নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক:
শেষ যাত্রী হিসেবে বিমানে ওঠার মুহুর্তেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। এর আগ পর্যন্ত যা হচ্ছিলো তাতে যাত্রা ক্যানসেল করার চিন্তাটাই প্রথম পছন্দ হয়ে যাচ্ছিলো বারবার।
প্রযুক্তি পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে সেই কবেই, কিন্তু হাতের মুঠোয় আসার জ্বালাটা আজ টের পাওয়া গেলো বেশ! গুগল ম্যাপের কল্যাণে ইস্টার্ন বাইপাসে ব্যাপক যানজটের আঁচ পেয়ে উবার ড্রাইভার থার্ড অ্যাভিনিউ ধরে মাইল তিনেক যাওয়ার পর দেখা গেলো আঠারো চাকার এক লরি রাস্তার মাঝ বরাবর আড়াআড়িভাবে উল্টে পুরো রাস্তা ব্লক করে ফেলেছে.... ঘড়ির কাটা এদিকে আটটা ছুঁই ছুঁই। সর্বনাশ, নির্ঘাত ফ্লাইট মিস হবে!
তারপর থেকেই সায়ান ছুটছে।
ওই লরির কারণে, নাকি অন্য কোনো কারণে বোঝা গেলো না, বিমানবন্দরে লাগেজ স্ক্যানিং, ড্রপিং, ইমিগ্রেশন, সিকিউরিটি চেকিং, সব জায়গাতেই অতিরিক্ত ভীড়। শেষ পর্যন্ত যখন সব শেষ করতে পারলো, তখন বিমানবন্দরের সাউন্ড সিস্টেমে সায়ান এর নামে ফাইনাল অ্যানাউনন্সমেন্ট চলছে যে, আর দুই মিনিটের মধ্যে রিপোর্ট না করলে সামবারিয়া এয়ারলাইনস এর ফ্লাইট নম্বর এসপিটি ১১৫ সায়ানকে রেখেই গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করবে....
এ রকম সময়ে বোর্ডিং ব্রিজ পার হয়ে বিমানের দরজায় পা রাখতেই এক মিষ্টি কন্ঠে আটকে গেলো সায়ান-
‘গুড মর্নিং স্যার’
ওয়াও! এ তো শুধু শব্দমালা নয়, যেনো উচ্ছল সংগীত। সায়ান একটু থমকে গেলো।
সামনে তাকিয়ে সায়ান দেখলো প্রায় তারই কাঁধ সমান লম্বা এক সদ্য তরুণী বিমানবালার বনলতা মুখ, যে মুখ দেখলেই বুকের ভেতরটা বাতাসশূন্য হয়ে যায়। সব কিছুই নতুন করে শুরু করতে ইচ্ছে হয়।
সুন্দর-সুশ্রী-আকর্ষণীয় হওয়া এবং সুন্দর করে কথা বলতে পারাটা বিমানবালাদের প্রাথমিক যোগ্যতা। এই যোগ্যতা পার হলে তাকে বোধহয় ধৈর্য্যধারণ, বিপদে স্থির থাকা, গলা না চড়ানো, পরিশিলিতভাবে প্রতিবাদ এবং সবসময় মুখে হাসি ধরে রাখা শেখানো হয়, বিমানবালাদের মুখে সবসময় হাসিই দেখি সাধারণত।
কিন্তু এই মেয়েটির মুখটা এমন বিষণ্ন কেনো? অবশ্য এ কারণেই মেয়েটিকে বেশিরকম মায়াবতি মনে হচ্ছে। হয়তো হাসলে তার এই মায়া আর থাকবে না।
সায়ান নিজের সিট ১৭এফ-এ বসেও ওই উচ্ছল সংগীত শুনতেই থাকলো, যেন কোনোদিনও থামবে না এই সম্ভাষণ বাণী।
দুই ঘন্টার বিমানযাত্রায় বিমানবালা বেশ কয়েকবারই করিডোর ধরে এদিক-ওদিক গেলো। প্রায় প্রতিবারই সায়ান নেমপ্লেটে তার নামটা দেখার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু নেমপ্লেটটা এমন যায়গায় গাঁথা থাকে যে বেশিক্ষণ ওখানে তাকানো যায় না, অশোভনীয় হয়ে যায়। তার উপর কয়েকবারই চোখাচোখিও হয়ে গেলো সায়ানের।
কিন্তু ও চোখে কোনো ভাষা ছিলো না। না প্রশ্রয়, না বিরক্তি। সায়ান একটু ভয়ই পেয়ে গেলো। বিমানবালার নামটা আর দেখা হলো না।
সায়ান জানালা দিয়ে মেঘের ভেলার দিকে মন দিলো। কানে হেডফোন।
বিমান ল্যান্ড করার আগ মুহুর্তে সায়ান আবছাভাবে আবার সেই কন্ঠ শুনলো- এক্সকিউজ মি স্যার...
