নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাইটার’স ব্লক কাটানোর জন্য ভ্রমণ ব্লগ লেখা সবচেয়ে উপযোগী বলে আমার মনে হয়। কিন্তু সবাইতো আর সরাফত রাজ, আখেনআটেন, রিম সাবরিনা জাহান বা জুন না, যে দিন দুয়েক পরপর ট্যুরে যাবো আর সেটা লিখে ফেলবো! আমাদেরকে তাই অপেক্ষা করতে হয় পরবর্তী ট্যুরের জন্য; যেটা নিয়ে লিখে এই ব্লকেজ থেকে বের হতে পারি।
আমিও সেভাবেই অপেক্ষায় ছিলাম গেল সপ্তাহের কক্সবাজার ট্যুরের জন্য। এবার নিয়ে বোধহয় পনেরোবারের মত গেলাম। বিষয়টা এমন না যে সমুদ্র আমার খুব ভালো লাগে, আসলে আমার খুব কাছের বন্ধু রুপনের জন্যই ঘুরে ঘুরে কেবল কক্সবাজার যাই। কক্সবাজারে রুপনের মালিকানায় কয়েকটা হোটেল আছে, সেন্ট মার্টিনসে যাওয়ার শিপে ওদের মালিকানা আছে, এমনকি সেন্ট মার্টিনসে কাঠ দিয়ে বানানো ওর একটা কটেজও আছে। ফলে ঠেলে গুতায়ে কোনোভাবে কক্সবাজার বিচে গিয়ে পড়তে পারলেই খালাস! এর পর সব দায়িত্ব রুপনের।
কিন্তু এবার সেই রুপনের জন্যই ভ্রমণ ব্লগ না হয়ে লেখাটা হয়ে গেলো সাফল্যের পেছনে হারিয়ে যাওয়া কিছু কষ্টগাঁথা।
চট্টগ্রামের এক ধনী পরিবারের ছেলে রুপন আমার রুমমেট ছিলো যখন আমি ঢাকার একটা মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে আলিমে (ইন্টার) পড়তাম। তারপর আলিম শেষ করে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়লাম ওদিকে রুপন নিজ শহরে ফিরে গিয়ে স্থানীয় একটা কলেজে অ্যাডমিশন নিলো এবং বছর দুয়েক না যেতেই কক্সবাজারে হোটেল ব্যবসা শুরু করলো।
এ পর্যন্ত পড়ে খুব মসৃণ মনে হলেও বিষয়টা সহজ ছিলো না একদমই। প্রায় কুড়ি বছর আগে রুপন যখন কক্সবাজারে কাজ শুরু করে তখনকার কক্সবাজার এখনকার মত ঝাঁ চককচে-আলো ঝলমলে ছিলো না, পর্যটকদের পদচারণাও ছিলো নগণ্য। অপর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধার পাশাপাশি প্রশাসন এবং স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে এ ধরণের ব্যবসা শুরু করা যথেষ্ঠই কঠিন ছিলো, বিশেষত রুপন যখন দেখতে আগাগোড়াই ছোটখাটো এবং খুবই হালকা গড়নের।
সে সময়ে এখনকার মত যোগাযোগসুবিধা না থাকলেও রুপনের সাথে আমার যোগাযোগটা থেকে গিয়েছিলো শুরু থেকেই। রুপন যখনই ঢাকা আসতো, নিকটাত্মীয়ের বাসায় না উঠে ও মুহসীন হলে আমার রুমে চলে আসতো। ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতো আমাদের সাথে। এভাবে ক্যাম্পাসে আমার বন্ধুদের সাথেও একাত্ম হয়ে গিয়েছিলো রুপন। একবার আমি বলাতে পহেলা বৈশাখের উৎসবে যোগ দিতেই ও ঢাকায় চলে এসেছিলো। তখন এগুলো খুব স্বাভাবিক মনে হতো। হ্যাঁ, একটা ছেলেতো চাইলে আসতেই পারে। কক্সবাজার থেকে ঢাকা আর কতই বা দুর!
