নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পত্রিকা বা টিভির সংবাদে প্রায়শই বিমান দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনার খবর থাকে। আমরা নির্বিকার মনে এই খবরগুলো দেখি, পড়ি, আর মনে মনে আশা করি ‘আমার সাথে এ রকম হবে না’। একইভাবে বিভিন্ন সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়া মানুষের সচিত্র সংবাদও দেখি। এই মানুষগুলোর আহাজারি সাময়িকভাবে খারাপলাগা তৈরী করলেও সিগ্রেটের ধোয়ায় সে খারাপ লাগা দ্রুতই হাওয়া হয়ে এবং যথারীতি এগুলো অন্যদের সাথে ঘটবে ধরে নিয়ে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করতে থাকি। কিন্তু আচানক এ ধরণের দৈব দুর্বিপাকে যখন নিজেরাই পড়ে যাই, তখন খুব সায়ানের 'আমি কেনো প্রতিবাদে যাই' গানটা মনে পড়ে।
সায়ান আমার কাছে খুব পরিচিত শিল্পী, তা নয়। অল্প কিছু গান শুনেছি। সায়ান শিল্পী হিসেবে কেমন, তাঁর গানের গভীরতা কেমন, এ সব বিচার করা আমার কম্ম নয়, ও দিকে আমি যাচ্ছিই না। কিন্তু, সায়ানের গান শুনলে প্রথমেই প্রতিবাদের কথা মনে আসে। আমাদের মত ‘সাধারণ’দের বুকে কিছুটা সাহসের সঞ্চার হয়।
সম্প্রতি আমার এক নিকটাত্মীয়কে বিপক্ষ রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। আমাদের আটপৌরে জীবনে এ ধরণের দুর্বিপাক আর কখনওই আসেনি। আমরা প্রথম পাঁচ ঘন্টা বুঝতেই পারলাম না যে আমাদের এখন কি করা উচিৎ। তারপর আর সবার মত এর ওর কাছে ধর্ণা দিতে দিতে আরো কিছু ঘন্টা পার হয়ে গেলো, ততক্ষণে পুলিশপক্ষ একটা মামলায় জড়িয়ে তাকে কোর্টে চালান করে দিয়েছে।
আপাতদৃষ্টিতে এ পর্যন্ত ভালোই ছিলো। কারণ কোর্টে এখন শুনানীর মাধ্যমে তাকে নির্দোষ প্রমান করে জামিনে ছাড়িয়ে আনা যাবে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত আতংকের সাথে জানতে পারলাম, ডিসেম্বর মাসে কোর্টের শীতকালীন ছুটি বা এই জাতীয় কিছু একটা থাকে, ফলে খুব বেশি শুনানী হয় না। বিপরীত দিকে এই মুহুর্তে ব্যাপক ধড়পাকড়ের কারণে জমে যাওয়া মামলাগুলোর শুনানীর তারিখ দেড় দুই মাসের আগে পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রথমেই যেটা বললাম, এই ধরণের খবর পেপার পত্রিকায় অহরহই পড়েছি, কিন্তু কোনো সময়েই এর ভয়াবহতা স্পর্শ করেনি এবং সব সময় ভেবেছি যে এই ধরণের বিপদ আমাদের জন্য না। কিন্তু এখন প্রতিটা মুহুর্তে টের পাচ্ছি যে একটা মানুষ যখন এ ধরণের অন্যায়ের শিকার হয়, তখন সে নিজে, তার পরিবার এবং আপনজনদের উপর কি পরিমাণ ঝড় যেতে থাকে। আমার এই নিকটাত্মীয়ের ছিমছাম, গোছানো, শান্ত একটা সংসার এখন প্রতিনিয়ত থানা-কোর্ট-আইনজীবি আর জেলখানার পাকে চক্কর খেতে খেতে একেবারে তছনছ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অভিযোগটা কি? বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ!!!