সায়ান এদিকে ঘুরেই দেখে সেই বিমানবালা দাড়িয়ে আছে, নামটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, রুমিয়ান। এখন মুখটা হাস্যোজ্জ্বল।
সায়ান ভুল ভেবেছিলো। এই মেয়ের বিষণ্নমুখ যদি সৌন্দর্যের স্কেলে একশ’তে ৭৫ পায়, তাহলে হাসিমুখ নিশ্চিতভাবে একশ’ই পাবে। সায়ানের কানে তখন জেমস গেয়ে চলেছেন-
সুন্দরীতমা আমার,
তুমি নীলিমার দিকে তাকিয়ে
বলতে পারো
এই আকাশ আমার...
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
মানুষ আমি চেয়ে দেখ
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
যদি তুমি বল আমি
একান্ত তোমার....
মেয়েটা সম্ভবত তাঁকে কিছু একটা বলছে। সায়ান হেডফোন সরালো।
মেয়েটি বললো- এই ফ্ল্যাইটটির মাধ্যমে আমাদের এয়ারলাইনস ১ লক্ষতম ফ্ল্যাইট পরিচালনা সম্পন্ন করলো। এ উপলক্ষে আমরা সব যাত্রীর জন্য একটা উপহার রেখেছি, প্লিজ এটা নিন।
সায়ান গিফট প্যাকটা হাতে নিলো। ঠিক ওই মুহুর্তে রুমিয়ানের চোখে চোখ পড়ে গেলো এবং মনে হলো যেনো ওর চোখ কিছু একটা বললো।
বললো কি? না কি অবসেশন...
রুমিয়ান ফিরে যাচ্ছে ককপিটের দিকে, পেছন থেকে ওর যাওয়া দেখছে সায়ান। কিছুদুর যাওয়ার পর হঠাৎই ঘুরে দাঁড়ালো রুমিয়ান এবং সরাসরি সায়ানের দিকে তাকালো। পরক্ষণেই আবার চলতে শুরু করলো। কিন্তু ওই এক মুহুর্তেই যেনো অনেক কিছু বলে ফেললো।
সায়ান দ্রুত প্যাকেটটা খুললো। ছোট ছোট কয়েকটা স্যুভেনিরের সাথে একটা গ্রিটিং কার্ড রয়েছে। কার্ডের এক কোণায় গোটাগোটা হাতে লেখা [email protected]।
সায়ান ঝট করে মাথা তুললো, কিন্তু রুমিয়ানকে কোথাও দেখলো না। ওর মনে তখন রবীঠাকুর হারমোনিয়াম নিয়ে বসেছেন-
মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে
সে দিন ভরা সাঁঝে,
যেতে যেতে দুয়ার হতে
কী ভেবে ফিরালে মুখখানি
কী কথা ছিল যে মনে ॥
এরপর সায়ান ভুলেই গিয়েছিলো সব।
বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন বাসার কম্পিউটারে বসতে গিয়ে সামবারিয়া এয়ারলাইনসের গ্রিটিং কার্ডটার উপর চোখ পড়ে সায়ানের। কি মনে করে একটা সম্ভাষণ মেইল লিখে সেন্ড করে [email protected] বরাবর। প্রায় সংগে সংগে পোস্টমাস্টার রিপ্লাই পাঠালো "Your message to [email protected] couldn't be delivered. 'rumian' wasn't found at sambaria.aro'।
সুতরাং, গল্পটাও এখানেই থেমে গেলো। অবশ্য এভাবে না থামলেও অন্য কোনোভাবেও এখানেই থামাতে হতো। কারণ আমার একজন নিবিষ্ট পাঠক আছেন, যিনি আমার সব লেখাকেই সত্যি এবং আমারই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হিসেবে বিশ্বাস করে ফেলেন।
দুই:
আমি ফ্রিকোয়েন্ট ফ্ল্যাইয়ার নই। তবুও গত দশদিনে আমাকে তিনবার বিমানযাত্রা করতে হয়েছে। তিনটা ভিন্ন ভিন্ন এয়ারলাইনসে। ভারতবর্ষের এমাথা-ওমাথা।
এমনকি বিমানে উঠলে আমার একটু ভয় ভয় করে। উইন্ডো সিট পড়লেও তাই আমি বাইরে তাকাই না। সবসময় বিমানের ভেতরের সবকিছু দেখার চেষ্টা করি। লম্বা জার্নি হলে সেখানে অবশ্য দেখার বিষয়গুলো খুব দ্রুতই ফুরিয়ে যায়। শুধু বিমানবালাদের যাওয়া আসা চোখে পড়ে।
হ্যাঁ, বিমানবালা। আমার একটা বিষয় মাথায় আসলো। আচ্ছা, এই যে আমার বিমানে উঠলে ভয় করে, আরো অনেক যাত্রীরও নিশ্চয় তেমনই ভয় করে। বিমানবালাদেরও একই অনুভূতি হয়। ওদেরতো আর সপ্তাহে তিনটা জার্নিই শেষ নয়, চলতেই থাকে জীবনজুড়ে। ওরা তাই ভয় চেপে মুখে একটা হাসি ধরে রাখে। আর ভয় চেপে রাখার জন্যইতো ওরা বেশ ভালো মাইনে পায়।