আমার কিছুটা গর্ব ছিলো যে আমার একজন বন্ধু আস্ত একটা হোটেলের মালিক, যেখানে আমরা তখন মাসকাবারি মাত্র তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ করি। কিন্তু কখনওই মনে হয়নি যে রুপনের আমাদের কাছে চলে আসার পেছনে অন্য কোনো গল্পও থাকতে পারে। এখন বুঝতে পারি, আসলে ক্যাম্পাসে আমাদের উচ্ছল জীবনের কিছুটা ভাগ নিতেই রুপন আমাদের কাছে আসতো, যে সুযোগটা ও হারিয়ে ফেলেছিলো কৈশোর পার হওয়ার পরপরই কর্মক্ষেত্রে ঢুকে যাওয়াতে। আমরা ভাবতাম, বাপরে! এই বয়সেই এতবড় ব্যবসা, বিমানে যাওয়া-আসা.. .. আর রুপন ভাবতো, আহা, এদের কত আনন্দ, কত্ত স্বাধীনতা। ও তৃষিত চোখে দেখতো আমাদের উচ্ছলতা, বাধা বন্ধনহীন জীবন!
আমরা কখনওই ওর সফলতার পেছনের এই না পাওয়াগুলোকে দেখতে পাইনি অথবা দেখতে চাইনি। পেছনের এই অস্পষ্ট দৃশ্যগুলো দেখার চোখ তখন আমাদের ছিলোই না!
তারপর একদা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে আমরা যদ্দিনে কর্মজীবনের দরজায় দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করলাম, তদ্দিনে রুপনের পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের ছোট্ট হোটেল দুই শতাধিক স্যুইটের বিশাল পাঁচ তারকা হোটেলে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রামে তৈরী হয়েছে নিজেদের আবাসন ব্যবসা। সফলতার ঝলকে রুপনের জগত এখন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকা ছাড়িয়ে গুয়াংজু-ব্যাংকক, কেএল-সিঙ্গাপুর, নিউই্য়র্ক-টরোন্টো বা লন্ডন-আমসটার্ডাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ব্যবসায়িক ব্যস্ততা রুপনকে আক্ষরিক অর্থেই বিশ্বনাগরিক বানিয়ে দিয়েছে।
ক্যাম্পাসজীবন থেকে যখনই কক্সবাজার সেন্ট মার্টিনস গিয়েছি, বাধ্যতামূলকভাবে রুপনকে আমাদের সাথে লটকে নিয়েছি। রুপনও আগ্রহের সাথেই থেকেছে। একা বা ফ্যামিলিসহ। দলীয় আনন্দময়তার ভেতরে রুপনের অসম্ভব ব্যস্ততা বুঝে উঠতে পারিনি; বরং আমরা রুপনের উপস্থিতিতে নির্ভার থেকেছি সব দায়িত্ব বিনা দ্বিধায় ওর উপর বর্তিয়ে দিয়ে। এখন মনে হয়, আমাদের সাথে কাটানো সময়গুলো ওর জন্যও ছিলো কিছুটা সতেজতার, নিজেকে ছুটি দেওয়ার।
আগে যখন একাকি গিয়েছি, তখন রুপনের সাথে ওর স্যুইটেই থেকেছি, ওর ব্যস্ততা কম ছিলো তাই একসাথে ঘুরেছি, বিচে গেয়ে বসে থেকেছি। মাঝে দীর্ঘদিন দল ধরে যাওয়ায় ওভাবে আর একসাথে সময় কাটানো হয়নি। এবার দলছুটভাবে গিয়ে রুপনকে একা পাওয়া গেলো। এক রাতে গল্প করতে করতে শুনলাম ওর সংগ্রামের কথাগুলো। রুপন বলে চলেছে কি ভাবে সে দিনের পর দিন প্রায় একা এই ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের একটা একটা করে ইট গেঁথেছে, কি পরিমাণ প্রতিকুলতার মোকাবেলা ওকে করতে হয়েছে... ..
