নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুমায়ুন একবার বলেছিলেন ‘আমি দুই তিনজন মানুষ থাকলে খুব ভালো কথা বলতে পারি, দশ বারোজন হলে একটু একটু বলতে পারি কিন্তু এর চেয়ে বেশি হলে কিছুই বলতে পারি না’। হুমায়ুনের আশেপাশে থাকা মানুষেরা জানেন, তিনি অত্যন্ত আড্ডাপ্রিয় এবং বন্ধুবৎসল ছিলেন। তাই নিজের সম্পর্কে বলা হুমায়ুনের এই কথাগুলো আতিশয্য হলেও ক্রিয়েটিভ মানুষের ক্ষেত্রে এই স্টেটমেন্টটা মোটের উপর সত্যি বলেই ধরে নেওয়া হয়।
কোনো এক অদ্ভুত কারণে ক্রিয়েটিভ মানুষেরা সবার সাথে মিশতে পারে না। যারা বিখ্যাত হয়ে গেছেন তাদের কথা আলাদা, কিন্তু বেশিরভাগ ক্রিয়েটিভ মানুষের সম্পর্কে বলা হয়, ‘ও তো অমিশুক’ ‘গোঁয়ার’ ‘ইনট্রোভার্ট’ ‘অসামাজিক’ ‘ম্যানারলেস’ কখনও সখনও ‘ও একটা পাগল’। অবশ্য পাগল শব্দটা ভালোবেসে বা আদর করেও বলা হয়।
আমার মনে হয়, ক্রিয়েটিভ মানুষের চিন্তার ধারা বা লেভেলটা আমাদের মত সাধারণ মানুষের সাথে মেলেনা। যেকোনো বিষয়কে বোঝার জন্য কম বুদ্ধির কারণে আমরা যখন নানাভাবে চেষ্টা করতে করতে গলদঘর্ম হই, তখন ক্রিয়েটিভ মানুষটি তার ভিন্ন ধারার চিন্তা পদ্ধতির কারণে, ভিন্নভাবে দেখার ক্ষমতার কারণে হয়তো ঘটনা ঘটার আগেই প্রেডিক্ট করে ফেলে। এর ফলে একটা ছোট বাচ্চার নতুন আবিষ্কার যেমন বড়দের কাছে অগুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, ঠিক তেমনি ক্রিয়েটিভ মানুষের কাছেও আমরা ছোট বাচ্চার পর্যায়ের বিবেচিত হই। আর ঠিক এ কারণে অতি সাধারণ যে সব বিষয় নিয়ে আমরা আনন্দিত হই, আড্ডা দিই, পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়াই, সে বিষয়গুলো একজন ক্রিয়েটিভ মানুষের কাছে ঠুনকো মনে হয়, নিম্নস্তরের মনে হয়। সে হয়তো করুণার দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে, ‘কি সব ফালতু বিষয়ে আলোচনা করে এরা!...’
এই অবস্থায় সে যেহেতু তার সমসাময়িক অন্যদের কাছে মনের খোরাক পায় না, বুদ্ধিবৃত্তিক সঙ্গী পায় না, সে ক্রমেই নিঃসঙ্গ হতে থাকে। বাস্তবে আমি এ রকম অনেককেই দেখেছি। এই নিঃসঙ্গতা ক্রিয়েটিভ মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে খুবই পিছিয়ে দেয়। দেখা যায়, এক্সট্রোভার্ট সহকর্মীর যোগাযোগক্ষমতার বিপরীতে উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাভাবনা বা যোগ্যতা থাকা সত্বেও ক্রিয়েটিভ মানুষগুলো ডমিনেন্ট হতে থাকে এবং এই ডমিনেন্সিকে মেনে নিতে না পেরে তৈরী হওয়া অভিমান থেকে এক সময় সে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দেয়। এ কারণেই হয়তো বেশিরভাগ ক্রিয়েটিভ মানুষ শেষ পর্যন্ত একা একা কাজ করেন।
একই ধরনের অভিমান সে বোধ করে তার বন্ধুদের প্রতিও।
ব্লগাররা হয়তো তেড়ে উঠতে পারেন যে, আরে ভাই, আমি তো ব্লগিং করি, আমি তো ক্রিয়েটিভ, কিন্তু আমিতো ইনট্রোভার্ট না। অথবা বিদ্রোহী কবি নজরুল কি ইনট্রোভার্ট ছিলেন? উনি তো তার আড্ডাবাজির জন্য বিখ্যাত ছিলেন, ইত্যাদি ইত্যাদি......। ভাইয়েরা, রাগ করবেন না। এগুলো আমার কথা না। পণ্ডিতদের কথা। অ্যাপল এর সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক যেমনটা বলেছেন ‘Most inventors and engineers I’ve met are like me. They’re shy and they live in their heads. The very best of them are artists. And artists work best alone…”
আবার দ্য গিফটেড ডিভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. লিন্ডা সিলভারম্যান বলছেন- ‘Introverts are wired differently from extroverts and they have different needs…..Introverts get their energy from within themselves; too much interaction drains their energy and they need to retreat from the world to recharge their batteries.’
