নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকার রাস্তায় বাইক চালানোর বহুত প্যারা আছে। যেমন মাঝেমধ্যেই কুত্তার পাল্লায় পড়া লাগে। বেরসিক কুত্তাগুলান আতকা বাইকের সামনে আইসা পড়ে। খুবই খতরনাক ব্যাপার হয় তখন। একবার রামপুরা রোডে এরকম দুইডা রেসিং কুত্তার সাথে বেমক্কা এক ধাক্কায় আছাড় খেয়ে পড়লাম পিচঢালা রাজপথে। মহোদয়দ্বয়ের কি হইছিলো সেইটা দেখার আগেই দেখি আমার হাত এবং পায়ের কিছু কিছু যায়গায় চামড়া অদৃশ্য হয়ে গেছে। জিন্স প্যান্ট অক্ষত থাকলো কিন্তু পায়ের চামড়া কিভাবে উধাও হলো সেইটা ভাবতে ভাবতে বুঝলাম, 'দরবেশ বাবা'র ভালোই কেরামতি আছে। কারণ প্যান্টটা কেনা হইছিলো ‘ইয়োলো’ থেকে।
তারপর থেকে রাস্তায় কুত্তার ছায়া দেখামাত্রই 'যাগায় ব্রেক'!
এই সুমতির বদৌলতে বলা যায় সেকেন্ডটাইমে ভয়াবহ এক বিপদ থেকে রক্ষা পাইছিলাম। সন্ধ্যার পরপর ভুতের গলিতে ঢুকছি, কিছুদুরে রাস্তার বামে ফ্যামিলিপ্লানিংবিহীন এক সুখী কুত্তা পরিবারের উপস্থিতি টের পেয়েই যথারীতি ব্রেকে চাপ দিলাম। মা কুকুরটা সাফল্যজনকভাবেই বাম থেকে রাস্তার ডানে চলে গেলো। কিন্তু গোল বাঁধালো ছানাপোনাদের একজন। হঠাৎ করে মাকে অনুসরণ করতে গিয়ে বাইকের সামনের চাকায় এসে গোত্তা খেয়ে তারস্বরে চিৎকার শুরু করলো। ভাইরে ভাই, এমনই তার গলা যে আশেপাশের বাড়ির জানালা খুলে সদ্যতরুণীরা ঘটনার সুলুক সন্ধান করতে লাগলো (এই বয়সের মেয়েদের হৃদয় নরম হয়, হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন)।
গোত্তা খাওয়া জুনিয়র কুত্তা এমন যায়গায় ল্যান্ড করে আছে যে আমি বাইক টান দিলেই তিনি পেছনের চাকার নিচে ভর্তা হয়ে নির্ঘাত পটল তুলবেন, আমার পেছনে বসা প্যাসেঞ্জারের ওজন ৮০ কেজির আশেপাশে। অতএব আমি ফুলস্টপ হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। এবং দাঁড়ানোতেই ধরাটা খেলাম। কুত্তা পরিবারের সব ছানাপোনাসমেত কর্তা-কর্তৃ আমাদের দুজনের দিকে লাফ দিয়ে দিয়ে হুঙ্কার ছাড়তে লাগলো আর আমরা নাভির গোড়ায় ১৪ ইঞ্জেকশন নেওয়ার ভয়ে বাইক মাইকের মায়া ত্যাগ করে জীবনটা হাতে লটকে পাশের ওয়ালের উপ্রে আশ্রয় নিলাম কোনোমতে।
এরপর কুত্তা পরিবার যখন দেখলো যে জুনিয়র কুত্তা খুব একটা আহত হয়নি, তখন তাহারা 'উহাকে' মুখে করিয়া ধীরে ধীরে অন্তর্নিহিত হইলো।
ভাঙা লুকিংগ্লসসমেত বাইকটা নিয়ে আমরাও নিজ ডেরার পথ ধরলাম। মাগার সারাপথ ভাবতে লাগলাম, যদি জুনিয়রটা চাকার নিচে পড়ে মারাই যেতো অথবা ভালো রকম আহত হতো, তাইলে আমাদের দুই ভাইডির অবস্থাডা কি হইতো...