রাত বাড়ছে, রুপনের কথায় ক্লান্তি চলে আসছে। আমি অনুভব করি, সে ক্লান্তি শুধু সারাদিনের পরিশ্রমজনিত ক্লান্তি নয়, বরং কিছুটা অসহায়ত্বেরও। এই অসাহয়ত্ব সফলতার চক্রের কাছে। যে চক্রে একবার ঢুকে পড়লে আর বের হওয়ার উপায় থাকে না। একটা বৃত্ত শেষ করেই অন্য আরেকটা বৃত্তে আটকা পড়তে হয়। আর সফলতার সেই চমকের কাছে ম্লান হতে হতে হারিয়ে যেতে থাকে সহজাত অনেক চাওয়া পাওয়া।
আমি আপনি যারা সফল হতে চাই তারা চাইলেই সবকিছু থেকে ছুটি নিতে পারি দুয়েক দিনের জন্য। আত্মীয় স্বজন বা বন্ধুদের নিয়ে চলে যেতে পারি দুরে কোথাও, চাইলেই অঢেল সময় নিয়ে ব্লগ লিখতে পারি, চাইলে কিছু না করে চুপচাপ বসেই কাটিয়ে দিতে পারি অনেকটা সময়। কিন্তু রুপনের মত যারা সফল, তাদের কাছে সেই সুযোগ নেই। বিস্তর টাকা পয়সা, গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েও আধো আধো বুলিতে বাবা বলতে পারা মেয়েটাকে ছুঁয়ে দেখার সময়টা থাকে না, কথাটাই বলতে হয় হোয়াটসআপ-এ, অনলাইনে ভিডিও কলে।
রুপনের ক্লান্তিজড়ানো গলায় বলা কথাগুলো তাই আমার ভ্রমণব্লগকেও ভাসিয়ে নিয়ে গেলো অজানা কোনো এক সুদুরে।
কক্সবাজার নিয়ে ব্লগার সামিয়ার লেখা এখানে পড়তে পারেন, আমার মতে এটাই কক্সবাজার নিয়ে ব্লগের সেরা লেখা।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: সমস্যা নাই স্যার, কবি গুরুতো বলেই গিয়েছেন-
দেখিতে গিয়াছি পর্বত মালা/ দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু,
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ ঘর হইতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু।'
নেক্সট মাসে শ্রীমঙ্গল যাবো ইনশাআল্লাহ।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সফল মানুষের সফলতার পেছনের গল্প পড়ে ভালো লাগছে। মাঝেমাঝে মনে হয় পৃথিবীর কেউই জীবন নিয়ে পরিপূর্ণ তৃপ্ত নয়।
একেকজনের দুঃখ, নাপাওয়া একেকরকম!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, তবে কোন গল্পে কে অনুপ্রাণিত হয়, বলা মুস্কিল।
একবার শেখ সাদীকে জিজ্ঞাসা করা হলো 'আপনি এতো ভদ্রতা কার কাছ থেকে শিখেছেন', তিনি উত্তর দিলেন, 'অভদ্রের কাছ থেকে'....
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬
তরুন ছিল রংগিন বলেছেন: অমর হোক আপনাদের বন্ধুত্ব । আমার মনের কথা গুলো অকপটে শেয়ার করে দিলেন। এরকম বন্ধুত্বের সম্পর্ককে স্যালুট জানাই।
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭
তরুন ছিল রংগিন বলেছেন: অমর হোক আপনাদের বন্ধুত্ব। আপনার মনের কথা গুলো অকপটে শেয়ার করে দিলেন পড়ে ভালো লাগলো। এরকম বন্ধুত্বের সম্পর্ককে স্যালুট জানাই।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমার সব বন্ধুই আমার মত। কেউ দুরে যেতে চায় না।।
৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: গুরুজী, রাইটার্স ব্লক কাটিয়ে অসাধারণ রচিয়াছেন গদ্যগাঁথা।
সুখটা আপেক্ষিক। কেউ পান্তা-ভাত খেয়ে তৃপ্ত। কেউ পোলাও কোরমা খেয়েও হতাশ।
তবে আপনার বন্ধু রুপন কিন্তু অনেকের জন্যই প্রেরণা হয়ে থাকবে। এট লিস্ট তিনি কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। এর চেয়ে বড় তৃপ্তি আর কি হতে পারে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: সুখ আপেক্ষিক অবশ্যই, কেউ দেশ বিদেশ ঘুরে সুখ পায়, কেউ ঘরের কোণে!! তবে সফলতা একপাক্ষিক।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ স্যার। আর রুপন অনেকের জন্য প্রেরণা অবশ্যই, আমি নিজেই যখন ওর আশেপাশে যায়, ভাবতে থাকি যে চাকরি বাকরি ছেড়ে নিজেই কিছু একটা করি....