কিন্তু শুধু কি মাইনে? হ্যাঁ শুধু মাইনেই। আজ পর্যন্ত আপনি নিশ্চয় এ রকম অসংখ্য সংবাদ শুনেছেন, দেখেছেন যে ‘পাইলটের দক্ষতায় যাত্রীসহ ১৫০ জনের জীবন রক্ষা’ অথবা ‘বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ৭০জন নিহত’। কোনোদিন কি দেখেছেন এ সব ক্ষেত্রে বিমানবালা বা কেবিনক্রুদের কথা বিশেষভাবে লেখা হয়েছে? এই যে ইউএস বাংলার বিমানটার কথায় ধরুন, পাইলট আবিদ সুলতান এবং কো-পাইলট পৃথুলা রশিদের নাম সবার মুখে মুখে। অথচ ওই একই ফ্লাইটে চারজন কেবিন ক্রু ছিলেন, তাঁদের নাম কি কেউ জানেন? দুর্ঘটনাকালীন সময়ে নিশ্চয় তাঁদের মনের উপরও একই পরিমাণ চাপ ছিলো পাইলটদ্বয়ের মতই।
ইতিহাস অবশ্য একজন বিমানবালাকে অমর করেছে। আন্তদেশীয় সম্মান তিনি পেয়েছেন। তার পেছনে অন্য কারণ ছিলো। নীরজা ভানোত নামের এই ভারতীয় তরুণী প্যানঅ্যামের বিমানবালা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৬ এর ৫ সেপ্টেম্বর প্যানআমের নিউইয়র্কগামী ফ্ল্যাইট নম্বর ৭৩ করাচি বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতীকালীন সময়ে আবু নিদাল গ্রুপের সন্ত্রাসীদের দ্বারা হাইজ্যাকড হয়। এ সময় ১৭ বছরের নীরজা অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দেন।
প্রথমেই তিনি সন্ত্রাসীদের অগোচওে তিনজন ক্রুকে বিমান থেকে নামিয়ে দেন, ফলে বিমান করাচি বিমানবন্দর থেকে আর উড্ডয়ন করতে পারেনি। এরপর তিনি একইভাবে যাত্রীদের পাসপোর্ট সরিয়ে ফেলতে থাকেন যেন সন্ত্রাসীরা যাত্রীদের জাতীয়তা বুঝতে না পারে। সম্ভবত তারা আমেরিকান ও ইজরাইলিদের খুঁজছিলো। সবশেষে তিনি এমার্জেন্সি এক্সিট ওপেন করে দিয়ে যাত্রীদের পালাতে সাহায্য করেন। কিন্তু ধরা পড়ে যান এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
নীরজা পাকিস্তানের ‘তামঘা-ই-পাকিস্তান’ এবং ভারতের ‘অশোকচক্র’র মত উচ্চ পর্যায়ের সম্মাননা পদকসহ যুক্তরাষ্ট্র ও এবং পাকিস্তানের আরো কিছু সম্মাননা পেয়েছেন। ভারত সরকার তাঁর সম্মানে একটা স্মারক ডাকটিকিটও প্রকাশ করেছিলো। এছাড়াও ভারতে নীরজা ভানোত-প্যানঅ্যাম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নীরজা ভানোত অ্যাওয়ার্ডও দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ভারতে নীরজার এই ঘটনাকে উপজীব্য করে একটা মুভিও রিলিজ হয়েছিলো।
এই ছাড়া আর কোনো বিমানবালা/কেবিন ক্রুকে কি ইতিহাস মনে রেখেছে? আমার জানা নেই।
গত সপ্তাহের লাগাতার বিমানযাত্রায় বিভিন্ন এয়ারলইনস এর কেবিন ক্রুদের দেখে আমার ওই গল্পের মত বিষণœই মনে হয়েছে। হ্যাঁ, প্রশিক্ষনের অংশ হিসেবে মুখে একটা হাসিও ঝুলে থাকে। কিন্তু সে হাসি যেনো কৃত্রিম, নিস্প্রাণ। ওই হাসির পেছনে হয়তো অন্য কোনো গল্প থাকে। যে গল্পে কিছুটা ভয়ের সাথে সাথে আবিদ-পৃথুলার পাশাপাশি নাম না আসার মত বেদনা, বঞ্চণার অধ্যায়ও থাকে হয়তো।
তবু সেই হাসি দেখেই আমরা ভরসা পাই, আপ্লুত হই।
প্রথম ছবিসূত্র
দ্বিতীয় ছবিসূত্র
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: আসলেই সব গল্পের পেছনে অনেকগুলো গল্প থাকে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই গল্পগুলো দেখতে পাওয়া গল্পের সাথে মেলেনা। এখানে আমি যেমন সমীকরণ মিলিয়ে দিয়েছি, তেমনটা নাও হতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯
সনেট কবি বলেছেন: ভাললাগা রইল।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: থ্যাঙ্কু। কবি স্যার ভালো আছেন? গিনেজ বুকে আপনার সর্বোচ্চসংখ্যক সনেট লেখার রেকর্ড ক্লেইম করার বিষয়ে 'নতুন' একটা লেখা দিয়েছিলেন দেখেছিলাম। কোন অগ্রগতি কি আছে?