মূল বিষয়ে আসি। বয়স বাড়লে মানুষের মধ্যে একটা বিষয় খুব কমন হয়ে যায়, 'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম.. ..'। আইন-শৃঙ্খলা, আদব-কায়দা, সমাজ ইত্যকার বিষয়েও এই ধারার কথাটা ছোট্টবেলা থেকেই শুনে আসছি। তখনকার বয়স্করা বলতেন পাঞ্জাবিদের সময়ে সমাজের অবস্থা ভালো ছিলো, বাচ্চাদের ভেতরে আদব লেহাজ ছিলো, আর এখন যে কি দিন আসলো.. ..। এখনও বয়স্কদের মুখে ওই কথাই শুনি, 'আমাদের ছোটবেলায় আমরা বড়দের কত সম্মান করতাম, মানুষ কত ভালো ছিলো' ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়তো আমরা নিজেরাও বলি এরকমই বা বলবো। বয়সতো থেমে নেই, বাড়ছে।
কিন্তু মানবিকতার দিক দিয়ে আমরা আসলেই কি অমানুষের পর্যায়ে চলে যাচ্ছি না ক্রমান্বয়ে? সামাজিকভাবে নৃশংসতা, খুন, ধর্ষণ এখন গা সওয়া হয়ে গিয়েছে, এগুলো এখন আর আমাদের বিবেকে আঁচড় কাটে না। কিন্তু পরিবারের একান্ত আপনজনদের রক্ষার বদলে তাঁদের প্রতি নৃশংসতার গ্রাফ যে হারে উর্ধ্বমুখী হচ্ছে দিনকেদিন, তা খুবই আতংকজনক। এক প্রথম আলোতেই গত কয়েকদিনে এ সম্পর্কিত সংবাদগুলো পড়লে গা শিউরে ওঠবে। একজন বাবা নিজের কিশোর ছেলেকে ভয়াবহভাবে পিটিয়ে মৃতপ্রায় করে দিয়েছে। একজন অসহায়, বৃদ্ধা মাকে প্রচণ্ড শীতের রাতে স্টেশনে ফেলে চলে গেছে সন্তানরা। আরেক দুর্ভাগা ছেলে বাবাকে মারতে গিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। মাথা থেকে ঝরে পড়া রক্ত দেখে বাবার মৃত্যু। আজকেই আবার নিউজ এসেছে চারজনকে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। কি পরিমাণ নৃশংসতা আমরা ধারণ করছি! এটাতো স্যাম্পল মাত্র, পিকচার আভি বাকি হ্যায়!!
আমাদের এই মনুষত্বহীনতা এখন ওই কুকুর পরিবারের থেকেও নিচে নেমে গেছে। অথচ সেই আমরাই ‘কুকুরের বাচ্চা’ বলে গালি দিয়ে জাতে উঠতে চেষ্টা করি আর সেটা দেখে কুকুরেরা নির্ঘাত বলে 'ওরে, তোরা আমাদেরকে আর নিচে নামাস না, তোরা যেখানে নেমেছিস, ওই পর্যন্ত আমরাই যেতে পারবোনা কোনোদিন।'
প্রফেসর আনু মোহাম্মদ একটা ইন্টারভিউতে বলেছিলেন 'রাষ্ট্রের নৃশংসতা সমাজের মধ্যে পুনরুৎপাদিত হয়'। সেটা সত্য। রাষ্ট্র নৃশংসতাকে প্রণোদনা দিলে সমাজ আর সমাজ থাকে না। দুঃখজনকভাবে গত কয়েক দশক ধরে এদেশে সেটাই হয়ে আসছে। সাগর-রুনী, বদরুল-বিশ্বজিৎ বা আরো আরো ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের এই প্রণোদনা প্রকট হওয়ার প্রভাব পড়ছে সবখানে।
মাঝে মাঝে কোনো কোনো বাসার সামনে দেখি নোটিশ টাঙানো থাকে কুকুর হইতে সাবধান। আমার সন্দেহ হয়, ওই বাসার লোকজন নিজেদের পরিচয়টাই দিলো কি না?
ছবিসুত্র: ইন্টারনেট
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: ওইটা হয়তো অদৃশ্যভাবে লেখা হয়েই আছে। বিদেশীরা এ দেশে আসার আগে বলে দেওয়া হয়, যাচ্ছো যখন নিজ দায়িত্বে যাও, সাবধানে থেকো...
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দুর্দান্ত লিখেছেন!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: তাই নাকি?