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার নাম দেখেই পড়তে এসেছি। অন্যকেউ হলে ঢুকতাম কিনা সন্দেহ! আমি চট্টগ্রামেই থাকি। কক্সবাজারে এতবার গিয়েছি যে এখন আর সেখানে গেলে ছবিও তুলতে ইচ্ছে করেনা। আমি কোন ভ্রমণ কাহিনী লিখতে পারি না। পারলে অনেকগুলি দেশের ভ্রমণ কাহিনী লিখতে পারতাম।
আমিও জীবনে বেশ কিছু মানুষকে দেখেছি যারা নিজের ইচ্ছাতেই অনেক বড় পজিশনে উঠে এসেছেন। এই জীবনে নিজের উপর বিশ্বাস রাখার চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।
লেখা ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার, তবে এই মনিহার আমার নাহি সাজে..এত বেশি কমপ্লিমেন্টস এর যোগ্য আমি নই।
আমার এম্নিতেই ছবি তুলতে ভালো লাগে না। কোথাও গেলে তাই ছবি তোলা হয় না। তবুও কক্সবাজার যেতে ভালোই লাগে। নিজের দৃঢ় ইচ্ছে আর পরিশ্রম ছাড়াতো কিছুই হয় না। যে চেষ্টা করবে, সে অনেক উপরে উঠবে এটাই সত্য। কিন্তু উপরে উঠতে গেছে শুধু সিড়িটার দিকেই দৃষ্টি রাখতে গিয়ে আশেপাশের অনেক ফুলবাগান আর দেখা হয়ে ওঠে না।
কেউ হয়তো সে বাগানকে মিস করে, কেউ করে না।
ভালো থাকবেন।
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রথমেই শুভেচ্ছা বহুদিন পর লেখা নিয়ে হাজির হবার জন্য। আর ধন্যবাদ ক্যা্মপাস জীবনের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। আহ কি দারুন না ছিল সেই দিনগুলি। ঢাবির সবারই মনে হয় এরকম কিছু বন্ধু আছে যারা ক্যা্মপাস জীবনের স্বাদ পেতে ক্যা্মপাসে ছুটে আসতো। আমার বেশ কিছু কাজিন ও বন্ধু যারা ঢাবিতে চান্স না পেয়ে বিকম বা কোন কলেজে অনার্স পড়তো, তাদেরকে প্রায়ই ক্যা্মপাসে নিয়ে যেতাম। বিশেষ করে বইমেলা সিজনে, পহেলা বৈশাখ, ২১ শে ফেব্রুয়ারী, বিজয় দিবসের কনসার্টে তারা অবস্যই অংশগ্রহন করতো।
আপনিতো আরো ভাগ্যবান। কক্সবাজার গেলে যদি পকেট পয়সা খরচ না করে হোটেলে ওঠা যায়, তার চাইতে দারুন আর কি হতে পারে!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে মনে রেখেছেন এ জন্য। ক্যাম্পাসজীবনের কথা মনে রাখতেই হবে স্যার, সে আমি মনে করিয়ে দিই বা না দিই। ঘুরে ঘুরে আমাদের জীবনে আসতেই থাকবে.... এই তো এই সন্ধ্যায়ও ঘুরে আসলাম ক্যাম্পাস থেকে, হাকিম চত্বরে বন্ধুদের সাথে কিছুটা সময় পার করলাম... বেশ অবাক লাগে, কালো কেশ শুভ্র হওয়ার পায়তারা করছে কিন্তু ক্যাম্পাসের মায়া আমাকে ছাড়ছে না।
ও হ্যাঁ, কক্সবাজার গেলে আওয়াজ দিবেন, রুপনের সাথে পরিচয় করে দেব। ব্লগমেট হিসেবে কিছুটা কনসেশনতো আপনার প্রাপ্য অবশ্যই
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আর আমি যে এতদিন ব্লগে ঢুকতে পারিনি, তার দায় আমার না, এমজে কাগুর..
৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: রুপন ভাইর জন্য শুভকামনা, সাথে আপনার জন্যও যেনো বারবার কক্সবাজার গিয়ে বন্ধুর সাথে সময় কাটাতে পারেন।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ওমেরা বলেছেন: সফল মানুষের জীবনেও বেলা শেষে কিছু হতাশা থাকবেই। আসলে দুনিয়াতে সবকিছু মিলিয়ে সফল মানুষের সংখ্যা কমই আছে ।
না হোক ভ্রমন কাহিনি, আপনি এত আবেগ দিয়ে লিখেছেন অনেক সুন্দর হয়েছে ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১০
পদ্মপুকুর বলেছেন: আবেগ দিয়ে লিখতে পেরেছি কিনা জানিনা, তবে সত্যি সত্যিই আমি রুপনের এই উদয়স্ত ব্যস্ততা এবং ব্যাপক চাপে নুয়ে থাকা চেহারাটা ভুলতে পারছি না। যেদিন ফিরবো, সকাল বেলা হঠাৎ বললো আমাকে এখুনি ঢাকা যেতে হবে। আমাদের ফ্লাইট ছিলো দুপুর বারোটায়, রিজেন্টে। ওই ফ্লাইটেই ওর টিকেট কাটা হলো- পুরো রাস্তাটা আমি দেখলাম ও অন্যমনস্ক, এলোমেলো...
আমরা কেউই আসলে পেছনের এই গল্পগুলো পড়তে চাই না, দেখতে চাই না। ওই যে আইয়ুব বাচ্চু গেয়েছেন না- হাসতে দেখো, গাইতে দেখো.....দেখো না কেউ হাসির শেষের নিরবতা.... সেই রকম আর কি। ওই রাতে একসময় রুপন বললো, গল্প পড়া খুব আনন্দের কিন্তু একটা গল্প লিখতে যে কত ত্যাগ লাগে পড়ার সময় সেটা কেউ ভাবে না।
যাকগে, ভালো থাকবেন।
১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৮
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, তবে কোন গল্পে কে অনুপ্রাণিত হয়, বলা মুস্কিল।
একবার শেখ সাদীকে জিজ্ঞাসা করা হলো 'আপনি এতো ভদ্রতা কার কাছ থেকে শিখেছেন', তিনি উত্তর দিলেন, 'অভদ্রের কাছ থেকে'....