সায়ানের গান অনুযায়ী আমরা যারা মধ্যপন্থী বা মাঝামাঝি মানুষ-কোনো সক্রিয় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা কোনো রাজনীতির সুবিধাভোগী না হয়েও পচা রাজনীতিকে সমর্থন দিয়ে যাই, সমর্থন করি এবং সমর্থনের বিপক্ষ দলের প্রতি যেকোনো অন্যায়কে অন্যায় হিসেবে গণ্য করি না; বরং কিছুটা শান্তি বোধ করি। জাতি হিসেবে এই প্রবণতাটা আমাদের অন্যতম ব্যর্থতা। আমরা এটা করি, কারণ আমাদের সায়ানের মত সাহস নেই, আমরা প্রতিবাদ করতে পারি না। কিন্তু কেউ বুঝতে চায় না যে এই প্রতিবাদহীনতার একটা অনিবার্য ফল হলো একদিন এই অন্যায় তাকেও এসে জাপটে ধরবে, এবং সেদিন এর প্রতিবাদ করার জন্য কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।
আমরা না পারলেও মাঝামাঝির এই যায়গা থেকে সায়ান বের হয়ে আসতে পেরেছেন। স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে কেনো তিনি প্রতিবাদে যান। একটা ওয়েল স্ট্যাবলিশড পরিবারের উচ্চ শিক্ষিত সদস্য হিসেবে নিশ্চিন্তে নির্ভাবনায় গতানুগতিক জীবন তিনি কাটিয়ে দিতে পারতেন। সেসব না করে তিনি গানে এলেন। সে জগতেও চাইলে পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা নিয়ে স্বাভাবিক গান গেয়ে বিখ্যাত হতে পারতেন। কিন্তু ওই যে, তিনি মাঝামাঝি মানুষ তো নন, গানকে প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করলেন এবং আমাদের থেকে আলাদা হয়ে গেলেন।
ইউটিউবের কল্যাণে ক’দিন ধরে সায়ানের গান শুনছি। এবং মুগ্ধ হচ্ছি। একটা মানুষ অবলীলায় সব ভয়, সব মোহকে উপেক্ষা করে সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে নিজের মত করে! কি বিপুল সাহস আর এক অদ্ভুত স্বচ্ছতা তাঁর মধ্যে। এই চল্লিশে এসেও চালশে হয়ে যাননি একটুও। আমি জানতাম না যে সায়ানের লেখার হাতও খুব ভালো। ইন্টারনেট ঘেটে তাঁর নিজের একটা ব্লগও পেলাম। দিনে দিনে সায়ানের ফ্যান হয়ে যাচ্ছি। নিজে যেহেতু প্রতিবাদে যেতে পারি না, তাই সায়ানের গান শুনেই প্রতিবাদি হওয়ার স্বপ্ন দেখি, কিছুটা সাহস পাই।
‘আমি কেনো প্রতিবাদে যাই’ গানের কথা
আমি কেনো প্রতিবাদে যাই
আমার একটা পক্ষ আছে তাই
আমি তো নিরব কেউ নই
সেই কথাটাই চিৎকার করে কই
মাঝামাঝি, মাঝামাঝি মানুষ তো নই
দুই নৌকায় রাখবোনা রাখবোনা পা
কার সাথে আছে কার নেই, স্পষ্ট করে
শুরুতেই বলে দেই, আমি কেনো প্রতিবাদে যাই
মন্দ জানি শক্তিশালী, কিন্তু ভালো তো নয় মৃত
ভালোর সাথে আমরা আছি, আমি সেখানেই হবো পরিচিত
হাসছেনা তো, ভাসছে মানুষ, হাজার সর্বনাশে
এই জগতে সব ক্ষতিতেই আমার যে যায় আসে
এই জগতে সব ক্ষতিতেই যে যায় আসে
মন্দরা যাবে না, যাবে না প্রতিবাদে
আর যাবে না মধ্যপন্থী যারা, লড়বে না, আগুন যদি না লাগে গায়ে
জানবে তাদের, কিছুতেই নেই তাড়া
এ শরীরে, একটা হৃদয় যদি থাকে
আস্ত খাঁটি মানুষ যারা আছো
গাঁ বাঁচিয়ে, পাশ কাটিয়ে নয়,
প্রতিবাদে শব্দ করে বাঁচো
প্রতিবাদের আওয়াজ তুলে বাঁচো
ছবিসূত্র: ইন্টারনেট
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২১
পদ্মপুকুর বলেছেন: পিছিয়ে যাওয়ার কোনো পথতো নেই-ই বিদ্রোহী ভাই, কিন্তু সময়টা এখন এমনই যে আমরা কেউই নিজের গায়ে এসে পড়ার আগে কোনো উচ্চবাচ্য করি না। আর প্রতিবাদ সবসময়, সত্যের জন্য। এই সত্যতাই আমরা মানতে চাই না। আমাদের সত্য হলো আমাদের সমর্থিত দল, এর বাইরে সত্য নেই।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভাল একটা পোস্ট দিয়েছেন।