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই করার নাই যেনো।
কয়েকদিন আগের পত্রিকায় দেখছিলাম মানুষ কেটে টুকরো টুকরো মাংশ রাজপথে (কুমিল্লায়)
আর পোলাপাইনের কথা কিতা কইতাম
বেয়াদ্দবের হাড্ডি
এরা মাইনষের সামনে যেভাবে প্রেম করে বাপরে
আর সিগারেট সে কী আর কইতাম
সুন্দর লেখা
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: এই বিষয়গুলো আমাকে খুব পীড়া দেয়। আপনাকেও দেয় নিশ্চয়, এমন কি এই ব্লগের অনেকেই হয়তো পীড়িত হন, কিন্তু দুঃখজনক হলো, যাদের পীড়িত হওয়ার কথা, তাদের কিছুই হচ্ছে না।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাষ্ট্রের নৃশংসতা সমাজের মধ্যে পুনরূৎপাদিত হয়- চলমান বাস্তবতায় এরচে ধ্রুব সত্য আর কি হতে পারে!
স্বৈরাচারিতা, সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা, বিচারহীনতা যে সমাজে ক্রমবর্ধমান
দলান্ধতা, নীতি নৈতিকতা যেখানে শর্ত সাপেক্ষ - সেখানে বুঝি এমনি অবক্ষয় ঘটতেই থাকে।
দু:খজনক এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে প্রজন্মান্তরে বহমান থাকবে এ অপধারা!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন: যেখানে হওয়া উচিৎ ছিলো মানুষের নৈতিক শিক্ষাকে উন্নত করার প্রচেষ্টা চালানো, সেখানে দিনের পর দিন আমরা সে যায়গাটা ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগে গিয়েছি। রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করছে কেবল উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে। সাময়িকভাবে আমরা ভালো থাকছি হয়তো, কিন্তু এই নৈতিকতাহীনতা আমাদের আগামী প্রজন্মগুলোকে কোথায় নিয়ে দাঁড়া করাবে বলা মুশকিল।
ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: যা লিখেছেন সেটা খুব স্বাভাবিক ব্যপার। সারাদেশে দিন দিন বিচারহীনতা যেভাবে বেড়ে চলছে, টাকা পয়সার বিনিময়ে যা ইচ্ছে করার লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে সেখানে ভাল কিছু আশা করাই ভুল। প্রতিটা মানুষ জন্মগত ভাবে স্বাধীন এবং সচেতন বিবেক দ্বারা পরিচালিত হবার কথা। বাক স্বাধীনতা প্রতিটা মানুষের যেমন জন্মগত অধিকার ঠিক তেমনি
-ব্যক্তি স্বাধীনতা মানেই যথেচ্ছা করে বেড়ানো নয়!
-ব্যক্তি স্বাধীনতা মানেই যাকে তাকে শরীর দিয়ে বেড়ানো নয়।
-ব্যক্তি স্বাধীনতা মানেই সমাজের প্রচলিত নিয়ম কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন নয়।
-একসাথে থাকতে হলে সবাইকেই কম্প্রোমাইজ করে চলতে হয়।
বাচ্চাদের স্কুলে অনেক অভিভাবক আসেন, যাদের চাল-চলন দেখলে ভয় লাগে। মধ্যবয়সী একেকজন মহিলার সাজগোজ দেখলে বমি পায়, এইসব মহিলাদের চালচলন বেশ দৃষ্টিকটু। যে সব সাজগোজ তাদের বয়সের সঙ্গে মানায় না, সেসব সাজগোজই তারা করে থাকেন নিজেদের বয়সের ভারত্বকে আড়াল করার জন্য। তাদের এই জোর করে ইয়াং সাজতে যাওয়া রুচিহীনতারই পরিচয় প্রদান করে। এসব কথিত আধুনিকাদের সন্তানরা আরো কতোটা আধুনিক হবে ভবিষ্যতে? ভেবে দেখুন?
ক্ষয়িষ্ণু সমাজের যে অবক্ষয়ের চিত্র উপরে তুলে ধরছেন তা হয়তো অনেকেই জানেন। অনেকেরই চোখের সামনে ঘটছে এসব ঘটনা। জানেন ঠিকই, কিন্তু কেউ গভীরভাবে ভাবছেন না। বিবেকের দরজা খুলে কেউ উপলব্ধি করছেন না। আসলে একটি সমাজ অবক্ষয়ের দিকে দ্রুত ধাবিত হয় তখনই, যখন সমাজের মানুষগুলোর বিবেকের সামনে পর্দা পড়ে যায়। অথবা বিবেকবান মানুষগুলো বিবেকহীনতার পরিচয় দেয়। এই সমাজ ও এই প্রজন্ম তো আমাদেরই। এই নোংরামি ও কদর্যতার সয়লাবে যখন সমাজ পুরোপুরি প্লাবিত হবে, তখন ভবিষ্যত প্রজন্মদের জন্য কি রেখে যাচ্ছি আমরা? নষ্ট কিছু সময় তাদের জন্য রেখে যাওয়া ছাড়া তাদেরকে তো কিছুই দিয়ে যেতে পারছি এখন!
সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেছিলেন, ‘কোনো দেশকে যদি ধ্বংস করতে হয় তাহলে সেদেশের যুবক-যুবতিদের মধ্যে অশ্লীলতা ও নোংরামি ছড়িয়ে দিলেই যথেষ্ট।’ তাঁর এ কথার যথার্থতা আজ আমরা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারছি। আমাদের সমাজ শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত হলেও নৈতিকতার দিক দিয়ে চরমভাবে ধ্বংসের মুখে। বিভিন্ন দিবসে, অনুষ্ঠানে, কনসার্টে ও যুবক-যুবতিদের নির্লজ্জ উন্মাদনা ও বেহায়াপনা আমাদের দেশীয় কৃষ্টি-কালচারকে চরমভাবে ক্ষুন্ন করছে। তারা নিজেরা হচ্ছে বিপদগামি, সমাজ ও নতুন প্রজন্মকে করছে বিভ্রান্ত, সর্বোপরি ধর্মীয় বিধানকে লঙ্ঘন করে করছে চরম নাফরমানি।
অহেতুক কথিত আধুনিকতার দোহাই দিয়ে ধর্মীয় জীবনযাপনকে তুচ্ছ ও সেকেলে বলে জানবে, সে জাতির এভাবে নৈতিক পদস্খলন, সর্বশেষে জাতীয় পদস্খলন অনিবার্য। ইউরোপ আমেরিকা এ বিষফল ভোগ করতে শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই।
আর আমরাও এখন অনেক দ্রুতই সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা কি বলব? লেখাপড়ার পবিত্র স্থান টিকে অপবিত্র ও দুষিত করে বিবিধ নামদারী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র নামদারী অংগ সংগঠন সাথে রাজনীতির সাথে যুক্ত শিক্ষক নামদারী দলবাজেরা শুধু লেখাপড়ার পবিত্র স্থান নয় সারা দেশটাকেই কলুষিত করে ফেলেছে।
সততা এবং দেশপ্রেম এই শব্দগুলি আমি ছোটবেলায় পড়েছি। তখন স্কুলের শিক্ষকরা খুব আদর করে এই সব নীতিজ্ঞানের লাইনগুলি পড়াতেন এবং শেখাতেন। আজও আমি আমার সেই সব শিক্ষকদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই দ্রুতই বদলে গেছে। আজকালে শিক্ষকরাই আজ নিজের ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন করে কিন্তু কিছুই হয় না। চাকুরি নেয় ঘুষ দিয়ে যারা তার কিভাবে নীতিজ্ঞান শিখাবে বলুন তো?
দেশে এখন আইন কানুন নিয়ম নীতি বলে কিছুই নেই। বাবামা'রা নিজের মেয়ে বিয়ে দেন ছাত্রনেতাদের বেছে বেছে, যেন রাজনীতি করা একটা বড় জীবিকার রাস্তা! ফলাফল তো পত্রিকাতেই দেখেন! প্রডাক্ট আর কি বের হবে এখান থেকে?
বর্তমান সরকার এসেছে পিছনের দরজা দিয়ে, দেশে জনগনের মৌলিক ভোটাধিকার বিলুপ্ত করে লির্লজ্জ বেহায়ার মতো জোর করে পার্শ্ববর্তী একটা দেশের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। আর এর বিনিময়ে নামমাত্র মুল্যে সারা দেশই বিক্রি করে দিচ্ছে। এই দেশে এখন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে এম্পি মন্ত্রী.... প্রায় সবাই দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতিবাজদের মাধ্যমে প্রশাসনে ঢুকা আমলা, কামলারাও দুর্নীতিবাজ; চরিত্রহীন হবে এটাই স্বাভাবিক। কারন গোড়াতেই দুর্নীতির আসল আখড়া। দেশপ্রেম শব্দের অর্থও এরা জানে না কিংবা জানলেও মানে না।
এই দেশে যেখানে ডিবি কিংবা পুলিশের কাজ অপরাধের রহস্য উন্মোচন, সেখানে তারাই নিরাপরাধকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে একদম অপরাধীর মত করে। আমরা তাহলে যাব কার কাছে? ভরসার জায়গাগুলো আমাদের আর ভরসা দেয় না। দেয় ভয় আর আতংক সে সাথে ঘৃণার খোরাক।
দেশে এখন দূর্নীতিবাজ, সুবিধাবাদী, লম্পট, রাজনৈতিক টাউট/বাটপারে দেশ ভরে গেছে। ভাল মানুষ দেশে থেকে কি করবে?
