নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বছর বারো-তেরো আগে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের এক পুনর্মিলনী আয়োজনের সাথে কিঞ্চিত সম্পর্কিত ছিলাম। ওই পুনর্মিলনীর স্যুভেনিরে ফাহাম আব্দুস সালাম নামে কুমিল্লা ক্যাডেটের এক প্রাক্তনের একটা লেখা প্রকাশিত হয়; যার শিরোনাম ছিলো 'এবার কিছু অপ্রিয় কথা হোক...'।
ব্যক্তি ফাহাম আব্দুস সালামকে না চিনলেও তাঁর লেখার সাথে আমি এর আগে থেকেই পরিচিত ছিলাম তৎকালীন সাপ্তাহিক যায়যায়দিন'র কল্যাণে। তাঁর লেখা আমি পছন্দ করতাম। স্যুভেনিরে তাঁর লেখা দেখে জানলাম, তিনি কুমিল্লা ক্যাডেটের প্রাক্তন। ফাহাম এ দেশের ক্যাডেট কলেজের শিক্ষাব্যবস্থার সাফল্যদ্যুতির কাছে ম্লান হয়ে যাওয়া ব্যর্থতা সম্পর্কে গতানুগতিক কথার বাইরে কিছু কথা বলেছেন। আমার কাছে ভালো লেগেছিলো বেশ।
সে হিসেবে এই লেখার ধারণাটি চুরি করা। সাহিত্যে যেটাকে প্লেইঝ'রিজম বলে। উপরন্তু, ব্লগডে'র মত আনন্দমূখর মুহূর্তে এ রকম অপ্রিয় কথা না বলাটাই দুরস্ত। তবুও আমার মনে হয় অপ্রিয় কথাগুলো শোনার সময় এখন হয়েছে, যেহেতু সামহোয়্যারইন ব্লগ ইতোমধ্যেই বাল্যকাল পেরিয়ে এসেছে।
সামহোয়্যারইন ব্লগের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো এর ব্লগারদের ধরে রাখতে না পারা। বাংলাদেশে সামহোয়্যারইন ব্লগের শুরুটা একটা বিপ্লবের মতই ছিলো। ছাপা মাধ্যমে সম্পাদনার কঠিন নিগঢ়ে আটকে সে সময় অমিত প্রতিশ্রুতিশীল অসংখ্য লেখকের ঝরে পড়ার দৃষ্টান্ত বিরল ছিলো না। এ রকম এক সময়ে সামহোয়্যারইন ব্লগ একটা সম্ভাবনার জানালা খুলে দেয়, যেখানে যে কেউ চাইলেই উঁকি দিতে পারতো। সুনীল আকাশ দেখতে পারতো এবং যার যার সক্ষমতা অনুযায়ী আকাশে উড়তেও পারতো। ব্লগে প্রথম দিকের অসংখ্য শক্তিমান সৃষ্টিশীল লেখকের সমাবেশ সে বিপ্লবকে প্রায় সফল করে ফেলেছিলো। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই, সে সকল শক্তিমান লেখকদের সম্পৃক্ততা ধরে রাখার জন্য সামহোয়্যারইনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি। এ জন্যই 'ব্লগটা আগের মতো নেই' বলে প্রায়শ ব্লগে হাহাকার শোনা যায়। অথচ বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিয়ে এইসব গুণী ব্লগারদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখতে পারলে এই ব্লগটা হতে পারতো এ দেশের সৃষ্টিশীল জগতের সবচেয়ে প্রভাবশালী একটা মাধ্যম।
সামহোয়্যারইন ব্লগ একদিকে যেমন ছাপা জগতের মত একমুখী রূঢ় যোগাযোগমাধ্যম নয়, অন্যদিকে ফেসবুকের মত ওজনহীন চটকদার বহুমুখী যোগাযোগমাধ্যমও নয়, বরং এ দুটোর মধ্যবর্তী ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে এই ব্লগ। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ছাঁপা মাধ্যমের দীর্ঘযুগের ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয়তা ও আসক্তির পাশাপাশি স্বল্পতম সময়ে ফেসবুকও ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং আসক্তি তৈরী করেছে। কিন্তু মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকা এই ব্লগের প্রতি ব্লগারদের আসক্তিও রয়ে গেছে সেই মধ্যবর্তী পর্যায়েরই। এ কারণে ব্লগাররা ব্লগ ছেড়ে যায় আবার যায় না। ফিরে ফিরে এসে উপস্থিতি জানান দিয়ে যায়, ন্যূনতম অফলাইনে থেকে অন্যের লেখাগুলো দেখে। এই ব্লগের অ্যাডমিনদের একজন ব্লগার 'কাল্পনিক_ভালোবাসা' একটা লেখায় বলেছিলেন 'ব্লগের প্রতিটা ব্যাচ মোটামুটিভাবে দুই বছর অ্যাকটিভ থাকে।’ কিন্তু কেন এমন হয়, সামহোয়্যারইনের এ যায়গাটায় মনোযোগ দেওয়া দরকার।
একইভাবে, এই ব্লগ পারতো সম্ভাবনাময় প্রতিশ্রুতিশীল ব্লগারদের প্রতি আলাদা করে যত্ন নিতে। বৃশ্চিক নামে একজন ব্লগারের কথা এই মূহুর্তে আমার মনে পড়ছে। অসাধারণ গদ্যলেখক। ভাষার গাঁথুনী অনবদ্য। এ সময়ের কাউসার চৌধুরী অথবা নান্দনিক নন্দিনীর কথাও বলা যায়। অথবা রিফাত হাসান নামের জনৈক ব্লগার, যিনি সমসাময়িক বিষয়ে খুবই ভালো প্রবন্ধ লিখতেন। সেগুলো এ দেশের প্রথম সারির দৈনিকে উপসম্পাদকীয় হিসেবে অনায়াসেই যায়গা পেতে পারতো। হয়তো পাচ্ছেও। কিন্তু সেখানে সামহোয়্যারইনের উপস্থিতি থাকছে না। আমি জানিনা এ ধরনের আরো অসংখ্য ব্লগার কি স্বনামধন্য লেখক হিসেবেই ব্লগে এসেছিলেন, না কি সামহোয়্যারইন-ই তাঁদেরকে ভালো লেখক বানিয়েছে। যেটাই হোক, নিবিড় যোগাযোগ আর যত্নের মাধ্যমে এ রকম লেখকদেরকে সামহোয়্যারইন আলাদা এক্সপোজার দিলে তাঁরা সামহোয়্যারইনের সম্পদ হিসেবে থাকতে পারতো। অথচ এটা হয়নি।