বর্তমানে বিএনপি নেতাকর্মীরা যে দৌড়ের উপর আছে , তার সব দায় তারেক জিয়ার উপর বর্তায়।
চট্টগ্রামে ধর পাকড় সম্ভবত খুব বেশী চলছে। আমার বেশ কয়েকজন আত্মীয়স্বজন গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এরা নির্বাচনের আগে ছাড়া পাবে না ।
বিএনপি আওয়ামীলীগকে গ্রেনেড মেরে ধ্বংস করতে চেয়েছিল আর আওয়ামীলীগ বিএনপিকে প্রশাসন দিয়ে শেষ করছে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: সমস্যা হলো এটাই যে এই যে তারেক জিয়ার উপরে দায় বর্তাায় দেখে আমরা যারা খুব আনন্দ পাচ্ছি, প্রতিবাদহীনতার সংস্কৃতিতে এই আমরাই যখন এভাবেই অন্যায়ের স্বীকার হবো, তখন অন্য কেউ হয়তো তারেক জিয়ার মত কারো ঘাড়ে দায় চাপিয়ে আনন্দ পাবে....
আর যেটা বলেছেন- এই যে গ্রেনেড মেরে শেষ করা বা প্রশাসনকে দিয়ে শেষ করা.... আরে ভাই, আমরা কে কাকে শেষ করছি? সে কি আমাদের জনগন নয়? সে কি আমার প্রতিবেশি নয়? সে কি শত্রু? এভাবে আসলে তো আমরা আমাদের দেশকেই শেষ করছি।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এদেশের রাজনীতি দল গুলো হয়তো কখনই প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বের হতে পারবেনা।
প্রতিহিংসার রাজনীতির কবলে পড়ে আমি অনেক নিরীহ সাধারন মানুষকে বছরের পর বছর জেল খাটতে দেখেছি।
আর পুলিশদের বানিজ্যে তো রমরমা।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আজ স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশত বছর পর এসে মনে হচ্ছে আদর্শ নয়, প্রতিহিংসা, ভালোবাসা নয়, ঘৃণাই এ দেশের রাজনীতির মূল উপজীব্য। পড়ার জন্য ধন্যবাদ স্যার।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: নতুন করে কিছু বলার নাই।দিনের পর দিন দেশ এভাবেই চলতে থাকবে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: না, দিনের পর দিন এভাবেই চলতে থাকবে না, পরিবর্তন আসবেই হাসু মামা। হয়তো এই প্রজন্মে না হোক, অন্য কোনো প্রজন্মে হলেও পরিবর্তন আসবেই। আমি আশাবাদী।
দুঃখিত, অনেকদিন পর আপনার মন্তব্যটা দেখলাম।
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপমহাদেশের রাজনীতি একটা কমন চিত্র, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতা। আপনার নিকট আত্বীয়ের জন্যই খারাপ লাগছে। বিষয়টি শুধু নিকট নিকটাত্মীয় বলে নয় ; এমন ঘটনা যে কোন মানুষের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক আরকি। শীতকালীন ছুটির আগেই যেন সমস্যা মিটে যায় সেই কামনাই করি।
সায়ন সম্পর্কে জানতাম না। আপনি পরিচয় করিয়ে দেওয়াতে খুশি হলাম । উনার ব্লগে ঢুও মারলাম।
প্রতিবাদের আগুন প্রজ্জ্বলিত হোক আমরা সবাই চাই। কিন্তু যে আইনি ঝুট ঝামেলা বা ধরপাকড়ের মধ্যে পড়তে হয় , ভুক্তভোগী জানেন সেটা নিজের জীবনের পক্ষে কতটা বিষময় ।
শুভকামনা জানবেন ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: শুধু উপমহাদেশে নয়, হয়তো সারা পৃথিবীতেই এমন চলছে। আমরা শুধু খোঁজ রাখছি এখানকার। আর যেকোনো মানুষের জন্যই এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, এ জন্যই প্রতিবাদ দরকার।
দাদা, সায়ানের গান শুনে দেখবেন, ভালো লাগবে। এম্নিতে আছেন কেমন আপনি?
৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত।
আসলে পুলিশ খুব ঝামেলা করে। প্রচুর টাকা থাকলেই পুলিশের সাথে পারা যায়।
সায়ান অন্য সব শিল্পী থেকে আলাদা। তার গান এবং জীবন অন্য কারো সাথে মিলবে না।
সহজ সরল সুন্দর লেখা।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনিও ভাই কম যান না। অন্যসব ব্লগার থেকে আলাদা। বিচিত্র বিচিত্র মন্তব্য করেন। এই এখানে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা কিভাবে আসলো বুঝতে পার্লাম না। রেফ্রিজারেটর ঠিক করার ওই কমেন্টটাতো এপিক...
ভালো থাকবেন।
৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মন্দ জানি শক্তিশালী, কিন্তু ভালো তো নয় মৃত
ভালোর সাথে আমরা আছি, আমি সেখানেই হবো পরিচিত
এটাই হচ্ছে আসল কথা।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। পোস্টটাযেহেতু প্রতিবাদ বা তার ভাষাকে কেন্দ্র করেই , কাজেই কমেন্টের মাধ্যমে নিজে অনুভূতি ব্যক্ত করলাম।
কর্মজীবনের প্রায় এক যুগ কাটিয়ে ব্যাংক থেকে হোম লোন করে ডিস্ট্রিক্ট টাউনে মসজিদ সংলগ্ন মুসলিম মহল্লা দেখে বাড়ি করেছিলাম। কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থা আমার জীবনকে এতটা বিষময় করে তুলেছে যে গত দু আড়াই বছর লাগাতার প্রচেষ্টার পর অবশেষে বাজারদর থেকে প্রায় 10 লক্ষ টাকা কম মূল্যে বাড়িটি বিক্রি করে আপাতত ভাড়া বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছি। এই ডিসেম্বরে আমাকে বাড়ি ছাড়তে হবে। কতগুলো ফ্ল্যাট দেখলাম । মুসলিম হওয়ার জন্য দিতে রাজি হলো না। আবার যেগুলো পাচ্ছি সেগুলি অনেকটা ইন্টেরিয়ার এলাকায়। কাজেই শেষে ফ্লাট না দেখে আবার জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেই। অবশেষে আরও একটু দূরে মিক্স এলাকায় একটি জমি পেয়েছি । সেটিকেই আগামী দু-একদিনের মধ্যে ক্রয় করে আগামী এক বছরের মধ্যে নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করব।
আপনি জিজ্ঞেস করলেন কি না দাদা কেমন আছেন ; এটিই আমার বর্তমান অবস্থা ।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: দুঃখিত, বেশ কিছুদিন পর প্রতিমন্তব্য দিতে হলো। এই পোস্টসংশ্লিষ্ট ব্যস্ততায় মনোযোগ দিতে পারিনি। আমার প্রশ্নের এমন উত্তর পাবো, ভাবিনি। আপনার মন্তব্য পড়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। কিছুই বলার নেই। আপনি এ রকম একটা মানসিক কষ্টকে পুষে রেখে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন, সময় দিচ্ছেন, বেশ কঠিন কাজ।
প্রতিবাদহীনতার সংস্কৃতির কারণেই যুগে যুগে আমরা এমন অন্যায়গুলোর শিকার হই। আপনাকে সমবেদনা জানানোর পর্যাপ্ত ভাষা আমার জানা নেই। তবুও ভালো থাকবেন।
৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
হাবিব বলেছেন:
প্রতিবাদে বেঁচে থাকে বীরেরা.....