দেশের বাইরে আছেন বেঁচে গেছেন। আমরা যারা এই দেশে আছি তারা প্রতিনিয়ত পঁচে গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছি।
এই দেশে কোনদিনও হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতো কেউ আসবে না, যত দিন পর্যন্ত আমরা নিজেরা ভালো না হচ্ছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাপ্রে! আগ্নেয়গীরীর লাভা চলে গেলো বলে মনে হলো!!!
আামি যেগুলো বলেছি অথবা আপনি যেগুলো বললেন তার সাথে দ্বিমত করার কিছু নেই। কিন্তু কথা হলো এর থেকে মুক্তির উপায়টা কি? হুমায়ুন আজাদ লিখেছিলেন 'সব কিছু ভেঙে পড়ে', এখন তেমনি সব ধরনের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়ছে। শুধু সামাজিক নিরাপত্তার কারণে দেশ ছাড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের মধ্যে।
বাই দ্য ওয়ে, আগেও কোথায় যেন আপনি বলেছিলেন যে আমি দেশের বাইরে থাকি। কিন্তু আমিতো বিদেশে থাকি না, ঢাকাতেই থাকি। অনেক ধন্যবাদ লম্বা মন্তব্যর (নাকি আস্ত একটা পোস্টই!) জন্য। ভালো থাকবেন।
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
নীল আকাশ বলেছেন: বাই দ্য ওয়ে, আগেও কোথায় যেন আপনি বলেছিলেন যে আমি দেশের বাইরে থাকি। কিন্তু আমিতো বিদেশে থাকি না, ঢাকাতেই থাকি। তাই নাকি?? আমি তাহলে ভুল জানি। দুঃখিত এবং লজ্জিত।
তাহলে তো আরেকটা আপনার সমস্যার সমাধান করা যায়। আপনি ব্লগ ডে বইয়ের যোগাড় করার জন্য বলেছিলেন, আপনি হাবীব ভাইয়ের কাছে খোজ নিন। কিছু কপি মনে হয় উনার কাছে আছে। আর বইমেলাতেও পাবেন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আমি ওটা জাদিদ ভাইয়ের সৌজন্যে পেয়েছি। আমি আসলে পিডিএফ দেওয়ার কথা বলছিলাম যেন ব্লগের সবাই চাইলেই দেখতে পারে।
দুঃখপ্রকাশের কিছু নেইতো স্যার। ভালো থাকবেন।
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: একটা লেখা লিখছিলাম একই বিষয়ে। আপনারটা পড়ার পর মনে হলো অনর্থক আরেকটা পোস্ট দেয়ার মানে নেই আজকে। তাই সেটার কিছুটা মন্তব্যে দিয়ে দিয়েছিলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০
পদ্মপুকুর বলেছেন: লিখে যেহেতু ফেলেছেন, দিয়ে দেন। চিন্তাভাবনা শেয়ার করার মধ্য দিয়েই তো মানুষ ্যরশনাল হয়ে উঠেছে।
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার রসবোধে মুগ্ধ হলাম!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০২
পদ্মপুকুর বলেছেন: হু, সব তো গেছে, ওইটাই একটু আছে!
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দুর্দান্ত লিখেছেন!
লেখক বলেছেন: তাই নাকি?
আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না ভাই? আরো দু পাচজনের কাছে জিজ্ঞেস করেন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: ব্লগে চিনিই মাত্র দুজনকে, পাঁচজনকে কিভাবে জিজ্ঞাসা করবো? দেখি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যদি একটা ট্যাব সেট করা যায় ব্লগারদের ভোট করার.... তাইলে বুঝতে পারবো...