যে সব মহাত্মনদের হাত ধরে সামহোয়্যারইন ব্লগ শুরু হয়েছিলো, তারা সবাই মোটামুটিভাবে টেকগুরু ছিলেন। এমনকি ওমর আল জাবির মিশোর মত বিশ্বসেরা টেকপিপলও ছিলো যদ্দুর জানি। একটা নতুন আইডিয়া হিসেবে শুরুতে সামহোয়্যারইন ব্লগ টেকনিক্যালি নিশ্ছিদ্রই ছিলো। কিন্তু আজ প্রায় ১৫ বছর পরও সামহোয়্যারইনে যে সব প্রযুক্তিগত খামতি রয়ে গেছে তা অমার্জনীয়। বিষয়ভিত্তিক ব্লগ কোটায় যে শিরোনামগুলো ঝুলছে, আদৌ কি ওগুলো রিলেভেন্ট এখন? 'নেপাল ভূমিকম্প, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ফেরি ট্রাজেডি, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হাইতি, বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪ (২০১৮ নয়)' বা এই ধরনের টপিকগুলো বহু আগেই অবসোলেট হয়ে গেলেও কার প্রেমে (অবহেলায়) ওগুলো এখনও ওখানে ঝুলছে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন ভালো জানেন। এটার পেছনে প্রাযুক্তিক সমস্যার চেয়ে অমনযোগিতায় হয়তো বেশি দায়ী, কিন্তু টেকনিক্যাল জটিলতা কিছু রয়েই গেছে অদ্যাবধি।
দীর্ঘদিন থেকে আমার ব্লগ খুললেই নামের পাশে একটা সংখ্যা দেখাচ্ছে, তার মানে আমার ব্লগ রিলেটেড কোনো নোটিফিকেশন আছে। সংখ্যাটি বাড়ে-কমে। কিন্তু ওখানে ক্লিক করলে বলে কোনো নোটিফিকেশন নেই। আমার মত অন্যদেরও নিশ্চয় প্রায়শই এ রকম হয়। আবার আমার লেখা কে কে পছন্দ করলো, সেটা আমি দেখতে পারি কিন্তু কে আমার লেখা প্রিয়তে রাখলো, সেটা দেখতে পারি না। এ রকম ছোটখাটো বিষয় যেগুলো অতিব দরকারী নয়, কিন্তু সামহোয়্যারইনের মত টেকগুরুদের তৈরী করা ব্লগে এ ধরনের অসামাঞ্জস্যগুলো থাকাও উচিৎ নয়।
সামহোয়্যারইন ব্লগে ব্লগারদের নাম নিয়ে একটা গুমোট ব্যাপার রয়েছে। ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করার সময়ে সঠিক পদ্ধতি না জানা বা অন্যান্য অসংখ্য কারণে ব্লগারদের বিচিত্র বিচিত্র নাম দেখা যায়। পরবর্তীতে অনেকে নিজের নাম পরিবর্তন করতে চাইলেও প্রক্রিয়াগত জটিলতায় আর নাম পরিবর্তন করতে পারেন না। ব্রাত্য রাইসু ছদ্মনাম অলাদের অফ রাখতে চাই শিরোনামে একটা পোস্টও দিয়েছিলেন একবার। আমি যদিও তাঁর সাথে একমত নই, কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের সময়ে ছদ্মনাম নিলেও অনেকে পরবর্তীতে স্বনামে আবির্ভূত হতে চায়। সে ক্ষেত্রে নতুন নামে আবির্ভূত হলে তাঁকে পুরোনো পাঠকরা কিভাবে চিনবে, সে বিষয়ে একটা সংশয় থেকে যায়। ফলে অনেকে চাইলেও আর নাম পরিবর্তন করতে পারেন না।
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) নামে একজন ব্লগার আছেন; আমার ধারণা উনি এই সমস্যায় পড়েছেন। যদিও কোনোদিন জিজ্ঞাসা করা হয়নি, তবুও মনে হয়, এই ব্লগারের আগের নাম ছিলো 'সত্যের ছায়া'। যে কারণে স্বনামে আসার পরও পূর্ব পরিচয় পরিস্কার করার স্বার্থে নামের শেষে 'সত্যের ছায়া' শব্দটিও ব্রাকেটবন্দী হয়ে রয়েই গেছে।
ভালোবাসার যায়গাতেই মানুষের যত আব্দার, যত অভিযোগ বা অনুযোগ, যত চাওয়া, সব সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই চলে আসছে। এটার একটা কারণ হয়তো মানুষ নিজের ভালোবাসাকে নিরেট, নিস্কলুষ দেখতে চায়। সামহোয়্যারইন ব্লগ আমার ভালোবাসার একটা যায়গা। সে যায়গা থেকেই আমিও চাই আমার এই ভালোবাসা বেঁচে থাকুক যুগ থেকে যুগান্তরে। সে যাত্রা মসৃণ হওয়ার জন্যই এই চাওয়া, এই অপ্রিয় উচ্চারণ। যদিও মোটাদাগে বলা আমার এই কথাগুলো শেষ বা শুরু নয়।
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘মে-দিনের কবিতা’য় বলেছেন-
প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,
চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য
কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া।
এটা মে মাস নয়, বরং বিজয়ের ডিসেম্বর। ফুল খেলবার দিনই এটা। তাই অপ্রিয় কথাগুলো সংক্ষিপ্ত করাই শ্রেয়। ব্লগ দিবস সফল হোক। শুভ ব্লগিং।
পাদটিকা:
যেহেতু এই লেখাটা ব্লগদিবসের প্রকাশনায় এসেছে সেহেতু এটা পোস্ট করার কোনো ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু হাবিব স্যারের ব্লগদিবসের স্যুভেনির পাঠ পতিক্রিয়ায় যে সব মন্তব্য এসেছে এবং ব্লগার সোহানীর যুগপুর্তির পোস্টে একই কনটেক্সটের লেখা দেখে মনে হলো লেখাটা দিই। যারা আগেই পড়েছেন তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার লেখার সীমাবদ্ধতার জন্য হয়তো আপনাকে বোঝাতে পারিনি আপনাকে। আপনার ১-৩-এ আমার লেখা আটকে রাখিনি। বিষয়টা সার্বজনীন হিসেবে চিন্তা করেছি। হয়তো খেয়াল করেছেন, আমি বর্তমানে সক্রিয় দুইজন ভালো লেখকের নামও উল্লেখ করেছি উদাহরণ হিসেবে।
আর আমিতো বর্তমান নিয়েই সন্তষ্ট। নাহলে অ্যাদ্দিন ধরে আছি কিভাবে এই ব্লগে!
