সিরিজ। তবে বাংলাদেশের নাটক নিয়ে বলার মতো ভাষা আর জানা নেই। নাটক দেখে মনে হবে নাটকে কলাকেীশলী বেয়াদবী করার সময় নাটকগুলো শুট করা হয়েছে - আর কিছুই না।
পোস্টে প্লাস ও ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
০৩ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: নাটক দেখে মনে হবে নাটকে কলাকেীশলী বেয়াদবী করার সময় নাটকগুলো শুট করা হয়েছে - আর কিছুই না।
ভালো অবজার্ভেশন!
১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
শুভ_ঢাকা বলেছেন: এই লকডাউইনে ভেবেছিলাম ভাল কিছু ফিল্ম নাটক দেখবো। যে কোন কারণেই হোক সেটা আর হয়নি। আপনার দেওয়া লিংক থেকে পাকিস্তানি ধারাবাহিক নাটকটি কয়েকটি পর্ব দেখলাম। মজার ও বিনোদনমূলক ধারাবাহিক। এইবার বিটিভিতে বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই ধারাবাহিকের এর কয়েকটা পর্ব দেখেছিলাম। অসাধারণ।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪১
পদ্মপুকুর বলেছেন: নাটক মজার এবং বিনোদনমূলক হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই সিরিজটিতে ওদের দেশ ও সমাজের উপস্থাপনা, কিছু শক্তিশালী বক্তব্য রয়েছে, দূরবর্তী দর্শকের কাছে দেশকে তুলে ধরার জন্য যা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা এই যায়গাতে পিছিয়ে যাচ্ছি। বহুব্রীহি যেহেতু দেখছেন, শেষের দিকে দেখবেন টিয়া পাখিকে দিয়ে বলানো একটা বাক্যের শক্তি কত! দুঃখজনক হলো এই বার্তার যায়গায় এখন ফাত্রামী আর ইত্রামী রাজত্ব করছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।
১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যদিও আমি সাহিত্যের সাথে ততটা জড়িত না তথাপী আপনার এই লেখাটা আমাকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে আপনাকে ধন্যবাদ না জানানোটা হবে খুবই কিপটেমী। কর্মজীবনের ব্যস্ততার কারণে তেমন একটা টিভি দেখার সময় পাইনা তারপরও যদি কখনো চোখ যায় তবে কিছু অভিনেতা/নেত্রীর ভ্যারামো দেখলে মনে হয় এরা কি করতে অভিনয় করতে এসেছে আমি দাড়ালেও হয়তো ওদের চেয়ে ভালো অভিনয় করতে পারবো ( যদিও তা সম্ভব হবেনা আমার পক্ষে)। আর সব গল্পেই প্রেম নিয়ে ছেলেখেলা দেখলে সন্তানদের সামনে লজ্জা লাগে দেখতেও ইচ্ছে করেনা; এটাই হচ্ছে আমাদের নাটক সিনেমার বাস্তবতা আমরা যেন একই জায়গাতে আটকে আছি কত বছর জুড়ে!!
০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার লেখা আপাকে মুগ্ধ করেছে জেনে ভালো লাগছে। এটা অবশ্য আমার লেখার গুণ নয়, বরং বক্তব্যর যথার্থতা। নিজের মনের কথার সাথে কারো লেখা মিলে যায়, তখনই সে লেখা ভালো লাগে, পাঠক মুগ্ধ হয়। এখানেও তাই হয়েছে। এমনিতে আমি লেখা দিয়ে মুগ্ধ করার মত কিছু নই।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
১৭| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৬
শুভ_ঢাকা বলেছেন: আজকের বাংলাদেশ প্রায় সব সূচকই পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে আছে। কিন্তু আপনার দেওয়া পাকিস্তানের ড্রামা সিরিয়ালের মান দেখে আমি সারপ্রাইজড! আর আমাদের নাটকের মান পরে গেছে। আবারও আসলাম। ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়া হয় নাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সিরিয়ালটি ভীষণভাবে উপভোগ করছি।
০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: এত ধন্যবাদ দেওয়ার তো কিছুই নেই। আমার কাছে একটা বিষয় মনে হয়েছে, আমি সেটাই বলেছি এখানে। খোঁজ নিলে দেখবেন এগুলো অধিকাংশেরই নিজের কথা। কর্তৃপক্ষও নিশ্চয় জানে এ বিষয়ে। কিন্তু তবুও কোনো এক অদ্ভুত কারণে আমাদের টিভিনাটক এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে যাচ্ছে।