১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: চাদগাজী ভাইরে করেন। উনি একাই একশ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২
পদ্মপুকুর বলেছেন: মাফি মাঙ্গে....
১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ায় যে দাবানল হলো, পুড়ে ছারখার হলো বনভূমি ওখান থেকে আবারও নতুন প্রাণ জাগছে। ধ্বংস থেকেই হবে নতুন শুরু। আশা রেখে যাই।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন 'ধ্বংস থেকেই হবে নতুন শুরু'। ইতিহাসও তাই বলে। অনেকটা ফিনিক্স পাখির মত। এখন অপেক্ষা। জানিনা এই অপেক্ষা কতদিনের হবে। ফররুখ বলেছেন- রাত পোহাবার কত দেরী, পাঞ্জেরী!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আগামীকাল সময় নিয়ে আবার কমেন্টে আসবো....
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাহ, মিসড কলটা ভালোই হলো.... কেমন আছেন আপনি, বহুদ্দিন বাদে আমার বাড়িতে এলেন।
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৯
শের শায়রী বলেছেন: কোথা দিয়ে কোথায় নিয়ে আসছেন টের পেতেই পোষ্ট শেষ। কি অসাধারন, এখানেই একজন লেখকের মুন্সিয়ানা। তবে শেষে যা লিখছেন, আমিও সেটাই কোট করলাম, এর থেকে বড় সত্য আর নাই।
রাষ্ট্রের নৃশংসতা সমাজের মধ্যে পুনরূৎপাদিত হয়- চলমান বাস্তবতায় এরচে ধ্রুব সত্য আর কি হতে পারে!
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাপ্রে!
এ মণিহার আমায় নাহি সাজে, এরে পরতে গেলে লাগে, এরে ছিঁড়তে গেলে বাজে... আমি খুব সাধারণ লেখক স্যার। আর শেষের কথাটাও আমার নয়, ওটা পণ্ডিত অধ্যাপক আনু মোহাম্মদের কথা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৯
এম ডি মুসা বলেছেন: কুকুরের কাহিনী জেনে শেষ দিকে অন্য পটভূমি গড়াল তবে
ভাল লাগল ভাই ভীষণ ।।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১০
পদ্মপুকুর বলেছেন: অগত্যা কুকুরই আমাদের উদাহরণ হয় তবু মানুষ আর নয় কভু.....
ধন্যবাদ স্যার।
১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হু, সব তো গেছে, ওইটাই একটু আছে!
থাকুক। দরকার আছে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন:
১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: দুর্দান্ত লিখেছেন। ভালো লাগলো।
তবে একটা বিষয় মনে হলো, আসলে আমাদের সমস্টিগতভাবে কাউন্সিলিং দরকার। স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে পাড়ায় পাড়ায় একটা করে কাউন্সিলিং সেন্টার দরকার বিউটি পার্লারের মতো। এছাড়া কোনো গতি নেই। আর না হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো কিছু একটা যাতে করে সবাই জাপানীদের মতো ভদ্র হয়ে যাবো।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমাদের বিস্তর অনূযোগ আছে। এই জিপিএর নামে ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে যন্ত্র বানিয়ে ফেললো!! অথচ অনেক দেশে ছোটছোট বাচ্চাদের ক্লাসে শুধু ভদ্রতা, নৈতিকতা, সততা ইত্যাদিই শেখানো হয়ে থাকে।
১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪
হাসান রাজু বলেছেন: - কুত্তা বইল্লা কি এইডা মানুষ না ?