ধন্যবাদ স্যার, মন্তব্যর জন্য।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ব্লগ সব সময়ই ভালো
এবং ভালো পোস্টও আসে
যারা এ নিয়ে হাউ কাউ করে তারা নিজেরা ক্যারে ভালা পোস্ট লিখে না ভাই
সুন্দর পোস্ট
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিতো ব্লগকে খারাপ বলিনি স্যার। ব্লগ অবশ্যই ভালো। তারপরও ওইযে শেষে যেটা বলেছি (ভালোবাসার যায়গাতেই মানুষের যত আব্দার...)
মেঘে মেঘে বেলাতো কম হলো না, তাই চাওয়াটাও বেড়ে গেছে। বয়স বাড়ছে, নিসঙ্গতাবোধ বাড়ছে, তাই সবাইকে কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাও বাড়ছে হয়তো। এ জন্যই পুরোনোবেলার কথা খুব মনে পড়ে। তবে যেহেতু আমি এগুলো নিয়ে হাউকাউ করি, করছি, সেহেতু আপনার কথামত এখন ভালো পোস্ট দিতে হবে.... ভালো সমস্যায় পড়া গেলো দেখছি!
ভালো থাকবেন।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: সূর্য উঠছে, সূর্য ডুবছে, দিন যাচ্ছে, মাস যাচ্ছে, বছর ঘুরছে, আমরা বুড়ো হচ্ছি, এটাই তো নিয়ম।
এমন কিছু নেই যেখানে সব থেমে আছে!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, দ্য শো মাস্ট গো অন....
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্ট পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল এ লেখাটা হয়ত মন্তব্য আকারে কোথাও পড়েছি। পাদটীকা পড়ে ধরতে পারলাম, হাবিব ভাইয়ের রিভিউ পোস্টে এটা ছিল।
সম্প্রতি সোহানী আপুর পোস্টটাতেও এই জিনিসটা উঠে এসেছে- গুণী ব্লগারদের ধরে রাখার ব্যাপারটা। কিন্তু কীভাবে তাদের ধরে রাখা যায়, কীভাবে আলাদা যত্ন নেয়া সম্ভব, সে ব্যাপারে কোনো সুপারিশ আমার চোখে পড়ে নি। সম্ভব হলে কিছু সুপারিশ পেশ করুন।
গুণী লেখকরা বেশিরভাগই প্রিন্ট মিডিয়ায় চলে যাচ্ছেন। ওটা তাদের পেশা, জীবিকা নির্বাহের জায়গা। এখানে ব্লগিং করে আয় করার উপায় নেই। ব্লগ টিকিয়ে রাখার জন্য যে আর্থিক সাপোর্টের দরকার, আলী ভাইয়ের পরামর্শে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গুণী লেখকদের মান-অভিমান আছে। সেটা আমরা বুঝি কিনা তাও জানি না, বা বোঝার উপায় নেই। নিদেন পক্ষে, মানসম্পন্ন লেখার জন্য কিছু ইনসেন্টিভের ব্যবস্থাও যদি করা যায়, লেখক চলের যাওয়ার হার কিছুটা হলেও কমবে। কিন্তু সেটা করা কি সম্ভব? আমার যদ্দূর মনে পড়ে, একবার একটা উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল- ব্লগের ভালো কিছু লেখা দৈনিক ইত্তেফাকে ছাপা হবে। কিছুদিন এটা চালু ছিল, তারপর আর সম্ভব হয় নি।
যাই হোক, বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। ফেইসবুক, অন্যান্য অজস্র বাংলা ব্লগ, টুইটার, ইউটিউব, ইত্যাদির ভিড়ে এখনো এই ব্লগটা টিকে আছে, বলবো সগৌরবেই টিকে আছে, ব্লগ অধিকর্তী জানা-দম্পতি অপরিসীম ভালোবাসায়। আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিচিত ভালো লেখকদের এই ব্লগে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। বুদ্ধিমত্তা ও সহনশীলতার সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে তা উন্নতির চেষ্টা করতে হবে। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপ, আস্তিক বা নাস্তিক, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিগণ/বিতর্কিত ব্যক্তিগণ যাতে অযাচিতভাবে ব্লগ কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো ব্যক্তিবর্গ/গ্রুপ দ্বারা বেশি সমর্থন/সাপোর্ট পেয়ে লাই পেয়ে মাথায় না উঠে যান, আমাদের সেই বিষয়টি সতর্কতার সাথে আইডেন্টিফাই করতে হবে, প্রয়োজনে তাদের সতর্ক করতে হবে তারা যাতে খাপছাড়া/সিফাতুল্লাহ জাতীয় কমেন্ট না করেন- এতে সাময়িকভাবে ব্লগ সরগরম হয়, কিন্তু কেউ কেউ মনক্ষুণ্ণ/ক্ষুব্ধ/মর্মাহত হয়ে নীরবে ব্লগ ছেড়ে চলে যাবেন, তাদের হয়ত আমরা আর ব্লগে পাব না।
ব্লগারদের ধরে রাখার জন্য এরূপ সম্মানির ব্যবস্থা করলে খারাপ হতো না
আপনি ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১০
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার লম্বা মন্তব্যের জন্য।
শুধু সোহানী আপা নন, প্রায় সব পুরোনো ব্লগারের কথাতেই এই বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে আসে। কিছুদিন আগে জাদিদ ভায়ের সাথে দেখা হলো। একই বিষয়ে কথাও হলো। কিন্তু কিভাবে সেটা করা সম্ভব, সবচেয়ে ভালো কিভাবে হবে, সেটা ব্লগাররা সমন্বিতভাবেই মতামত দিতে পারেন। এই যে আওয়াজ উঠছে, এটাই হয়তো শুরু। ইত্তেফাকে ছাঁপার ব্যাপারটা অবশ্যই কার্যকর ছিলো।