পশাপাশি হু ইজ মোর ক্রিয়েটিভ: ইনট্রোভার্টস অর এক্সট্রোভার্টস আর্টিকেলটা পড়তে গিয়ে খুব মজা পেলাম। ওখানে বলা হচ্ছে‘Introverts have the most energy and ideas when they are alone. It’s really difficult for them to think out loud and verbalize their ideas on the spot, so when it comes to meetings or group brainstorming, it seems like they have nothing to say. In fact, all introverts need is some alone time to ponder and reflect before they share something valuable.’
এইটুকুর জন্যই অবশ্য বলে দেওয়া যায়না যে ক্রিয়েটিভ মানুষ মাত্রই ইনট্রোভার্ট, যেখানে ক্রিয়েটিভিটি ও মানব মন নিয়ে গবেষণাকারী দার্শনিক মিহাই চিকসজেনমিহাইলি বলছেন “Creative people tend to be both extroverted and introverted. We’re usually one or the other, either preferring to be in the thick of crowds or sitting on the sidelines and observing the passing show.”
আবার ক্রিয়েটিভ লোকদের সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা “তারা অগোছালো” হলেও বাস্তবে গবেষণা বলছে ক্রিয়েটিভ মানুষগুলো গোছালো এবং শৃংখলাবদ্ধ। মজার ব্যাপার! তবে একটা বিষষে সবাই একমত যে এ ধরণের লোকেরা খুবই স্পর্শকাতর এবং নিজেদের অর্ন্তনিহিত বোধ এর কারণে গর্বিত থাকেন।
আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ আছেন, খুবই ক্রিয়েটিভ। অনেক পুরোনো পরিচিত। যখন থেকে পরিচয়, তখন থেকেই দেখেছি, ক্রিয়েটিভ আর্টের যে শাখাতে তিনি গিয়েছেন সেখানেই তিনি ভালো করেছেন। আউট অব দ্য বক্স থেকেছেন। শেষ পর্যন্ত আর্কিটেকচারের সাথে ঘর বাঁধাতে সফল আর্কিটেক্টই হয়েছেন এবং একজন সহযোগী আর্কিটেক্ট এর সাথে মিলে ফার্ম দিয়ে খুব সুন্দর কাজ করছেন। একদিন কথায় কথায় নিজেদের তৈরী প্রতিষ্ঠানে তাঁর ভূমিকা নিয়ে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলেন, অথচ ওই প্রতিষ্ঠানের গুডউইলটাই তৈরী হয়েছে তার অসাধারণ ডিজাইন সেন্স এর কারণে। আমি একটু অবাকই হলাম।
তা ছাড়া এই ব্লগের একজনকে আমি বাস্তবে চিনি, যার লেখা আমি খুবই পছন্দ করি, ওর মত লিখতে চেষ্টা করি। তাকেও আমি দেখেছি ক্রমেই নিজের মধ্যে গুটিয়ে যেতে। এখন তো দেশ ছেড়েই চলে গিয়েছে। মূলত এই দুজনকে দেখেই আমার মনে হতে থাকে যে তবে কি ক্রিয়েটিভ লোকেরা অসামাজিক? ইনট্রোভার্ট?
যদিও গবেষণা মানব মনকে সব সময় সঠিক বিশ্লেষণ করতে পারে না, তবুও আমার মনে হচ্ছে হয়তো এটাই ঠিক। ওরা ইনট্রোভার্ট। এজন্যই হয়তো আমাদের শিল্পীদের ইন্টারভিউতে বলতে দেখি ‘আমি অভিনয় করলেও আমি আসলে মানুষের সাথে মিশতে পারি না’।
আমার পোড়াকপাল, সারাজীবন অন্তর্মুখী অপবাদ ঠিকই শুনলাম কিন্তু ক্রিয়েটিভ হতে পারলাম না!