এখন এসব দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। উন্নয়ন মানে তো শুধু বড় বড় দালানকোটা না, মানসিকতার উন্নয়ন বা সামগ্রিক সংস্কৃতির উন্নয়নই একটা জাতির সঠিক উন্নয়ন, যেটা নিয়ে গর্ব করা যায়।
আবার আসার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৮| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:০১
মা.হাসান বলেছেন: টেলিভিশন নেই, ইউটিউবে সময় পেলে মাঝে সাঝে কিছু দেখা হয়। দুই বাঙলা মিলিয়ে ভালো জিনিস খুব বেশি চোখে পড়ে না।
এহদ এ ওয়াফা প্রথম পর্ব দেখলাম। আমার হিসেবে খুব স্লো, ২য় পর্ব দেখার আগ্রহ পাচ্ছি না। অনেক দিন আগে আলফা ব্রাভো চার্লি নামের একটি পাকিস্তানি ড্রামা সিরিজ দেখেছিলাম, ভালো লেগেছিলো। বেশ পুরাতন, কাজেই প্রিন্ট ভালো না। সময় থাকলে দেখতে পারেন। আমার বিবেচনায় হিন্দি অনুষ্ঠান অনেক বেশি প্রফেশনাল, পাকিস্তানি অনুষ্ঠান অনেক পরিচ্ছন্ন, বাংলাদেশের অধিকাংশ নাটকের কোনো কাহিনিই নেই।
শাকিল সিদ্দিকি নামের একজন পাকিস্তানি কমডিয়ান আছেন, ভারতিয় চ্যানেলেই বেশি দেখা যায়, ওনার পারফরমেন্সও খুব ভালো।
০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন: পাকিস্তানি নাটক সিনেমা নিয়ে আমার কোনো আইডিয়া ছিলো না, এখনও বিশেষ নেই। এই ড্রামা সিরিজটাই প্রথম হিসেবে দেখলাম এবং এটা দেখে আগ্রহী হয়ে আরও কয়েকটা ড্রামা সিরিজ ও মুভি দেখলাম। এখন এত কম দেখে 'দুইদিনের যোগী' হয়ে একটা দেশের সংস্কৃতি নিয়ে কোনো রায় দেওয়াটা অনুচিৎ অবশ্যই। তবুও র্র্যানডম ব্যাসিসে নেয়া এই মুভি এবং ড্রামাগুলো দেখে আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে একমত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। ওদের প্রডাকশনগুলো বেশ পরিচ্ছন্ন।
আর ইন্ডিয়ান মুভিতো ভালোই, গতানুগতিকতার বাইরে ওদের যে মুভিগুলো, যেমন বজরঙ্গী ভাইজান, দঙ্গল, নীরজা, ভাগ মিলখা ভাগ, পিকে বা এ ধরনের মুভিগুলোতো বাণিজ্যিক হয়েও অনেকটাই আলাদা।
আমি প্রচুর টিভি দেখনেওয়ালাও নই। এ কারণেই হয়তো এহদ এ ওয়াফা ভালো লেগেছে। আপনি যে বললেন প্রথম পর্বটা স্লো, সেটুকু বোঝার জ্ঞানই আমার নেই। তবে একটা বিষয় হতে পারে যে আমি শেষপর্বটা প্রথম দেখেছি এবং সেটার আবেশে আবিষ্ট হয়ে প্রথম থেকে আবার দেখা শুরু করেছি।
যদি সময় হয়, আর খুঁজে পাই, তো দেখবো আলফা ব্রাভো চার্লি। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
১৯| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বাংলাদেশের ভিজুয়াল মিডিয়া ডেভলাপ না করবার কিছু কারণ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি।
প্রথমত, গল্প বলার মত মেধা - মননবিশিষ্ট ছেলেপেলেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ক্ষেত্রটিতে কাজ করতে আসার সাহস পায় না, এবং এই লাইনে খুব একটা সুবিধাও করে উঠতে পারে না। কারণ, কঠিন সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকা লাগে। এবং একবার প্রবেশ করতে পারলেও, টিকে থাকবার , বা নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতা পাবার নিশ্চয়তা নেই। এর চে' জীবন - জীবিকার নিশ্চয়তা দেয়, এমন চাকরিতে ঢুকে যাওয়া অনেকে প্রেফার করে। ছাত্র জীবনে কেনা ক্যামেরা, বা গিটার দেখে মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস ফেলার বিলাসিতাটুকু প্রতি উইকেন্ডেই করা যায়।