একটা কথা বলা হয় 'যে দেশে গুণীদের কদর হয় না, সে দেশে গুণী জন্ম নেয় না।' এখন সামহ্যোয়ার কি সেই দলে পড়ে যাচ্ছে কি না তা ভাবার সময় হয়েছে। আমি লেখাতে এটাই বলতে চেয়েছি। এই যে আপনি সুন্দর সুন্দর লেখা এখানে দেন, সবুজ অঙ্গণ বন্ধ রেখেও এখানে ধারাবাহিক হয়ে আছেন, কিসের টানে? আর যারা থাকছে না, তারা কোন বৈরাগ্য বোধ করছে। সেটা ভাবা দরকার।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে আসলাম
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,
হুমমমমম... অনেক অপ্রিয় কথাই বলে ফেলেছেন যা অনেক ব্লগারেরই মনের কথা।
ব্লগকে গতিশীল করতে, এর সকল ভালো লিখিয়েদের ধরে রাখতে মনে হয় ব্লগের টেকনিক্যাল দিকটির সব ত্রুটি ( ৩য় অধ্যায়ে বর্নিত সব প্রযুক্তিগত খামতি ) আগে সারিয়ে তোলা উচিৎ, যে সব ত্রুটির কথা আপনি বলেছেন । আসলেই ঐ সব সামান্য কারিগরী ত্রুটি যথেষ্ট বিরক্তিকর আর অসাচ্ছন্দের। এটাও ব্লগের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলার একটি কারন।
দিন যতোই যাচ্ছে, মানুষ ততোই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে বিভিন্ন কারনে। ব্লগেও এর ছায়া পড়ছে আর তাই এই অসহিষ্ণুতা ঘোচাতে
ব্লগটা হয়ে উঠছে হালকা-চটুল- বিনোদনের একটি জায়গা।
আপনার মতোই আশা করি, ব্লগ কর্তৃপক্ষ ব্লগটাকে সৃজনশীল করে তুলতে সচেষ্ট হবেন পাশাপাশি ব্লগারদেরও উচিৎ হবে ব্লগ বাগানটিকে নিজের সুকুমার মনোবৃত্তি নিয়ে সর্বোচ্য পরিচর্যার।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার মনে হয় জাদিদ ভাই এই বিষয়ে আলোচনার একটা ফোরাম তৈরী বা উদ্যোগ নিতে পারেন। আর প্রযুক্তিগত আরো নানা ধরনের খামতি রয়েছে যেগুলো আর্কিওপটেরিক্স বা আরো অনেকের লেখায় প্রায়ই আসে। সেগুলোও নিয়ে কাজ করা উচিৎ।
ব্লগটা চটুল হালকা বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠছে.... খুবই আতঙ্কের কথা সেটা। সে কারণেই তো চাইছি ব্লগটা ব্লগের মতই থাকুক, না গম্ভীর, না চটুল।
ভালো থাকবেন স্যার। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৮
ঢাকার লোক বলেছেন: লেখক ধরে রাখতে না পাড়ার দায়িত্ব সবটাই সামুর ঘাড়ে চাপানো খানিকটা অবিচার হয়ে যায়না কি? লেখকদের ব্যাক্তিগত জীবনে পরিবর্তন ব্লগে লেখা কমিয়ে দেয়া অথবা না লেখার অন্যতম বড় একটা কারণ বলে আমার মনে হয় ! যে কোনো একটা ভালো লেখার পিছনে যথেষ্ট সময় দিতে হয়। পারিবারিক-সামাজিক দায়িত্ব বেড়ে গেলে, চাকুরীস্থলে বা ব্যাবসায় ব্যাস্ত হয়ে গেলে অনেকেই এতটা সময় দিতে আর পারেন না, ফলে লেখাও কমে আসে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক ধরে রাখার পুরো দায়িত্ব সামুর ঘাড়ে ঢেলে দিচ্ছি না স্যার। ইনফ্যাক্ট, সামু চাইলেও সব লেখককে ধরে রাখতে পারবে না, যেমনটা আপনি লেখকদের ব্যক্তিগত জীবনে পরিবর্তনের কথা বলেছেন। কিন্তু তাদেরকে যত্ন নিয়ে ধরে রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়েনি, যেটা দরকার ছিলো বলে আমি মনে করছি।
ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য। ভালো থাকবেন।
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ব্লগ হলো শেখার মাধ্যমে। যারা শেখার জন্য ব্লগিং করেন তারা অনেক দিন টিকে থাকেন। যারা ভালো ব্লগার তারা অনেক দিন এখানে থাকার পর ভাবেন, এখানে অনেক হয়েছে এবার অন্য কোথাও দেখা যাক। অনেকে আবার সামুর প্রতি আলাদা মায়ার কারণে থেকে যান। এখানে যারা নতুন তারা অনেক সম্ভাবনাময়ী। তাদের দু' চারজনের নাম আপনি ইতিমধ্যে বলেছেন।
সামুর কারিগরি দিকটা সিনক্রোনাইজড হওয়া দরকার, তবে সামু ততটা ব্যাকডেটেট নয়।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: সামু ব্যাকডেটেড নয় অবশ্যই।
এই ব্লগ শুরুর সাথে যে সব টেকপিপল জড়িত ছিলেন, তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ এবং যোগ্য। সে হিসেবে সামুর যে সব প্রযুক্তিগত দুর্বলতা রয়েছে তা থাকা উচিৎ নয় বলেই আমি মনে করি।
আর এই যে আপনি বললেন, অনেকদিন এখানে থাকার পর ভালো ব্লগাররা ভাবেন, এবার অন্য কোথাও দেখা যাক.... এখানেই আমার প্রশ্ন, কেনো সামুসহ অন্যকোথাও নয়?