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর একটি লেখা।পড়ে অনেক ভাল লাগল।
লেখক যেটা লিখেন একজন নিবিষ্ট পাঠক সেটা পড়ে তা লেখকের জীবনের কাহিনিই মনে করে বেশির ভাগ সময়।এতে পাঠকের দোষ দেখি না।
বরং এটাতে লেখকের লেখার স্বার্থকতা বোঝা যায়।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০
পদ্মপুকুর বলেছেন: নিবিষ্ট পাঠক লেখকের লেখাকে লেখকের নিজের কাহিনীই মনে করে। কিন্তু স্যার, অনেক সময় এটা সাংসারিক শান্তিতে প্রভাব ফেলে! এই মাসটা খুব ব্যস্ততা যাচ্ছে। ব্লগে আসতে পারি না খুব একটা। আছেন কেমন?
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো গল্পটা। প্রথমটার আপনার বিশেষ পাঠকের জন্য একরাশ মুগ্ধতা ।
আর দ্বিতীয়টি ঠিক ততটাই মর্মস্পর্শী ভানোতের জন্য। ফিল্মটি আমার দেখা,
শুভকামনা জানবেন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি গল্প লিখতে পারি না। সবাইকে সব কিছু পারতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। তবুও আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। আর আমার সেই পাঠকও নিশ্চিত আপনার মুগ্ধতা জেনে যাবেন।
নীরজা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। এটা লেখার আগে পড়াশুনা করতে গিয়ে জেনেছি। আসলেই অসাধারণ। বিশেষ করে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি যেটা করেছেন, শ্রদ্ধায় মাথানত হয়ে আসে। নিজদেশ ভারত ছাড়াও প্রবল প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তাই সম্মাননা পাওয়া যথাযথ।
খুব শীঘ্রই মুভিটা দেখবো।
ভালো থাকবেন।
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিদেশী এয়ার লাইন্সে থাকেন বিমান বালা।
আমাদের এয়ারলাইন্সে থাকেন বিমান খালা।
পোস্টে ভালো লাগা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
পদ্মপুকুর বলেছেন:
ভালোই বলেছেন। বিমানের আর সব কিছুর মত কেবিন ক্রুগুলোর ব্যবহারও খারাপ। কেন যেন এখনও পেশাদার হতে পারেনি। আমি সাধারণত বিমান অ্যাভোয়েড করি। ভাই পকেটের টাকা দিয়ে বিমানে উঠে হুদাই খারাপ ব্যবহার সওয়ার মত দেশপ্রেমিক হয়ে পারিনি এখনও।
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
@ 'পদ্ম পুকুর' ভাইজান শুভেচ্ছা রইলো৷আপনার আজকের লেখাটি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম; লেখনির মাধুর্যে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা মনে হচ্ছিল৷কিন্তু (১) অংশের শেষে, "সুতরাং গল্পটা এখানেই থেমে গেল৷অবশ্য এভাবে না থামলেও অন্যকোনভাবে এখানেই থামতে হতো৷কারণ আমার একজন নিবিষ্ট পাঠক আছেন, যদি আমার সব লেখাকেই সত্যি এবং আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হিসেবে বিশ্বাস করে ফেলেন৷"
এমন পাহারাদার সদা সতর্ক আর স্বামী ভক্ত ভাবীর জন্য শুভেচ্ছা রইলো৷লেখক বলে কথা!! কখন কোথায় কিভাবে কি হয়ে যাবে তা বলা মুশকিল৷এজন্য "আই এস আই" টাইপের পাহারাদার দরকার পড়ে ৷
আর নীরজা ভানোত সম্বন্ধে জানতাম; তিনিই পৃথিবীর একমাত্র বিমানবালা যিনি মৃত্যুর পর সারা পৃথিবীব্যাপী এতো সম্মানিত হয়েছিলেন৷লেখাটি খুব ভাল লেগেছে৷++++ নিয়মিত ব্লগে লিখুন; ব্যস্থতার ফাঁকে ফাঁকে ৷
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি মুগ্ধ হয়ে আমার লেখা পড়ছেন- দৃশ্যটা কল্পনা করে নিজের মধ্যে এক ধরণের আত্মশ্লাঘা তৈরী হচ্ছে। এই মাসব্যাপী একটু ঝামেলায় রয়েছি। ব্যক্তিগত এবং দাপ্তরিক কাজের চাপ যাচ্ছে। আবারও ইন্ডিয়ায় যেতে হবে। এ কারণেই ব্লগে থাকতে পারছি না ঠিকঠাক।
আর লেখক বলে কথা!! কখন কোথায় কিভাবে কি হয়ে যাবে তা বলা মুশকিল৷এজন্য "আই এস আই" টাইপের পাহারাদার দরকার পড়ে ৷ মানে কি স্যার? সরকার বলছে ভরসা রাখুন নৌকায়, কিন্তু আপনি আমাকে ভর্সা করতে পারেন...