দ্বিতীয়ত, বিবিধ সরকারী এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম এবং মিডিয়া স্টাডিজ থেকে পড়ে যারা বের হচ্ছে, তাদের টেকনিক্যাল দক্ষতা যতটা থাকে, লিটারেচারের জগতে ততটা ভালো দখল না থাকবার কারণে দেখবেন, আমাদের ইদানীং ভিজুয়াল লিটারেচারে টেকনিক্যাল ত্রুটি খুব কমই চোখে পড়ে। বিশ্বমানের শুটিং - এডিটিং। এতকিছুর পর যে গল্পটা বলা হয়, তা দুর্বলই থেকে যায়।
তৃতীয়ত, মিডিয়ার জগতে টাকা বাতাসে ওড়ে, হাত বাড়িয়ে ধরার দক্ষতাটা স্রেফ অর্জন করা লাগে - এই ধরণের কিছু লেজেন্ডের প্রচলন। ফলশ্রুতিতে, তরুণ নির্মাতারা, যারা খানিকটা আনস্টেবল আর্থিক অবস্থা থেকে উঠে এসেছে, তাঁরা সিনেমা বা সিরিজের বদলে বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাণের প্রতি আকর্ষিত থাকে বরাবর। টাকার প্রতি আদ্যোপান্ত লোভ, আল্টিমেটলি আমাদের সংস্কৃতিকে ভালো কিছু এনে দেয় না।
চতুর্থত, দেখবেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত আর্টিস্টরাই আমাদের মিডিয়ায় প্রফেশনালিজমের অভাবের কথা বারবার উল্লেখ করেন। এটাও, বাংলাদেশের টিভি সিরিজ বলুন, বা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, অথবা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির মেরুদণ্ড শক্ত করে দাঁড়াবার ক্ষেত্রে বাঁধা তৈরি করছে।
একটা স্বাধীন দেশের জন্যে অন্যান্য দেশের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এড়িয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির ধারক - বাহক - পৃষ্ঠপোষক হওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। এটা যত দ্রুত আমরা সামস্টিকভাবে অনুধাবন করি, ততই আমাদের মঙ্গল।
কম-বেশী একটা ট্যাবুর মতন বিষয়কেই আলোচনায় তুলে আনার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ!
০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি বেশ লম্বা এবং খুবই প্রাসাঙ্গিক মন্তব্য করেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে। এই মন্তব্যর সাথে দ্বিমত করার কিছুই নেই। আমার কাছে মনে হয়, কোথায় যেনো আমরা আমাদের ফোকাসটা হারিয়ে ফেলছি, জাতি হিসেবে কমিটমেন্ট তৈরী হচ্ছে না। জীবনে টাকার প্রয়োজন থাকবে, কিন্তু সেটাই কেনো মোক্ষ হয়ে উঠছে আজকালকের তরুনদের কাছে?
আমাদের যে আবেগের যায়গাগুলো, যে চেতনার যায়গাগুলো, সেগুলো এখনকার প্রজন্মের কাছে একটা ফ্যাশন হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ বা ১৬ ডিসেম্বরে কিছু আউটফিট আর ফূলের ব্যবসাবৃদ্ধি ছাড়া আদতে আমাদের জাতীয় জীবনে কি আবেদন সৃষ্টি করছে বলতে পারেন? জাতি হিসেবে এগিয়ে চলতে গেলে যে পাটাতন দরকার হয়, রাজনৈতিক প্রজ্ঞাহীনতা, অদুরদর্শী, ব্যক্তি স্বার্থন্ধ এবং অসৎ নেতৃত্ব সে পাটাতনতাই ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে আমরা এখন একটা কমিটমেন্টহীন জাতি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছি।
পেশাদার একটা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনযুদ্ধের মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতা এসেছিলো; যেটাকে ভিত্তি করে আমাদের বরং হওয়া উচিৎ ছিলো সবচেয়ে প্রগতিশীল, মননশীল জাতিরাষ্ট্র। অথচ আজ আমরা ভাষা-শিক্ষা-সংস্কৃতি সবদিক দিয়ে অন্তসারশূন্য একটা জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছি।
এভাবে চলতে থাকলে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই টানাপোড়েন শুরু হয়ে যেতে পারে।
২০| ০৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: পাকিস্তানি এই সিরিজটা আমিও দেখেছি। ISPR এর সহযোগিতায় নির্মিত বলেই সাদ চরিত্রটা ওভাররেটেড হয়ে গেছে। ওর সবকিছুই পিকচার পার্ফেক্ট। আমার অবশ্য ভালো লেগেছে শেহরিয়ার (আহমেদ আলী আকবর) এর চরিত্রটা। সাচ আ জেন্টেলম্যান!