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। ব্যস্ততা বেড়ে গেছে ইদানিং? বাই দ্য ওয়ে, আপনার নামের বিষয়ে যেটা লিখেছি, সেটা একটু বলেন তো, আমি কি ঠিক ভেবেছি?
৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২০
সোহানী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পদ্মপুকুর ভাই লিখাটা শেয়ার করার জন্য। অনুপস্থিতির কারনে ম্যাগাজিন পাইনি ও পড়ার সুযোগ হয়নি।
যা বলেছেন এ নিয়ে বারবার আমি বলে আসছি। শূণ্যস্থান হয়তো পূরণ হচ্ছে কিন্তু যে শূন্য হচ্ছে তাকেতো আমরা হারাচ্ছি। বরং একটু উদ্যোগে হয়তো তাদেরকে আমরা ধরে রাখতে পারতাম। যেমন ধরুন, আপনি বা আমি! আমরা শুধুমাত্র নিজের ভালোলাগায় টিকে আছি, তাই নয় কি? আসলে আপনার আমার সামুতে অনেক বেলা হয়েছে, তাই এতো কথা আমরা বলি যেমন বুড়ো মানুষরা বলে । অনেকে হয়তো পছন্দ করে না ঠিকই কিন্তু দেখবেন সময়ের পরিক্রমায় তারাও একই কথা বলবে।
আর ট্যাকনিকেল দিক নিয়ে আপনার মতো আমারো একই কথা, এগুলো ঠিক করতে কি খুব বেশী ঝামেলা পোহাতে হবে?
উপরের দুটি মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি,
রাজীব নুর ভাই, এখানে পদ্মপুকুর ভাই কোনভাবেই বলেনি যে ব্লগ আগে ভালো ছিল এখন নেই। উনি বোঝাতে চেয়েছেন সবসময়ই ভালো খারাপ আসছে কিন্তু যারা অনেক ভালো তাদেরকে ধরে রাখার উদ্যোগের কথা। যেমন, আপনি এ সময়কার একজন প্রতিভাবান ব্লগার। ধরুন আপনার সাথে চাঁদ গাজি ভাইয়ের কমেন্টে ঝামেলা হয়ে আপনি ব্লগ ছেড়ে দিলেন। কিন্তু অভিমানে বুঝতে চাইলেন না চাঁদ গাজি ভাই আপনার ভালো চেয়েই কমেন্টগুলো করেছে, যদিও একটু কর্কশভাবে। তাহলে সেক্ষেত্রে আমি যদি আপনাকে সব বুঝিয়ে বলি তাহলে নিশ্চয় আপনার অভিমান ভাঙ্গবে ।
কাজী ফাতেমা ছবি আপু, ব্লগ সব সময়ই ভালো এবং ভালো পোস্টও আসে। আর এ নিয়ে হাউ কাউ হচ্ছে না, হচ্ছে আপনি যেন ব্লগ ছেড়ে না যান। কারন আমরা আপনার সুন্দর সুন্দর পোস্ট মিস করতে চাই না।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
পদ্মপুকুর বলেছেন: সহব্লগার হিসেবে আমার হয়ে উত্তর দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ। কয়েকদিন আগে চাঁদগাজী স্যার পোস্টে মন্তব্য বিষয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে বলেছেন- পোস্টের চেয়ে মন্তব্য দিয়েই ব্লগারকে ভালো চেনা যায়..... ওই পোস্ট পড়ে বুঝলাম আমি আসলে বিশেষ ভালো ব্লগার নই্। এমনিতেই আমি মূল্যবান মন্তব্য করতে পারি না, এখন মন্তব্য করা নিয়ে বিশেষ দুশ্চিন্তায় ভুগছি।
এই যে আপনি এত সুন্দর করে আমার কথাগুলোকে বুঝিয়ে দিলেন, আমি পারতাম না।
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৭
মা.হাসান বলেছেন: চার নম্বর মন্তব্যে সোনাবীজ ভাইয়ে যা বলেছেন তার ব্যাপারে একটু সন্দেহ আছে। অর্থনৈতিক বিষয়টাকি আসলেই এত বড় হয়ে দাড়াতে পারে? ধারণা কম।
সামুর টেকনিকাল ত্রুটিগুলো পীড়াদায়ক। ইহজীবনে পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।
লোক বল এত কম কেন বুঝি না। জাদিদ ভাই কোন কারণে ব্লগের বাইরে একটু ব্যস্ত থাকলে ব্লগের ঝামেলা সামলানোর কেউ থাকে না। সিনিয়রদের মধ্যে থেকে একাধিক জনকে কি মডারেটরের সাহায্যকারি হিসেবে রাখা যায় না? একাধিক সিনয়র ব্লগারকে দেখেছি, ঠান্ডা মাথায় নিরপেক্ষ মতামত রাখতে।
অনেকেই এরকম মন্তব্য করেন- যার পোষায় থাকবে যার পোষায়না থাকবে না। এটি আমার কাছে ভালো মনে হয় না। ব্লগে বেশি ব্লগার থাকলে বেশি ভিউ হলে অ্যাড থেকে বেশি আয় হবে, ব্লগের ডেভেলাপমেন্টে এই টাকা ব্যয় করা যায়। প্রকাশনা ব্যবসা খুব একটা লাভ জনক না, তবে ব্লগে প্রকাশিত খুব ভালো মানের লেখা গুলো থেকে সংকলন বের করা যায়, অনেক ব্লগারই কিনতে আগ্রহী হবেন (এক রঙা এক ঘুড়ি সম্ভবত এরকম কিছু করে, তবে আমার চাওয়া সরাসরি সামু প্রকাশনি থেকে বই বের হোক)। ব্লগারদের জন্ম দিন বা নববর্ষ-ঈদ-পুজা-বড়দিন এসব উৎসবে ইমেইলে একটা কার্ড পাঠানো সম্ভব, খরচ বলতে কয়েক লাইনের কোড লেখা।
আহমেদ জী এস ভাই যেমন বলেছেন, আমরা সমাজ বিচ্ছিন্ন না, সমাজের অস্থিরতা আমাদেরও অস্থির-অসহিষ্ণু করে তোলে, তবে ব্লগে আসা ছেড়ে দেবো কেন?