আমরা বীরের জাতি.........
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: এই প্রবচনটি দিনে দিনে ফিকে হয়ে যাচ্ছে স্যার।
১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৫
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমি তার গান অনেক আগেই থেকেই শুনি ।
হায়দার সাহেবের গানও আমাকে ভাল লাগে ।
এই দুজনের গানে কেমন জানি এক ধরনের মুগ্ধতা থাকে । যদিও তারা খুব বেশি গান করেন না ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: হায়দার হুসেইনের গানগুলোও ভালো। সবচে ভালো তাঁর একাডেমিকস্। অ্যারোনটিক্যাল ইন্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে, ভালো কিছু জব ছেড়ে এই অনিশ্চিত গানের লাইনে আসার জন্য বুকর পাটা লাগে!
১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার নিকটাত্মীয় এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাচ্ছি। উনি কি এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছেন?
নিকটাত্মীয় কারো ভাগ্যে এমন নির্মমতা নেমে না এলে হয়তো আপনিও এ পোস্ট লিখতেন না, আমরাও তা পড়তাম না। তবে এসব যে এখন নিত্যদিনের ঘটনা, তা জানতে পেপার পড়তে হয় না। আশে পাশের চেনাপরিচিতদের অনেকের মাথার উপরেই এ খড়গ হরহামেশা নেমে আসছে।
লেখাটা চমৎকারভাবে শুরু করেছেন, এগিয়েও নিয়েছেন মুন্সীয়ানার সাথে, সেই সাথে আমরা পেলাম প্রতিবাদী এ কন্ঠশিল্পীর (সায়ান) কিছুটা পরিচয় এবং শুনলাম তার প্রতিবাদী গান।
মৃদু প্রতিবাদ হলেও, সেটুকু লেখারও যে সাহস দেখিয়েছেন, এজন্য সাধুবাদ। প্রার্থনা করি, নিরাপদে থাকুন সপরিবারে।
পোস্টের ৩য় লাইনে 'স্বীকার' কথাটা শিকার হবে, আশাকরি সম্পাদনা করে নেবেন।
@পদাতিক চৌধুরি, আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জেনে ব্যথিত হ'লাম। সমস্যার অবসান হোক, আপনিও ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন সপরিবারে- এ শুভকামনা----
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রতিটা লেখা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন, এই গুণে আর কেউ আপনাকে অতিক্রম করতে পারবে না বলেই আমার বিশ্বাস।
প্রথমত: সহমর্মীতার জন্য ধন্যবাদ। তিনি এখনও ছাড়া পাননি। তাঁর শুনানীর তারিখই পড়েছে ফেব্রুয়ারিতে। তারপর তো মুক্তির বিষয়টা আসবে। আর সত্যিই বলেছেন যে আজ আমার কাছের একজন ভিক্টিম হওয়াতেই আমি এই লেখা দেওয়ার উপযোগিতা পেয়েছি, না হলে হয়তো লেখা হতো না। ওই যে, প্রথমেই যেটা বলেছি যে এ ধরণের ঘটনাগুলো আমাদের সাথে ঘটবে না ধরে নিয়েই আমরা নিশ্চিন্তে প্রাত্যাহিক বাজারে কুঁচো মাছের দাম নিয়ে দর কষাকষি করি.... কিন্তু সত্যি এটাই যে, প্রতিবাদহীনতার একটা অনিবার্য পরিণতিতে একদিন নিজেকেই এই আপদে পড়তে হয়।
দ্বিতীয়ত: বানানটা ঠিক করে দিয়েছি। আর পদাতিক চৌধুরীর অভিজ্ঞতা শুনে আসলেই ব্যথিত হয়েছি। সময় সময় খুব অসহায় লাগে। তখন আর লেখালেখি তো দুরেই থাক, দুপুরের খাবারটাও খেতে ইচ্ছে হয় না।
১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: টুকি
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: রোল নম্বার ১২...