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। লেখার মধ্যে মুন্সিয়ানা আছে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
পদ্মপুকুর বলেছেন: বলছেন তাহলে?
৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
আঁধার রাত বলেছেন: লোক মুখে শুনিয়াছিলাম বাংলাদেশ বিমানে নাকি কোন বিমান বালা নাই তবে অনেক গুলো বিমান খালা আছেন?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন:
৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পর্দার আড়ালে বিমানবালাদের কষ্ট কেউ দেখেনি!
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: কল্পনা তো কল্পনাই হয়রে ভাই। পর্দার আড়ালে বিষম আনন্দও থাকতে পারে।
১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: লেখা এখনো পড়ি নাই, কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে ভাল লেখা। যাই হোক, শিরোনাম এবং নীচের ছবি দেখে প্রথমেই আমার যেই কথা মনে আসল তা হল, লেখক শিরোনামটা এভাবে দিতে পারতেন:
দুই প্রস্থ বিমান বালা আর মাঝে আমি মাইনকা চিপায় পইড়া স্যান্ডউইচ
হা হা হা হা.........মাইন্ড খাইয়েন না, মজা করলাম। লেখা পইড়া আবার কমেন্ট করতেছি।
১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০২
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: লেখাটা অসাধারণ হইছে
++++++++++++++++++++++++++++++
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: একবার নাসিরুদ্দিন হোজ্জা গেছে হাম্মামখানায় গোসল করতে। হোজ্জার বেশভূষা নিতান্তই সাধারণ দেখে হাম্মামখানার কেয়ারটেকার বিশেষ একটা গুরুত্ব দিলো না হোজ্জাকে। কোন যত্নও নিলো না। কিন্তু গোসল শেষে যাওয়ার সময় হোজ্জা কেয়ারটেকারকে ৫০০ টাকা বখশিশ দিলো।
৫০০ টাকা পেয়েতো কেয়ারটেকারের চোখ কপালে উঠে গেছে। পরের সপ্তাহে হোজ্জা যখন আবার আসলো, তখন খাতিরের চুড়ান্ত করলো। সবচে ভালো সাবান, শ্যাম্পু, সবচে নরম আর পরিষ্কার তোয়ালে দিলো, শরীর ম্যাসাজও করে দিলো। কিন্তু গোসল শেষে যাওয়ার সময় হোজ্জা মাত্র ২০ টাকা ধরিয়ে দিলো কেয়ারটেকারের হাতে!
হতভম্ভ কেয়ারটেকার বললো- এটা কি হলো?
তখন হোজ্জা বললো- এইটা গত সপ্তাহের বখশীশ। আর ওইদিন যেইটা দিয়েছিলাম, সেইটা আজকের বখশীশ!!!
চেংকু বস,
আপ্নের উপরের দুই মন্তব্য দেইখ্যা আমার এই কৈতোক মনে পড়লো। আমার লেখাটা না পড়েই আপ্নে পাঁচ লাইনের মন্তব্য করেছেন। আর পড়ার পর ভালো বলেও মাত্র তিনটি শব্দ!!!