আর ব্যস্ততার কথা মেনে নিতে কষ্ট হয়। ব্যস্ততার কারণে পোস্ট দেবনা এটা সম্ভব। কিন্তু পাঁচ বছরে একটা কমেন্টও করার সময় হয় না? এর অর্থ আসলে ঐ ব্লগার ব্লগ ছেড়ে চলে গেছেন বলেই ধরে নিতে হবে।
পাশ্চাত্যের দেশ গুলোতে একজন ক্লায়েন্ট যখন চলে যেতে চায় তখন সার্ভিস প্রোভাইডার তাকে ধরে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করে। এখানে আমাদের ধারণা জাস্ট বিপরীত-- তোর মতোন কত লেদাইন্যা লেদানোর লাইগা বইসা আছে, তুই গেলে যা গা। ১০০ জন ব্লগ ছেড়ে চলে গেলে যদি ৯৯ জন খারাপ মানের হয় তবে অন্তত ১ জনও তো ভালো হবার কথা। পাঠক হিসেবে আমি কিন্তু এখানে বঞ্চিত হচ্ছি। ব্লগে রেজিস্ট্রেশনের সময়ে যে ফোন নম্বর দেয়া হয়েছিলো তাতে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করাও কিন্তু সম্ভব (রেজিস্ট্রেশনের সময়ে শর্তাবলীতে এটা যোগ করে দিলেই এথিকসের দিক থেকে সমস্যা থাকে না)।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: গত ১৮-১৯ বছরে লেখক তৈরীতে এই ব্লগের ভূমিকা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। পরিমাণে কম বা বেশি যাই হোক না কেনো। যেমনটা আপনি বলেছেন, চলে যাওয়া ১০০ জনের মধ্যে অন্তত ১জন তো ভালো ব্লগার হওয়ার কথা। এখন এই একজন ভালো ব্লগার চলে যাওয়াটা দুঃখজনক, যেহেতু সে তৈরীই হয়েছে এই ব্লগজমিনে।
জাদিদ ভাইয়ের সাথে কথায় লোকবল কম থাকায় উনাদের পরিশ্রমের কথা উঠে এসেছে। লোকবল কেন বাড়ছে না সেটা কর্তৃপক্ষই জানেন। সব কিছুর পেছনে আর্থিক বিষয় থকতে পারে আবার নাও পারে। প্রয়াত ইমন যুবায়ের এর মত নিবেদিতপ্রাণ ব্লগার এই ব্লগে বিরল নয়। অনেকেই আছেন দিনে ২/৩টি পোস্ট দেন নিয়মিতই।
জাদিদ ভাই বলেছেন, এবারের বইমেলায় একটা গেটটুগেদার-আলোচনার ব্যবস্থা করবেন। দেখা যাক।
ধন্যবাদ স্যার, ভেরি অবজেকটিভ মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: ইয়্যু আর কিডিং মি...
১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মা.হাসান ভাই বলেছেন: চার নম্বর মন্তব্যে সোনাবীজ ভাইয়ে যা বলেছেন তার ব্যাপারে একটু সন্দেহ আছে। অর্থনৈতিক বিষয়টাকি আসলেই এত বড় হয়ে দাড়াতে পারে? ধারণা কম।
বিষয়টা একটু স্পষ্ট করা দরকার। এই ব্লগটা পরিচালিত হচ্ছে জানা-আরিল্ড দম্পতি'র ব্যক্তি-অর্থে। শুধু বাংলা ভাষা ও ব্লগের প্রতি এমন নিবেদিত-প্রাণ হয়ে নিজের অর্থ অকাতরে বিলিয়ে দেয়ার উদাহরণ আর আছে কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু, তারা কি সারাজীবনই এভাবে এককভাবে নিজের অর্থ খরচ করে যেতে থাকবেন? যদি হঠাৎ কোনো লিমিটেশন দেখা দেয়? সেই আশঙ্কা থেকেই আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ভাই (ভুলবশত আগের কমেন্টে আলী ভাইয়ের নাম বলেছি) একটা প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন- ব্লগের জন্য যদি একটা ইনকামের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ব্লগ কর্তৃপক্ষের জন্য সামান্য হলেই কিছুটা অর্থনৈতিক রিলিফ হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আমি যা বোঝাতে চাইছি তা হলো- গুণী ব্লগারদের ধরে রাখার জন্য সম্মানির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাতে ঐ ব্লগারদের জীবিকা নির্বাহের একটা পথ উন্মুক্ত হয়, ইনসেন্টিভে তারা উৎসাহিতও হবেন। কিন্তু মূল সমস্যা হলো- এই ইনসেন্টিভের জন্য যে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন, তার সংকুলান হবে কোথা থেকে?