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: তার মানে আপনি একজন ক্রিয়েটিভ । আর গত কিছুদিন যাবত আপনি সেটা প্রমাণও করে যাচ্ছেন ব্লগে সুন্দর সুন্দর লেখা দিয়ে।
ভালো থাকবেন।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ স্যার।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ক্রিয়েটিভ মানুষেরাও বর্হিমুখি হয় ও সবদিক থেকে ভালই হয়। আর উল্টোটাও হয়।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১
পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে ক্রিয়েটিভ মানুষরা বহির্মুখি হয়ে গেলে খাচ্চর টাইপ হয়ে যায়
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লেগেছে পোস্ট
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। কেউ যখন বলে যে লেখা ভালো লেগেছে, তখন নিজেরও ভালো লাগে।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: তার মানে আপনি একজন ক্রিয়েটিভ । আর গত কিছুদিন যাবত আপনি সেটা প্রমাণও করে যাচ্ছেন ব্লগে সুন্দর সুন্দর লেখা দিয়ে।
ভালো থাকবেন।
সৃষ্টিশীল একটা মন থাকতে পারে তবে সেটাকে ক্রিয়েটিভ না বললেই ভালো হবে।
ভালোবাসা জানবেন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: হু! ওরাকল অব ডেলফি'র ঘটনায় সক্রেটিস বিনয়ী হয়ে বলেছিলেন, 'আমি জানি যে আমি কিছুই জানি না'....
আবার মহাবিজ্ঞানি নিউটন বলেছিলেন, আমি জ্ঞান সাগরের তীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি মাত্র!!
আর বলবো? /
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
সাইন বোর্ড বলেছেন: আপনার ভাবনার সাথে একমত, আসলেই ক্রিয়েটিভ মানুষেরা অনেকটা নিরুপায় হয়েই একটা সময় নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: এই কারণেই তো পার্থ গেয়েছিলেন- কেনো এই নিঃসঙ্গতা.... ওঁর তো নিঃসঙ্গতাই প্রাপ্য, ক্রিয়েটিভ যে!
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: সৃষ্টিশীল মানুষের সংখ্যা এই সমাজে খুব কম। আফসোস করার কিছু নেই।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: এম্নে কপাল খারাপ, তার উপ্রে দিলেন ধাক্কা মাইরা!!
৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের সাথে ছবিটা খুব সুন্দর দিয়েছেন ভাই।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে আমি তো আর আপনার মত ছবি তুলতে পারি না, তবে অন্যের তোলা সুন্দর ছবিগুলো খুঁজে ব্যবহার করতে পারি।
৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ভালো লেগেছে
ব্লগে নিয়মিত হবেন আশাকরি !
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: জব্বার কাক্কু ব্লগ খুলে দেওয়ার পর থেকে নিয়মিতই আছিরে ভাই। কিন্তু ব্যাংকে বছরের শেষ সময়ের টান লেগেছে তো, একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে।
১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬
কলাবাগান১ বলেছেন: ভালো অবজার্ভেশন.....প্রায় ভাল ছাত্র/ছাত্রী রা ও এরকম ইন্ট্রোভার্ট...ফলে অনেক সময় তারা এক্সট্রোভার্ট দের দ্বারা বুলির ও শিকার হয়।
ফোটোশপে করা ছবিটার আলাদা ভাবে বসা পাখীটাকে ক্রিয়েটিভ বলতে পারব না...ওর বসার ভংগি, তাকানোর ভংগি সবই তো দলেরই একজন পাখীর মত..কপি-পেস্ট করা দলের একজন পাখির থেকে। আলাদা ভাবে বসা পাখী টা যদি অন্য ভংগীতে বসত, তাহলে আরো বেশী ক্রিয়েটিভ বলে বুঝা যেত....