যাউগ্গা, অসংখ্য প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯
আখেনাটেন বলেছেন: প্রথম অংশটা পড়ে মজা পেলুম। আপনার লেখার হাত দারুন বললেও কম বলা হবে।
আর দ্বিতীয় অংশের ক্ষেত্রে বলি 'জালে বোয়াল শোল উঠলে টেংরা পুঁটির চিন্তা কেউ করে'। বিমানের ক্রুদের ক্ষেত্রেও তাই। পাইলটরা বিমানের বোয়াল। তাই তাদের নিয়ে লাফালাফিটাই বেশি। হিউম্যান নেচার।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি আপ্নার লেখার মুগ্ধ পাঠক। আপ্নে যখন এমন কমপ্লিমেন্টস দিচ্ছেন, দু'হাত পেতে নেওয়া ছাড়া উপায় কি? আর দ্বিতীয় অংশে যা বলেছেন, এর উপরে আর কথা হয় না। এ জন্যই হয়তো এদের হাসিটা ঠিক হাসি মনে হয় না।
এই গত সপ্তাহে ভারতের বিভিন্ন শহরে গিয়েছি, আপনার কথা মনে পড়ছিলো। একবার মনে হয়েছিলো আপনার দিল্লী কড়চার মত কিছু একটা লিখবো। কিন্তু আসলে আপনার ওই ফোরজির মতই দৌড়ের উপর ছিলাম পুরো সময়টাতে। লেখা তো লেখা, জীবন হাতে নিয়া যে ঘরের ছেলে ঘরে ফির্তে পার্ছি, সেইটাই কপাল!!
১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৯
রাকু হাসান বলেছেন: নীরজার বীরত্বগাঁথা গল্প খুব ভাল লাগছে । প্রথম অংশে ধোকা খেলাম । ছবিতে আপনাকে খুব হ্যান্ডসাম লাগছে ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: কেন ধোকা খেলেন বলেন তো, অন্য কোন কিছু হবে মনে করেছিলেন?
১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
মানুষ আমি চেয়ে দেখ
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
যদি তুমি বল আমি
একান্ত তোমার....
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
মানুষের ভাবনা গুলি কোন নিয়ম মেনে চলেনা ।
তাদের অন্তরে নিরন্তর ভালবাসার খেলা চলে,
কিন্ত নিয়মের কারনে অনেক কিছুই প্রকাশ পায়না ।
এমনতর একটি ঘটনা
ক্যালকাটা এয়ার পোর্ট ঘটেছিল
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
হ্যাঁ, প্রশিক্ষনের অংশ হিসেবে মুখে একটা হাসিও ঝুলে থাকে।
হাসিটা বাস্তবে মেকি কিন্ত ঐ সময়ের জন্য অত্যন্ত জরুরী ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
পদ্মপুকুর বলেছেন: মানুষের ভাবনা গুলি কোন নিয়ম মেনে চলেনা ।
তাদের অন্তরে নিরন্তর ভালবাসার খেলা চলে,
কিন্ত নিয়মের কারনে অনেক কিছুই প্রকাশ পায়না ।
এমনতর একটি ঘটনা
ক্যালকাটা এয়ার পোর্ট ঘটেছিল
ভাল্লাগলো শুনে যে আমার গল্পের মত কোন ঘটনা কারো সাথে ঘটেছিলো। কি ঘটেছিলো বলুন তো একটু শুনি।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
হ্যাঁ, প্রশিক্ষনের অংশ হিসেবে মুখে একটা হাসিও ঝুলে থাকে।
হাসিটা বাস্তবে মেকি কিন্ত ঐ সময়ের জন্য অত্যন্ত জরুরী ।
ঠিকই বলেছেন। ওই হাসির জন্যই তো সবাই ভরসা করে বিমানে উঠে পড়ে।
১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
রাকু হাসান বলেছেন: অন্য কিছু বলতে গল্প টা আরও মোড় নিবে ভাবছিলাম ,আর একটু বড় ও হবে কিন্তু হঠাৎ শেষ ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: হা হা হা, কবিগুরু তো ছোটগল্পের সংগাতে বলেই গিয়েছেন- শেষ হইয়াও হইলো না শেষ....
(গোপনে আপনাকে সত্যি কথাটা বলি- আমি আসলে গল্প বা কবিতা লিখতেই পারি না। ব্লগে কাইকর, রাজীব নুর এবং আরো অনেকে সুন্দর সুন্দর গল্প লেখে দেখে একটু লোভ হচ্ছিলো। তাই লিখতে চাইছিলাম, কিন্তু প্রতিভা না থাকলে কি আর হয় না কি?)