ব্লগাররা মূলত লেখক। ব্লগে অবাধে এবং ইন্সট্যান্টলি লেখা পাবলিশ করতে পেরে তারা যেমন আবেগাপ্লুত, উৎসাহিত বোধ করেন, তা যদি ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হতে দেখেন, সেই আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যায়। ব্লগের নির্বাচিত লেখা নিয়ে মাসিক না হোক, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে লিটল ম্যাগ বা সাময়িকী প্রকাশের ব্যবস্থা করা গেলেও ব্লগারদের মধ্যে ব্লগে লেগে থাকার প্রবণতা অটুট থাকতো। কিন্তু, আমরা যে পদক্ষেপই নিতে চাই না কেন, তাতে সামান্য হলেও আর্থিক সংশ্লেষ দেখা দেয়।
আর্থিক সংশ্লেষ না ঘটিয়েও আমরা ব্যক্তি-উদ্যোগে কিছু কাজ করতে পারি। এ কাজটা করতে হবে তাদের, যারা বহুদিন ধরে এখনো ব্লগটাকে ধরে আছেন। আমরা ব্যক্তিগত ভাবে গুণী ব্লগারদের অ্যাক্টিভিটি মনিটর করতে পারি। তাদের কেউ যদি ইন্যাক্টিভ হয়ে যান, তাদের নক করতে হবে; তারা কোনোভাবে আহত বা ক্ষুব্ধ হয়েছেন কিনা, সেটাও জানতে হবে। ব্লগ-অথোরিটিও এ কাজটা পিরিয়ডিক্যালি করতে পারেন- তারা জানেন, ব্লগের প্রাণ কারা। দীর্ঘদিন ব্লগ থেকে দূরে থাকা সেরা ব্লগারদের তারা কল করতে পারেন। ব্লগ-অ্যাডমিনদের কার্যক্রমও আরো গতিশীল করতে হবে। এরকম আরো অনেক পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে। এতে ব্লগে প্রাণচাঞ্চল্য বাড়বে, গুণী ব্লগারদের স্থায়িত্বও বাড়বে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার বক্তব্য পুরোটাই সমর্থনযোগ্য স্যার। আমি একটা বিষয়ে হালকা ধারণা দিতে চেয়েছি আগামী দিনের স্বার্থে যেটা আসলেই আলোচনা হওয়া দরকার। আবু হেনা ভায়ের পোস্টটা আমি পড়িনি, কিন্তু আপনি যেরকম স্পেসিফিক করে বলছেন, সেটা হতেই পারে। ইনকামটা একটা দিক, আরো বিভিন্ন দিক আছে এক্সেলারেট করার, যেমন আগের মন্তব্যে আপনি বলেছেন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের ব্যবস্থা.. অথবা আপনার তৃতীয় প্যারায় লেখা কথাগুলো। হ্যাঁ আমি এরকমই কিছু করার কথা মনে করি।
একই সাথে ব্লগকে এগিয়ে নিতে ব্লগকর্তৃপক্ষের কিছু দায় ব্লগাররা নিতে পারি কিভাবে সেটাও আলচ্য হতে পারে।
ধন্যবাদ।
১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এ ধরনের পোস্ট এর আগেও দেয়া হয়েছে কিন্তু কেন যে পদক্ষেপ নেয়া হয় না জানিনা।
অপ্রিয় কথাগুলো সত্য এবং প্রাসঙ্গিক। ধন্যবাদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ স্যার। ব্লগকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে এই বিষয়গুলো নিয়ে আওয়াজ তোলা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলোতে চোখ বুলিয়ে গেলাম।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২১
পদ্মপুকুর বলেছেন: নেন তাবারক নেন তাইলে
১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করায়।
বক্তব্যে পূর্ণ সহমত।
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভায়ার ১১ নং মন্তব্য নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবা যেতে পারে।
আহমেদ জী এস ভায়ার শেষ কথাটাই সত্যি- ব্লগারদেরও উচিৎ হবে ব্লগ বাগানটিকে নিজের সুকুমার মনোবৃত্তি নিয়ে সর্বোচ্য পরিচর্যার।
আমাদের দায়বোধ বাড়ে প্রেমে
আমাদের সামু প্রেমে কি ঘাটতি চলছে?
বুকে হাত দিয়ে বলুনতোো -সত্যি ভালবাসী
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি খুবই আপ্লুত যে সবাই বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। এ সবই সামু প্রেমের প্রকাশ বলেই মনে করি, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি।
১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: অন্যদের কথা জানিনা, তবে আমার লিলিপুটিয়ান মগজ দ্বারা বকরীর লাদির মতন পোস্ট লেখা সম্ভব নহে ! লেখা চালু রাখিতে এবং ভালো লেখা লিখিতে প্রচুর সময় ব্যয় করিতে হয় যাহার আর্থিক মূল্য, জীবন মূল্য কম নহে ! ইহার বিনিময় না পাইলে শুধুমাত্র লেখালেখির প্রতি ভালোবাসা, নেশা হইতে ব্লগিং চালাইয়া যাওয়া দুরহ বটে। একারণেই লেখকেরা প্রফেশনাল লেখক হইতে অন্য মাধ্যমে চলিয়া যান, অনেকেই লেখালেখি ছাড়িয়া দেন ! সত্যি বলিতে পর্যাপ্ত ইনকামের ব্যবস্থা থাকিলে আমি ফুল টাইম ব্লগার হইয়া যাইতাম। কারণ লিখিয়া যে আনন্দ পাই অন্য কিছুতে সে আনন্দ নাই !
ইহার সমাধান হইতে পারে সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে ! খুব অল্প পয়সায় শুরু করিলেও ভালো লেখকদের যদি সম্পৃক্ত করা যায়, ভালো লেখা যদি আনা যায়, ভালো লেখক যদি তৈরী করা যায়, শিক্ষা , স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি , বিভিন্ন ফিচার যদি যুক্ত করা যায় তাহা হইলে জার্নালের মতোই ব্লগও কার্যকর হইবে, গতিশীল হইবে, লেখকেরা আয় পাইবে , ব্লগ কতৃপক্ষও আয় পাইবে ! কন্ডোমের বিজ্ঞাপন না দিলেও আয় কম হইবে না !