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম। ভালো আছেন নিশ্চয়। আপনার কথাও ঠিক। সে অনুযায়ী এখানে 'ক্রিয়েটিভ' শব্দের বদলে যদি 'বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উন্নত' কথাটা ব্যবহার করাটা পারফেক্ট হতো।
আর ছবিটা ইন্টারনেট থেকে পাওয়া, আপনি বলার পর ছবিটা ভালো করে দেখলাম, ফটোশপড কিনা বুঝতে পারলাম না। হতে পারে, না ও হতে পারে। পাখিরা দলে থাকলে একই ধরণের আচরণ করে। আমি এ ছবিটা নিয়েছি, কারণ সে দল থেকে দুরে নিঃসঙ্গ অবস্থায় আছে।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং। শুভ ব্লগডে।
১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ক্রিয়েটিভিটির ছিটেফোটাও নাই তবুও বেশি মানুষের সাথে মিশতে পারিনা !!!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমারও একই দশা স্যার! তবে মন্তব্য পড়তে গিয়ে দেখছি, এই দলেও প্রচুর মানুষ...
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং। শুভ ব্লগডে।
১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৩
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: খুবই চমৎকার পোস্ট!
সকলের ক্ষেত্রে অবশ্য হয় না। আমি নিজেও চূড়ান্ত রকমের ইন্ট্রোভার্ট। কিন্তু ক্রিয়েটিভিটির ছিটেফোঁটাও নেই। কিন্তু আমার কিছু বন্ধুকে দেখেছি,ওরা খুবই অন্তর্মুখী স্বভাবের,একা একা থাকে,একা মনে চিন্তাভাবনা করে। ওদের চিন্তার জগৎ,ধরণ অন্যদের থেকে ভিন্ন,আউট অব দ্য বক্স চিন্তা করতে পারে ওরা। কিন্তু টিম ওয়ার্কে কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলে। আর ওদের গতানুগতিক চারপাশ নিয়ে সবসময় ওদের মধ্যে একটা বিরক্তি অথবা হতাশা কাজ করে।
দারুণ অবজারভেশন আপনার++
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্যার। পোস্টে ডাবল প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। একটা সুন্দর কথা আপনি বলেছেন যে ওরা গতানুগতিক চারপাশ নিয়ে সবসময় বিরক্ত বা হতাশ থাকে। খুবই সত্যি কথা। তার কারণও হয়তো সেই একই, যে তারা তাদের আশেপাশের মানুষকে তাদের চেয়ে নিম্নস্তরের চিন্তাভাবনা করতে দেখে।
আমার একবার মহান স্থপতি মাজহারুল ইসলামের সাথে সাক্ষাতর সুযোগ হয়েছিলো। পরীবাগে উনার বাড়িতে, যেখানে এখন শান্তা প্রোপার্টিজের এসপিএল দিগন্ত প্রজেক্টটা রয়েছে। তখন আমি সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। ওনার সাথে কিছু কথাবার্তার পর উনি আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন যে আমার মনে হতে থাকলো, ধরণী দ্বিধা হও.... এতদিন পর এসে মনে হয়, আরে আমি ওটা কি করেছিলাম, কি বলেছিলাম পাগলের মত!
এই যে সাধারণ একটা বিষয়, যেটা এতদিন পরে আমি বুঝতে পারছি যে খুবই অর্বাচীনের মত হয়েছিলো... অথচ একজন বুদ্ধিমান মানুষ, ক্রিয়েটিভ মানুষ হয়তো ওই সময়েই সেটা ধরে ফেলতেন। এই বুদ্ধিবৃত্তিক পার্থক্যই পারিপার্শ্বিকতার উপর তাদেরকে বিতৃষ্ণ করে তোলে বলে আমার মনে হয়।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং। শুভ ব্লগডে।
১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: পদ্মপুকুর,
আপনার লেখা পড়ে গর্ব বোধ করছি !
এই প্রথম আমার দীর্ঘ জীবনে ঘুরকুনো আমি যে সুপার ক্রিয়েটিভ হবার সব বৈশিষ্ট্যই ধারণ করি কেউ সেটা সামনে সামনি না বললেও লেখার রেখায় পরোক্ষ ভাবে বললো ! আপনার জয় হোক, আপনি দীর্ঘজীবী হোন ।
হ্যাপি ব্লগ ডে ও হ্যাপি হলিডে ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: হাহাপগে!!! ঘটনাটা কি, সব ঘরকুনোরা কি সামুতে জড়ো হয়েছে দলে দলে?