আপনার লেখা পড়ে মনে হইতেছে । কুত্তারে জোর করলেও সে মানুষ হইতে চাইব না ।
পড়ে ভাল লাগলো ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমারও তো তাই মনে হয়। কয়েকদিন আগেই বোধহয় নিউজ ফিডে দেখলাম বাসার সামনে ফেলে রাখা মনিবের মৃতদেহ সারারাত পাহারা দিয়েছে পোষা কুকুর, ছেলে মেয়েদের খবর নেই!!! এখন ওই কুকুরের যদি কথা বলার ক্ষমতা থাকতো, তাহলে সে কি বলতো?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিষয়টা সাধারণ কিন্তু লেখনীর গুণে অসাধারন লাগলো।
বাইক চালাতে না পারলেও অন্যের গাড়িতে সওয়ারী হয়ে কুকুরকে চাপা দিয়ে দুবার অ্যাক্সিডেন্ট করার দুর্ভাগ্য আমার হয়েছিল। প্রচন্ড পিচ্ছিল প্রাণী কুকুর। আর যে উদ্দেশ্যে বিষয়টি তুলে ধরলেন তাতে মনুষ্য জাতি হিসেবে এ আমাদের বড় লজ্জার। আমরাই একমাত্র দাবি করতে পারি হিংস্রতায় আমরা যেকোন বন্য পশুকে অনায়াসে পিছনে ফেলে দিয়েছি।
পোস্ট বহির্ভূত:- আপনি নিয়মিত হওয়ার পর অবশ্য চেষ্টা করি আপনার পোস্টে হাজিরা দেওয়ার। গতকাল পোস্টটি দেখে আর কমেন্ট করার মত সময় না থাকাই মিসকল দিয়ে চলে গেছিলাম।
পোস্টে ভালোলাগা।
শুভকামনা জানবেন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: স্যার, লম্বা মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
ব্লগে অনেক শক্তিমান লেখক আছেন, যেকোনো বিষয় তাদের কিবোর্ডের সংস্পর্শে এসে অসাধারণভাবে উপস্থাপিত হয়। আমি নিজে খুবই দুর্বল লেখক, তাই যেকোনো লেখা পোস্ট করার পর যা বুঝাতে চাইলাম পাঠক তা আদৌও বুঝতে পারলো কি না তা নিয়ে ভয়ে থাকি। অতীতে এমন হয়েছে যে খুব আনন্দ নিয়ে একটা বিষয়ে পোস্ট দিলাম, তারপর মন্তব্য দেখে বুঝলাম যে আমি পুরোটাই ব্যর্থ..... এক্ষেত্রে তা হয়নি। আপনি সঠিকভাবেই বলেছেন যে মনুষ্যজাতি হিসেবে এ আমাদের বড় লজ্জার।
ভালো থাকবেন, শুভব্লগিং।
১৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কি দুর্দান্ত লিখনী!! কি অসাধারণ ভাবে তুলে ধরলেন।
আপনার পোষ্টের প্রেক্ষিতে কবীর সুমনের একটা গানের কয়েক লাইন তুলে দিলাম , এই সময়ের জন্যে :
কখনো চারটে, কখনো পাঁচটা ছানা
গাড়ির চাকায় থেঁতো হয়ে যায় কেউ
একটা আবার জন্ম থেকেই কানা
একটা চেঁচায় বেপরোয়া ঘেউ ঘেউ ;
বেপরোয়া কিছু কুকুরই না হয় হোক
পরোয়া করতে করতে মানুষ মোলো
শান্ত শিষ্ট লেজ বিশিষ্ট লোক
মুখ বুযে থেকেই প্রভূদের প্রিয় হলো।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: বা বাবা বা, এ বিষয়ে কবীর সুমন গানও করে ফেলেছেন.... পেচিয়ে পুচিয়ে যা বলতে আমার ৭০০ শব্দ লাগলো, উনি কি সুন্দর আট লাইনে তা বুঝিয়ে দিলেন... এই না হলো বস! যদিও এখানে মুলকথাটা কিঞ্চিত আলাদা, কিন্তু কি যায় আসে তাতে।
ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।
২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৬
হাসান রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে মনে পরে গেল একটা সিনেমা দেখেছিলাম Hachi: A Dog's Tale সত্য ঘটনা অবলম্বনে। মূল ঘটনা হল- হেচিকো নামের কুকুর এবং তার মাস্টার একজন জাপানি প্রফেসরকে নিয়ে। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে হেচিকো তার মনিবকে রেল স্টেশন পর্যন্ত এগিয়ে দিত এবং ফেরার সময় স্বাগত জানাত। ১৯২৫ সালের কোন একদিনে কর্মক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিতভাবে মৃত্যু ঘটে মনিবের । এবং স্বাভাবিক রুটিন অনুযায়ী ফেরা হয় না। কিন্তু অবুঝ হেচিকো আমৃত্যু, ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত টানা ৯ বছর তার মনিবকে স্বাগত জানাতে সেই স্টেশনে হাজির হত, আর ভাঙ্গা মনে ফিরে আসত। Tokyo's Shibuya railroad station এ হেচিকোর একটি ব্রোঞ্জের তৈরি মূর্তি আজো আছে । জাপানিরা তাকে মনে