সিরিজটার OST টা আমি প্রায়ই শুনি। একটা লাইন আমার বেশি পছন্দ 'এ খুশবু তেরে আনেকি, এ দাগা তেরি ওয়াদেকা'।
আপনি পাকিস্তানি আরেকটা সিরিজ 'ইশক জেহে নাসিব' দেখতে পারেন। আমি দুই-তিন দিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে দেখছি। সামির (যাহিদ আহমেদ) সাচ আ ব্রিলিয়ান্ট এ্যাক্টর! খুব স্ট্রং স্টোরি।
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১০
পদ্মপুকুর বলেছেন: ব্যক্তিগত ভালোলাগা বলতে গেলে আমার কাছেও শেহরিয়ারকেই সবচেয়ে ভালো লেগেছে এবং তার বাবাকেও। এই ভদ্রলোকের সামান্য অভিনয়ের মধ্যেই যে ইতিবাচক মনোভাব, সেটা ভালো লেগেছে। তবে মালিক শেহজাইন এর চরিত্রটায় নেতিবাচকতা থাকলেও সে সহ সবার অভিনয়ই মানোত্তীর্ণ।
আমাদের দেশের মানুষের কাছে পাকিস্তানি টিভি-সিনেমাজগত যে পরিচিত, তা এই পোস্ট না দিলে বুঝতেই পারতাম না। একটু অবাকই হয়েছি। সময় করে দেখবো আপনার সাজেস্ট করা সিরিজটা।
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
২১| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: By the way, আপনি পাকিস্তানী ‘Behadd’ টেলিফিল্মটা দেখতে পারেন। ফাওয়াদ খান এবং নাদিয়া জামিল অভিনীত। গল্পটাও সুন্দর, অভিনয়ও মানোর্ত্তীন্ন। আমি নাদিয়া জামিলের চোখের জলের ফ্যান হয়ে গেছি।
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: হু, এই টেলিফ্লিমটা সাজেস্ট করে ইউটিউব। দেখা হয়ে ওঠেনি। মাঝে অফিস শুরু হয়ে যাওয়াতে দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এখন আবার ১৪দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি।
মনে হচ্ছে আপনি প্রচুর মুভিটুভি দেখেন। ওই যে নুরজাহান মার্কেটের সামনে ফুটপাথ থেকে মালা চুড়ি কেনা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন, ওই লেখায় আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। সেই আপনি যখন একটা টেলিফ্লিম সাজেস্ট করছেন, নিশ্চয় সেটা ভালো হবে, দেখবো সময় করে।
২২| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ২:১৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দেখব। আরো কিছু সাজেশন দিয়েন।মুভি ড্রাম বা অন্যকিছু।
ওখানের একটা ছেলে নিজের ইউটিউব চ্যানেল বাংলাদেশকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানায়।
লকডাউনের সময় দেখলাম।
ভাল থাকবেন।
১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি পাকিস্তানি নাটক সিনেমার সাথে পরিচিত নই। এহদ ওয়াফাটা দেখার পর সামান্য কয়েকটা দেখেছি। উপরে নান্দনিক নন্দিনী 'ইশক যেহে নাসিব' এর কথা বলেছেন। মনোবিজ্ঞানের একটা বিষয় নিয়ে বেশ কমপ্লিকেডেট গল্প। গল্পের টুইস্টটা ধরতে পারলে ওটাও ভালো লাগবে।
বোল, ওঅর, লাহোর সে করাচি এবং দিল দিয়ানা গালিয়ান নামের চারটি মুভি দেখেছি। ইন্ডিয়ান মুভির সাথে বিশেষ পার্থক্য মনে হয়নি। তবে ওদের ইন্ড্রাস্ট্রির নাটকগুলো ভালো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি টিভি'র পোকা ছিলাম কোনো একসময়ে। শুধু নাটক না, উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের অনুষ্ঠানও বাদ যেত না আমার দেখা থেকে। এখন অপশন বেশি হয়ে গেছে। সামনেরর টিপয়ে ল্যাপটপ, তার পেছনে টিভি, হাতের কাছে মোবাইল। মনোযোগ থাকে পিসিতে, বাকিগুলোতে মাঝে মাঝে শুধু চোখ যায়। এসব ছেড়ে স্বল্প সময়ের জন্য যখন চোখ যায় টিভিতে, তখন হাজারটা চ্যানেলের মধ্যে কোনটায় চোখ স্থির রাখবো তা স্থির করতে না পেরে সেকেন্ডে সেকেন্ডে চ্যানেল পাল্টাই।