আবার প্রজন্মের ব্যাপারও আছে। আমাদের যে প্রজন্ম ব্লগিং শুরু করিয়াছিল পরের প্রজন্ম ফেসবুকে চলিয়া গিয়াছে ! অনেকটা ইস্কুলের ব্যাচের মতন এখানেও ব্লগারদের ব্যাচ আছে ! ব্যাচের দুয়েকজন চলিয়া গেলে বা নিষ্ক্রিয় হইয়া গেলে অন্যরাও আর আগ্রহ পায় না ! ব্লগ কতৃপক্ষের উচিত প্রত্যেক ব্যাচের লিডারদের সাথে কার্যকর যোগাযোগ রাখা ! তাহা হইলে অন্যদেরও রাখা যাইবে !
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: কিছুটা দ্বিমত করছি স্যার।
১. এখানে শুধু অর্থনীতিই সমাধান, আমি তা মনে করিনা। উপরেই ইমন যুবায়ের স্যারের কথা বলেছি। কিসের প্রেরণায় উনি এখানে ইতিহাস লিখেছেন?
২. লেখক ধরে আনার প্রয়োজন আদৌ আছে কি? এই ব্লগই প্রচুর ভালো মানসম্পন্ন লেখক তৈরী করেছে যারা অন্য মাধ্যমে আলো ছড়াচ্ছে।
৩. প্রজন্মের ব্যাপার অবশ্যই আছে। তবে এই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের বিবর্তনের পরও ছাাঁপা মাধ্যম জনপ্রিয় হয়েই আছে।
বাকিগুলোর সাথে কঠিনভাবে সহমত।
ভালো থাকবেন। এর পরেরবার আইলে জেনকে সাথে নিয়া আইসেন। আমার ছোট্টবেলার অবিচ্ছেদ্য অংগ ছিলো ইত্তেফাকের 'এডগার রাইজ বারোজ'...
১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
শের শায়রী বলেছেন: পদ্ম ভাই,
আমি নিজেকে ব্লগার ভাবতে কুন্ঠিত বোধ করি নিজের লেখনির সীমাবদ্ধতা নিয়ে, আপনি যে পোষ্ট দিয়েছেন বা স্মরনিকায় যা লেখা এসেছে সেগুলোর সাথে সম্পূর্ন এক মত তবে এর সাথে আরো একটু যোগ করি, সেটাও ওই আপনার লেখায় নীচের লাইনের মত ভালোবাসার জায়গা থেকে, দুনিয়ার সব কিছু এগিয়ে গেছে তাতে ফেস বুক বলুন বা অন্যান্য দেশীয় ব্লগ সেখানে সামু আরো পিছিয়ে গেছে, সামান্য একটা উদাহরন দেই, সামুতে কোন টেলি নেট দিয়ে ঢোকা যায় না, এক মাত্র ব্রড ব্যান্ড বা ভি পি এন দিয়ে। জানি সামু কর্তৃপক্ষের এক্সকিউজ আছে এই না সেই, কিন্তু বাস্তবতা হল এই ধরনের একটা প্লাটফর্ম চালাতে গেলে প্রথমেই তাকে সার্বজনীন করতে হবে, ব্লগ বন্ধ থাকার পরো প্রায় মাস তিনেক হয়ে গেল সামু এই সামান্য ব্যাপারটা সমাধান করতে পারেনি, এক্সকিউজ দিলে অনেক দেয়া যায়। কিন্তু কাজ তো আগাবে না।
সামু ব্লগারদের ধরে রাখতে পারে না, সে সব পরে আলাপ করব, সামু এখন শুধু ব্রড ব্যান্ড ভিত্তিক একটি প্লাটফর্ম। যদি এই সমস্যা সমাধান করা যায় আমি বিশ্বাস করি সামুর পাঠক অন্তত এক কোটি বেড়ে যাবে, লেখক ও বাড়বে। এভাবে ব্লগিং কি চলে?
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো একটা বিষয় সামনে আনার জন্য।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: এই পোস্টে প্রায় সব মন্তব্যই পোস্টের সমান বড় বড় মন্তব্য। এটাই প্রমাণ করে যে এই বিষয়টা নিয়ে ব্লগারবৃন্দ কনসার্নড আছে। আমি নিজে প্রযুক্তি বিষয়ে তেমন কিছুই বুঝি না, তাই আপনার মত ডিটেইলে বলতে পারিনি। অল্প কয়েকটা উদাহরণ দিয়ে বলেছি যে প্রযুক্তিগত খামতি...।
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।
১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
ইমরান নিলয় বলেছেন: টেকনিকালি এই ব্লগটা আরেকটু ইমপ্রুভড হলে আর কিছু আইডিয়া পুশ করতে পারলে সামুতে আবার বিপ্লব সম্ভব।
১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অপ্রিয় কথা প্রিয় লাগলো। ++
১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ৭নং মন্তব্যের জবাবে কিছু কথা: আসলে সে সময় আমি ব্লগিং করতাম। ব্লগিং ভালোবাসি। তখন আইডিতে সমস্যা হলে আরেকটি আইডিয়া খুলেছিলাম। পরবর্তীতে নামের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে (সত্যের ছায়া) শব্দটি রেখে দেই। আপনি ঠিক বলেছেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ। এতদিন পর জবাবটা দেওয়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১০
রাজীব নুর বলেছেন: যারা চলে যাবে যাক। তাদের নিয়ে আফসোস করার কিছু নেই।
দিন শেষে কাউকেই ধরে রাখা যায় না। ২০ বছর সংসার করে আদরের পুত্র কন্যা রেখে স্বামী অথবা স্ত্রী অন্য কারো হাত ধরে চলে যায়।
১। ব্লগ আগে ভালো ছিলো, এখন ভালো না-
২। আগে ভালো ব্লগার ছিলো, এখন নাই-
৩। আগে ভালো লেখা হতো, এখন আসে না-
এই টাইপ কথা গুলো কখনই বলা উচিত না। তাতে বর্তমা ব্লগাদের উপর বেশ মানসিক চাপ পোরে।
যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। মানুষের বর্তমানটাই আসল।
ভালোবাসা নিরন্তর।