-
'কোন গল্পে কে অনুপ্রাণিত হয়, বলা মুস্কিল।' হুম, অন্যের ব্যর্থতার গল্প শুনেও মানুষ অনুপ্রাণিত হয়। সফলতালাভ করে। এটা আপেক্ষিক একটা ব্যাপার।
আমার প্রায়ই মনে হয়, 'আমরা যাদের সফল-সুখী' ভাবি; তারাও কোন না কোনো কারণে দুঃখি। তাদেরও দুঃখের, ব্যর্থতার গল্প আছে। আপনার বন্ধুর গল্প পড়ে আমার এই ধারনাটা আরো শক্তিশালী হয়েছে।
আমার পরিচিত এক আংকেল, ব্যবসা বাণিজ্যে তিনি সফল। সবদিক দিয়েই সুখী। উনার দুঃখ একটাই উনি পড়ালেখা বেশিদূর করতে পারেন নি।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভদ্রতার ঘটনাটা শেখ সাদীর না কি অন্য কারো, ঠিক মনে করতে পারছি না।
সফলতা বিষয়টা এতটাই চার্মিং যে তার আলোতে সব ব্যর্থতা, সব দুঃখ সাধারণভাবে ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু যখন একান্ত নিজের সময়ে পেছনে ফিরে দেখা হয়, তখন ওই চার্মকে নিতান্তই অর্বাচীন মনে হতে থাকে। রুপালী পর্দার সেলিব্রেটিদের, বিশেষত নায়িকাদের ইন্টারভিউয়ে দেখবেন একটা কমন কথা থাকে 'এখন আর রাস্তার ধারে ফুচকা খেতে পারি না, শপিংয়ে যেতে পারি না...; শুনে আমাদের কাছে আদিখ্যতা, ন্যাকামি মনে হয়, কারণ আমরা তার সফলতার চার্মটাই দেখি। কিন্তু এ্টা তার কাছে রূঢ় বাস্তবতাই বটে। তবুও আমরা সবাই সফল হতে চাই।
ভালো থাকবেন।
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।
সামিয়া আপার পোষ্ট টি আসলে অনেক সুন্দর।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: স্যার আপনার কলকাতা দর্শন কেমন হলো?
১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯
মলাসইলমুইনা বলেছেন: Serendipity লেখায় অনেক ভালো লাগা !! লেখা সিরিয়াসলি ভালো লাগলো ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখা ভালো লাগলো কিন্তু এক্সেলেমেটরি তো ভালো লাগার কথা বলছে না!!
গত এক বছর ব্লগে ঢুকতে পারিনি স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক কোনোভাবেই। এখন এসে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।
১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন, এ আসলেই একটা চক্র ! সফলতার চক্র । এর থেকে বের হওয়া মুশকিল।
লেখা চমৎকার হয়েছে, অনেক ভালোলাগা।
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যর জন্য। আপনাকে দেখি না অনেকদিন।
১৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া রুপনভাইয়া দেখতে একদমই বোকা বোকা না!!!! কি সুন্দর ভাইয়াটা!!!!! কি সুন্দর তার ফোটোফেস! ক্যামেরা ফেস!!!
তার কক্সেস বাজারের বিলাস বহুল হোটেল, সেন্ট মার্টিনের মোটেলগুলোর নাম কি? লকডাউন শেষ হলে বললেও চলবে!
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: কক্সবাজারের ডলফিন মোড়ে নেমে রু-প-ন-ভা-ই-য়া বলে চিৎকার দিলেই আশপাশ থেকে সে নিশ্চিতভাবেই চলে আসবে আপনাকে রিসিভ করতে, না আসলে আমাকে তখন বলবেন....
১৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
শায়মা বলেছেন: যদি না আসে তবে তোমার মজা দেখানো হবে!!!!!
এমনিতেই আধা খেয়ে ললিপপ দিসো!!!!!!!!
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: না আসলে বলেছিই তো, তখন আমাকে ডাকবেন। ও হ্যা, রুপনের হোটেলে চেকইন করলেই রিসেপশন লবিতে ওয়েলকাম ড্রিংকস দেয়, আমি বলে দেবো সে সময় যেনো কয়েকটা ইনটেক টফি, ক্যান্ডিও রাখে আপনার জন্য...
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: দেশের বাইরে কখনো যাওয়া হয়নি। সম্ভবনাও নেই। আমার দৌড় শ্রীমঙ্গল , সিলেট , কক্সবাজার , সেন্টমার্টিন। আমার সমুদ্র ভালো লাগে। তাই কক্সবাজার দেখে ঝাঁপ দিলাম।সেন্টমার্টিন আমার ভালোবাসার জায়গা।
অদ্ভুত এক অনুভূতি পেয়েছিলাম শ্রীমঙ্গল এর বাইক্কা বিলে।
পোস্ট ভালো লাগলো। ++
সময় পেলে ব্লগার সামিয়ার পোস্ট পড়ে আসবো।