ভালো থাকবেন।
১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুই প্রস্থই বিষণ্ণতায় ভরা। ১ম প্রস্থে মনে হলো আমিই সায়ান, আর রুমিয়ানের মেইল ডেলিভারি ফেইলিউর হওয়ায় যেন আমার হার্ট ফেইলিউর হলো। গল্প হিসাবে অসাধারণ।
পরের প্রস্থে নীরজা ভানোতের দুঃসাহসিকতার কথা পড়তে পড়তে উত্তেজিতি হয়ে উঠছিলাম। এটা আপনার লেখার গুণ।
বিমান বালারা সত্যিই কোনো খবরে আসেন না।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
পদ্মপুকুর বলেছেন: এত বড় কমপ্লিমেন্টস আমার প্রাপ্য নয় স্যার, নিতান্তই দুর্বল এক লেখক আমি। আপনি উদার বলেই এমন বলছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দুই প্রস্থই বিষণ্নতায় ভরা, ঠিকই বলেছেন। আসলে ওই বিমানযাত্রার শেষবারে আমি ছিলাম ভিসতারা এয়ারলাইন্সের ইউকে ৭৭৩ তে। কলকাতায় আসছিলাম। ওই বিমানে বিষণ্নসুন্দরী একজন বিমানবালা ছিলেন, যাকে দেখে এই গল্প মাথায় এসেছিলো। কিন্তু লেখার সময় ওই মেয়ের বিষণ্নতা আমাকে গ্রাস করেছিলো, তাই লেখাও বিষণ্নতাকে অতিক্রম করতে পারেনি।
আর নীরজা ভানোতের দুঃসাহসিকতা আসলেই অসাধারণ। ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
১৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আনিছুর রহমান সুজন বলেছেন: ব্লগে ট্যাগের সিষ্টেমটা কি? মনে করেন আমি আমার জীবনের কোন কাহিনী লিখলাম, সুতরাং আমি ট্যাগে কি লিখবো
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ট্যাগ বিষয়টা এমন কিছু জরুরী না। আপনি চাইলে দিতে পারেন, নাও দিতে পারেন। আর যদি ট্যাগওয়ার্ড দিতেই চান, সংশ্লিষ্ট কোনো শব্দ দিলেই হবে, যেমন আপনার জীবনকাহিনীতে যে যায়গাটার বেশি প্রাধান্য আছে সেই স্থানের নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, 'জীবনকাহিনী' এই ধরণের শব্দগুলোই ট্যাগে দিতে পারেন।
১৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আনিছুর রহমান সুজন বলেছেন: আামকে জানাবেন কেউ? প্লিজ জানান।
১৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
আনিছুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি ট্যাগের বিষয়টা বুঝতেছিনা। প্লিজ কেউ বলবেন?
২০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩
তানভীর তুর্য্য বলেছেন: হতাশা থেকে বের হয়ে আশাবাদী হতে চাই। সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: অবশ্যই আশাবাদী হতে চাই।
২১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার দু'প্রস্থ লেখা পড়লাম!!
গল্পের মুন্সিয়ানা টুইস্ট এ, প্রথম পর্বে দারুন দেখিয়েছেন!!
আর নিরজার গল্পটা মুভি তে দেখেছিলাম; তারপর ও আপনার বলার স্বকীয়তায় আপনার মত করেই দেখলাম বিমানবালা দের জীবনের বিষাদের রুপ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩২
পদ্মপুকুর বলেছেন: কিছুদিন ব্লগে থাকতে পারিনি ব্যস্ততার কারণে। অনেককে মিস করেছি, তাদের মধ্যে আপনিও একজন। লাইফ ইন ডুবাই এর পর থেকে আমি তো প্রায়ই আপনার ব্লগবাড়িতে গিয়ে ঢু মেরে আসি। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
উপরে সোনাবীজের প্রতিমন্তব্যে বলেছি- ভিসতারার ওই বিমানবালার বিষণ্ণতা দেখে গল্পটা মাথায় এসেছিলো। তারপর লিখতে গিয়ে যেমনটা ভেবেছিলাম, তেমনটা হয়নি হয়তো আর। আমি গতকাল রাতে নীরজা মুভিটা দেখলাম। ঘটনাগুলো আগে জেনে ফেলার কারণে হোক অথবা অন্যকোনো কারণে হোক, খুব একটা ভালো লাগেনি।
২২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার গল্প। গল্পের পেছনের গল্প যারা দেখে, শোনে, বোঝে কিংবা নিদেনপক্ষে অনুসন্ধান করে, তারা অসাধারণ হৃদয়ের অধিকারী হয়। আপনার গল্প এবং গল্প বলার স্টাইল, দুটোই ভাল লেগেছে। + +
অসম সাহসী নীরজা ভানোতের প্রতি শ্রদ্ধা....