আমার মনে হয় স্যার, এই সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে আপনি যদি ক্রিয়েটিভ না ও হন, জাতির কোনো ক্ষতি হবে না, কারণ যে সুন্দর সুন্দর লেখা আপনি প্রসব করেন, সেগুলোই যথেষ্ট আপনাকে প্রমাণ করার জন্য। এ রকম লিখতে পারলে বর্তে যেতাম।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং। শুভ ব্লগডে।
১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার কোন ক্রিয়েটিভিটি নেই। কিন্তু আড্ডা দিতে ভালোবাসি। আমাদের মতো লোকের সংখ্যাই বোধহয় বেশি।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিও আড্ডা দিতে ভালোবাসি অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ ক্রিয়েটিভ.... (মাই নেম ইজ খান অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেরোরিস্ট)।
বাই দ্য ওয়ে, এই বেবিটা কি আপনার কেউ হয়? কিউট খুব।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং। শুভ ব্লগডে।
১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে আমি তো আর আপনার মত ছবি তুলতে পারি না, তবে অন্যের তোলা সুন্দর ছবিগুলো খুঁজে ব্যবহার করতে পারি।
সুন্দর একটা ছবি খুঁজে বের করেছেন। এর থেকেই বুঝা যায় আপনি চাইলে ভালো ছবি তুলতে পারবেন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক।
এক সময় ব্লগে একজন রাজামশায় ছিলেন, এখন আর নেই, থাকলে নিশ্চয় আপনাকে ইনাম দিতেন এই মুহুর্তে
১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮
শিখা রহমান বলেছেন: পদ্ম অনেকদিন পরে একটা পোস্ট পড়ে খুব খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন।
Mihaly Csikszentmihalyi য়ের কথাগুলো ভালো লেগেছে। আমার মনে হয় যে সৃজনশীল মানুষগুলো এলোমেলোর মাঝেই কোন আশ্চর্য সুন্দর ভাবে ছন্দ বোনে আর সে জন্যেই তাদের সৃষ্টিরা এমন সুন্দর!!
পোস্টে লাইক আর প্রিয়তে নিলাম।
ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা নিরন্তর।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২২
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাব্বাহ, আমার লেখাও প্রিয়তে যাচ্ছে তাহলে!
মিহাই চিকসজেনমিহাইলিকে পড়েছেন না কি? ক্রিয়েটিভিটি এবং মানুষের মন নিয়ে প্রচুর লেখা আছে উনার। এখানেও সুন্দর করে বলেছেন।
ভালো থাকবেন, ব্লগডের শুভেচ্ছা।
১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাই দ্য ওয়ে, এই বেবিটা কি আপনার কেউ হয়? কিউট খুব।
এইটা আমার নাতনি। বড় ছেলের মেয়ে। নাম নয়নতারা। অবশ্য পোশাকি নাম তানিশা তৌহিদ। নয়নতারা ছাড়াও আমি ওকে টুনটুনি পাখি, টুকটুকি পাখি, ময়না পাখি, তোতা পাখি, হীরামন পাখি ইত্যাদি নামেও ডেকে থাকি। ছবিটা ওর ছয় মাস বয়সে তোলা।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: নাতনি!!!!!
আপনি নানা হয়ে গিয়েছেন? সর্ব্বনাশ, আমিতো আপনার লেখা পড়ে আপনাকে আমাদের সমবয়সী মনে করেছিলাম....
১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পদ্মপুকুর ভাই,
আপনার লেখাটা পড়ে আমারও একটু একটু নিজেকে ক্রিয়েটিভ বলে মনে হচ্ছে। একটা লাইন দেখলাম ক্রিয়েটিভ লোকেরা পড়ালেখার জন্য নির্জনে থাকতে পছন্দ করেন। অমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি অবসরের পর গ্রামে চলে যাব। এই একটি ক্ষেত্রেই বোধহয় আমিও ক্রিয়েটিভ বৈশিষ্ট্যের অধীকারী হলাম হাহাহা
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: যাক সিরিয়াল লম্বা হচ্ছে
তবে মনে হচ্ছে ক্রিয়েটিভ লোকদের আসলেই অন্তর্মুখীতা রয়েছে। কারো কম, কারো বেশি।
১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নানা নই, দাদা হয়ে গেছি। তার মানে আপনার প্রেডিকশনের চেয়েও একটু বেশি বুড়ো। হাঃ হাঃ হাঃ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমিও নিজেকে বহির্মুখী নই বলে জানি।
পোস্ট ভালো লেগেছে।