রেখেছে ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি কি জাপানে থাকনে? ব্লগের প্রথমদিকে তাজীন নামে জাপানপ্রবাসী একজন ব্লগার জাপানের প্রবাসজীবন নিয়ে লিখতেন। উনার একটা লেখায় পরেছিলাম যে জাপানে প্রাথমিক শিক্ষার একটা লম্বা সময় থাকে সম্মান প্রদর্শন, মানবতাবোধ, ভদ্রতা ইত্যাদি নিয়ে। যার ফলে তারা একটা কুকুরের আন্তরিকতাকে সম্মান জানাতে পারে এবং সেজন্য তার প্রতিকৃতি তৈরী করতে পারে।
আমাদের এখানে যেখানে সেখানে যত্রতত্র মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন ভাষ্কর্য আছে, কিন্তু সেগুলোর পেছনে সম্মান ভালোবাসা প্রদর্শনের যায়গাগুলোকে কলুষিত করে ফেলা হয়েছে রাজনৈতিক ব্যবসার নামে। এখন তাই ওইসব ভাষ্কর্য আমাদের মনে কোনো বোধ তৈরী করেনা। বদলে যত্তসব মাদকাসক্ত, বখাটে ছেলেপেলে ওখানে বসেবসে মাদক গ্রহণ করে, পথচলতি মানুষ থুথু ফেলে, প্রশ্রাব করে।
হেচিকোর ভাষ্কর্য দেখে মনটা আদ্র হয়ে গেলো।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যর জন্য, ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
২১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২১
ফয়সাল রকি বলেছেন: আমার চারবছর বয়সী বাচ্চার ব্যাগের যে ওজন তা আমার সময়কার ক্লাশ ফোরের বই-খাতার চেয়ে বেশি। অথচ ওর এখন শুধুমাত্র খেলে বেড়ানোর কথা! যাইহোক, স্যার সম্বোধন কেন ভাই?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সম্বোধনের ক্ষেত্রে আমরা জাতপাতের শ্রেণীকরণ করে ফেলেছি। সামাজিক অবস্থানগত কারণে আমাদের স্যার বলতে জিহ্বা আটকে যায়। আবার স্বার্থের কারণে অপ্রয়োজনীয় লোককে স্যার ডেকে মুখে ফেনা তুলে ফেলি। এটাই আমাদের সমাজের প্রপঞ্চ। কিন্তু দেশের বাইরে গিয়ে এক স্কুলছাত্রের কাছে শিখেছি সম্মান করে কাওকে স্যার বলার মধ্যে কোনো লজ্জা নেই।
এই ব্লগে সাধারণত আমরা কেউ কাউকে চিনিনা, পরিচিত বন্ধু না। সেক্ষেত্রে সবাই আমার কাছে অপরিচিত। আর অপরিচিতকে সম্মান জানিয়ে স্যার বলাতে আমার কোনো জড়তা নেই। আপনি আমার এই লেখাটাপড়ে দেখতে পারেন।
ভালো থাকবেন।
২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নতুন লেখা কই
২৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২২
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
আপনার লেখাটি দেরিতে হলেও পড়লাম; মানুষের মনস্তাত্বিক বিশ্লেষনের সাথে সমাজ ও রাষ্ট্রিক চিন্তার
সমন্বয় যা আপনি বর্ণনা করেছেন তা আমাদেরই ভবিতব্য এবং নির্ধারিত কর্মফল;
হয়ত এভাবেই চলবে অন্য আর একটি কালের পরিসীমায়- কারণ সময় তো কখনও ফেরে না, তবে
আপনার লেখাটি সময়ের বুকে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ণ একে দিল-
২৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রাষ্ট্রের নৃশংসতা সমাজের মধ্যে পুনরূৎপাদিত হয়
চমৎকার লেখা !
২৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নতুন লেখা নাই এইডা কিছু হইলো হুহ
২৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
নিভৃতা বলেছেন: কী উপমায় ভূষিত করবো বুঝতে পারছি না। অসাধারণ, চমৎকার, দুর্দান্ত! সত্যি, আমরা আজ কুকুরের চেয়েও অধম জাতিতে পরিণত হয়েছি। কুকুর আমাদের চেয়ে ঢের ভালো।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
শুভ কামনা অফুরান।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৭
রানার ব্লগ বলেছেন: আসলে একহ সময় এসেছে দেশের সিমানা দ্বারে লেখা উচিত "মানুষ হইতে সাবধান"