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিদেশী এয়ার লাইন্সে থাকেন বিমান বালা।
আমাদের এয়ারলাইন্সে থাকেন বিমান খালা। - আমি অবশ্য বিমানে ভ্রমণের সময় বিমানবালাই পেয়েছিলাম, বিমানখালা নয়। তবে এয়ার ইন্ডিয়াতে ভ্রমণ করে মনে হয়েছে যে ঢাকায় ওদের যেসব ফ্লাইট আসে, সেখানে বিমানখালাদের সংখ্যা বিমানবালাদের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে থাকে।
অনেক সময় এটা সাংসারিক শান্তিতে প্রভাব ফেলে! - আপনার নিবিষ্ট পাঠিকা যদি সব পোস্টের মত এই মন্তব্যটাও খুঁটে পাঠ করে থাকেন, তবে এর জন্যেও আপনাকে কোন মাশুল গুনতে হবে কিনা, সে কথাই ভাবছি!!!
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। একেকটা লেখা পোস্ট করার সবচে বড় সুবিধা হচ্ছে, আলোচনা-প্রতি আলোচনায় আনুষাঙ্গিক অনেক কিছুই জানা যায়। নিদেন পক্ষে নিজেকে নতুন করে অনেক কিছু জানতে হয়। আমি যেমন এয়ার হোস্টেজদের নিয়ে পড়েছি যতটুকু জানা যায়, তারপর মুভিটাও দেখলাম। তবে গল্পের পেছনের সঠিক গল্পটা দেখতে পারলাম কি না জানিনা, কিন্তু আমার সর্বদায় মঞ্চের সামনে থাকার চেয়ে পর্দার পেছনের গল্পে থাকতেই ভালো লাগে।
আর নীরজা ভানোত সেদিন প্রথমবারের মত হেড পার্সার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ঠিক কিভাবে তিনি মাথা ঠাণ্ডা রেখে ওরকম কাজগুলো করেছিলেন, জানিনা, কিন্তু এক কথায় অসাধারণ। স্যালুট। তিনি যে ইয়ংগস্ট অশোকচক্র রিসিভার হয়ে আছেন, তা যথার্থ।
আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমার বিশেষ পাঠক অলরেডি জানতে চেয়েছে যে 'কাউসার চৌধুরী' কে..... হা হা হা।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছিনা। লেখাটা ভালো ছিলো।
আর ভলিউডে একটা মুভিও দেখেছি আমরা নির্জা।
সব মিলিয়ে বিষয়টা ঘটনা বহুল।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০
পদ্মপুকুর বলেছেন: এমন কঠিন তো কিছুই লিখিনি, বাক্রুদ্ধ হয়ে গেলেন কেন?
২৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
শায়মা বলেছেন: ১. ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪ ১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুই প্রস্থ বিমান বালায় দুই প্রস্থ ভাললাগা
নীরজার ম্যুভিটা দেখবো....
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪১
পদ্মপুকুর বলেছেন: অনেকদিন পর আমার ব্লগে আসলেন। আছেন কেমন?
২৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২১
আবু মুহাম্মদ বলেছেন: খুব সুন্দর একটি লেখা।পড়ে অনেক ভাল লাগল।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার ভালো লেগেছে দেখে আমারও ভালো লাগছে।
২৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
অন্তরন্তর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখা। রুই কাতলাদের কথাই আমরা সবসময় আলোচনা করা পছন্দ করি তাই অন্যদের খবরের ধার ধারি না।
নীরজার ছবিটা দেখা হয়নি। দেখি দেখতে পারি কিনা। উনার বীরত্বগাঁথা জেনে খুব ভাল লাগল। শুভ কামনা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: সেটাই, রুই কাতলা দেখতেও মজা, খেতেও মজা।
২৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
শায়মা বলেছেন: ভালো আছি ভাইয়া!
২৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
ওমেরা বলেছেন: আপনার লিখাটা সেই প্রথমদিন পড়েছি , এর পর আরো কয়েকবার পড়েছি ভাল লাগায় মুগ্ধ হয়েছি। মানুষের মুখের হাসি দেখেই আমরা মুগ্ধ হই হাসির আড়ালে কষ্ট থাকতে পারে এটা ভাবনায়ই আসে না।
অনেক ধন্যবাদ এত ভাল লাগার একটা লিখা উপহার দেওয়ার জন্য।
২৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: প্রথম অংশটি পড়ে একটু কষ্ট লাগলো। তবে দ্বিতীয় অংশটি অনেক জমজমাট হয়েছে। নীরজা সকলের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন আজীবন।
৩০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: আসলেই নীরজা সকলের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন আজীবন
অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে
অনেক অনেক ধন্যবাদ
৩১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
নক্ষত্র নীড় বলেছেন: মনটা তবু পূর্ণ হলো না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুই প্রস্থ বিমান বালায় দুই প্রস্থ ভাললাগা
আসলেই অনেক ক্ষেত্রেই দূর থেকে যতটা মনে হয় - কাছে এলে অনেক ভ্রম কেটে যায়!
গভীর অনুভবের পর্যবেক্ষনে ভাললাগা
++++