১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অ্যাবসেন্ট স্যার
১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলেই কিছু কিছু ব্যাপার নিজের সাথে না ঘটলে এর ভয়াবহতা বুঝা যায় না।
অহেতুক পুলিশি হয়রানি বন্ধ হোক।
অন্যায়ের প্রতিবাদ হোক সর্বত্র।
১৫| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাইজান,
কোথায় গেলেন? দীর্ঘদিন পাচ্ছি না আপনাকে। ব্লগে আমরা আপনাকে প্রচন্ড মিস করছি।
শুভকামনা জানবেন।
১১ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: সরকার বাহাদুরের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিভিন্ন আইএসপি থেকে সামহ্যোয়ার ইন দেখা যাচ্ছিলো না, আমার এলাকার আইএসপিও সেই নিষেধাজ্ঞার আওতয়ায় ছিলো। কিন্তু সত্যিকার প্রেমিকের মত যতবার পিসিতে বসেছি, প্রতিবারই একবার করে সামহ্যোয়ার ইন খোলার জন্য চেষ্টা করেছি.... কিন্তু হয়নি কিছুই, আজ হঠাৎ করে দেখি সামু ইজ ব্যাক... আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
১৬| ১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো আপনার প্রতিমন্তব্যে। আমরা অনেকে ভিপিএন অপেরা দিয়ে ঢুকছি। আমি নিজে অপেরা ব্রাউজার ইউজ করি। সামুর ক্রান্তি জনিত সমস্যার অবসান ঘটুক। আপনাদের উপস্থিতিতে ব্লগ হয়ে উঠুক আবার গরমাগরম।
অনিঃশেষ কারো শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।।
১৭| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কি খবর হে
১৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: মামলা মোকদ্দমার চেয়ে খারাপ জিনিষ বুঝি আর পৃথিবীতে নেই। ভুক্তভোগীরা বোঝে প্রতিটা মুহুর্ত।
সায়ানের প্রথম লাইভ প্রোগ্রাম টিভিতে দেখে আমি ভক্ত হয়ে যাই। তার চিন্তা চেতনা খুব ভালো লাগে।
সায়ানের ব্লগ লিঙ্ক কপি করে রাখলাম পরে সময় নিয়ে পড়বো।
ধন্যবাদ লিঙ্কটার সাথে পরিচয় করানোর জন্য।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫০
পদ্মপুকুর বলেছেন: লিংকু ধরে এখানে এসে মন্তব্যও করেছেন, ধন্যবাদ স্যার। সায়ানের আরেকটা গান আছে- স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি তোমার কাছে কই.... শুনেছেন নিশ্চয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজ ওর সাথে কাল আরেক জনের সাথে ভেবে পিছিয়ে যাওয়ার পথ নেই!
নিজের উপর যখন আসবে তখন অন্যরাও যদি এমনি ভেবে পিছীয়ে যায়!!
প্রতিবাদ সবসময়। সত্যের জন্য। সত্য কার পক্ষে গেল ভাববার অবসর নেই।
সত্য নিজেই এক পক্ষ!
চেতনার দোহাই দিলে মিথ্যা, স্বৈরাচারিতা, অত্যাচারকেও সাপোর্ট করে যারা তারা দলান্ধ!
বিবেকহীন! চেতনাহীন।
প্রতিবাদ হোক নিত্য। প্রতিবাদ হোক সত্যের তরে। ন্যায়ের তরে।
অত্যাচারের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, গুম, খুন লুট আর জুলুমের বিরুদ্ধে।