বিটিভি আমলে টিভি নাটকের মান নিয়ে অনেক সমালোচনা হতো। মান কোনোভাবেই উন্নত হচ্ছিল না। হুমায়ূন আহমেদ, আতিকুল হক চৌধুরী, সেলিম আল দীন, আখতার ফেরদৌস রানা, এরকম হাতে গোনা কয়েকজন নাট্যকারের নাটক ছিল ভরসা। ইমদাদুল হক মিলনের বেশিরভাগ নাটক ছিল ফ্লপ। 'ছিঃ ছিঃ আপনি এত খারাপ' - নাটকের নাম ভুলে গেছি, যেটার থিম ছিল 'কোথাও কেউ নেই' থেকে ধার করা- এটা একটু বাজার পেয়েছিল মাত্র (হয়ত এটাই রূপনগর)। যখন নাটকের মান বাড়ছিল না, তখন প্যাকেজ নাটকের অফার দেয়া হলো। একটু করে মান বাড়তে থাকে সেই সময়।
বাংলাদেশের নাটকের মান বিটিভি আমলের চাইতে অনেক গুণ উন্নত হয়েছে। কিন্তু, সেটা আমরা ধরতে পারি না নানা কারণে। বাংলাদেশের চ্যানেলের সংখ্যাই ৩০-৪০টা। বিদেশী চ্যানেল অগুনতি। এত চ্যানেলের ভিড়ে কোনো চ্যানেলেই আমরা মন বসাতে পারি না। আমরা এখন সাপ্তাহিক নাটকের জন্য অপেক্ষা করি না। দিনভর নানা চ্যানেলে নাটক হচ্ছে। নাটকের মান যাচাইয়ের জন্য নাটকটা পুরা দেখতে হবে, কিন্তু আমাদের সেই সময় বা অবসর নাই।
আমার স্ত্রী এবং আমি প্রচুর নাটক দেখি, পিসির ফাঁকে যতখানি দেখা যায়। আমাদের কোনো হিন্দি বা ইংলিশ চ্যানেলের এডিকশন বা প্রেফারেন্স নাই (খুব কম দেখা হয় ওগুলো), রাতদিন মূলত বাংলাদেশের চ্যানেলেই থাকি। খেলার সময়ে খেলার চ্যানেল, তাও জিটিভি বা মাছরাঙা, চ্যানেল নাইন যারা দেখায়। নাটকের জন্য এনটিভি আর বাংলাভিশন সেরা মনে হয়েছে আমার কাছে। নাট্যকার বা পরিচালকের নাম তেমন একটা খেয়াল করি না, তবে, নীচে যাদের নাম বলছি, তাদের নাটক আমার ভালো লাগে বেশি।
মাসুদ সেজান
সাগর জাহান
নাসরীন জাহান
আখতার ফেরদৌস রানা (তার নাম চেঞ্জ হয়ে গেছে, মনে নাই)
সালাহউদ্দিন লাভলু
সেলিম আল দীন
আনিসুল হক
মুহম্মদ মুস্তফা কামাল রাজ
পান্থ শাহরিয়ার
আরেকটা কথা ভয়ে ভয়ে বলছি, প্লিজ মাইন্ড কইরেন না। আমি একটা নাটকের কথা উল্লেখ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু টেক্সটে আপনি ওটা বলে ফেলেছেন। তবে, আমার মতামত সম্পূর্ণ উলটো। ফেইসবুকের এ যুগে যে হিড়িকটা লক্ষণীয় তা হলো, ফেইসবুকে কেউ একজন একটা সিনেমা বা নাটক 'অসাধারণ' ট্যাগ দিয়ে দিলেই আমরা বেশিরভাগ লোক সেটা দেখতে ভিড় করি। 'বড় ছেলে'র ব্যাপারেও সেটা ঘটেছে। আমি নাটকটা দেখেছি, বড্ড সাদামাটা একটা গল্প, মেহজাবিন আর অপূর্ব'র অভিনয়ও গতানুগতিক। ৭০, ৮০'র দশকের সিনেমার খুব কমন একটা প্লট নিয়ে নাটকটা লেখা। এ নাটকটা এত নাম পাওয়ার কারণ কী? আমার ধারণা, আমরা নাটক খুব কম দেখি। যারা ট্যাগ পেয়ে ওটা দেখেছেন, তারা অনেকদিন পর একটা নাটক দেখছেন, ওটা 'বড়ো ছেলে' না হয়ে যদি 'লী', '৬৯', '৫১বর্তী', 'গ্রাজুয়েট', বন্ধন, এমনকি 'সিকান্দারবক্স'ও হতো, নাটকের নাম আরো বেশি ছড়াইয়া পড়তো। আপনার সাথে আমার মত মিলে নি, আর আমার সাথেও যে আপনার মত মিলবে, আমি কিন্তু তা বলি নাই কাজেই, টেক ইট ইজি